নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সরকার প্রধান হন দলীয় প্রধান। সাম্প্রতিক কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়াতে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনা কি আওয়ামীলিগের সরকার না জনগণের সরকার। সরকার প্রধান দলীয় প্রধান থেকে যতটুকু না জনগণের জন্যে কাজ করেন, তার থেকে বেশী দলের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশে বর্তমানে কোন উপজেলায় যদি কেউ চেয়ারম্যান হতে চায় তবে তাকে দলীয় পদ ত্যাগ করতে হয় জনগণের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্যে। সেক্ষেত্রে একটি সরকার প্রধানকে জনগণের সরকার হওয়ার শপথ নেওয়ার জন্য অবশ্যই দলীয় পদ ত্যাগ করা উচিত।
আমি যদিও বংগবন্ধুর আওয়ামীলিগের একজন সমর্থক, কিন্ত নৈতিকতার প্রশ্নে শেখ হাসিনার এই ভোট চাওয়াকে সমর্থন করতে পারছিনা। উন্নত দেশেই নয় শুধু, সম সাময়িক কালে ভারতেও সরকার প্রধান দলীয় প্রধান নন। এতে জনগণ উপকৃত হন। সরকার প্রধান কিছুটা হলেও দলীও মোহের বাহিরে কাজ করার সুযোগ পায়।
তাই বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে দল গুলোর কাছে একটাই দাবী, যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। একই ভাবে যারা মন্ত্রীর/প্রতি মন্ত্রী/উপমন্ত্রী/উপদেষ্টা বা সমান মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদেরকে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আশা করি নির্বাচন কমিশণ সুশীল সমাজ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
এর মাধ্যমে অনেকগুলো উপকার পাওয়াযাবে, আমি শুধু ৪টি উল্লেখ করছিঃ
১) মন্ত্রী সভা দলীয় বিবেচনায় সিদ্ধান্ত না নিয়ে কিছুটা হলেও সকল মানুষের কল্যানে সিদ্ধান্ত নিবেন এবং সরকার পরিচালনা করবেন।
২) টেন্ডারবাজী, মাস্তানী, রাজনৈতিক সন্ত্রাস কমার সম্ভাবনা আছে।
৩) প্রশাসনের দলীয়করণের মাত্রা কমে কিছুটা হলেও সুশাষণ আসবে।
৪) পারিবারিক রাজতন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা।
আশা করছি সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮
সরলপাঠ বলেছেন: বর্তমানে সরকারগুলোর কাজই হচ্ছে দলীয় লোকজনকে লুটপাটের সুবিধা করে দেয়া। এর থেকে উত্তরণ প্রয়োজন।
সংবিধানে এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু লিখা আছে বলে আমার জানা নেই। তবে অবশ্যই এটা নৈতিকতার লংগন। প্রয়োজনে এ বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব আনা যেতে পারে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৯
মুশে হক বলেছেন: নির্বাচনে জিতে যারা রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী পদে অধিষ্ঠিত হন তাদের দলীয় পদ ত্যাগ না করা অসাংবিধানিক তথা তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেন।