নব্য রাজাকারদের যুক্তিতে হাসি পায়.।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

আজ সকালে প্রেজেন্টেশন ছিল ক্যাম্পাসে। ভালভাবেই করলাম। নীচে এসে সিগারেট এ দুই টান দিতে দিতে আরম্ভ হয়ে গেল নব্য রাজাকারদের ম্যাতকার। ওরা জানে আমরা কিছু বন্ধুরা সময় পেলেই প্রজন্ম চত্বরে যাই। তাই এসে শুরু করল অইসব কথাবার্তা যা সাধারনত ছাগু পেজে পাওয়া যায়। অসব লিখে আর পোষ্ট বড় করতে চাইনা। প্রথম প্রথম ঠাণ্ডা মাথায় শুনলাম সব। এরপর শুরু হল আমার পালা। এক এক করে সব অপপ্রচারের জবাব দিতে থাকলাম। এক পরযায়ে দেখি আমি একা আর ওরা প্রায় চার পাঁচ জন। এমন সময় আবির্ভাব হল দাদা জুয়েল আর আমার বন্ধু অনির। ত্রিমুখি কথার আক্রমনে ছিন্ন ভিন্ন করতে লাগ্লাম ওদের অপবিত্র চিন্তাধারা। আমাদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন বন্ধু যোগ দিল আমাদের সাথে। এক পর্যায়ে ওরা পিছুটান দিল। শেষে বললাম ওদের, বন্ধুরা সময় আছে এখনও। তোমরাও দলের অপেক্ষায় না থেকে আন্দোলনে যোগ দাও। নয়ত সারা জীবন অনুশচনায় ভুগবে। কয়েকজন বলল, ' এইসব ছাত্রধল এর কুলাঙ্গার গুলারে বাইন্ধা পিটানর দরকার।' জুয়েল বলল আমাদের আন্দোলন অহিংস তাই উত্তেজনার বশে এইসব করা উচিত হবেনা। আমিও তাতে সায় দিলাম।



ফেরার সময় ওই নব্য রাজাকার গুলার একজন বলল, ' গায়ের জোরে যুক্তি দিয়ে যেতার নাম জয় না। ' মুচকি হেসে জবাব দিলাম ;গায়ের জোরেই যদি জিততে চাইতাম তবে তোদের আর এখানে দাড়িয়ে কথা বলা লাগতনা। আমরা বাঙালি, ভাল হতে সময় দেই। আর তোরা পাকি স্টাইল এ গায়ের জোরে কথা বলিস। এখনও সময় আছে আলোর পথে আয়। যে মাটিতে জন্ম তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিসনা।'

৮ টি +১/-১