নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাকিলআহমেদহ্যাপী

শাকিলআহমেদহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বীনী ইলম কিভাবে শিখবেন

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

দ্বীনী ইলম তলব করা প্রত্যেক মুসলমান নরনারীর উপর ফরজ। ইলম শেখার জন্য কুরআনে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন মুসলমান চাই সে ডাক্তার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, ব্যারিস্টার হোক, কৃষিজীবী হোক, ব্যবসায়ী হোক, যে পেশারই হোক না কেন প্রত্যেক মুসলমান নরনারীর জন্য দ্বীনী ইলম তলব করা ফরজ। আর একটা ফরজ কাজ ত্যাগ করা কবীরা গুনাহ (বড় পাপ)। হাদীসে আছে যে কবীরা গোনাহ করে সে মুসলমানই না। একটা কবীরা গুনাহর জন্য ৭০০০ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। সুতরাং দ্বীনী ইলম না শিখে কাহারো উপায় নেই। নতুবা ইমান হারা হয়ে মরিবার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে। আর ইমান হারা হয়ে মরিলে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। মুসলমান যদি ইমানের সহিত মৃত্যুবরন করে সে ‍যদি পাপীও হয় তবু পাপের পরিমান শাস্তি ভোগের পর এক দিন না এক দিন সে জান্নাতে যাবে। কিন্তু ইমান হারা হয়ে মরলে সে কোন দিন জান্নাতে যাবে না। আর দ্বীনী ইলম না শিখলে তার ইমান হারা হয়ে মরার সম্ভাবনা আছে। সুতরাং আমাদের সকলকে দ্বীনী ইলম শিখতে হবে। আর দ্বীনী ইলম শিখতে হলে অনেকগুলো শর্ত পালন করতে হবে। শর্তগুলো পালন করলে আল্লাহ দ্বীনী ইলম দান করবেন। আর পালন না করলে আল্লাহ দ্বীনী ইলম দান করবেন না। শর্তগুলো হলঃ-######১। সমস্ত গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। একদিন এক পীরের মুরিদ তার পীর সাহেবের কাছে বলল, আমি যা পড়ি সব ভুলে যাই। কিছুই মনে রাখতে পারি না। উত্তরে পীর সাহেব বললেনঃ তুমি সমস্ত গুনাহ পরিত্যাগ কর। ইলম আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত। অাল্লাহ এ নেয়ামত কোন গুনাহগার বান্দাকে দান করেন না।######২। ধর্মীয় বই পুস্তক পড়তে হবে। বর্তমানে কুরআন শরীফের বাংলা তফসীরের বই পাওয়া যায়। যেমনঃ- তফসীরে মাআরেফুল কুরঅান (লেখক মুফতী মোহাম্মদ শফী, অনুবাদঃ মাওলানা মুহীউদ্দীন খান), তফসীরে নুরুল কুরআন(লেখকঃ মাওলানা আমিনুল ইসলাম), তফসীরে ইবনে কাসীর(লেখক ইবনে কাসীর, অনুবাদঃ জানা নেই), তফসীরে মাযহারী(লেখক কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ) ইত্যাদি আরো অনেক তফসীরের কিতাব রয়েছে যেগুলো আমরা কিনে পড়তে পারি। কিন্তু শুধু কিতাব পাঠ করলেই যথেষ্ট হবে না। উস্তাদেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিতাবও পাঠ করতে হবে, ওস্তাদের কাছেও যেতে হবে। আর দ্বীনী ইলম এর ওস্তাদ হল আলেম। সুতরাং দ্বীনী ইলম শিখতে হলে প্রথমে দ্বীনী কিতাব পাঠ করব, দ্বিতীয়তঃ আলেমের কাছে যাব। ছেলেরা যাবে পুরুষ আলেমের কাছে আর মেয়েরা যাবে মহিলা আলেমের কাছে। ######৩। দ্বীনী ইলম শিখার জন্য এর পেছনে জান, মাল, সময় লাগাতে হবে। অর্থাৎ ওস্তাদকে হাদিয়া তোহফা দিতে হবে। এবং এর জন্য মেহনত করতে হবে। মেহনত ছাড়া কিছু শেখা যায় না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৪

আজমান আন্দালিব বলেছেন: হাদিয়া দিব তবে মানসম্মত ওস্তাদ চাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.