![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন খাতার শেষের পাতায়, এঁকে দিলাম আলপনা, আমার স্মৃতি পড়বে মনে, যখন আমি থাকব না...! মানসিক ভাবে অসুস্থ একজন মানুষ নিজে ; অথচ বাকি সব অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছি! তাদেরকে হাসি খুশি রাখার মাধ্যমে! বুঝেন অবস্থা! একবারেই বদ্ধ উন্মাদ, আবেগপ্রবন,ভীতু এক মানুষ...!চিন্তাভাবনা করে সাধারণত কিছু বলা বা করা হয় না, এজন্য ঝামেলাতেও বেশি পড়তে হয়! তারপরও - always try to listen to my heart !Simplicity জিনিসটা খুব ভাল্লাগে, নিজেও তাই!'হাসিমুখ','দেশ','দেশের মানুষ','বৃষ্টি','জোছনা','প্রিয় মানুষগুলোকে বিরক্ত করা','শিশির ভেজা ঘাসের উপরে হাঁটা','জীবন','নিঃশ্বাস নেয়া','বইপড়া'(অবশ্যই পাঠ্যবই নয়!),'বন্ধু','বন্ধুত্ব','আড্ডা দেয়া','পাহাড়','সমুদ্র','সিনেমা দেখা','শাহরুখ খান' প্রভৃতির প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে! আমি নিম্নোক্ত জীবন দর্শনে বিশ্বাসী - "Live, Laugh and Love!" (বাঁচো , হাসও আর ভালোবাসো! ) :-D আর হ্যাঁ, নিজের প্রথম ও সবচেয়ে বড় পরিচয় "মানুষ" বলতে পছন্দ করি, আগে মানুষ, তারপর বাকি সব... :-) আমার রক্তের গ্রুপ- B (Be Positive!) আমার রাশি- কুম্ভ (কিন্তু আমি মোটেই কুম্ভকর্ণ নই!) নিজেকে একটি শব্দে প্রকাশ করতে বললে আমি সেই পুরনো অসাধারণ শব্দটি বলব--- "পাগল" :-P :-P আমার ফেসবুক ঠিকানা- fb.com/syed.n.sakib.3
ঝাড়া ছয় ফুট দুই ইঞ্চির মানুষটা জন্মের পর থেকেই এক্সট্রা খাতির পেয়ে আসছিলেন।
কবিরা নাকি শৌখিন মানুষ হয়। পদ্মভূষণ প্রাপ্ত বাবা হরিবংশ রায় বচ্চন দেশের বিখ্যাত কবি বইলেই হয়তো শৌখিন মানুষ ছিলেন। এই কারণে নিজের প্রথম পুত্রের জন্মকে নিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে ছেলেকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনতে একটি গরুর গাড়ির ব্যবস্থা করেন। ১৯৪২ সালে গরুর গাড়িতে করে জন্মের পরেই যাত্রা করা এক্সট্রা খাতির বা শৌখিনতার চেয়ে কম কিছু ছিলনা। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন তখন আস্তে আস্তে দানা বেঁধে উঠছে, বাবা তাই ছেলের নাম রাখলেন “ইনকিলাব”, যদিও সেই নাম পড়ে পরিবর্তন হল- পরিবর্তিত নামের কথায় যথাসময়ে ফেরত আসা হবে।
ছেলের ছোটবেলা থেকেই অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। অনেক চেষ্টা করলেন, লাভ হলনা- এই ক্ষেত্রে তিনি "এক্সট্রা খাতির" পেলেন না। ছোটভাই তার ছবি তুলে বিভিন্ন প্রযোজকের কাছে পাঠাতেন, অডিশনের ডাক পেতেন, তারপরে সেই একই ফলাফল- আপনি বাদ পড়েছেন। বিমানবাহিনীতে যাওয়ার চেষ্টা করেন, সেখান থেকেও বাদ। কলকাতার একটা শিপিং কোম্পানিতে মাসিক ৪৭০ রুপি বেতনে চাকরি নেন, কিন্তু মন খালি টানতে থাকে মুম্বাই এর সিনেমার জগতে। শিপিং কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি থিয়েটারেও কাজ করতে থাকলেন।
অভিনয়ে হচ্ছে না তো কি হয়েছে? মিডিয়া সম্পর্কিত অন্য কিছু তো করা যায় নাকি? বিজ্ঞাপনে বা সিনেমাতে নিজের আওয়াজ দেয়া (ভয়েস ওভার) যায় কিনা তা ভাবতে লাগলেন। গেলেন রেডিও তে সংবাদ পাঠ করতে। তার ভয়েস শুনে তাকে বলা হল- ক্যানভাসার চিনেন? যারা মলম বিক্রি করে? আপনার ভয়েস তো তার মতো মশাই! ঐখানে যান, অনেক ভালো করবেন ক্যানভাসার হিসেবে। খুব আহত হয়েছিলেন এই মন্তব্যে, কিন্তু ভেঙ্গে পড়েন নি। ভেঙ্গে পড়েন নি বলেই হয়তো এই ভয়েসের কদর হয়েছিল- নাহ, মুম্বাইতে না- বাঙ্গালির কাছে- দুই দিকপাল পরিচালক মৃণাল সেন আর সত্যজিৎ রায় এর কাছে। মৃণাল সেন তার “ভুবেনসোম” সিনেমাতে তাকে ভয়েস ন্যারেটর হিসেবে নেন। সত্যজিৎ রায় নিজের অন্যতম বিখ্যাত ছবি “শতরঞ্জ কি খিলাড়ি” সিনেমাতেও তার ভয়েস ওভার নেন। সত্যজিৎ তার সম্পর্কে বলেছিলেন “ওর যেই জিনিসটায় আমি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছিলাম, সেটা হল তার সময়ানুবর্তীতা, সকাল ছয়টায় একদিন আসতে বলেছিলাম, ঠিক ছয়টায় এসেছিল, ৫ টা ৫৯ এও না, ৬ টা ১ এও না, ঠিক ছয়টায়”।
সবই হচ্ছিল, কিন্তু সিনেমাটাই হচ্ছিল না। এক পরিচালক বলে বসলেন- আপনি এত লম্বা কেন? আপনার সাইজের নায়িকা কোথায় পাব বলেন? আরেকজন প্রযোজক আরও নিষ্ঠুর মন্তব্য করে বসলেন- এক কাজ করেন, আপনার লম্বা পা দুইটা কেটে ‘সাইজ’ করে নিয়ে আসেন, তারপরে আপনাকে অভিনয়ে নিব। অবশেষে ছোট ভাইয়ের পাঠানো ছবি একদিন কাজে আসলো, ‘সাত হিন্দুস্থানি’ নামক সিনেমাতে প্রথম অভিনয় করলেন। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা তারপরেও তাকে ছাড়ল না, সুনীল দত্ত এর সাথে "রেশমা অউর শেরা" নামে এক সিনেমাতে অভিনয়ের কাজ পেলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরেই আবিষ্কার করলেন তার চরিত্রকে “বোবা মানুষের” চরিত্র বানিয়ে দেয়া হয়েছে, তার কোন সংলাপই নেই সিনেমাতে! প্রতিবাদ করেও লাভ হল না, সময়টা তার ছিলনা বলেই হয়তো।
কিন্তু জাঞ্জির আর দিওার এর মতো সিনেমা রাতারাতি সময়কে তার পায়ের কাছে নিয়ে আসলো। একের পর এক হিট সিনেমা দিতে লাগলেন তিনি, পেয়ে গেলেন “অ্যাংরি ইয়ং ম্যান” এর খেতাব। ৭০ আর ৮০ এর দশক পুরোটাই কাঁপিয়েছেন তিনি বলতে গেলে একাই। হিন্দি সিনেমা জগতের অন্যতম ক্লাসিক সিনেমা Sholay তে অভিনয় করলেন, যেই সিনেমা সম্পর্কে আলাদা করে না বললেই নয়। বিখ্যাত ফ্রান্সের সিনেমা পরিচালক François Truffaut ( The 400 Blows খ্যাত) তাকে বলেছিলেন “ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি”।
সুখের পরেই দুঃখের আগমন, তার ক্ষেত্রেও তাই হল। ১৯৮২ সালে কুলি সিনেমার শুটিং এ মারাত্মকভাবে আহত হন। ডাক্তাররা আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন, কিন্তু ভক্তদের দোয়াই সম্ভবত তাকে ফিরিয়ে আনে মৃত্যুর মুখ থেকে। তার এক ভক্ত তার আরোগ্যের জন্য ভারতের একটি রাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে যেই হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন, সেখানে প্রায় ২০০ মাইল রাস্তা অতিক্রম করেন- স্বাভাবিকভাবে নয়, উল্টোভাবে দৌড় দিয়ে। ভক্ত মনে হয় একেই বলে। আর এরকম ভক্তও মনে হয় সবাই সৃষ্টি করতে পারে না।
অসুস্থ শরীরে ফিল্মের মত অধিক শারীরিক পরিশ্রমের কাজে না গিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেন এবং সম্ভবত জীবনের অন্যতম একটি বড় ভুল করলেন। বোফরস স্ক্যানডাল এ জড়িয়ে পড়লেন- যদিও নির্দোষ হিসেবে আদালত থেকে মুক্তি পেলেন। “রাজনীতির জন্য আমি না, এটা একটা দাবাখেলা,আমি দাবায় ভালো নই” বলে ফিরে আসলেন নিজের চেনা আঙ্গিনাতে। ফিরে এসে শাহেনশাহ আর অগ্নিপথের মতো সুপারহিট সিনেমা দিলেন। অগ্নিপথের জন্য নিজের গলার স্বর চেঞ্জ করে ফেলেছিলেন এবং তার ফলও পেয়েছেন- জীবনের প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অনেকদিন সিনেমাতে অভিনয় করে এবার প্রযোজক হিসেবে আসতে চাইলেন, ABCL নামক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুললেন আর সিনেমা বানালেন কিন্তু তা ব্যর্থ হতে থাকল। নব্বই দশক শুরু হয়ে গেছিল, সময় পালটাচ্ছিল, সিনেমার ভাষা বদলাচ্ছিল আস্তে আস্তে, শাহরুখ, আমির, সালমানের যুগ শুরু হয়ে গেছিল... তার সময় বোধয় আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। নিজের বয়স না বুঝে সস্তা ধারার বাণিজ্যিক সিনেমা করতে লাগলেন- সব ব্যর্থ হতে লাগলো। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে Boom এর মত বি গ্রেড সিনেমাও করেছেন। একসময় ধার দেনা করা শুরু হয়ে গেল। অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে, গাড়ির ড্রাইভারকে বেতন দেয়ার মত টাকাও ছিল না, তার ছেলে অভিষেক গাড়ি চালিয়ে বাবাকে শুটিং স্পটে পৌঁছে দিতেন। এক সাংবাদিক তার সম্পর্কে পত্রিকায় ফিচার লিখলেন- he is FINISHED শিরোনামে।
এমন সময়ে তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে একদিন একটি কুইজ অনুষ্ঠানের অফার এলো, ছোটপর্দার জন্য, শর্ত একটাই- উপস্থাপক হিসেবে তাকে থাকতে হবে। তার আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী এমনকি তার স্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই তাকে এই অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করলেন। কিন্তু সবার কথা না শুনে তিনি এটা করা শুরু করলেন- ফলাফল হল সেই অনুষ্ঠানের এখন সপ্তম কিস্তি চলছে, অনুষ্ঠানের নাম ছিল kaun banega crorepati. মাঝের একটা সিজন শুধু শাহরুখ খান উপস্থাপনা করেছিলেন, করার পরে তিনি স্বীকার করেছেন- আমি তার সামনে কিছুই না, এই অনুষ্ঠানে শুধু তাকেই মানায়। শাহরুখ উপস্থাপনার জন্য যত পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন তার অর্ধেক চ্যানেলকে ফেরত দিয়ে দেন।
অনেকদিন পরে সেই সাংবাদিককে তিনি বাসায় দাওয়াত করলেন, যিনি he is FINISHED শিরোনামে ফিচার করেছিলেন, সাংবাদিক তার রিডিং রুমে এসে দেখলেন – সেই ফিচারটি দেয়ালে বাঁধাই করে রাখা হয়েছে! অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতে তিনি উত্তর দিলেন- তোমার এই ফিচার আমাকে অনুপ্রেরণা দিত, প্রতিদিন সকালে উঠে আমি এই ফিচারটার সামনে আসতাম আর নিজেকে বলতাম- আর যাই হোক, ফিনিশড হওয়া চলবে না ।
এরপরে নিজের বয়স বুঝে এক একটা ক্যারেক্টার প্লে করা শুরু করলেন, যৌবনের চেয়ে বার্ধক্যে এসে তিনি যেন নতুন করে জ্বলে উঠলেন। aks, Mohabbatien, aankheen, khakee, black, nishabd, teen patti, eklavya, bhootnath, paa, raan, cheeni kum, dev, buddha hoga tera baap, shamitabh- অদ্ভুত সব ক্যারেক্টার- যেন তার জন্যই এইসব ক্যারেক্টার। নিজের যেই গলার স্বরের জন্য একদিন তাকে "ক্যানভাসার" শুনতে হয়েছিল, সেই ভয়েস দিয়ে কি চমক করা যায় তার প্রমাণ হল Shamitabh সিনেমা।
চেনার কথা এতক্ষণে, মানুষটার নাম অমিতাভ বচ্চন- বিগ বি। ইনকিলাব নামটা চেঞ্জ করে বাবা তার এই নামটা রাখেন, "অমিতাভ" মানে যেই আলো কখনো নিভে না । আসলেই তিনি নিভেন না, এই বয়সেও যেভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন- হাঁটুর বয়সী নায়করা লজ্জায় মুখ লুকাবে। খানদের যুগের পর আসলো তার ছেলে সহ জন আব্রাহাম, ঋত্বিক, আফতাব, ফারদিনের যুগ, এরপরে এলো রনবির কাপুর, ইমরান খানের যুগ, এখন চলে সিদ্ধার্থ, বরুন দের যুগ- অনেকেই আছে, অনেকেই চলে গেছে- কিন্তু অমিতাভ অমিতাভই আছেন- সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। পিকু সিনেমার পরিচালক সুজিত সরকার বলেন- অমিতাভ বচ্চন ইজ আ কমপ্লিটলি ডিরেক্টরস অ্যাক্টর।আমি কোনও অভিনেতাকে ডিরেক্টরের সামনে এই রকম সারেন্ডার করতে দেখিনি। হয়তো আমি একটা শট নিলাম, শটটা হয়তো ৯০% ঠিকই আছে। কিন্তু কোথাও হয়তো আমার একটু পজ দরকার ছিল, কোথাও চোখটা তুললে হয়তো সিনটা আরও ভাল হত। সেটা আমি ওঁকে ক্যাজুয়ালি বললেও ততক্ষণে হয়তো সেই শট আমি ‘ওকে’ করে দিয়েছি।এর মধ্যে লাঞ্চব্রেকও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দেখেছি তিন চার ঘণ্টা বাদে উনি আমাকে ঠিক ডাকবেন। ডেকে বলবেন, “ তুমি শটটা ওকে করে দিয়েছ ঠিকই কিন্তু তুমি যে অবজার্ভেশনগুলো বললে সেগুলো আমি ভেবে দেখলাম একদম ঠিক। আমরা ওই শটটা কি আর এক বার করতে পারি? প্রমিস করছি আমি বেশি সময় নেব না।” এই ডেডিকেশনের নামই অমিতাভ বচ্চন। যেখানে ইন্ডিয়ার বেশিরভাগ সিরিয়াল "শাশুড়ি বউ" ঝগড়া তে সীমাবদ্ধ সেখানে তিনি Yudh এর মত ব্যতিক্রমী টিভি সিরিজ ও করেছেন। এই বছরের শেষে আসছে Wazir নামক সিনেমা যেখানে দুই পা হারানো হুইল চেয়ারে বসে থাকা এক বৃদ্ধ। এরপরে আসছে কাহানী খ্যাত পরিচালক সুজয় ঘোষ এর নেক্সট সিনেমা, যেখানে তার সাথে থাকবেন নওাজুদ্দিন সিদ্দিকি। মজার ব্যাপার হল, অমিতাভ নিজেই সুজয় কে সাজেস্ট করেছেন নওাজ কে নেয়ার জন্য। সনি টিভি তে শুরু হতে যাওয়া নতুন আরেকটা কাজের সাথেও আছেন তিনি। এতকিছুর করার পরেও সম্প্রতি তার এক সাক্ষাতকারে পড়লাম তিনি বলেছেন- আমার মনে হচ্ছে আমি একটু অলস হয়ে যাচ্ছি, আমার আরেকটু বেশি পরিশ্রম করা দরকার।
আজ তিনি ৭৩ বছরে পা রাখলেন, এখনও যুবক বয়সের মতই উত্তেজনা তার মাঝে কাজ করার জন্য। ফ্যানদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, ব্লগ লেখেন, টুইটারে তার সদর্প বিচরণ- নিজের অনুভূতি জানান সবাইকে যেকোনো বিষয়ে। প্রতি রবিবার সকালে নিজের বাড়ির বাইরে যেই হাজার হাজার ফ্যান জমা হয়, তাঁদের উদ্দেশ্য করে হাত নাড়েন- এটা তার নিয়মিত রুটিন। মন ভাল থাকলে মাঝে মাঝে পুরো ফ্যামিলি সহ নিচে নেমে এসে সবার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। প্রতি রবিবার তার বাড়ির বাইরে যত ফ্যান জমা হয় তাদের সবার জন্য এক বোতল পানি আর প্যাকেট বিস্কুট বরাদ্দ থাকে। ছেলের বউ ঐশ্বরিয়া যখন মেয়ে জন্ম দিলেন, তখন মেয়ের নাম কি হবে তা ঠিক করার জন্য অমিতাভের ভক্তরা তার বাড়ির বাইরে ৭০ হাজার “শিশুর সুন্দর নাম” টাইপ বই পাঠান। এর চেয়েও অবাকের ব্যাপার হল অমিতাভ প্রতিটা বই নিজের বাসায় রেখে দিয়েছেন। জন্মদিনে নিজের মোবাইলে আসা প্রতিটা মেসেজের জবাব দেন তিনি এখনও, যত সময়ই লাগুক, এক মাস পরে হলেও জবাব দেন।
এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন তাকে- এতদিন ধরে টিকে আছেন কীভাবে? রহস্যটা কি সাফল্যের? উত্তরে তিনি বলেন- সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা এবং সেটা থেকে শিক্ষা নেয়া। সাংবাদিক মজা করে জিজ্ঞেস করেন- সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আপনার কতটুকু? মজা করে হাসতে হাসতে তিনি উত্তর দেন- কম নয় বৈকি! আমার উচ্চতার সমান!
শুভ জন্মদিন অমিতাভ বচ্চন, বেঁচে থাকুন আরও অনেকদিন , সুস্থভাবে।
অফ টপিক- জয়া বচ্চনের সাথে বিয়ের পরে রেখার সাথে অমিতাভের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। যদিও সেই ঘোলা জল এখন পরিষ্কার- কেও কারো চেহারা দর্শন করেন না। দর্শন বাই চান্স হয়ে গেলে "হাই, হ্যালো" পর্যন্তই থাকে। তারমানে কি ভালোবাসা নেই বা ছিল না কখনো? মজার একটা জিনিস বলি, অমিতাভের জন্মদিনের একদিন আগে রেখার জন্মদিন, অর্থাৎ গতকাল ১০ অক্টোবর- এটা কি নিছক কাকতালীয় নাকি ভালোবাসার নিদর্শন- তা ঈশ্বরই ভালো জানেন
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
নুহা ফারহান বলেছেন: ভালো লাগলো ...
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: থ্যাংকস
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম! ++++
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: সাবাস!
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন:
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
শাহরুখ সাকিব বলেছেন:
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: তিনি ভারতের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন।
'টাইটানিক' খ্যাত অভিনেতা লিওনার্ডো ডিক্যাপরিও অমিতাভ বচ্চন সম্পর্কে বলেছিলেন,
“মিস্টার বচ্চন শুধুমাত্র তাঁর প্রতিভা বা দক্ষতা দিয়েই নয় বরং তাঁর অমায়িক শিষ্টাচারিতা দিয়েও আমাকে মুগ্ধ করেছেন । আমি
তাঁর সাথে কাজ করতে পেরে গর্বিত। সে কীভাবে ছোট চরিত্রের মধ্যেও উদ্দীপনার সৃষ্টি করতে পারে তা প্রত্যক্ষ করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং ভবিষ্যতেও আমি তাঁর সাথে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী।”
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: বাহ!
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
তাপস কুমার দে বলেছেন: A great actor,slut him.a rememberable life history. And thanks you Mr.
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
শাহরুখ সাকিব বলেছেন:
৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২
ম.র.নি বলেছেন: ভাই,উনাকে বলেন দয়া করে যেন রিটায়ার করেন।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: ক্যান ভাই? বেশি সমস্যা হলে আপনি বলেন!
৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই লোকরা একটা আল্টিমেট ক্রিয়েটিভ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: আবাগ জিগায়!
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খানদের যুগের পর আসলো তার ছেলে সহ জন আব্রাহাম, ঋত্বিক, আফতাব, ফারদিনের যুগ, এরপরে এলো রনবির কাপুর, ইমরান খানের যুগ, এখন চলে সিদ্ধার্থ, বরুন দের যুগ- অনেকেই আছে, অনেকেই চলে গেছে- কিন্তু অমিতাভ অমিতাভই আছেন- সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। [/sb
খানদের যুগ শেষ হয়নি । খানদের মধ্যে যে খান কুমার আই মিন সালমান খান তিনি এইসময়কার এক নম্বর ক্রেইজ ।তার চেয়ে বেশি লাস্টিং করবেন শাহরুখ ।আর আমীর খান তো বলিউডের বিস্ময় !! তিনি যে কোথায় রেস শেষ করবেন স্রষ্টা জানেন ।
অমিতাভ অসাধারণ এক্টর এবং একজন আইকন ।এতে কোন সন্দেহ নেই । তাঁর ক্যারিয়ারে তার স্ত্রী জয়াভাদুরীর ব্যাপক অবদান আছে । আরেকজনেরও আছে তিনি হলেন ড্যাশিং ধর্মেন্দ্র ।মূলনায়ক বন্ধু ধর্মেন্দ্র তাকে শোলে সিনেমাতে সহঅভিনেতা হিসেবে সুযোগ দেন । অবশ্য অমিতাভ গাব্বর সিং চরিত্রটি পছন্দ করেছিলেন যেটিতে অভিনয় করে আমজাদ খান ইতিহাস হয়ে আছেন । অমিতাভ জমানায় অমিতাভ নায়ক অমিতাভই ভিলেইন ।এতটাই প্রভাবশালী ।সত্যি অসাধারণ ।
সুন্দর পোস্ট +
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: দারুণ বলেছেন
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ এক কাহিনী। তাকে নিয়ে একটা বায়োগ্রাফিকাল সিনেমা বানানো দরকার।
আচ্ছা অগ্নিপথ কি স্কারফেসের রিমেক?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: আসলেই দরকার বানানো! নাহ, রিমেক না! দুইটা আলাদা জিনিস।
১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
লালপরী বলেছেন: উনার তুলনা উনি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় দিবেন
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: ইনশাল্লাহ, স্কাইপি তে জানায় দিব
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো লাগলো ।