নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদালতের রায়ে কি সমাধান আসবে? কি হতে পারে বর্তমান অবস্থায়:

২১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

কোটা সংস্কার নিয়ে আজকের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ মূলত সরকারের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের ফল। গত কয়েকদিনে ২০০ এর অধিক মানুষকে হত্যার জন্যে সরকারই দায়ী। বর্তমান অবস্থায় সরকারের জন্যে সহজ কোন পথ নেই। আগামী কয়েকদিনে কি হতে পারে, তা নিচে আলোচনার চেষ্টা করেছি।
সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত সমুহ:
১) এই আন্দোলনকে শুরু থেকে গুরুত্ব না দেয়া
২) আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা।
৩) রাজনৈতিক আন্দোলন দমানোর মত শক্তি ছাত্র আন্দোলন দমাতে ব্যবহার করা।
৪) সরকার প্রধান এবং মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে ছাত্রদের আন্দোলনকে উপহাস করা।
৫) পুরোদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া এবং তথ্য প্রবাহে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।
৫) কারফিউ জারী করা, সেনাবাহিনী নামানো, এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা।

এখন কি হতে পারে:
১) আজকের আদালতের শুনানি সমস্যার সমাধান করবে না।
২) চলমান কারফিউ যদি পর্যায় ক্রমিকভাবে আগামী তিন দিনের মধ্যে শিতিল করা না হয়, তাহলে বর্তমান অবস্থা আরও জটিল হবে। এবং মানুষ আরও বেশী আকারে কারফিউ ভংগ করবে, এবং এটি অকার্যকর হবে।
৩) সরকার তার শেষ অস্র ব্যবহার করে ফেলেছে। বর্তমান সংকট যদি আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হয়, তাহলে এটি সরকারকে আরও দূর্বল করবে।
৪) বর্তমান সংকট সরকারের লেজিটিম্যাচির সংকটকে সামনে নিয়ে এসেছে।
৫) চলমান সংকট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হলে বা দৃশ্যমান উন্নতি না হলে, এটি সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। তবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে বিএনপি তথা বিরোধী দলের রাজনৈতিক পদক্ষেপের উপর। সরকার গত তিন দিন দেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বিএনপি তথা বিরোধী দল এখন পর্যন্ত সমন্বিত ভাবে বিশ্বের কাছে দেশের প্রতিদিনের তথ্য হাজির করতে পারছেনা।অবস্থাদৃষ্টে আমার মনে হয়েছে, বিএনপিও অবস্থার গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। সরকার এ যাত্রায় টিকে যেতে পারে, যদি বিএনপি সঠিক এবং সমন্বিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়। মনে রাখতে হবে, সমস্যাটা এখন কোটা সংস্কারে সিমাবদ্ধ নেই।




মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

নতুন বলেছেন: সরকার এই ১১৫ হত্যা এবং আরো কতগুলি গুম করে এই যাত্রায় টিকে যাবে।

বিএনপি যদি জামাতকে সাথে না রাখতো তবে আরো অনেকেরই সমর্থন পাইতো। অনেকেই আছে যে আয়ামীলীগের বর্তমান কাজে অসন্তুস্ট।

কিন্তু তারা জানে যে আয়ামীলীগ সরে গেলে বিএনপি + জামাত ক্ষমতায় আসবে। সেটা দেশের অনেক বড় একটা অংশ চায় না।

নতুবা নৈতিক ভাবে সাধারন জনগনের এই সরকারে পরিবর্তন চাইতো।

কোন গনতান্ত্রিক সরকার ১১৫ লাশের উপরে বসে দেশ চালাতে পারেনা। আয়ামীলীগ গত ২ নিবাচনে এই ভাবে জয়ী হয়েছে আগামীতেও তাই হবে, তাই জনগনের লাশ পড়লে সমস্যা নাই।

২| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

নতুন বলেছেন: কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল: আপিল বিভাগ
কোটা নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রোববার সরকারের লিভ টু আপিলের শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর দুপুর দেড়টায় রায় দেয়া হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশ জুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ চলেছে। পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করতে হয়েছে। সহিংসতায় সারা দেশে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

কারফিউয়ের মধ্যেই রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কোটা নিয়ে শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেয়ার জন্য পাঁচজন আইনজীবীকে অনুমতি দেন আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে অংশ নেয়া নয়জন আইনজীবীর মধ্যে আটজনই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করার পক্ষে মত দেন। একজন আইনজীবী কোটা সংস্কারের পক্ষে মতামত দেন।

এর আগে ২০১৮ সালে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মুখে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল সরকার।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিট করা হলে চলতি বছরের পাঁচই জুন ওই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা ও কোটা পুনর্বহাল করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

পরদিন থেকে কোটা ব্যবস্থার বাতিল চেয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে অবশ্য তারা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। জুলাই মাস থেকে তারা জোরালো আন্দোলন শুরু করেছিল।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: শেখ হাসিনা আদালতকে তামাশার বস্তু বানিয়ে ফেলেছে !

৪| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: এবারের বিএনপি জামাতের নাশকতার পর তারা আবার অনেক বছর পিছিয়ে গেলো।এসব মামলা থেকে বেরিয়ে আসতে তাদের অনেক সময় লাগবে।আর যদি সরকারের পতন ঘটাতে পারে সেটা অন্য কথা।তবে মনে হয় না তারা তা পারবে।
কয়েক জনকে ধরেছে আরো অনেক কেই ধরবে।পালিয়ে কয়দিন থাকবে।এখন প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে।এসব প্রযুক্তি তাদের ধরতে সাহায্য করবে।জনসমপ্রিক্ত একটি দল নাশকতা করে ক্ষমতায় যেতে পারে না।তার ফল ভালো হয় না।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: কয়েক জনকে ধরেছে আরো অনেক কেই ধরবে।

কামাল ভাই ছাত্র লীগের সভাপতি ইতিমধ্যেই এই হুমকি দিয়েছেন ,সবাইকে দেখে নেওয়া হবে। শেখ হাসিনার শুধু মাত্র কয়েকটা দিন দরকার !

৬| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আমি যা বাস্তব তাই বলছি।আমার ইচ্ছার কথা বলছি না।যা হচ্ছে এবং যা হবে সেই সম্পর্কে আমার ধারণার কথা বলছি।অভিজ্ঞতা থেকে গড়ে উঠেছে এই ধারণা।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৮

নতুন বলেছেন: দেশের সুপ্রিম কোর্ট বাচ্চাদের বাড়ী যেতে বললো। কিন্তু ১৫০ জন মানুষ মারা গেছে তা নিয়ে কিছুই বলবে না। :(

এমন সন্ত্রাসীদেশ আর কোথায় আছে?

একটা দেশে পুলিশ নিশানা করে গুলি করে সেটা গনত্রান্তিক দেশ কিভাবে হয়?

বৃহত্তর ফরিদপুরের এলাকা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এদের মাঝে অনেকেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। এরা দলের হয়ে কাজ করবে সেটাই সাভাবিক।

বন্দুক যার হাতে গুলি করে মানুষ হত্যা করবে না কি ফাকা গুলি করবে সেটার সিদ্ধান্ত তার। এই সব পুলিশগুলি গুলি করেছে নিশানা করে। --- এই দানব পুলিশ বাহিনি কোন সভ্য দেশে থাকতে পারেনা।

৮| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সরকার রয়েছে অপশক্তিদের সাথে মিলে মিশে। ছাত্র বা জনতা মরলে ওদের কী! এক শ্রেণীর রয়েছে দেশতো উন্নয়নে ভাসছে। রেমিটেন্স আর গার্মেন্সের আয়টা চলে গেলে দেখবে অভাব কাহাকে বলে। তখন কেউ সরকার বক্স নামক খালিকলসের বুঝাটা বইতে চাইবে না।

৯| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

পৃথিবীর সব দেশে পুলিশকে প্রটেকশন দেওয়া আছে।
পুলিশের উপর হামলা হলে পুলিশের জীবন বিপন্ন হলে পুলিশ গুলি করতে পারবে মেরে ফেলতে পারবে।
আমেরিকায় প্রতিবছর ১০০০ এর ওপরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
কদিন আগে একজন বাঙালি তরুণ হাই স্কুলের ছাত্রকে গুলি করে মারলো। ছেলেটির হাতে একটি কেচি ছিল। দুই পুলিশ বন্দুক তাক করে ছেলেটিকে কেচি ফেলে দিতে বলছিল। ছেলেটির মা দরজার পাশে ছিল, কিন্তু ছেলেটি তর্ক করে যাচ্ছিল। পুলিশ আবার তাকে কেটে ফেলে দিতে বলল, কিন্তু ছেলেটি তর্ক করতে করতে এক স্টেপ আগানো মাত্রই পুলিশ তাকে তিনটি গুলি করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.