নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাকিলআহমেদহ্যাপী

শাকিলআহমেদহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতকগুলো গোনাহে কবীরা (বড় পাপ)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

১। মানুষ খুন করা, সন্তান হত্যা করা, আত্নহত্যা করা।
২। মা-বাপের মনে কষ্ট দেওয়া, মা-বাপের নাফরমানী করা।
৩। নারীর সতীত্ব নষ্ট করা, নিজের বিবাহিতা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে সঙ্গম করা বা যিনা করা।
৪। ইয়াতীম, বিধবার মাল হরণ করা।
৫। মিথ্যা বলা বিশেষত: মিথ্যা কসম খাওয়া, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, মিথ্যা তোহমত লাগানো, নারীর প্রতি বা দর্বলের প্রতি মিথ্যা বলা, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের মিথ্যা বলা।
৬। দুর্বলের উপর জুলুম-অত্যাচার করা।
৭। গীবত করা, বদগোমানী করা, পরনিন্দা চর্চা করা, কাহাকেও মন্দ ধারণা করা, অসাক্ষাতে কাহারও নিন্দা করা।
৮। নিজেকে বড় মনে করা, ভাল মনে করা।
৯। খোদার ভয় দিলে না রাখা।
১০। খোদার রহমত থেকে নিরাশ হইয়া যাওয়া।
১১। ওয়াদা করিয়া খেলাপ করা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করা।
১২। পাড়া প্রতিবেশীর ঝি-বৌ এর দিকে কু-দৃষ্টি করা।
১৩। আমানতের খেয়ানত করা, চুরি করা।
১৪। এক আল্লহ ছাড়া পীরকে বা অন্য কাহকেও সেজদা করা।
১৫। আল্লহর নাম ছাড়া অন্য কাহারও নামের কসম খাওয়া।
১৬। কুরআনের মজলিসে অন্য কথায় বা অন্য কাজে লিপ্ত হওয়া।
১৭। জুমার নামায না পড়া।
১৮। সর্বদা জামাত তরক করা।
১৯। কোন মুসলমানকে কাফের বলা।
২০। যালিমের প্রশংসা বা চাটুকারিতা ও খোশামোদ করা।
২১। সুদ খাওয়া।
২২। ঘুষ খাওয়া।
২৩। জুয়া খেলা।
২৪। অন্যায় বা পক্ষপাতমূলক বিচার করা।
২৫। মাপে কম দেওয়া, মালে মিশাল দেওয়া।
২৬। মজুরের মজুরী কম দেওয়া, দাম চুকানোর পর জোর-জবরদস্তি কম দেওয়া।
২৭। বালকদের সঙ্গে কুকর্ম করা।
২৮। হায়েজের(ঋতু) অবস্থায় নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করা অথবা মলদ্বারে সঙ্গম করা।
২৯। পরস্ত্রীর নিকট নির্জনে একা একা বসা।
৩০। কাফেরদের রীতি-নীতি, রসম ও রেওয়াজকে, পূজা-পর্বনকে পছন্দ করা।
৩১।জ্যোতিষীদের কথায় বিশ্বাস করা।
৩২। নিজের তাকওয়া-পরহেজগারীর বড়াই করা।
৩৩। নাচ দেখা, চরিত্র ধ্বংসকারী সিনেমা, বায়স্কোপ দেখা।
৩৪। গান-বাদ্য শোনা।
৩৫। পরস্ত্রীর রূপ দেখা।
৩৬। মানুষ দেখানোর জন্য ইবাদত করা।
৩৭। অন্যের ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা।
৩৮। কাহাকেও হাসি-ঠাট্টা করিয়া বেইজ্জত করা।
৪০। যাদু করা বা কাহারও ক্ষতি করার জন্য তাবিজ করা। এইরূপ বড় গোনাহ ও ছোট গোনাহ বহুত আছে, ছোট বড় সব গোনাহ হইতেই পরহেজ করা দরকার। যদি নফসের ধোকায়, শয়তানের ধোকায় কোন গোনাহের কাজ হইয়া যায়, তবে যখন তখন তওবা করা এবং আল্লহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা দরকার। সর্বদা নিজের দোষ ধরিয়া সংশোধন করিতে থাকা উচিত। পরের দোষ দেখা বা তালাশ করা উচিত নয়। বিনা তালাশে যদি কাহারও কোন দোষ দেখা যায়, তবে নরমের সঙ্গে নসীহত করিতে হইবে। অপদস্থ করা যাইবে না। ছোট গোনাহ হইতে তওবা না করিয়া বার বার করিলে বা অভ্যাসে পরিণত করিলে তাহা কবীরা (বড়) গোনাহ্ হইয়া যায়, সেজন্য আরও কয়েকটি কবীরা গোনাহের উল্লেখ করিতেছি।
৪১। দাড়ি কামানোর অভ্যাস করা।
৪২। বগলের পশম, নাভীর নিচের পশম ৪০ দিনের বেশী পালিয়া রাখা।
৪৩। খাদ্য-শস্যের দাম বৃদ্ধি হইতে দেখিয়া খুশী হওয়া।
৪৪। স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য মেয়ে-পুরুষ এক সঙ্গে নাচ করা বা এক সঙ্গে উঠা-বসা করা।
৪৫। মিথ্যা মোকদ্দমা করা।
৪৬। জুলুমের ট্যাক্স আদায় করা।
৪৭। মেয়েলোকের গান পরুষের শোনা এবং পুরুষের গান মেয়েলোকের শোনা।
৪৮। মেয়েলোকের মাথার চুল কাটা।
৪৯। মেয়েলোকের গান গাহিয়া্ ভিন্ন পুরুষদেরে শোনানো।
৫০। আত্নীয়গণের সহিত অসদ্ব্যবহার করা।
৫১। সমকাম করা (অর্থাৎ পুরুষে পুরুষে বা নারীতে নারীতে সঙ্গম করা)।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪১

নিলু বলেছেন: আমরা অনেকেই এসবের অনেক কিছুই মানছি না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.