নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইদের শুভেচ্ছা

শামীম শাহ

শামীম আহমেদ

শামীম শাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাগ

২২ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

সুসম্পর্ক নষ্ট করার অন্যতম কারন হচ্ছে রাগ।

ঘনিষ্ট বন্ধুর মধ্যে ক্ষনিকেই দুরত্ব সৃষ্টি করে দেয় রাগ। নামমাত্র রাগের কারনেও হঠাৎ করে আপনাকে একা করে দিয়ে হারিয়ে যেতে পারে আপনার কাছের মানুষগুলো।
তাই রাগ যতদ্রুত সম্ভব নিয়ন্ত্রন করা উচিত।
এমন কিছু রাগ আছে, যা মানুষ প্রকাশ করতে পারেনা। রাগ আস্তে আস্তে রূপ নেয় জেদে।
একসময়ে সেই রাগের প্রকাশ হয় প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে। ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় নিজেকেই...

ধরুন,
বয়ফ্রেন্ড/ গার্লফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন, ঠিক এই সময়ে তার একটা ফোন আসলো। এবং কথা বলার জন্য আপনার কাছ থেকে সে একটু দূরে সরে গেলো। আপনার কেমন অনুভুত হতে পারে?
এই রাগ প্রকাশ করা যায়না। মনে মনে জ্বলে পুড়ে ছাই হবেন কিন্ত প্রকাশ করতে পারবেন না।

অথবা
আপনি কাউকে একশ টাকার একটা নোট দান করলেন। দান করার পর এই টাকার সম্পুর্ন মালিক সেই ব্যাক্তিই। এই একশ টাকা সে যা ইচ্ছে করতে পারে।
কিন্ত যদি এমন হয়, আপনার দানের একশ টাকার নোটটা কিছুদুর গিয়েই সে ছিঁড়ে ফেললো।
কেমন অনুভুত হবে?
মনে মনে জ্বলবেন। কিন্ত কিছুই করার নেই। কারন আপনি এখন আর সেই টাকার মালিক নন।
কথায় আছে 'রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন'
রাগ আপনার পরাজয়ের একমাত্র কারন হতে পারে। রাগে মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে যায়। আত্মনিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। আপন ভাষা বেরিয়ে পড়ে মুখে।
অতিরিক্ত ভদ্র মানুষরাও গালি দেয় তখন !

রাগের সময় এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনলে নাকি রাগ কমার সম্ভাবনা আছে।
গণনায় ভুল হলে রাগ আরো বাড়তে পারে বলে আমার ধারনা !!
আবার বলা হয় মাটিতে শুয়ে পড়লেও রাগ কমে যায়। হুম... হতেও পারে !
কিন্ত রাগের সময় মাটিতে কেউ শুয়ে রাগ কমানোর চেষ্টা করবে বলে মনে হয়না।

আবার কেউ কেউ সিগারেট খেয়ে টেনশনমুক্ত হওয়ার অপচেষ্টা করে। সিগারেটের এই খোঁড়া যুক্তিটি একদম ভুয়া এবং কুবুদ্ধি। সিগারেট টানার বাহানা মাত্র। এতে রাগ কমেনা; বরং সিগারেট টানলে রাগ আরো বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। মহিলারা স্বামীর সাথে রাগান্বিত হলে বাচ্চাদের পিটুনি দিয়ে রাগ প্রকাশ করে থাকে। এভাবে স্বামীকে শিক্ষা দেয়া হয়। আবার স্বামীরাও স্ত্রীদের উপর রাগান্বিত হলে একই কায়দায় বাচ্চাদের পিটুনি দেয়। পাটা আর পুতার ঘঁষাঘঁষিতে মরিচের অবস্থা ডিজেল !
আমার এক বন্ধু তার ক্লাসমেট-এর সাথে ঝগড়ার পর রাস্তায় হাঁটছিলো। হঠাৎ এমন একজন তার সামনে এলো যার চেহারার সাথে তার ক্লাসমেট-এর চেহারার প্রায় মিল আছে।
ব্যাস... দিলো পিটুনি !!

রাগের সময় এমন কোনো আচরন করবেন না, যার জন্য পরে অনুতপ্ত হতে হয়।
সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি এদিক সেদিক কিছুক্ষন পায়চারী করতে পারেন। এতে করে আপনার গোবরে মাথায় ভালো কোনো সমাধানও বেরিয়ে আসতে পারে।

তবে রাগের সময় যতটুকু সম্ভব চুপ থাকা উত্তম ^_^

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.