![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার রক্ত। বিরোধিতা করি চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক আচার।
সেদিনটার কথা খুব মনে পরছে। অথচ আজ দশ বছর কেটে গেলো। আগের রাতে বাবার কাছে বায়না ধরেছিলাম একজোড়া কেডস, আর একটা সাইকেল। বাবা বায়না রাখলেন। সকালে আমাকে নিয়ে বের হলেন বাংলামোটর।
কেডস কিনার পর সাইকেলের মার্কেটে যাবো। হঠাৎ রাস্তা ফাঁকা হতে শুরু করলো। রাস্তায় সেনাবাহিনী। কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা আমাদের সহ বেশ কিছু মানুষকে পাশের মসজিদে নিয়ে গেলো। ভিতরে সবাইকে থাকতে বলে মসজিদের মেইন গেট আটকে তালা লাগিয়ে দিলো। বলে গেলো 'কেউ বের হবেন না। আমরা যখন আপনাদের নিয়ে যাবো তখন বের হবেন।'
কি হচ্ছিলো কিছুই বুজছিলাম না। মা এর মধ্যে বেশ কয়েকবার কল দিয়ে ফেলেছে। মায়ের গলায় চিন্তার রেশ। আমাকে বলছিলেন বাবার হাত না ছাড়তে। ঘন্টা তিন-চার পর কয়েকজন আর্মি এসে আমাদের গাড়িতে উঠতে বললো। গাড়িতে উঠার আগেই সবাইকে কে কোথায় যাবে জিগাস করে নিয়ে গেলো। স্পষ্ট খেয়াল আছে। আমাদের বাড়ির সামনেই আমাদের নামিয়ে তারা চলে গেলেন।
সেদিন বাসায় এসেই খবর দেখতে বসে পড়লাম। শুনলাম বিডিআর বিদ্রোহ। বেতন- ভাতার কারনে বিডিআরগণ সেনাবাহিনীদের উপর চড়াও হয়েছে। উচ্চপদস্থ সব আর্মিদের হত্যা করেছে।
'মেজর শাকিল আহমেদ' তখনকার আর্মি লিডার ছিলেন। তাকে কিভাবে হত্যা করেছে কতটা বিভৎস হতে পারে তা কয়েকদিন পত্রিকায় দেখেছি।
সেদিনের পরই 'বিডিআর' হয়ে গেলো 'বিজিবি'। পোষাকও পরিবর্তন হলো। পোষাকের সাথে সাথে তেজটাও। চোখের সামনে দেখেছি সিংহ থেকে পাঁ চাটা কুকুরে রুপান্তিত হবার ঘটনা। বিডিআর থাকা কালে ভারত ও বাংলাদেশকে কিছু বলার সাহস পেতো না। ১ বুলেটের প্রতিত্তর ১০ বুলেট ছিলো। নাফ যুদ্ধে মিয়ানমারের মত দেশকে নাকানিচোবানি খাওয়ানো বিডিআর বা ২০০১ সালে ভারতের সাথে সীমান্ত যুদ্ধে ভারতকে আত্নসমার্পন করানো বিডিআর হয়ে গেলো 'পতাকা বৈঠকের বিজিবি'। বিডিআর গেলো সাথে সাথে আসলো 'ফেলানির লাশ'। শুরু হলো 'বিএসএফের সীমান্ত হত্যা'। হলো 'মিয়ানমারের ১৭ বার আকাশসীমা লঙ্গন'। হলো 'রোহিঙ্গা ইস্যু'। আহ্।
বিডিআর > বিএসএফ
©আহমেদ সাকিল।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সাখাওয়াত হোসাইন সাকিল বলেছেন: কেউ আর কখনো পাবেও না। বিচারও হবে না।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমি চাই বিডিয়ার ফিরে আসুক।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশে কি না সম্ভব বলুন? র্যাবের আজকালে কাজ কি সেটা তো সবাই জানে?
তবে বিডিআর এর এই রকম রূপান্তর দেশের জন্য আতংকের বিষয়। আজকে মায়ানমার এত বড় সাহস পায় কিভাবে বলুন? কি কারনে আর কার স্বার্থের জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে সেটা একদিন ঠিকই বের হয়ে আসবে। কিন্তু ততদিনে দেশ কত বছর পিছিয়ে যাবে কে জানে........
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাখাওয়াত হোসাইন সাকিল বলেছেন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নায়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে। গু জব ছড়াবেন না।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
সাখাওয়াত হোসাইন সাকিল বলেছেন: কেউ আর কখনো পাবেও না। বিচারও হবে না।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০
সাখাওয়াত হোসাইন সাকিল বলেছেন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নায়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে। গু জব ছড়াবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: এখনও অনেকে জেলে আছেন। নিহতের পরিবার জমি বা ফ্লাট পায়নি। মামলা ঝুলে আছে।