![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা, হ্জ্ব, জাকাত ইত্যাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইসলাম বলতে বোঝায় ইমানিয়াত, ইবাদত, মোয়ামেলাত, মোয়াশেরাত, আখলাক ইত্যাদির সমষ্টিকে। অামাদের অনেকেই নামাজ পড়েন অাবার সুদ খান, নামাজ পড়েন আবার ঘুষ খান, নামাজ
পড়েন অথচ পিতামাতার নাফরমানী করেন, তাদেরকে কষ্ট দেন, তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন। অনেকে নামাজ পড়েন আবার মাপে
ওজনে কম দেন, অনেকে নামাজ পড়েন আবার জেনা ব্যভিচার করেন, অনেকে নামাজ পড়েন আবার ব্যবসায় মালে ভেজাল দেন, অনেকে নামাজ পড়েন আবার মানুষকে ধোকা দেন ইত্যাদি। এক লোকমা হারাম খেলে তার ৪০ দিন ইবাদত বন্দেগী কবূল হয় না। আর আমরা কত
লোকমা হারাম খাই তার হিসাব নেই। মানুষের মধ্যে অনেকগুলো কুরিপু আছে। যাকে আরবীতে বলা হয় নফসে আম্মারা (কু-প্রবৃত্তি)। যেমনঃ- কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, অহংকার ইত্যাদিসহ আরো অনেক কু-প্রবৃত্তি আছে। এগুলো দমন করতে না পারলে তার কোন ইবাদত-
বন্দেগী কবুল হয় না। আর এসব কু-প্রবৃত্তি দমন করতে হলে আল্লাহওয়ালা হক্কানী পীর-বুজুর্গের সহবতে যেয়ে কঠোর সাধনা করতে হয়। মনে রাখবেন হক্কানী পীর বুজুর্গের কাছে যেয়ে তার মুরীদ হতে হবে। কোন ভণ্ডের কাছে যাওয়া যাবে না। হক্কানী পীরের মুরীদ হওয়ার সপক্ষে কুরআন হাদীসের অনেক দলীল আছে। এটা কোন বানানো কথা না। হাদীসে আছে, হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘‘কামেল মোর্শেদ তালাশ করিতে সচেষ্ট হও, তিনি তোমাকে আল্লাহর সান্নিধানে পৌছাইয়া দিবেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ নিজেই হ্ক্কানী পীরের মুরীদ হতে বলেছেন। অবশ্য ওখানে পীর কথাটার উল্লেখ নেই। ওখানে অন্য কোন শব্দ আছে। সম্ভবত শায়েখ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ পীর। অনেকে বলেন বর্তমান জামানায় হক্কানী পীরের অস্তিত্বই নেই। এই কথাটাও ভুল। কোরআনে আছে হক্কানী পীর কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। সুতরাং তাদেরকে চিনতে হবে। তাদেরকে কিভাবে চেনা যায় সে সম্পর্কে জানতে হলে বেহেশতী জেওর নামক কিতাবে তাদের চিনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
©somewhere in net ltd.