![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাসে যে একজন মানুষ নির্বিচার মিথ্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি স্ট্যালিন। সম্ভবত ইস্পাতের মতো মানুষটিকে জীবদ্দশায় টলাতে না পেরে মৃত্যুর পর সবাই উঠে পড়ে লেগেছিলো তার বিরুদ্ধে। ইন্ডিয়ানা জোনস সিরিজের কিংডম অব দ্য ক্রিস্টাল স্কাল সিনেমাটি থেকে শুরু করে ইতিহাসের বই, পোস্টার, কমিকস হেন কি হয়নি স্ট্যালিনকে ভিলেন বানাতে! বেশ কয়েকটা পশ্চিমা ইতিহাসের বইয়ে দেখেছি রুশ বা চীন বিপ্লবকে স্বাভাবিকভাবে বর্ণনা করলেও স্ট্যালিনকে উপস্থাপন করা হয়েছে নেতিবাচকভাবে। দুনিয়া জুড়ে স্ট্যালিন বিরোধী প্রচারনা সম্ভবত হালে বেশি পানি পেয়েছিল নিকিতা ক্রুশ্চেভের স্ট্যালিন বিরোধী অবস্থান এবং অভিযোগের ভিত্তিতে। ১৯৫৬ সালে ক্রুশ্চেভ স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ করে একটি ভাষন দিয়েছিলেন। অনেক বছর পর স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে ক্রুশ্চেভের করা সেসব অভিযোগ যাচাই করতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এর গোপন আর্কাইভে অনুসন্ধান শুরু করেন মার্কিন অধ্যাপক এবং গবেষক Grover Furr গ্রোভার ফার। গবেষনা আর অনুসন্ধানের পর গ্রোভার নিশ্চিত করেছেন ক্রুশ্চেভ ১৯৫৬ সালের ভাষনে স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ (৬১ টি অভিযোগ) করেছিলেন তার প্রত্যেকটি সর্বৈব মিথ্যা।এ গবেষনার ফলাফল নিয়ে গ্রোভার ফারের বই ‘Khrushchev Lied’ প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে।বইটা গতকাল হাতে পেলাম। ৪০০ পাতার বইটিতে ক্রুশ্চেভের প্রত্যেকটি অভিযোগকে দালিলিক প্রমানের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমান করেছেন গবেষক গ্রোভার ফার।
বইটির ১২৪ নং পৃষ্ঠায় ‘স্ট্যালিন তার নিজের মূর্তি স্থাপনের আদেশে সাইন করেছিলেন’- ক্রুশ্চেভের এমন একটি অভিযোগকে খন্ডন করেছেন গ্রোভার।ভাষনে ক্রুশ্চেভ বলেছিলেন, “It is a fact that Stalin himself had signed on July 2, 1951 a resolution of USSR Council of Ministers concerning the erection on the Volga-Don Canal of an impressive monument of Stalin; on september 4 of the same year he issued an order making 33 tons of copper available for the construction of this impressive monument.’’ এ অভিযোগটির প্রেক্ষিতে গ্রোভার জানাচ্ছেন- প্রথমত, স্ট্যালিনের স্বাক্ষর করা এমন কোন নির্দেশনা ক্রুশ্চেভ উপস্থাপন করনেনি। স্ট্যালিনের ক্রেমলিন অফিসের ভিজিটর জার্নালে দেখা যায়, ১৯৫১ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্ট্যালিন অফিস করেছিলেন ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট। এসময় ক্রুশ্চেভ সহ প্রেসিডিয়াম স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।এখন স্ট্যালিন আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন এমন কোন দলিল নেই। আর সে সময় স্ট্যালিনের স্বাক্ষর যুক্ত দলিল থাকলেও সন্দেহমুক্ত হওয়া যায় না। কারন ১৯৫১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পলিটব্যুরো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, প্রয়োজন হলে স্ট্যালিনের অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষরের রাবার স্ট্যাম্প ব্যবহার করে প্রেসিডিয়াম কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।পুরো বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয় একই বছর ৪ সেপ্টেম্বর ৩৩ টন কপারের ব্যবস্থা করা নিয়ে স্ট্যালিনের আদেশ প্রসংগে।ভিজিটর বুক থেকে জানা যায়, ১৯৫১ সালের ১০ অগাস্ট থেকে ১৯৫২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্ট্যালিন ছুটিতে ছিলেন। ভিজিটর বুক নিশ্চিত করে ১৯৫০ সাল থেকে স্ট্যালিন অফিসের কাজ কমিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে তিনি অফিস করেন ৭৩ দিন, ১৯৫১ সালে ৪৮ দিন এবং ১৯৫২ সালে ৪৫ দিন।এ সময় সব কাগজও স্ট্যালিন পড়তেন না।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১১
ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: সম্ভবত ইস্পাতের মতো মানুষটিকে জীবদ্দশায় টলাতে না পেরে মৃত্যুর পর সবাই উঠে পড়ে লেগেছিলো তার বিরুদ্ধে
লেখাটা ভাল্লেগেছে, অর্ণব! তোমার নেক্সট বইয়ের থিম কি এটা? আরো লেখা আসতে থাকুক!
শুভেচ্ছা!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
শানজিদ অর্ণব বলেছেন: ছায়াপাখির অরণ্য, ধন্যবাদ। না বইয়ের টপিক না। এমনি সংগ্রহের বই। তবে স্ট্যালিনকে নিয়ে দূর ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা আছে। এখন শুধু বই সংগ্রহ করছি।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: জেনে ভাল লাগলো!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: স্ট্যালিন কী জিনিস ছিলেন এই ডকুমেন্ট্রিতে দেখুন...
The Soviet Story
View this link