নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিডনী রোগ নিয়ে ব্লগার গণ নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সাজেশনস জানাবেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩২






আমার খুব কাছের (রক্তের), বয়স ৪৭, একজনের কিডনী সমস্যা ধরা পড়ে গত বছর জুলাইয়ে,তখন ক্রিয়েটিনিন ছিলো ৪.৩৩ ; পরে শরীর খারাপ হওয়ায় মেডিকেল ভর্তি থেকে ঔষধ সেবন করে ক্রিয়েটিনিন ৯.৪৫ থেকে ৫.২২ আসে ; সাথে উনার প্রেশার ইস্যু, ডায়েবেটিস ও রক্তস্বল্পতার সমস্যাও রয়েছে। এভাবে ৮ মাস চলার পর ডক্টর পরিবর্তন করে ঔষধ চেন্জ করার পরও অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি ; গত সপ্তাহ থেকে ঘন ঘন শ্বাসকস্ট দেখা দেয়; বমি,খাবারে অরুচি,চুলকানি,অনিদ্রা ; ডক্টরের রিকোমেন্ডেশন হচ্ছে " ডায়ালাইসিস মাস্ট " ; তাই এই সপ্তাহের মধ্যেই ফিস্টুলা করে ফেলতে হবে,কারণ এটাতে সময় লাগে ব্যবহার উপযোগী হতে। এখন ক্রিয়েটিনিন ৯.৮৯।



এই কিডনী রোগ নিয়ে আমার জানতে চাওয়া হলো-

: কিডনী রোগীর লাইফ এক্সপেন্টেন্সি কেমন? যদি প্রপার ট্রিটমেন্ট পায়? তাছাড়া প্রপার ট্রিটমেন্ট দেশের কোথায় বেটার?

: খরচের হাল-হাকিকত, যা আপনাদের অভিজ্ঞতা ও জানাশোনা থেকে জানাবেন।

: কিডনী ট্রান্সপ্লান্টে দেশের অবস্থা কীরুপ? সহজলভ্যতা থেকে জটিলতা কেমন? সাকসেস রেট কেমন?

: বিদেশ নিয়ে যাওয়া হলে ' রোগীর এই কন্ডিশনে কেমন হবে?


আশাকরি, আপনাদের সঠিক রেসপন্স কমেন্ট আকারে আসবে, অগ্রীম ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মিরপুর দুই নাম্বারে কিডনী ফাউন্ডেশনে দেখান। বড়ো ডাক্তার হারণ অর রশীদ স্যার বসতেন আগে। আমার মায়ের কিডনী সমস্যা ৮-১০ বছর ধরে। অনেক খাবার বেছে খান তিনি। ২-২.৫ এর উপর ক্রিয়েটিনিন উঠে না। গণস্বাস্থ্য কাজী জাফরুল্লাহ স্যারের হাসপাতালেও ডায়ালাইসিস হয়। আপনি একটু খোজ খবর নেন। কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করেছে আমার একজন পরিচিত ! মায়ের কিডনী ছিলো। বাইরে এক গ্লাস পানিও খায় না। ১৩/১৪ বছর হয়ে গেল তো। উনার বাচ্চাও হয়েছে দুইটা !

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কিডনী ফাউন্ডেশনেই চেকআপে আছে ; আপনার মায়ের কি ডায়ালাইসিস করা লাগছে? ট্রান্সপ্লান্ট বিষয়ে ডিটেইলে জানলে বলুন।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: না। ডায়ালাইসিস লাগে নাই। যার ডায়ালাইসিস লেগেছে তার সাথে কথা বলতে হবে। তারপর জানাচ্ছি।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেখুন, জানান।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৮

ঊণকৌটী বলেছেন: উনার বয়েস কত, আর কত বছর ধরে ক্রিয়েটিনিন বেশি |

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বয়স ৪৭, টেস্ট করানো হয়েছে গতবছরের জুলাইয়ে প্রথমবার; জুলাই - এপ্রিল। ৪.৩৩ থেকে শুরু এখন ১০ এর ঘরে; বাড়া, কমায় ছিলো

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মায়ের কিডনী সমস্যা আছে। সে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে এবং টেস্ট করে ভালো আছে।
আমার জ্ঞান এই পর্যন্তই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ধন্যবাদ,

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার পরিচিত এক রোগী সরকারি হাসপাতালে গত প্রায় ৩ বছর যাবত ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। ডায়ালাইসিস এর জন্য প্রতি ছয় মাস পরপর হাসপাতালে তার ৪০,০০০/- টাকা করে জমা দিতে হয়। এর বাইরে হিমোগ্লোবিন, ওষুধ ক্রয় ইত্যাদি বাবদ প্রতিমাসে আরও ৭/ ৮ হাজার টাকা লাগে। সব মিলিয়ে তার প্রতি মাসে আনুমানিক ১৫,০০০/- টাকার কিছু বেশি খরচ হয় বলে জানালেন।

তিনি বললেন, বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসা নিতে খরচ হয়তো ২৫,০০০/- - ৩০,০০০/- টাকার মধ্যে হতে পারে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ভালো তথ্য, ধন্যবাদ। উনার প্রতি সপ্তাহে কত সেশন লাগে ডায়ালাইসিস?

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

নতুন বলেছেন: টুইটার গ্রোক থেকে নেটে নিচের তথ্য পেলাম।

চ্যাটজিপিটি এবং গ্রেকে তার রিপোটগুলির এনালাইসিস দেখতে পারেন তার অবস্থা আরো ভালো ভাবে বোঝার জন্য আপনার কাছে লাগবে।
গ্রোকের জবাব:-
আপনার প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার কাছের মানুষটির বর্তমান অবস্থা বেশ জটিল। আমি আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর ধাপে ধাপে দেওয়ার চেষ্টা করবো, যাতে আপনি পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনার বর্ণনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আপনার আত্মীয়ের ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) এর শেষ পর্যায়ে (End-Stage Renal Disease বা ESRD) পৌঁছে গেছে, যেখানে ক্রিয়েটিনিন লেভেল ৯.৮৯ এবং ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হচ্ছে। এছাড়া উনার ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, রক্তস্বল্পতা, শ্বাসকষ্ট, বমি, অরুচি, চুলকানি এবং অনিদ্রার মতো উপসর্গগুলো কিডনি ফেইলিওরের সাথে সাথে ইউরেমিয়া (রক্তে টক্সিন জমা) এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার ইঙ্গিত দেয়।
১. কিডনি রোগীর লাইফ এক্সপেক্টেন্সি এবং প্রপার ট্রিটমেন্টের প্রভাব
কিডনি রোগীর আয়ু নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর:
রোগীর বয়স এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য: আপনার আত্মীয়ের বয়স ৪৭, যা তুলনামূলকভাবে কম, তবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এবং রক্তস্বল্পতার মতো কো-মর্বিডিটি (অন্যান্য রোগ) থাকায় জটিলতা বাড়ছে। এই অবস্থাগুলো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আয়ু বাড়তে পারে।
ট্রিটমেন্টের ধরন: ডায়ালাইসিস শুরু করলে এবং নিয়মিত চিকিৎসা চললে আয়ু বাড়ানো সম্ভব। যশোদা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ডায়ালাইসিসে থাকা রোগীদের গড় আয়ু ৫-১০ বছর হতে পারে, তবে অনেকে ২০-৩০ বছরও বাঁচতে পারেন যদি তারা চিকিৎসা পরিকল্পনা কঠোরভাবে মেনে চলেন। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলে আয়ু আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফল হয় এবং রোগী ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ওষুধ সঠিকভাবে সেবন করেন।
জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস: কিডনি রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপোলো হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং তরল গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, পটাশিয়াম বেশি থাকা ফল (যেমন কলা, ডাবের পানি) এড়িয়ে চলতে হবে, এবং প্রোটিন গ্রহণ সীমিত করতে হবে (দিনে ০.৮ গ্রাম/কেজি ওজন, প্রথম আলো ২০২৪)। আপনার আত্মীয়ের বমি এবং অরুচির সমস্যা থাকায় একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করে ডায়েট চার্ট তৈরি করা জরুরি।
ডায়ালাইসিসের ফ্রিকোয়েন্সি এবং গুণগত মান: সপ্তাহে ২-৩ বার ডায়ালাইসিস করলে টক্সিন অপসারণ ভালোভাবে হয়, যা শ্বাসকষ্ট, চুলকানি এবং অনিদ্রার মতো উপসর্গ কমাতে পারে।
প্রপার ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে আয়ু: যদি আপনার আত্মীয় নিয়মিত ডায়ালাইসিস করেন, ডায়াবেটিস এবং প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখেন, এবং রক্তস্বল্পতার জন্য ইরিথ্রোপয়েটিন ইনজেকশন বা আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেন, তাহলে তিনি বেশ কয়েক বছর ভালোভাবে বাঁচতে পারেন। তবে ক্রিয়েটিনিন ৯.৮৯ এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিস শুরু করা উচিত। ডায়ালাইসিস শুরু না করলে ইউরেমিয়া এবং ফ্লুইড ওভারলোডের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে, যা জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
দেশে প্রপার ট্রিটমেন্ট কোথায় ভালো?
বাংলাদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভালো সেবা দেয়:
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট, ঢাকা: এটি সরকারি হাসপাতাল, যেখানে ডায়ালাইসিস এবং ট্রান্সপ্ল্যান্ট সুবিধা আছে। খরচ তুলনামূলকভাবে কম, তবে রোগীর ভিড় বেশি এবং সেবার মান কখনো কখনো অপ্রতুল হতে পারে (বিবিসি ২০২৩)।
সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা: এটি একটি বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে ড. কামরুল ইসলামের মতো বিশেষজ্ঞরা কম খরচে ডায়ালাইসিস এবং ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেন। এখানে ৮০০টির বেশি সফল ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে (দৈনিক জনকণ্ঠ ২০২১)।
এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম: আধুনিক সুবিধা এবং অভিজ্ঞ নেফ্রোলজিস্ট আছে। এখানে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস এবং দৈনিক ডায়ালাইসিসের মতো উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় (এভারকেয়ার ২০২৪)।
বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা: ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি সমস্যা হলে এটি ভালো বিকল্প, কারণ তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ।
আপনার আত্মীয়ের ডায়াবেটিস এবং প্রেশার থাকায় এমন একটি হাসপাতাল বেছে নেওয়া উচিত যেখানে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম (নেফ্রোলজিস্ট, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট) আছে। এভারকেয়ার বা সিকেডি হাসপাতাল এ ক্ষেত্রে ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে সরকারি হাসপাতালে খরচ কম হলেও সেবার মান এবং অপেক্ষার সময় বেশি হতে পারে।
২. খরচের হাল-হকিকত
কিডনি রোগের চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশে বেশ ব্যয়বহুল, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে। বিবিসি (২০২৩) অনুযায়ী, অনেক রোগী মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন কারণ খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আপনার আত্মীয়ের ক্ষেত্রে খরচের বিভিন্ন দিক নিচে দেওয়া হলো:
ডায়ালাইসিস খরচ:
সরকারি হাসপাতালে (যেমন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট): প্রতি সেশনে ১,৫০০-২,০০০ টাকা। সপ্তাহে ২-৩ সেশন হলে মাসে ১৮,০০০-৩০,০০০ টাকা।
বেসরকারি হাসপাতালে (যেমন এভারকেয়ার): প্রতি সেশনে ৪,০০০-৭,০০০ টাকা। মাসে ৪৮,০০০-৮৪,০০০ টাকা।
সিকেডি হাসপাতালে খরচ তুলনামূলকভাবে কম, প্রতি সেশনে ২,৫০০-৩,৫০০ টাকা হতে পারে।
অতিরিক্ত খরচ: ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি ইরিথ্রোপয়েটিন ইনজেকশন (রক্তস্বল্পতার জন্য), টেস্ট (ক্রিয়েটিনিন, ইলেক্ট্রোলাইট), এবং ওষুধের জন্য মাসে ১০,০০০-২০,০০০ টাকা লাগতে পারে। বিবিসি (২০২৩) উদাহরণে দেখা যায়, রংপুরের একজন রোগী সপ্তাহে ৫,০০০-৭,০০০ টাকা খরচ করছিলেন।
ফিস্টুলা তৈরির খরচ: ফিস্টুলা সার্জারির জন্য ১৫,০০০-৩০,০০০ টাকা লাগতে পারে, এবং এটি ব্যবহারযোগ্য হতে ৬-৮ সপ্তাহ সময় লাগে।
অন্যান্য খরচ:
যাতায়াত: আপনি যদি ঢাকার বাইরে থাকেন, তাহলে প্রতি সেশনে যাতায়াত খরচ (৩০০-১,০০০ টাকা) যোগ হবে।
খাদ্য এবং জীবনযাত্রা: কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষ ডায়েট (কম সোডিয়াম, কম পটাশিয়াম) লাগে, যেমন আপেল, পেয়ারা, ব্লুবেরি (অ্যাপোলো হাসপাতাল ২০২৩), যা বাজারে দামি হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি খরচ: যশোদা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ডায়ালাইসিসে প্রতি মাসে ২৫,০০০-৭০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। এটি বছরে ৩-৮ লাখ টাকা। এই খরচ দীর্ঘমেয়াদে বহন করা অনেকের জন্য কঠিন, যেমনটি বিবিসি (২০২৩) রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩. কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট: বাংলাদেশে অবস্থা, সহজলভ্যতা, জটিলতা এবং সাকসেস রেট
বাংলাদেশে অবস্থা: বাংলাদেশে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সুবিধা আছে, তবে এটি এখনও সীমিত। সিকেডি হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। ড. কামরুল ইসলামের মতো বিশেষজ্ঞরা সাশ্রয়ী মূল্যে এই সেবা দিচ্ছেন, এবং তিনি বিনামূল্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট-পরবর্তী সেবাও দেন (দৈনিক জনকণ্ঠ ২০২১)।
সহজলভ্যতা: কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য দাতা পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিকট আত্মীয় (রক্তের সম্পর্ক) বা মৃত দাতার কাছ থেকে কিডনি নেওয়া যায়। মৃত দাতার কিডনির জন্য অপেক্ষার তালিকা দীর্ঘ, এবং অঙ্গদানের সংস্কৃতি এখনও তেমন গড়ে ওঠেনি (বিবিসি ২০১৭)। আপনার আত্মীয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের কেউ দাতা হতে পারলে ট্রান্সপ্ল্যান্ট দ্রুত করা সম্ভব।
জটিলতা: ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো রিজেকশন (শরীর নতুন কিডনি গ্রহণ না করা), যার জন্য ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ওষুধ সারাজীবন খেতে হয়। এছাড়া সংক্রমণ, ডায়াবেটিসের কারণে জটিলতা, এবং সার্জারি-সম্পর্কিত ঝুঁকি থাকে। আপনার আত্মীয়ের ডায়াবেটিস এবং প্রেশার থাকায় এই ঝুঁকি একটু বেশি হতে পারে (কেয়ার হাসপাতাল ২০২৪)।
সাকসেস রেট: বাংলাদেশে সাকসেস রেট নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন, তবে সিকেডি হাসপাতালে ৮০০টির বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফল হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে অভিজ্ঞ সার্জনদের হাতে সাকসেস রেট ভালো। ভারতের যশোদা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানে সাকসেস রেট ৮৫-৯০% (প্রথম বছরে), এবং বাংলাদেশেও অভিজ্ঞ টিমের ক্ষেত্রে এটি কাছাকাছি হতে পারে।
খরচ: বাংলাদেশে ট্রান্সপ্ল্যান্টের খরচ ৫-১০ লাখ টাকা (সিকেডি হাসপাতাল), যেখানে ভারতে এটি ৭-১০ লাখ টাকা (যশোদা হাসপাতাল)। ট্রান্সপ্ল্যান্ট-পরবর্তী ওষুধ (ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট) এর জন্য মাসে ১০,০০০-২০,০০০ টাকা লাগতে পারে।
৪. বিদেশে চিকিৎসা: রোগীর বর্তমান কন্ডিশনে কেমন হবে?
বর্তমান অবস্থা: আপনার আত্মীয়ের ক্রিয়েটিনিন ৯.৮৯, শ্বাসকষ্ট, এবং ইউরেমিয়ার উপসর্গ থাকায় তিনি এই মুহূর্তে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত নন। শ্বাসকষ্ট ফ্লুইড ওভারলোড বা হার্টের সমস্যা (ডায়াবেটিস এবং প্রেশারের কারণে) নির্দেশ করতে পারে। এই অবস্থায় দীর্ঘ ভ্রমণ (বিমানে বা স্থলপথে) ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করে অবস্থা স্থিতিশীল করা জরুরি।
বিদেশে চিকিৎসার সুবিধা: ভারত (হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতাল, কেয়ার হাসপাতাল) বা থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা আছে। ভারতে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ২ লাখের বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য যান, কারণ সেখানে খরচ কম এবং সেবার মান ভালো (বাংলা ট্রিবিউন ২০২১)। তবে আপনার আত্মীয়ের ক্ষেত্রে ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য দাতা সাথে নিয়ে যেতে হবে, এবং ভ্রমণের আগে মেডিকেল ভিসা, হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ, এবং আর্থিক পরিকল্পনা প্রয়োজন।
খরচ: ভারতে ট্রান্সপ্ল্যান্টের খরচ ৭-১০ লাখ টাকা, তবে থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, এবং ফলোআপ খরচ মিলিয়ে ১২-১৫ লাখ টাকা লাগতে পারে। ডায়ালাইসিসের খরচ ভারতেও বাংলাদেশের মতোই, তবে সেবার মান বেশি হতে পারে।
পরামর্শ: এই মুহূর্তে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা না করে প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করুন। অবস্থা স্থিতিশীল হলে এবং ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য দাতা পাওয়া গেলে ভারতে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন।
পরামর্শ এবং সতর্কতা
জরুরি পদক্ষেপ: আপনার আত্মীয়ের অবস্থা জটিল, তাই এই সপ্তাহের মধ্যে ফিস্টুলা তৈরি করে ডায়ালাইসিস শুরু করা উচিত। শ্বাসকষ্ট বেশি হলে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন, কারণ এটি ফ্লুইড ওভারলোড বা হার্ট ফেইলিওরের লক্ষণ হতে পারে।
ডায়েট: কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল (আপেল, পেয়ারা), কম সোডিয়াম খাবার, এবং সীমিত প্রোটিন (দিনে ১টা ডিম, ২ টুকরো মাছ) খাওয়ান (প্রথম আলো ২০২৪)। পানি দিনে ১-১.৫ লিটারের বেশি নয় (রাইজিংবিডি ২০২৪)।
মানসিক সাপোর্ট: কিডনি রোগীদের মানসিক চাপ বেশি থাকে। তাকে আশ্বস্ত করুন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করুন।
ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরিকল্পনা: পরিবারের কেউ দাতা হতে পারলে সিকেডি হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। ট্রান্সপ্ল্যান্ট দীর্ঘমেয়াদে ডায়ালাইসিসের চেয়ে ভালো বিকল্প।
আপনার আত্মীয়ের জন্য শুভকামনা রইল। যদি আরও কিছু জানার থাকে, জানান।
Disclaimer: Grok is not a doctor; please consult one. Don't share information that can identify you.

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ধন্যবাদ, আপনি AI সাহায্য নিয়ে তথ্য জানিয়েছেন।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমার এক কাজিন ডাক্তার। একদিন খাবার টেবিলে কিডনি রোগ নিয়ে আলাপ হচ্ছিল। উপসংহার টানলেন ওনি এই কথা বলে যে- "কিডনি রোগের চিকিৎসা শুধু জটিল ও ব্যায়বহুল নয়, দীর্ঘ মেয়াদে এই চিকিৎসা একটি পরিবারের আর্থিক দৈন্যদশার কারন ও হয়ে ওঠে"। নিয়মিত ডায়ালাইসিস আ ওষুধপত্র খেয়ে নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, যা কিছুটা ব্যায়বহুল।‌

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

হ্যা, তবে আমার আরও ডিপ ইনফো প্রয়োজন।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার মায়ের দীর্ঘদিন ডায়েবেটিস আর কিডনির সমস্যা ছিলো। মা সব সময় খাবার বেছে খেতো দেখেছি। তাই ক্রিয়েটিনিন বড় বিপদ সীমা পার হয়নি কখনো।

- আমার পরিচিত একজনের ডায়ালাইসিস করতে দেখেছি অনেক বছর, প্রায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেখেছি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছিলেন তিনি।

- আপনার আত্মিয়ের জন্য শুভকামনা রইলো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ডায়ালাইসিস ও নিয়ম মেনে চললে বঅনেকবছর বাঁচা যায়।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

কাঁউটাল বলেছেন: কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে এমন কারো জন্য কিছু সাধারন টিপস:
========================================
১) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২) নিয়ন্ত্রিত পানি পানের অভ্যাস করতে হবে (সাধারণত দিনে ১.৫–২ লিটার পরিষ্কার পানি যথেষ্ট, তবে ডাক্তার এই পরিমাণ নির্ধারণ করবেন)
৩) প্রতিদিন হালকা হাঁটা বা ব্যায়াম করা উচিত (ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে)।
৪) উচ্চ প্রোটিন, প্রসেসড খাবার, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৫) নিয়মিত রক্ত ও কিডনি ফাংশনের টেস্ট করাতে হবে (বিশেষ করে ক্রিয়াটিনিন ও ইউরিয়া)।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভাই এসব তো গুগুল করলেই পাওয়া যায়।আমি যা জানতে চাচ্ছি, ঐসব একটু বলুন।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৩

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: যদি কেউ আপনাকে জানিয়ে থাকে ওষুধ সেবনের ফলে ক্রিটিনিন নয় থেকে চার এ নেমেছে, তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমার জানামতে কোন এলোপ্যাথি ওষুধ আবিষ্কার হয়নি যা রক্তের ক্রিয়েটেনিন লেভেল কে কমাতে পারে।
চাইনিজ হারবাল ট্রিটমেন্ট থাকতেও পারে, আপনি জনাব শাহ আজিজ সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই বিষয়ে কোথা থেকে খবর পাওয়া যাবে তা জানতে পারবেন। চিনা সনাতন চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত এবং এমন কিছু মিরাকুলাস চিকিৎসা তারা দিয়ে থাকে যেটা বিশ্বাস করা মুশকিল।।

কিডনি রোগী বর্তমানে কোথায় থাকে জানাননি। আমার জানামতে ঢাকার বাহিরে কিডনির অসুখের চিকিৎসার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত।
মিরপুর সনি সিনেমা হল এবং মিরপুর ১০ এর মাঝামাঝি জায়গায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অবস্থিত। ওখানকার ডক্টর হারুনুর রশিদ সাহেব শুধু বাংলাদেশ না সমগ্র পৃথিবীর সেরা কিডনি ডাক্তারদের মধ্যে একজন। তবে দুঃখের কথা এই যে কিডনি তার কার্যকারিতা হারালে এটি রিভার্স করানো সম্ভব না, অর্থাৎ সুস্থ হওয়ার কোন কার্যকর চিকিৎসা নেই। রোগীর জীবন কিঞ্চিত দীর্ঘায়িত করার চিকিৎসা আছে।
প্রফেসর হারুনুর রশিদ সাহেবের সিরিয়াল পেতে হলে ছয় মাস থেকে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিকল্প উপায় আছে , তা নিচে বলছি।
সর্ব প্রথমে অতি জরুরী ভিত্তিতে রোগীর হাতে অপারেশন করে চ্যানেল তৈরীর ব্যবস্থা করুন। আর্টারি এবং ভেইনকে এক করে এই চ্যানেল বা ফিসটুলা তৈরি করা হয়। এটি পুরোপুরি অপারেশনাল হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে।
জরুরী ভিত্তিতে অপরেশনটি করানোর কথা এজন্য বলছি, যদি কোন কারণে রোগীর অবস্থা হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায় তবে ফিস্টুলা না থাকলে গলার কাছে অপারেশন করে ক্যাথেটার বসিয়ে সাময়িকভাবে ডায়ালাইসিস করতে হবে। প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল, রোগির জন্য শারীরিক কষ্টের এবং একই সঙ্গে ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়ে যায়।
হাতে চ্যানেল তৈরি করা হয়ে গেলে যে কোন বিপর্যয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত থাকলেন। চ্যানেল তৈরি করা হলে ডায়ালাইসিস যে করতেই হবে এমন নয়।

যদিও প্রফেসর হারুনুর রশিদ সাহেবের সিরিয়াল পাওয়া দুষ্কর, মিরপুর কিডনি হাসপাতালে হাতের চ্যানেলের অপারেশন করা হলে রোগী অটোমেটিক্যালি পরের দিন থেকে হারুনুর রশিদ সাহেবের সিরিয়ালে চলে আসে। (এটলিস্ট কয়েক বছর আগে এরকমই ছিল) ।
ডাক্তারেরা সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিসের কথা বলেন। ন্যূনতম দুইটি দিতেই হয় ‌ । যাদের দুইবার দেওয়া হয় সেই সমস্ত রোগীরা জ্বালাপোড়ার কথা কমপ্লেইন করেন।
কয়েক বছর আগে স্কয়ার এভার কেয়ার ইউনাইটেড এরকম হাসপাতালে ডায়ালাইসিস প্রতি ন্যূনতম ৭০০০ টাকা নেয়া হতো। আমার ধারনা এখন এটা দশ হাজারের উপরে। মিরপুর ১৪ নম্বরে কচুক্ষেত রোড এবং ভাষানটেক রোডের সংযোগস্থলে মার্কস হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের খরচ কিছুটা কম ছিল। মুগদা হাসপাতালেও কম খরচে ডায়ালাইসিস করানো যায়। মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশনেও কিছু রোগীর বিনামূল্যে এবং কিছু রোগীর অল্প মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সিরিয়াল, কম মূল্যের ডায়ালাইসিসের সিরিয়াল পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে কম মূল্যের বা বিনামূল্যের ডায়ালাইসিস এর ক্ষেত্রে একই ফিল্টার একাধিকবার ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে বিষয়টা পারমিটেড হলেও রোগীর শরীরে অনেক যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় বলে শুনেছি। ঢাকার বাইরে ডায়ালাইসিস এর সুবিধার কথা আমার জানা নাই।
ডায়ালাইসিস এর রোগী কত দিন বাঁচে? গুগল করলে দেখবেন স্পেশাল কেসে ২০ বছরের বেশি ডায়ালাইসিস করেও রোগী বেঁচে আছে বলা হয়েছে। এটি আসলে রেয়ার। বাংলাদেশের মতো দেশে রাস্তার জ্যাম ঠেলে সপ্তাহে তিনবার ব্যয়বহুল ডায়ালাইসিস করানোর পর রোগী নিজেও সম্ভবত আর বাঁচতে চান না। ৮-১০ বছর বাঁচার ঘটনা বিরল না, তবে অধিকাংশ রোগী ছয় মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে মারা যান। মনে রাখবেন অধিকাংশ কিডনি রোগী একইসঙ্গে হার্টের সমস্যায় ও ভোগেন ( সম্ভবত ডায়াবেটিস ও আছে) । আমার পরিচিত একাধিক সামর্থ্যবান হাসিখুশি রোগী ডায়ালিসিসের সময় মারা গিয়েছেন। শরীর থেকে অনেকখানি রক্ত বের করে নিয়ে পরিশোধিত করে শরীরে পুনরায় প্রবেশ করানো হয়। সকলের হৃদযন্ত্র এই চাপটা নিতে পারেনা। ডায়ালাইসিস করানোর সময় রোগীকে আই সি ইউ তে নিয়ে ডায়ালাইসিস করার ঘটনা বিরল না, এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস চার্জের সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউ চার্জ যোগ হবে ‌।
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট- কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল, সাফল্য হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। ট্রান্সপ্লান্ট এরপর রোগী দীর্ঘদিন বাঁচবেন এই গ্যারান্টিও নেই। যতদিন বাঁচবেন বিভিন্ন দামি ওষুধ সেবন করতে হবে। পুরোপুরি সুস্থ কখনোই হবেন না। যিনি কিডনি দান করবেন তিনিও অনেক শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাবেন। সারা জীবনের জন্য (মানে, দান করার পর যে কয়দিন বাঁচবেন) কিছু রেস্ট্রিকশন মেনে চলতে হবে। বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় কোন লোক থাকলে (যেমন মা স্ত্রী) ডোনার হিসেবে তাদের বিবেচনা করা যায়। অথবা অনাত্মীয়র মধ্যে থেকে কিনতে পারেন, তাদের থাকা না থাকায় আপনার পরিবারের কিছু যাবে আসবে না।
বিদেশে নিলে কি হবে?
এ রোগের চিকিৎসা নাই। বিদেশে অতিরিক্ত কোন চিকিৎসা পাবেন না। ট্রান্সপ্লান্ট দেশের বাহিরে করতে পারেন, দেশেও হচ্ছে। আমার ট্রান্সপ্লান্ট সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা নাই। বাকিটুকু পারিবারিক অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি।

কিডনি রোগী থাকলে সব সময় সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য মানসিক এবং পারিবারিকভাবে প্রস্তুত থাকা ভালো হবে। এছাড়া নিজে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করানো দরকার যেন নিজেকে কখনো এই রোগে না ভুগতে হয়।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
ক্রিয়েটিনিনের ব্যাপারে বলি, ১০ দিন হসপিটালাইজড থেকে ৯.১৭ থেকে ৪.৫৯ নেমে আসে ঔষধের সাহায্যেই, আমি উনার দায়িত্বে ছিলাম তখন।উনি এখন ঢাকার কিডনী ফাউন্ডেশনে এক ডক্টরের আন্ডারে আছে ; ফিস্টুলা করানো হবে সম্ভবত শনিবার।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.