নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশুদ্ধ সত্তায় আবর্জনা প্রবেশ করলেই শেষ?

২৩ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৩





মাইকেল ফ্যারাডের বাবা অনেক সন্তানের জনক ছিলেন,পেশা ছিলো কামার। সতেরশো শতকের লন্ডনের সামাজিক স্ট্যাটাসে একেবারেই তলানীতে ছিলো, কামার পেশায় সংসারে অভাব-অনটন লেগে ছিলো ;তাই ফ্যারাডে বাধ্য হয়ে বই বাইন্ডিং 'এর কাজ নেন।ফ্যারাডের ভাবনায় কাজ করতো তখন 'ধর্মীয় উম্মাদনা ও আশেপাশের সবকিছুকে সৃষ্টিকর্তার শক্তি হিসেবে মনে করতেন এবং তেমন পুঁথিগতবিদ্যা না থাকাতে সঠিকভাবে বুঝতে পারতেন না। বই বাইন্ডিং 'এর সুবাধে তিনি সৃষ্টিকর্তার শক্তিকে ভালোমত বুঝতে সায়েন্সের বইকে টুল হিসেবে নেন। পরবর্তীতে সেই টুল ও নিজের ওয়ার্ক এথিকস তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়, বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের সাহচর্যে এসে। উনার আবিস্কার উনাকে বুঝতে সুযোগ করে দিয়েছে সৃষ্টিকর্তার শক্তি ও রহস্য।


ছোট আইনস্টাইন হাতে কম্পাস পেয়ে যে ফ্যান্টাসিতে পড়ে গিয়েছিলেন, কারণ উনার বাবা বলেছিলেন কম্পাসের কাটা ঘুরছে অদৃশ্য এক শক্তির কারণে। সেই বাচ্চা ছেলে অদৃশ্য শক্তির খোজে পচিশ বছরের আগে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন,জিনিয়াস ট্যাগ জুড়েছে। উনি হয়তো ভিতরে ভিতরে সেই বাচ্চাকালের ফ্যান্টাসি লালন-পালন করে গেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত,যা বুঝা যায় উনার জীবনীতে, ক্লার্কের চাকুরী থেকে ডিরেক্ট নিয়ে যায় ম্যাক্সোয়েলের ডেস্কে।উনার মনের দেয়াল ও স্টাডি দেয়ালে নিউটন, ফ্যারাডের ছবি ঝুলতো সবসময়।

দ্যা ভিন্চি পড়াশোনা করেনি, ছোটবেলায় একা একা থেকে প্রকৃতিকে অর্বজারবেশনে রাখতো এবং ক্যানভাসে এটা সেটা আকাবুকির চেষ্টা করতো ;পরে উনার এক আত্নীয় এক আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দেয়, যা ধীরে ধীরে উনার সত্তা আসল রুপ নেয় ; আর্ট থেকে বিজ্ঞান, কলা,প্রকৌশলে রুপ নিয়ে জিনিয়াসদের গুরুতে রুপ নেয়।উনি উড়োজাহাজের মডেল একেছেন, যা উনার ফ্যান্টাসি বাস্তবতায় ধরা পড়ে।



বাচ্চাকালেই প্রতিটি শিশুর ভেতরে রহস্যময় সত্তা কাজ করে, সময়ের বিবর্তনে সেই সত্তা আবর্জনায় রুপ নিলে আর কখনো হয়ে উঠে না আবর্জনা মুক্ত করা। ফ্যারাডের বুঝতে চাওয়ার আগ্রহ কখনো অন্য কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়নি,নিজেই সায়েন্সকে বেছে নিয়েছে। আইনস্টাইনের কম্পাস প্রীতিতে যে উৎসুক মন কাজ করেছে, সেখান থেকে শুরু করে মোনালিসার জনক ভিন্চির নিজস্ব পর্যবেক্ষণে কেউ কখনো প্রভাব ফেলতে পারেনি, যা সভ্যতার চাকা দ্রুত ঘুরিয়ে উনারা আজও ঘুরছেন আমাদের ভাবনায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিন্তু আবর্জনা থেকে রক্ষা নেই, চারিদিকে আবর্জনায় পূর্ণ।
পোস্ট ভালো লেগেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

গোবরে পদ্মফুল যুগ শেষ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিটি শিশু ইসলামের উপর জন্ম নেয়। বড়রা তাকে বিপথে নেয়।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

এ থিউরী কবে জেনেছেন?

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: লা ভিঞ্চি উড়োজাহাজ না হেলিকপ্টারের মডেল এঁকেছিলেন?

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ফ্লাইং অবজেক্টস থেকে তিনি হেলিকপ্টারের মডেল ইমাজিন করে একেছিলেন। ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই থিউরি দিয়েছেন রসূল (সা)। সহি হাদিসে এই কথা আছে।
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying: The mother of every person gives him birth according to his true nature. It is subsequently his parents who make him a Jew or a Christian or a Magian. Had his parents been Muslim he would have also remained a Muslim.

Sahih Muslim 2659a
Book 46, Hadith 40
Book 33, Hadith 6429

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কেউ জানতে চাইলে, আপনার দেয়া হাদিস কাজে লাগবে।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এ পোষ্টের সারমর্ম কি?

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


শিশুর পরিন্কার মাইন্ডে আবর্জনা প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি সুলিখিত; তবে 'আবর্জনা'র ভেতর সত্য লুকিয়ে থাকলে নির্মল মস্তিষ্কে সেই আবর্জনা প্রবেশ করলেও সত্য অনুসন্ধানে কোন ইতর বিশেষ হয় না।

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মন্তব্যটি আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে করা মনে হচ্ছে, যদি হয় তাহলে একটু ব্যাখ্যা করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.