![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।
বলা হয় প্রথম প্রথম কোন লেখা সেইটা যতই ভাল হইবার কথা থাকুক, অতটা ভাল হইয়া উঠতে পারে না। এটি সাইকেল চালানি শিখার মত। মনে হয় এই তো হচ্ছে হচ্ছে, তা ভাবা শেষ করার আগেই ধপাস করে পড়তে হয়। এই অভিশাপের আঁচ লেগেছে মানিকের ১৯৩৫ সালের আলোচিত উপন্যাস দিবারাত্রির কাব্যতে। গল্পের নায়কের চরিত্রটিরে ভীষণ দ্বিধান্বিত প্রেমিক বানাতে গিয়ে একটি অধিক সুবিধা প্রাপ্ত দূর্বল চরিত্র বানিয়েছে মানিক। গল্পের মধ্যাংশ অর্থাৎ রাত্রির কাব্য পড়ার সময় রুম ইন রুম সিনেমার কথা মনে পড়তেছিল। সেইখানে দুইজন অচেনা মানুষ সারারাত আলাপ করতে করতে যেভাবে প্রেমে পড়ে গিয়েছিল এইখানেও হেরম্ব আর আনন্দ একসময় প্রেমে পড়ে যায়। মানিকের যে ব্যাপারটিতে আমি মুগ্ধ হই তা হইল তার পরিবেশ তৈয়ার করার আশ্চর্য ক্ষমতা দেখে। চাঁদনী রাতে বসন্ত যখন নাচতেছিল তখন মনে হইতেছিল হেরম্বের সাথে আমিও বসন্তরে দেখতেছি। এই অনুভূতিগুলি আমারে তৃপ্তি দেয়।
সাতাশ বছর বয়েসে মানিক দিবারাত্রির কাব্য লিখেছিলেন। এই বয়েসে তিনি যে এত গভীর ভাবে মানবের মনকে রিড করতে পেরেছিলেন এটাই তো অবাক করা ব্যাপার। তাছাড়া তার পরের বছরেই মানিকের বিস্ময়কর মস্তিস্ক থেকে তৈয়ার হইল আমার দুইটি ভীষণ প্রিয় উপন্যাস পুতুল নাচের ইতিকথা আর পদ্মা নদীর মাঝি। দিবারাত্রির কাব্যের দ্বিধাগ্রস্ত প্রেমিক হেরম্বকে না তৈয়ার করতে পারলে পুতুল নাচের ইতিকথার শশী ডাক্তার হয়ত আসতো না। মানিক যখন বুঝতে পারছিলেন যে মানবের অনুভূতি গুলোকে তিনি ঠিকঠাক ধরতে পারছেন তার পরেই তিনি প্রকৃতি তৈয়ার করার কাজে হাত দিলেন এবং ভীষণভাবে সফল হলেন। তাই দুইটি ঘরের ভিতরে ছয়টি চরিত্র নিয়ে লেখা দিবারাত্রির কাব্য উপন্যাসটির প্রয়োজন ছিল বটে।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩২
আশরাফুল ইসলাম রাসেল বলেছেন: তদ্যপি আমার গুরু মানিক বন্দোপাধ্যয়।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় অসাধারন একটা উপন্যাস।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।