![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
.
..
আমাদেরকে যদি কখনো বের করতে হয়, একটি মেয়েকে উত্যক্ত করা হয়েছে, বা ইভটিজিং করা হয়েছে কি না, টেকনোলোজির যুগে তা খুব সহজেই তা বের করা সম্ভব। যেমন - ধরুন, আমার মেয়েকে বা বউকে যদি কেউ ইভটিজিং করে, আমি তাকে কাছে পেলে যে কোন কিছুর বিনিমিয়ে যে কোন কিছু করে বসতে পারি। এখন, আমি যদি তা করেই বসি, তা প্রমাণ করবো কিভাবে যে - আমি অপরাধী নই, যে উত্যক্ত করেছে সে অপরাধী?
তাহলে চলুন, 'ইভটিজিং' বলতে কী বোঝায়, তা জানার চেষ্টা করি। অনেক দেশের আইনে ‘ইভটিজিং’ শব্দটি নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও, এটি সাধারণত বোঝায়—
“কোনও নারী বা মেয়েকে উদ্দেশ্য করে অশালীন, অনভিপ্রেত বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, হাসাহাসি, শিস বাজানো বা শারীরিক ইঙ্গিত দেওয়া।”
এর আওতায় পড়ে—
১) বারবার তাকানো, হাসাহাসি
২) অশোভন শব্দ বা আভাস
৩) যে কোন আচরণ যা একটি নারীকে অপমানিত, অস্বস্তিকর বা ভীত করে তোলে।
আমার মেয়ে বা স্ত্রীকে যদি কেউ সরাসরি উত্যক্ত করে, তা আমি প্রমাণ করবো কিভাবে?
========================================================
সম্ভাব্য প্রমাণ কী কী হতে পারে?
ক) ভিডিও/সিসিটিভি ফুটেজ:
যদি ঘটনাটি কোনো জায়গায় ঘটে যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, তবে সেই ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
নিজের মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করাও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে (সতর্কতার সাথে)।
খ) অডিও রেকর্ড:
ইভটিজার কিছু বললে মোবাইলের রেকর্ডার দিয়ে অডিও ধারণ করুন।
গ) চ্যাট/কল লগ/মেসেজ:
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএসে কেউ বাজে বার্তা পাঠালে তার স্ক্রিনশট সংগ্রহ করুন।
ঘ) প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি:
ঘটনার সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের স্বাক্ষ্যপ্রমাণ অত্যন্ত কার্যকর। বন্ধু, দোকানি, গার্ড বা পথচারী—যে কেউ হতে পারে।
ঙ) ঘটনার দিন, সময় ও স্থান লিখে রাখুন:
এই তথ্যে আইনি ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।
============================================================
আইনের সাহায্য নেওয়ার পদ্ধতি:
১) থানায় সাধারণ ডায়েরি (GD) বা এজাহার দায়ের করুন
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, ইভটিজিং একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইন অনুযায়ী শাস্তি:
ধারা ১০ অনুযায়ী, ইভটিজিং-এর প্রমাণ মিললে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
২) ‘নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র’-এর সাথে যোগাযোগ করুন
বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের “999” নম্বরে ফোন করে রিপোর্ট করতে পারেন
৩) “কথোপকথন” অ্যাপ ব্যবহার করে অভিযোগ জানানো যায়
৪) নিকটস্থ থানার মহিলা ডেক্স বা ডিবি অফিসে যোগাযোগ করুন
৫) নিরাপত্তা বজায় রাখুন:
ক) শরীরী সংঘর্ষ বা ঝগড়ায় না জড়িয়ে তথ্য সংগ্রহে মনোযোগ দিন
খ) মেয়েকে সাহস জোগান যেন সে মুখ খুলতে পারে
গ) প্রয়োজনে আইনজীবী বা মানবাধিকার সংস্থার সাহায্য নিন
==========================================================
আমাদেরকে বিপদে আরো কৌশলী হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে - ভয় নয়, প্রমাণ ও প্রতিরোধই সেরা প্রতিক্রিয়া।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইভটিজিং খুব খারাপ একটি কাজ।
এর বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সেই সাথে, কেউ যাতে অহেতুক হয়রানীর শিকার না হয়, সেই দিক ভেবে দেখতে হবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এত প্রমাণের খোজার সময় নাই। উরা ধুরা মাইর চলবে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চলুক।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ইভ টিজিং বিষয়ে আপনার পোস্টটি খুবই তথ্যপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক। আপনার প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে কিছু বিষয়ে আমার মতামত তুলে ধরছি।
প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটে নির্জন বা কম লোকালয়ে, যেখানে টিজাররা দলবদ্ধভাবে থাকে এবং মেয়েটি একা হয়ে পড়ে। এসব ক্ষেত্রে সিসিটিভি বা সরাসরি প্রমাণ সংগ্রহ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে, মোবাইল ফোন বা সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে টিজিংয়ের রেকর্ড রাখা সম্ভব, যা পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
এছাড়াও, আমার মতে, নারী ও কিশোরীদের আত্মরক্ষামূলক কিছু কৌশল শেখা এবং পিপার স্প্রে বা অনুরূপ নিরাপদ ডিভাইস সঙ্গে রাখা উচিত। এটি শুধু আত্মবিশ্বাসই বাড়াবে না, বরং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।