নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোরাবালিতে সরকার

১৩ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:২৭

পূর্বের পোষ্টঃ হেফাজত না শাহবাগঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বা সরকারের ভবিষ্য্‌তঃ Click This Link

আগের লিখায় বলেছিলাম সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে, হয়েছেও তাই। বিগত একমাসে অনেক রক্ত গড়িয়েছে বুড়িগংগায়। সে হিসাব না করে আসুন বিশ্লেষণে কি হতে পারে এর পর। এ লিখাটিকে ভালভাবে বুঝার জন্যে অনুগ্রহ করে আগের লিখাটি পড়ুন।



আজকের লিখায় ২টি বিষয় আলোকপাত করবঃ ১) 'হেফাজতের ৫ই মে' রাতের পরবর্তী রাজনীতি, কে লাভবান ২) আগামী মাসের রাজনীতি, অন্ধকারে আওয়ামীলীগ।



এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ৫ই মের পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে আওয়ামীলীগ অনেকটাই ব্যাকপুটে চলে গিয়েছে। নতুন রাজনৈতিক কৌশল ব্যাতীত সম্ভবত আর ফ্রন্ট সিটে বসার সুযোগ নেই। আর সে রাজনৈতিক কৌশল অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন্দ্রিক। রাজনীতির মাঠে আওয়ামীলীগ যত দ্রুত এই ইস্যুটিকি সামনে আনতে পারবে তত দ্রুতই আওয়ামীলীগ ফিরে আসবে মাঠে - এর জন্য অবশ্যই গ্রহনযোগ্য ভাবে কৌশলি হতে হবে দলকে।



হেফাজতেরের মোকাবিলায় আওয়ামীলীগ না ঘরকা না ঘাটকা। সিদ্ধানহীনতার মাসুল গুনছে দেশ, এবং দেশের মানুষ। মনে রাখতে হবে অরাজনৈতিক শক্তিকে শক্তি দিয়ে দমন করে আখেরে ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ হেরে গেছে। রাজনৈতিক সরকার হিসাবে এটা আওয়ামীলিগের নৈতিক এবং রাজনৈতিক পরাজয়। এ পরাজয় যতটা না বেগম জিয়ার কারণে তার থেকে অনেক বেশী দায়ী আওয়ামীলীগে ক্রমবর্ধিত ধাবমান বামু রাজনীতি। ২০০৬ সালে আওয়ামীলীগ হজুরদের সাথে চুক্তি করেছিল, আর আজ তাদেরকে হত্যা করেছে। আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্যারাডাইম সিফট (বিশ্বাস পরিবর্তন) বুঝার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট। সমস্যা হচ্ছে আমার মত আম জনতার, যারা কর্মে ধার্মিক কিন্তু বিশ্বাসে স্যাকুলার, তাদের নিয়ে। আওয়ামীলীগতো আমাদের জন্যে দিনে দিনে তার দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।



আগে ছিল রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ স্যাকুলার এবং ধর্মের মিশ্রণ, এবং পেশজীবীতে বাম এবং স্যাকুলারের মিশ্রণ। এখন সর্বত্রই বামু ডমিনেটেড স্যাকুলার। আর এই কারণেই আমরা দেখি ৫ই মের রাতে কমপক্ষে ৭ জন থেকে সর্বোচ্ছ ৩০০০ জন হত্যার দাবী। অবশ্য আবাল পুলিশ আর মন্ত্রীরা কেউই মারা যায়নি বলে দাবী করেছে।



৫ই মের পরবর্তী রাজনীতিতে সবছেয়ে লাভবান হবে সকল ধর্মীয় রাজনীতিক দল। বিএনপি সাময়িক লাভবান হলেও চুড়ান্তভাবে এর বেনিফিট বিএনপি তুলতে পারবেনা। এর অন্যতম কারণ বিএনপিতে রাজনৈতিক দূরধর্ষী নেতৃত্বের অভাব - কমবেশী সবাই সুবিধাবাদী। এতদিন জামাত রাজনৈতিক ইসলামের কথা বললেও এখন সম্ভবত বাংলাদেশের সবছেয়ে বড় ধর্মীয় প্রভাবক গোষ্টি (কওমী) রাজনীতিতে জড়িয়ে যেতে পারে। যদিও এদের ভিতর কিছু উপগোষ্টি আগেই রাজনীতীতে সক্রিয় ছিল। আর এতে করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলামের বিকাশ দ্রুততর হবে।



আগামী মাসের রাজনীতি মূলত আলোচনার মহড়া, বিদেশীদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন এর মধ্যে সীমিত থাকবে। যদিও গোলাম আজমের ফাঁসির রায়ে জামত অনেক বড় প্রতিক্রিয়া দেখাবে তবে জনমানুষকে খুব বেশী ভাবিত করবেনা বা তা রাজনীতির গতিকে পরিবর্তন করবে না, যতটুকু করে ছিল সাইদীর মামলার রায়। সাইদীর মামলার রায় বাংলাদের রাজনীতির গতি পরিবর্তন করে দিয়েছে। কেউ হয়ত বলবেন কাদের মোল্লার রায়, বাস্তবে কিন্তু তা নয়।



দুটি কারণে গোলাম আজমের রায় প্রভাব বিস্তার করবেনা। প্রথমতঃ সরকার জামাত এবং সৌদি সরকারকে কিছুটা আস্তায় নিয়ে আসবে মামলার ভবিষ্যত সম্পর্কে। ইদানিং কালের জামাতের প্রতিক্রিয়া অনেকটা রুটিন প্রতিক্রিয়ার মত। ২য়ত, জুলাই মাস হবে রাজনীতির টারনিং মাস, সবাই সে হিসাবেই কৌশলী হবে। পুরো মে মাসটিই হবে অনেকটা ঘর ঘোচানোর মত এবং মতিঝিলের লাভালাভ কেন্দ্রিক।



সরকার বা আওয়ামীলীগকে বলব হেফাজতের পিছু না নিয়ে, সরকার রাজনীতিকে গ্রামমুখী করবেন। আর জুন - আগষ্ট বিএনপিকে আলোচনার টেবিলে রাখবেন। এতে অন্তত লাভ খুব বেশী না হলেও লোকসানের ঝুকি কমবে।









মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২২

বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: লেখক বলেছেন :
৫ই মের পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে আওয়ামীলীগ অনেকটাই ব্যাকপুটে চলে গিয়েছে।

এই কৌতুকটা মিরাক্কেলে পাঠিয়ে দেয়া হোক।

১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

সরলপাঠ বলেছেন: আপনি চাইলে এনটিভির হাঁ সোতেও পাঠাতে পারেন, তবে এর দ্বারা রাজনীতির হিসাব নিকেষের তেমন পরিবর্তন হবেনা।

ভুল রাজনীতিক কৌশলই আওয়ামীলিগকে বিপদে ফেলেছে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তই আওয়ামীলীগের সরকারের রাজনীতির ভিত্তি দূর্বল হয়ে গেছে।

জনগনের একটা বড় অংশ যারা আওয়ামীলিগের সাথে ছিল বিএনপিকে অপছন্দ করার কারণে, তারে দূরে সরে যেতে শুরু করেছে।

ক্ষমতার সামাজিক ভিত্তি গুলো আওয়ামীলিগের থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। এ সত্যটি বুঝার জন্য বড় বেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষক হতে হবেনা, তবে রাজনৈতিক ভাবে অন্ধ হলে চলবে না।

২| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

আল্লামা ইকবাল বলেছেন: আওয়ামী লীগের যদি সাহস থাকে - নিরপেক্ষ নির্বাচন দিক । দেখি আর কয় বছরে ক্ষমতায় আসে ?

আমার পরিচিত অনেকেই এখন আওয়ামী লীগকে দুচক্ষে দেখতে পারেনা । আমি এই জীবনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিব না । গতবার বিএনপির দুর্নীতি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দিয়েছিলাম ।

আর আশা করি মার খেয়ে ইসলমী দলগুলো এক হবে এবং ঘুরে দাড়াবে । তারা চুপ হয়ে যাবে এটা মনে করার কোন কারণ নেই । শোক একসময় শক্তিতে পরিণত হবে ইনশাল্লাহ ।

ভয় একটাই - 'র' এর চালবাজী আর ভারতের আধিপত্য । জানিনা আল্লাহ কেমনে ও কবে এই জালিম সরকার থেকে জাতিকে মুক্ত করবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.