![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।
লজিকের সাথে ডিল করে ইলজিকরে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তা সর্বোচ্চ ফ্যান্টাসি তৈরি করে। দেবী সিনেমায় মিসির আলী, রানু, নিলুরা সেই ফ্যান্টাসির পূর্ণ স্বাদ দিয়েছে দর্শকদের।
অনম বিশ্বাসের দেবী সিনেমা দেখলাম। একটা ভাল গল্পকে ভাল করে বানাতে পারার চ্যালেঞ্জ ছিল। অনম বিশ্বাস আর জয়া মিলে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। এমন উত্তেজনায় ঠাসা কলজে কাঁপানো সিনেমা তার সাথে দূর্দান্ত অভিনয়। সব মিলিয়ে দেবী মাইলফলক হয়ে থাকবে এই জন্যে যে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে এভাবে ভৌতিক গল্প খুব কম হয়েছে অথবা আদতে হয়নি।
দেবীর ব্যাপারে বলতে গেলে, দেবী তো আসলে একজন কেউ না। এটি একটি বিশ্বাস যে কিনা সকল অন্যায় নাশ করে দেয়। দেবী সিনেমা এই ব্যাপারটিকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছে। শ্বেতশুভ্র দেবীর অলৌকিক অস্তিত্ব ভর করে থাকে মানুষের ভেতরে। এবং প্রয়োজনে সেই দেবী রক্ষাকর্ত্রী হন। সিনেমায় দেবীর অলৌকিক অস্তিত্বটি রানুর থেকে শেষ পর্যন্ত নিলুর কাছে চলে যাবার ব্যাপারটি দেবী গল্পকে পূর্ণতা দিয়েছে বলব আমি। এবং আমি চাইবো দেবীতে ভর করা নিলু আবার সিনেমায় ফিরে আসুক। এক্ষেত্রে শবনম ফারিয়া দেবীকে কিভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবে সেটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।
তবে ভূতে ভর করা রানু চরিত্রে জয়া আহসান দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন। এই চরিত্র নিয়ে অবশ্য তিনি এতটাই কনফিডেন্ট ছিলেন যে দেবী সিনেমা বানানোর খরচ পর্যন্ত নিজে দিয়েছেন। আমি বলব তিনি সফলও হয়েছেন। আর বুড়ো শিক্ষক মিসির আলী চরিত্রে চঞ্চলকেও দারুণ মানিয়েছে৷ বিশেষ করে তার বলার ধরণটি বেশ ছিল৷ প্রচন্ড বাস্তববাদী মিসির আলী বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনার লজিক্যাল ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নিজেই আবার খেই হারিয়ে ফেলছেন। ইলজিক্যাল ঘটনায় বারেবারে দ্বন্দে পড়ে যাচ্ছেন।
দেবী গল্পটি হুমায়ূন আহমেদের লেখা যার চিত্রনাট্য সহ পরিচালনা করেছেন অনম বিশ্বাস। অনমের সিনেমা বানানোর হাত ভাল মনে হলো। নিজের প্রথম সিনেমাতে এমন দূর্দান্ত গল্প সিলেকশন সহ অভিনয় শিল্পী নির্বাচনে অনম দক্ষতা দেখিয়েছেন। দর্শক আসলে এমন গল্পই চায়। তবে সিনেমাতে ভৌতিক আবহ দেখানোর সময় সিনগুলি চাইলে তিনি আরেকটু লেংদি করতে পারতেন হয়ত৷ হুট করে একটা সিন চলে এসে সেটি বিল্ড হবার আগেই যেন আবার হুট করে চলে যাচ্ছিল। আর দেবী যেহেতু মিস্ট্রি জাগিয়ে পুরোটা সময় অলৌকিক ছিল তাই টিপিক্যাল হরর সিনেমার মত হঠাৎ বিকট শব্দ করে ক্যামেরার সামনে এভাবে ভূত না দেখালেও হত। যাই হোক সব মিলিয়ে দেবী একটি দারুণ সিনেমা। অভিনন্দন অনম, জয়া, চঞ্চল, শবনম সহ সবাইকে।
এত সুন্দর লজিক ইলজিক দ্বন্দে গড়া হরর সিনেমা দেখে আবারো বলতে চাই দেবীর সিকুয়েল আসুক। মিসির আলী আবার ফিরে আসুক।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
চাঙ্কু বলেছেন: আমি সিউর ছিলাম না দেবীকে আসলে কেউ পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবে কিনা কিন্তু আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে দেবীকে তাইলে অনম বিশ্বাস পর্দায় ভালোই তুলে এনেছেন!
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
কে ত ন বলেছেন: দেবীর সিক্যুয়েল হচ্ছে নিশীথিনি। সেখানে নীলু তেমন কোন ইম্পর্টেন্ট রোল প্লে করেনা। মূল চরিত্র হচ্ছে ফিরোজ নামে অর্ধনগ্ন এক যুবক, যে একটা রড হাতে রাতের ঢাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বেড়ায়। আমার মনে হয় চঞ্চল চৌধুরী এই ফিরোজ চরিত্রে ভাল করত। যেহেতু সে মিসির আলিতে বুকড, তাই এই চরিত্রে এখন আরেফিন রুমিকে ভাবা যেতে পারে।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: সিনেমায় দেবী এবং মিসির অালীর উপস্থাপন পড়ে ভাল লাগল, কিন্তু স্থির চিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে কেন জানি গল্পের মিসির অালীর মত মনে হলোনা ।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান কাকে করা যায় ?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৮
সাগর শরীফ বলেছেন: দেখিনি এখনো। সুতরাং বলতে পারছি না।