![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের এই পর্বে এসে আমি খুব বিব্রত বোধ করতে শুরু করি। একটা চিন চিন ব্যথা টের পাই। কাজের ফাঁকে,একা হলে ব্যথাটা আমায় ভোগায়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। শাশ্বতী বলেছিল, মেনোপজ হয়ে গেলে তুই আর শারীরিক আনন্দ টা পাবি না। --মানে? এখানে সেখানে তো লেখা পাই, মেনোপজ হয়ে যাওয়া মানে স-ব শেষ হওয়া নয়। --ধুর, তুই বুঝিস না কেন, ঐসব তো লেখা থাকে। কিন্তু আমি বলছি আমার কথা, দেবলীনাদের কথা। আমি তাকিয়ে থাকি। শাশ্বতী ছাড়া আমায় কে আর জ্ঞান দিতে পারবে? আমি কারোর সাথে এসব বিষয়ে কথা বলতেই পারিনা। --তোরা এখন আর আনন্দ পাচ্ছিস না?--না। পাচ্ছি না। আর তাই তোকে বলছি, পরামর্শ দিচ্ছি এখনও পিরিয়ড হচ্ছে। তুই লাকি এনাফ। লাইফ টাকে এনজয় কর। জাস্ট ছিবড়ে নে। কথাগুলো মনে গেঁথে যায়।
শারীরিক আনন্দ আমি কম পেয়েছি। পেয়েছি কি আদৌ? এ প্রশ্নটা আমি নিজেকে নিজেই করি । বিয়ের আগে জামাইবাবুরা আসত। ঘর ফাকা থাকলে জড়িয়ে ধরত। গালে মুখে চুমা খেত। সারা শরীর জুড়ে কী এক আনন্দ বয়ে যেত। ঘোর লেগে যেত। মনে হত ওরা আরো কিছু করুক। কিন্তু কেউ না কেউ এসে পড়ার ভয়ে জামাইবাবুরাও আর এগোত না। বুঝতাম ওদেরও কিছু একটা হয়েছে। ওরা আমাকে আরো বেশি করে পেতে চাইছে। সতেরোতে বিয়ে গেলো। বাবা ছিলেন না। ফর্সা, লম্বা মেয়ে। মামারা রিস্ক নেন না। কখন কি কান্ড ঘটে যাবে ভেবে মা-কে রাজি করালেন। আমিও তখন জীবন আর কী বুঝি? হাইয়ার সেকেন্ডারি হয়ে গেলো। চুকে গেলো সুশান্ত-র সাথে আমার বিয়ের পর্বটাও। প্রথম রাতে কি যে হলো ! সুশান্ত আমায় জড়িয়ে ধরলো। চুমা খেল অজস্র। হঠাৎ ওর পুরো শরীর যেন ঝাকড়া খেলো একটা। ও গোঁ গোঁ করতে লাগল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। বিছানা ছেড়ে নামতে গেলাম। এদিকে সুশান্ত ধরে রেখেছে শক্ত করে। আমারও দমবন্ধ হয়ে যাবার মত অবস্থা। একসময় সুশান্ত শান্ত হয়। বলে, কি যে হয়ে গেল। আমি কিছু বুঝতে পারিনি। মানে, এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা প্রায় নেই। এটা সেটা পড়ে যা জেনেছি। আর বিয়ের আগে প্রলয় কিছুটা বলেছিল। --এটা কী? আমি আমার সায়ার উপর দেখাই। সুশান্তর শরীর থেকে বেরিয়েছিল। আঠা আঠা মত। সাদা। আমার কেমন ঘেন্না পায়। এটা আমার ধুতে হবে?--আমার স্পা্র্ম। মুখ এরকম করেছ কেন? ইন্টারকোর্স হবে। স্পার্ম বেরুবে না?--ও, এটা ইন্টারকোর্স। স্পা-র্ম? জীবনে দেখেছি নাকি?
এরপর চার-পাঁচটা রাত। সুশান্ত কাছে এলে আমি অশান্ত হই। ও যা করে আমার ভালো লাগে। আমি চুপচাপ থাকি। ও যা করতে বলে, করি।শরীর আগের মত-ই কেঁপে উঠে ওর। ঝিম ধরে পড়ে থাকে একটু সময়। পরে ঘুমিয়ে যায়। শ্বশুর বাবা হঠাৎ করে এক রাতে জ্ঞান হারান। সুশান্ত আর আমি হাসপাতালে ছুটি। প্রায় দুমাস ওকে থাকতে হয় বাবার সাথে। এরমধ্যে আমার ভোর-বমি শুরু হয়। মুশকান চলে আসে আমার শরীরে। প্রায় বছর দুই আমার শরীর-মনের উপর দিয়ে কি এক ঝড় বয়ে যায় যেনো। মুশকানের জন্ম দিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হই। মেন্টাল ইমব্যালানসি ঘটে আমার। সুশান্ত আমাকে নিয়ে বোম্বে যায়। শ্বশুর বাবা মারা যান। মা-র স্ট্রোক ও এরপর প্যারালাইসিস পর্ব শুরু হয়। একা সুশান্ত সব সামলাতে গিয়ে হিমসিম খায়। মুশকানের পর আসে আবির। দু ভাইবোনের বয়সের ফারাক তিন বছরের। সুশান্ত ততদিনে অনেকটাই ধাতস্থ হয়েছে। আগের মত শরীর কেপে উঠে না। মুখ দিয়ে গোঁ গোঁ আওয়াজ বেরুয় না। কিন্তু আমার কেমন মনে হয় সুশান্ত আমাকে সেই আনন্দ-টা দিতে পারছে না। জামাইবাবুরা চেপে ধরলে যা হতো সেটাও যেন হতো না। আমিও সুশান্তকে হয়ত আনন্দ দিতে পারতাম না। দেবো কীকরে? ছেলেমেয়ে বড় করা, ও, ততদিনে তো আমিও একটা চাকরি পেয়ে গেছি--স-ব মিলিয়ে শরীরি আনন্দের জায়গাটা থেকে কেমন সরে যাচ্ছিলাম যেন। মনে হত, এই কটাদিন যাক। তারপর-ই হবে।
আজকাল মোবাইল দিয়েই যেমন রাজনীতির আলাপ চলে, সেক্স-ও হয়ে যায়। বলল সেদিন মন্জুরী--সন্ধ্যেরাতে মুরগা ধরো। রাতে জবাই। নিত্য নতুন। দেখো মজাটাই আলাদা। মানে?--একজনের সাথে হাই-হ্যালো করলে, কথা এগুলো। রাত বাড়লো। টপিক বদলে গেলো। রাত এগারোটা। জিজ্ঞেস করবে, হবে নাকি? উনি রাজি থাকলে হয়ে গেলো। মোবাইল-চ্যাট গুলোতে আর কী হয়? এসব ছাড়া? আমি তো ভাই এসবে খুব হ্যাবিচুয়েট হয়ে গেছি। বিয়ে করে সেক্স করার কোন দরকা-ই তো নেই।--মোবাইলে হলে আসল মজাটা আসে?--আসবে না কেন? আমার তো হয়। তবে মাসে এক-দুবার প্র্যাকটিকিল ফিল্ড-এক্সপেরিয়েন্স নিতে হয়। কথাগুলো আমার শরীরে দোলা দেয়। কোথায় একটা মাতাল নেশা আমায় বিবশ করে। পর্ণসাইট গুলোর হদিশ দিলো দেবলীনা। একটা নতুন নেশায় মেতে গেলাম আমি। পিজিতে মুশকান। এম এ করছে। আবির পুনেতে। সুশান্ত তো অনেকবছর থেকে প্রমোশন নিয়ে ডিফু। আমার তেমন কাজ নেই এখন। যখন তখন শাশ্বতীদের ফোন করি। বেরিয়ে পড়ি। এখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে চা খাই আর সময় পেলেই নেট খুলে বসি।এ এক অদ্ভুত নেশা। কোনদিকে যে রাত বাড়ে বুঝিনা। সকালে উঠতে দেরি হয়।
এর মধ্যেই বিকাশ আসে। দেবলীনার বোনের ছেলে। এখানের ইউনিভার্সিটিতে সাত দিনের কনফারেন্স। কানাডা থেকে এসেছে। দেবলীনা গেছে ছেলের কাছে। তাই আমার কাছে ওকে থাকতে বলল। বাজার করলাম। কী খায় না খায় জেনে। ওর জন্য আবীরের ঘরটা গুছিয়ে দিলাম। রজত ছিলো। গাড়ির দেখাশোনার পাশাপাশি ও আমাদের এরকম অনেক কাজ করে। বাড়িতে কেউ আসবে জেনে সুশান্তরা খুশি হয়। আমার কিন্তু অন্য চিন্তাটা আগেই মাথায় আসে। বিকাশ আমার পরিচিত কেউ নয়। আমি হোয়াটস আপে ওর সাথে কথা বলতে শুরু করি। জেনে নিতে থাকি ওর সম্পর্কে নানা খবর। ওর প্রাচীন ভারত নিয়ে কাজ। আমি আলমারি থেকে বই নামাই। পড়তে থাকি। যেকোন ভাবে আমাকে যেতেই হবে বিকাশের কাছে। ভয়-ও হয়। আমি পন্ছাশ ছুয়েছি। ও চব্বিশ। ইস আমার বয়স দশ বছর কমে যেতে পারত না ! বা ওর দশ বছর বেশি! সাত এপ্রিল ওর আসার কথা। দু তারিখে আমার পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। ডেট ছিল না। এটা আমার স্পেশাল বিষয়। ডাক্তার বলেছেন খুব আনন্দে, হতাশায়, টেনশনে আমার এমন হয়। প্রচন্ড ব্লিডিং। খুব কষ্ট হয়। পরে ইনজেকশন নিতে হয়। এবার আমি বুঝেছি বিকাশের জন্য বেশি উত্তেজনায় আমার এটা হয়েছে। আমি যন্ত্রনাকে জয় করতে শুরু করি।
এপ্রিলের শুরুতেও বেশ ঠান্ডা। বিকাশ আসছে। আমি ঘামতে থাকি। ও কি ভাবে নেবে আমাকে? এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ফ্লাইট সময়মত-ই আসবে। বোর্ডে তা-ই দেখাচ্ছে। আবীর ফোন করে।
--মা, তুমি কোথায়? --আমি একটা জরুরী কাজে বাইরে।--ও, ঘরে এসে আমায় ফোন করো।এই প্রথম আবীরের সাথে আমি মিথ্যে বলি।
লম্বা বিকাশ। সবার মাথা ছাপিয়ে ওকেই দেখা যায় আগে। আমার চিনতে অসুবিধে হয় না। আমি হাত নাড়ি--ইশারায় বলি--লাগেজ নিয়ে একসাথে বেরিয়ে আসো।-পরে হবে--ইশারায় জানিয়ে বিকাশ আমার দিকে আসতে থাকে। আমি স্ট্যাচু হয়ে যাচ্ছিলাম। কথা হয়েছে, ছবি আসা যাওয়া করেছে। তবু তো এত শিরশিরানি টের পাইনি। এত উত্তেজনা ! বুকের ভিতর যেন একসাথে হাজারটা ভায়োলীন বেজে উঠলো। আমি কি মরে যাব? বিকাশ এসেই জড়িয়ে ধরলো। খুব কাছে মুখটা এনে ডাকলো-পি। পি মানে পিউ-পাপিয়া। আমিই ওকে জানিয়েছিলাম ও যেন আমায় পি বলে ডাকে। আমি গলে যাচ্ছিলাম। দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য।
আমিও ওকে জড়িয়ে ধরে বলি -বিকাশ, আই লাভ ইউ।--আই, টু। জাস্ট ওয়েট। এম কামিং। লাগেজ।
চলে যায়। আমি গাড়ি বের করতে যাই। নিজেকে শাসাই। বাচ্চা ছেলেটার মাথা খাচ্ছি না তো! বিকাশ আমার পাশের সিটেই বসে। আমি ওকে চাবাগান দেখাই। ইটভাটা দেখাই। সবেতেই তার উৎসাহ। হা হা করে মাথা ঝাকায়। চ্যাট করতে গিয়ে আমরা দুজন-ই দুজনকে জেনে গেছিলাম। তাই কথা বলার কোন অসুবিধে হচ্ছিল না। গাড়ির স্পিড বাড়াই। ওকে বিকেলেই একবার ইউনি-তে যেতে হবে। বাড়ি ফিরে ওকে বাথরুমে পাঠাই। গাড়ি রেখে আসি আমিও বাথরুমে ঢুকি। বেরিয়েই ওকে খেতে দেবো। সুশান্তর ফোন আসে। গলার স্বর ঠিকঠাক করে কথা বলি। নিজের থেকেই মুশকানের সাথে কথা বলে নিই। বিকাশ করিডরে এসে দাঁড়ায়। ওলিভ ওয়েল দেখিয়ে জানতে চায় তেলটা বেশি আঠা কিনা। আমি ওর থেকে চোখ সরাতে পারি না। এত তরুণ, এত মায়াবী কাউকে কি এমন করে কোনদিন আমি দেখেছি! আমি ওর হাত থেকে তেলটা নিয়ে বলি--তুমি কোথায় দেবে?--মাথায় না শরীরে? ওর উত্তরের অপেক্ষা করিনা আমি। টেনে বেডরুমে নিয়ে আসি। পাগলের মত চুমু খেতে থাকি। খুলে ফেলি ওর টাওয়েল। আমাকেও খুলতে থাকি। বিকাশ বাধা দেয়।--লেট মি প্লিজ। আমি ওকে বিছানায় নিয়ে আসি। --ডোন্ট হেসিটেড। ডু হোয়াট ইউ ওয়ান্ট টু ডু----। -ও! পি! সো প্লেজা----দুজন-ই হারাই। শরীরের খাঁজে খাঁজে এত যে আনন্দ লুকিয়েছিল জানতাম-ই না। পুরোটা নিতে থাকি আমি। কত ক-ত বছর পরে আমি জানতে পারছি শরীরি আনন্দের কথা। ঠিক-ই বলেছিল শাশ্বতী--এই আনন্দের সাথে কিছুর তুলনা নেই। একবার মন থেকে করে দেখ। আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিল--শাশ্বতী দেখ আমি পেরেছি। বিকাশ হাফাচ্ছিল। আমি ওকে শুয়ে থাকতে বলি। রান্নাঘরে গিয়ে খাবার গরম করি। ওর জিনিষ গুছিয়ে রাখি ওর ঘরে। কাপড়গুলো মেশিনে ভরি। সুশান্তকে ফোন করে ওর দুপুরের ওষুধটা খেতে বলি। খুব হালকা লাগছিলো। দেরি হয়ে যাবে। নইলে শুয়ে থাকতাম একটু।
পর পর আটদিন। আমি আর বিকাশ শরীরের আনন্দ খুজেছি। সে এক নতুন জীবন যেন আমার। জরুরী কাজকর্মের সেরে নিয়েই আমরা আমাদের শরীরের ডিংগা ভাসাতাম। ডুবতাম, সাঁতরাতাম, কখনো হালকা ছোঁয়াছোয়ি। শরীর থাকত-ই।এমন কোন মুহুর্ত মনে পরে না যে আমরা আলাদা ছিলাম। শাশ্বতীকে ফোনে বলি --তুই আর ভাবিস না। মেনোপজকে এবার স্বাগতম বলতেই পারি।
--মোটেই না। ডাক্তারের কাছে যাও। দেরি করো না। তাড়াহুড়ো করো না এত। --কেন? পন্ছাশে পড়লাম তো। আর কি!
--আমি তো ডাক্তার নই। একবার কথা বলে দেখো। বিকাশ এখন থেকে দুবার তোমার কাছে আসবে। লিখে রাখো
--কী বলছ? বিদেশি ছেলে। ওর কি আর ওসবের অভাব ?
--অভাব হয়তো নেই। কিন্তু সেক্স নতুনত্ব চায়। আমাদের মত ম্যাচিওর, কেয়ারিং লেডি চায়।
বিকাশ চলে যাবে। ওর জিনিষ গুছিয়ে দিই। কী চাই জিজ্ঞেস করি বার বার। পালং পনীরের বাটিটা ব্যাগে ভরে দিই। ওর খুব ভালো লেগেছে। আমার দিকে তাকায়। --আমি চলে গেলে কাঁদবে না কিন্তু। আমি আবার আসবো। চুমা খায় দুগালে। চলো, বিছানায় যাই। --দেরি হয়ে যাবে। রাস্তায় জ্যাম থাকতে পারে। রিস্ক নিও না।
--হবে। চলে এসো। আমি সম্মোহনের টানে আবার হারাই। লাভ-মার্ক একে দেয় বিকাশ আমার গলা-বুকের কাছে।
--আমি যখন থাকবো না দেখো। আমাকেও দাও।
--চলে যাবে যদি এলে কেন? আমি এখন কী নিয়ে থাকব।
--তোমাকে নিয়ে থাকবে। আমি একটা ইচ্ছে হয়ে তোমার কাছে এসেছিলাম। তোমার সেই ইচ্ছে নিয়ে তুমি তোমার মত থাকবে। আমার মত কাউকে কাছের করে নেবে। --সে হয় না। তোমার সাথে যা হলো
--হয়। মানুষ তো ওরকম-ই ছিলো। কানাডিয়ান উচ্চারণে ইংরাজি বলে বিকাশ। আমার ভালো লাগে।
--চলো। এবার উঠি।
রজত গাড়ি বের করে। সারা ঘর জুড়ে বিকাশের তৈরি করা কত মুহুর্ত। আমার বুক ভেংগে আসে। এই জানালার ধারে দাড়িয়ে ভোরের আকাশ দেখা, থৈ থৈ জ্যোৎস্নারাতে ছাদে বসে গান শোনা, উঠোনের দোলনাতে বসে বসে বিকাশ বই পড়ত--এমন ক-ত স্মৃতি আমরা দুজন মিলে বানালাম। আজ সব কিছু সঁপে দিয়ে বিকাশ কোথায় চলে গেলো! কেন এই যাওয়া ! ও কি থেকে যেতে পারত না আমার কাছে ! সুশান্তদের মুখ ভাসে। আবছা হয়ে যায়। উজ্জল হয়ে উঠে বিকাশের মুখ, গাল, ঘাড়, বুক সবকিছু। আমি নিজেকে সামলাতে পারিনা। হাত দেখাচ্ছিল বিকাশ। আমি স্থির। স্ট্যাচু। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকি। ঘরের ভিতরে আসার ইচ্ছে করে না। মেসেজ আসে--ওমন করে দাঁড়িয়ে থেকো না। আসব আবার তোমার কাছে। তোমার বিকাশ। আমি হু হু করে কেদে উঠি। বলি--এক্ষুনি ফিরো। আমার কিছু ভাল লাগছে না। না। জোরে বলি না। মেসেজও পাঠাই না। নিজেকে সামলাতে থাকি।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
অসীম পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: মারাত্মক গল্প .....।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৫
অসীম পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ।
লেখিকা প্রথা-ভাঙা লেখনিতে বিশ্বাসী। একারণেই তিনি আমার প্রিয়।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: ৫০ বছরের কোন বুড় হাবড়ার সাথে ১৬ বছরের কোন কিশোরীর যৌন মিলন মানে ধর্ষণ - শরীরের চাইতেও তাতে মনের ক্ষতি বেশি - এর মধ্যে কোন নান্দনিকতা বা সাহিত্যের উপাদান খোজা অপরাধ। আমার ২৪ বছর বয়সে যদি ৫০ বছরের কোন বুড়ি মাগীর সাথে এই অভিজ্ঞতা হতো, তবে সেটা আমার জন্য এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের কারণ হতো, তা সে বুড়ি মাগীর যতই পুলকানুভুতি হোক না কেন ।
অার লেখকের কাজ দেখা, অনুভব করা, লেখা । প্রথা-ভাঙ্গা উন্নত এবং সবল চরিত্রের মানুষের কাজ - মাগী বা মাগীবাজদের কাজ নয় বলেই মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ