নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দী গানের ভুত বিষয়ক

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এটা একটা লুতুপুতু মার্কা হিন্দী গান/প্রেম ভালোবাসা বিষয়ক ঐতিহাসিক লম্বা গল্প (১৭৪৬ শব্দ; পরে কোন অভিযোগ টিকবে না। আপনাকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল)।



আমি হিন্দী ভাষা বুঝতে, শুনতে শুরু করি ক্লাস ফাইভে থাকতে থাকতেই। সেই বছর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল আমার জীবনে। আমি মোটর সাইকেল চালানো শিখে ফেলেছিলাম। অনেকটা জেদের বসেই। সে গল্প অন্য কোনদিন করা যাবে। আমার শৈশব, কৈশোরের বেশিরভাগ কেটেছে উত্তরবঙ্গে। সেটার অনেকগুলো ভালো দিক যেমন ছিল, তেমনি খারাপ দিকও ছিল। এর মধ্যে প্রধানতম ছিল, ঢাকা থেকে দূরে থাকা। মানে নিজের দেশ থেকে ভিন্ন একটা দেশে থাকার মত কষ্ট আরকি। কারণ “সবকিছু” তো তখন ঢাকাতেই হত।



জেমস-বাচ্চু-মাইলস এর কনসার্ট কিংবা ফিডব্যাকের বঙ্গাব্দ এ্যালবামের রিলিজ, সবই দূর থেকে শোনা, মাঝে মাঝে দেখা। এর মাঝে বাৎসরিক চমক হিসেবে টাউন হলে তারেক মাসুদ এর, “মুক্তির গান”, “মুক্তির কথা” দেখা একটা দূর্লভ উপহারের মত; সত্যিকার “আর্টকালচারের” স্বাদ যেন।



মনে পড়ে দেড়শ টাকায় সেই ভিডিও ক্যাসেট কিনে বন্ধুদের বলে বলে এবং কখনো দেখিয়ে নিজেকে বাংলার আপামর সংস্কৃতির ধারকবাহক হিসেবে প্রমাণ করতে পেরে আমার যার পর নাই গর্ব হয়েছিল।

মানে আমার বাসায় তখন একটা ভিসিপি ছিল (ফুনাই)। পারিবারিক সম্পর্ক কিংবা ইতিহাসের জের যে কোন কারণেই হোক ঢাকার সাথে আমার সম্পর্ক চারপাশের সবার চাইতে একটু বেশিই ছিল।



সত্যিকারে ঢাকা যেন ভুলে না যাই তাই বছরে দু-তিনবার ঢাকায় যাওয়া হত বটে কিন্তু মনে রাখতে হবে তখনো যমুনা সেতুটি হয়ে ওঠেনি। তবে ঢাকার সাথে যোগাযোগের রেশ মন্দ ছিলনা, বেশ একটা আলাদা গুরুত্ব পেতাম। কিন্তু আদতে আমি মফস্বলের একটা কিশোরই ছিলাম।



তো যে গল্পটা করার জন্য এত প্রিলিউড দিলাম তা এবার শুরু করি। উত্তরবঙ্গ কিংবা সীমান্তবর্তী শহরগুলো একটা দিক দিয়ে তখনো ঢাকা থেকে এগিয়ে ছিল। আর সেটি ছিল, হ্যা আপনারা ঠিকই ধরেছেন, বিনা পয়সায় ভারতীয় চ্যানেল ডিডি ওয়ান, ডিডি সেভেন এবং ডিডি মেট্রো দেখতে পাওয়া (ডিডি=দূরদর্শন)।



“এক পাল হ্যায় জিন্দেগী, এক পাল কুচভি নেহি”। এই গানটা মনে পড়ে কারো? এটা শোভা দে বিরচিত, “স্যোয়াভিমান” মেগা সিরিয়ালের। সালটা ১৯৯৫। এটা আমেরিকান, “ডাইনেস্টি”র আদলে গড়া, ভারতীয় ভার্সন। মূল “ডাইনেস্টি” কিন্তু আমেরিকান, বিরাট বিরাট বড়লোকের কাহিনী; চলেছিল ১৯৮১ থাকে ১৯৮৯। বাংলাদেশে প্রচারিত হয়েছিল প্রায় সমসাময়িক সময়েই। ভারতীয়টার ডাইরেক্টর মহেশ ভাট। মনোজ বাজপেয়ীর উত্থান এটা দিয়েই। বহুল আলোচিত, “শান্তি: এক আউরাত কি কাহানী” তেই কিন্তু মন্দিরা বেদীর উত্থান। সালটা ১৯৯৪। ফলে খুব গুরুত্বপূর্ণ; মানে পয়েন্ট টু বি নোটেড যে এই উত্তরবঙ্গ কিংবা সীমান্তবর্তী শহরগুলোর ছাদে ছাদে লাগানো উঁচু বাঁশের উপর সঠিকভাবে এন্টেনা ঘোরানো এবং ঠিকঠাক চ্যানেলগুলো ধরতে পারা একটা বিশেষ দক্ষতা হিসেবে বিবেচ্য ছিল।



তারমানে এটাও যে, সেই সময়কার কিশোর-কিশোরীদের জীবনে এই ভারতীয় গান, সিনেমা, সিরিয়ালের প্রভাব প্রবলভাবেই ছিল এবং অন্য সকল জেলার চাইতে বহুগুণে বেশিই ছিল। ঢাকার থেকে তো বটেই।



তো মূল ঘটনা এখান থেকেই। আমার বন্ধু সাগর যখন কুমার শানু, অলকা ইয়াগনিক আর হিন্দী গানের নেশায় ক্যাসেট কিনে কিনে পাগল, তখন আমি আবার ডেক সেটে ব্রায়ান এডামস, রিচার্ড মার্ক্স, মার্ক নফলার, গানস এন্ড রোজেস শুনি।



চামে চিকনে, “ইউ ফিল আপ মাই সেন্সেস” মুখস্ত করার চেষ্টাও করি। কারণ একটাই হাই কালচারকে ধরে তো রাখতে হবে কারো, এছাড়া মেয়েদের ইম্প্রেস করার বিষয়টা নাহয় এবেলা চেপেই গেলাম। হিন্দী গান কত ক্ষ্যাত, আর আইল টাইপ, খালি লুতুপুতু (আই মিন ইট, ছোটবেলায় আমার এটাই মনে হইত)। সাগর সাইকেল চালায়া প্রাইভেট পড়তে যায় কিন্তু, “সোহাগী” (একটা কাল্পনিক নাম) রে প্রোপোজ করতে পারেনা। আমরা পরস্পর গম্ভীর আলাপ করি, ক্যাসেটে কোন কোন গান রেকর্ড করে ওরে প্রোপজ করা যায় তার প্ল্যান করি দুজনা। কিন্তু সাগর কিছুতেই ইংলিশ গান দেবেনা, এটাতে বলে আবেগ কমে যায়। মর জ্বালা। আমার হিন্দী গানের প্রতি কোনরকম আগ্রহ তৈরি হয়না। সাগরের সাথে বন্ধুত্বও ফিকে হয়ে যায়। নতুন বন্ধু হয়, ওর নাম মনে করি, মাহফুজ। সে আবার আমার আরেক বন্ধুর প্রেমে হাবুডুবু, ওর নাম মনে করি মুমু। আমি মাহফুজ আর মুমুর জন্য জান কোরবান। মাহফুজ খুব গোছানো ছেলে, স্পাইরেল করে চিঠি, কলম, কার্ড আর ক্যাসেট একটা দারুণ প্যাকেটে র‌্যাপ করে দেয়; আমি সেটা মুমুকে পৌছে দেই। মুমু আমাকে চিঠির কথা কিছুটা বলে কিছুটা বলেনা। সবটা শোনা আমার এক্তিয়ারে না এটা বুঝতে পারি। ওদের কাছে নিজেকে কেমন জানি ছোট ছোট লাগে। সব মেয়েরাই আমার ফ্রেন্ড হয়, বাট অন্য কিছু হয় না।



আমি তবুও নিষ্ঠার সঙ্গে ইংরেজি গান শুনে যাই, ইংরেজি সিনেমা দেখি, ইংরেজি সিরিয়াল দেখি। আমাকে হাই কালচার রক্ষা করতেই হবে।



এর মধ্যে একদিন প্রাইভেট পড়তে যেয়ে আমি তো ধাক্কা, মানে পুরাই চিৎপটাং, আমার সামনে কে এই মেয়েটা, এত সুন্দর। বেছে বেছে ঠিক আমার বিপরীত বেঞ্চেই বসেছে। ওহ!! কি তার চোখ, কি তার চাহনী। একটা শান্ত নদী যেন এবং তারচেয়েও শান্ত একটা চাপা অহংকার, ভদ্র; বিনয়ী কিন্তু ভীষণ গৌরবমন্ডিত অহমের বলয় যেন চারপাশে। বাড়তি হিসেবে সেই রকম ভালো ছাত্রী।



ভালো ছাত্রী আর অহমের মিশেল হয় কালাশনিকভের মত। কিছু বলার আগেই ঠা ঠা ঠা।



বন্ধুদের কাছে জানতে পারলাম তার নাম “কাকলী”। আর সেই মুহুর্ত থেকে আমার চারপাশে একটাই গান, “কাকলী কাকলী সুইট কাকলী, এন্ড কাকলী কাকলী হোয়াইট কাকলী”। ও বেশিরভাগ সময় সাদা জামা কাপড় পড়ত, তাই এই নাম। আমার গোছানো বন্ধুর সাথে তার আবার ব্যাপক খাতির। আর তাই প্রাইভেট শেষে মাহফুজকে বলা আমার প্রথম কথা হল, “দোস্ত কই থাকে?”। জানতে পারলাম আমার বাসার কাছেই। মনটা উড়ু উড়ু হয়ে উঠল, দৈবের একটা ইঙ্গিত আমি সরাসরি দেখতে পেলাম। আগ বাড়িয়ে নিজেই পরিচিত হলাম, আর তখন থেকেই মনে হতে শুরু করল, ঘটবে এবার কিছু ঘটবেই ঘটবে।



আমার গোছানো বন্ধু মাহফুজকে আমি বলি, “কি পছন্দ করে”? ও, অমোধ বানীর মত বলল “হিন্দী”। আমি তিন লাফ দিয়ে বললাম, আলবৎ; ঠিকিই তো। ভালো মেয়েরা হিন্দী গানই শোনে। অনেক হল ইংলিশ আসল গান তো হিন্দী। মেয়ে বন্ধুত্বে রীতিমত বিরক্ত আমি তাই এবার বললাম, “বন্ধু এবার তোমার হিন্দী পদ্ধতিই সই।“ আমার হিন্দী গানের তালিম শুরু হল। জগতের যত রোমান্টিক হিন্দী গান আছে সেসব কিনে আমি ভরিয়ে ফেললাম ক্যাসেটের র‌্যাক।





“ক্যায়তাহে পালপাল তুমসে, হো কে দিল এ দিওয়ানা,” “প্যায়ার কে লিয়ে চারপাল কাম নেহি থে”, “ধীরে ধীরে আপ মেরে” দিন রাত শুনি আর মনে মনে বলি, “কাকলী কাকলী সুইট কাকলী”। কিন্তু সামনা সামনি দেখা হলে কিছু বলতে পারিনা, বিরাট ভাব নিয়ে থাকি এবং বরাবরের মত ব্যর্থ হই। কাকলী আমাকে এক চাহনীতে মাটির নীচে মিশিয়ে দেয়।



কিছুই বলতে পারিনা। আমি হিন্দী গানের আরো ভক্ত হতে থাকি। এমনকি পাড়ার বিভিন্ন আয়োজনে, “হাম্মা হাম্মা” এবং “মুকাবিলা, মুকাবিলা ও লায়লা” নেচে আসর মাত করে দেই। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। আমি মাহফুজের কাছে কাকলীর মনের কথা জানতে উদগ্রীব হয়ে থাকি। বন্ধু মহলে আমার গুরুগিরি একেবারে তলানীতে যেয়ে ঠেকে। মানব মনস্তত্বে আমার আগ্রহ প্রগাঢ় হয়, আমি আরো বুঝতে চেষ্টা করি এবং বরাবরের মত কিছুই বুঝে উঠতে পারিনা।



অবশেষে মাহফুজ একদিন ইতিহাসের দুঃসহতম খবরটা আমাকে দেয়। কথাচ্ছলে একদিন কাকলী তাকে জানিয়েছে যে সে, প্রধানত নিজের ক্যারিয়ার নিয়েই এখন ভাবতে চায়, তার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া এবং বাবামার পছন্দে নিজ ধর্মের কোন লোককেই সে বিয়ে করবে। সমবয়সী কারো কথা সে কল্পনাও করেনা, অন্যধর্ম তো সম্ভবই না। কাকলীর এই ম্যাচিওরিটিতে আমি যুগপৎ মুগ্ধ এবং বিদ্ধস্ত হই। নিজে কেন যে সেই ধর্মের হলাম না এবং তখনো লোক হয়ে উঠলাম না, তা নিয়ে আমার অনুশোচনা চলতেই থাকে।



কিন্তু এটা থেকে আমার একটা শিক্ষা হয়, যেই শিক্ষা অনেক বছর পরে আমার এক ক্লাসমেটকে আমি বলি। যে কিনা তখন একটি নেপালী মেয়ের প্রেমে হাবুডুবুজুবুথুবু হয়ে পড়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, “ভীষণ শক্তিশালী প্রেম আর মনের অধিকারী না হলে, নিশ্চিত থাকো তার সাথে তোমার কোন সত্যিকারের সামাজিক সর্ম্পক হতে যাচ্ছেনা।“ আমার ভবিষ্যৎবানী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছিল। মেয়েটি কোর্স শেষ করেই, তার জন্য পূর্বে ঠিক করে রাখা নেপালী ছেলেটিকেই বিয়ে করে, এবং এখনো সুখে শান্তিতে ব্যাংককে হানিমুনের ছবি দিয়ে ফেইসবুক সম্মৃদ্ধ করে চলেছে। হয়ত আগে কথা দিয়ে না রাখলে মেয়েটি এই বাঙ্গালী ছেলেটিকেই বিয়ে করত। কিন্তু রাষ্ট্র ও পুরুষতন্ত্রের সীমানা এত পোক্ত যে এটা করতে হলে তাকে ভীষণ শক্তিশালী হতে হোত এবং সেটা বহন করতে এই বাঙ্গালী পুরুষটিরও অনেক জোর লাগতো।



ফিরে আসি হিন্দী গানে, কাকলী তো সেই যে অধরাই রয়ে গেল; কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেল হিন্দী প্রেমের গান শোনার অভ্যাস, সেটাতে তার কোন দোষ নেই বটেই। কিন্তু একটুও কি নেই? আমি আবার ইংরেজী এবং বাংলা ব্যান্ডে ফেরত গেলেও, হিন্দী গানের অভ্যাসটাও রয়েই গেল। যদিও এই অভ্যাস পুরোপুরি পোক্ত হয়েছিল আমার সত্যিকারের প্রথম প্রেমিকা কতৃক, আর গানটা ছিল, “যারা যারা ব্যাহেকতা হ্যায়”।



তো সেই উত্তরবঙ্গের ইতিহাসের পাট চুকিয়ে কাল পরিক্রমায় আমি হাই কালচারের ঢাকায় এসে ঢুকলাম। স্থায়ীভাবে নিজের দেশে ফিরলাম।



কিন্তু হায়, আমার ফেলে যাওয়া ঢাকা, যেখানে ওপেন এয়ার কনসার্ট, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড কালচার, বাংলা আর্ট কালচার হত তা ইতিমধ্যে হিন্দীজ হতে শুরু করেছে। পুলাপাইন হিন্দী বলা, শোনা, বোঝাকে স্মার্টনেস ভাবছে। আগে যেখানে অন্তত স্টার মুভিজ আর বে ওয়াচ দেখতো সেখানে সনি, আহাট, সিআইডি আর সোপ অপেরা এমনকি কার্টুন নিয়ে মেতে আছে।





আমার মনে হল, ফেলে আসা মফস্বল থেকে যেন নতুন করে মফস্বলে ঢুকলাম। হিন্দী মফস্বল কবে শেষ করে এসেছি। তবে সেই মফস্বল ঠিক জানতো কোনটা নিতে হবে এবং সেটা পেতো না বলে যা পেত তাই নিত। এই মফস্বল তো যা নিতে হবেনা সেটাকেই দিনরাত ট্রেন্ড আর স্মার্টনেস বলছে। এই নতুন মফস্বল তো আমার ফেলে আসা মফস্বলেও চাইতেও অন্ধ। যদি বাইরের কিছু নিতেই হয় তাহলে অন্তত আমেরিকানটাই নেয়া শ্রেয়তর না? আশির দশক তো পুরোটাই এটাই ছিল। ভারতীয় আমেরিকান নিয়া আমার লাভ কি? আমার মফস্বলী মন বারবার এই প্রশ্ন করে। আবার এই প্রশ্নটাও করে; বাজার এখন এমন যে আমেরিকানও নিয়মিত ইন্ডিয়ান হইতে চায়। ইন্ডিয়ান সিনেমায় বিদেশী মেয়ে নাচে, ইন্ডিয়ান ইন্ডাষ্ট্রীতে পশ্চিমা পর্ণ তারকা মাইগ্রেট করে। হলিউডিতে ইন্ডিয়ান নায়ক অভিনয় করে। ঘটনা যদি বাজারেরই হয় তাহলে প্রথম প্রশ্ন জাগে এই বাজারে বাংলাদেশ কই? কতদূর পর্যন্তই বা বাজারে না ঢুকে থাকতে পারবো? নিজের বাজার না তৈরি করলে তার ভবিষ্যৎই বা কি?



কথা ছিল লুতুপুতু মার্কা হিন্দী গান/প্রেম ভালোবাসা বিষয়ক ঐতিহাসিক গল্প করবো, হ্যা হ্যা সেখানেই ফিরে আসছি। হিন্দী গান শোনার অভ্যাসতো এখনো যায় নাই, আর তাই আর রাজকুমারের, “ধোকাধারী” গানটা বেশ ভালো লাগছে শুনতে। কিন্তু কয়েকবার শোনার পরে, গানের মাঝখানে “টিডিক টিডিক টিক” ছন্দটা আসার সাথে সাথে পেটের মধ্যে গুরগুর করে উঠছে। কোথায় এটা শুনেছি, এইভাবে শুনেছি। কিন্তু কোনভাবেই মনে পড়ছে না। তিনদিন ধরে ঢেকুঁর উঠতেই থাকলো কিন্তু না, কোনভাবেই ইয়াদ হচ্ছে না। হচ্ছে না হচ্ছেই না। অবশেষে তিনদিন এবং অর্ধেক রাতের কোতাকুতি শেষে মনে পড়ল আরেএএএএএএ……..তাইতো….সেই তো……….এটাই তো………..



আবার সেই কাকলী পর্ব। যখন কাকলীর পরোক্ষ প্রতিরোধে প্রতিবিপ্লবী হয়েও কূল কিনারা করতে পারছিলাম না তখন নিজের আত্ম মর্যাদার আশ্রয়ের জন্য একটা গান মনের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, দিল জালে সিনেমার “হো নেহি সাকতা নেই এ হো নেসি সাকতা”। সময়ের তোড়ে একদম ভুলে গিয়েছিলাম। সালটা ১৯৯৬, উদিৎ নারায়ণ। অজয় দেবগণ এবং সোনালী বান্দ্রে। আরে তাইতো এখানেও সেই, “টিডিক টিডিক টিক” ছন্দটা। আরে এটাই তো আদী। খুব উৎফুল্ল হলাম সংযোগটা উদ্ধার করতে পেরে। এনজয় করলাম বেশ। তবে বেশিক্ষণ না। না না কাকলীর উপর কোন অভিমান নেই। শুনেছি ও লন্ডনে, ডাক্তার হওয়াটা সম্ভবত সম্পূর্ণ হয়নি, ভালো পাত্রের সাথে ভালো পাত্রী হয়ে গিয়েছিল বিদেশ। এরপর খবর জানিনা।



মূল কথাটা হল, এই গানটাও ভীষণ ডিরোগেটরি মিনিং এর। এখানে ভিডিওতে তথাকথিত এক নারীর সৌন্দর্যের পাল্লায় অন্য একজন স্থুলকায় নারীকে গণহারে অপমান করা হয়েছে এবং সেটাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। এই চিত্রকল্পটা ছাড়া শুধু গানটা আমার বেশ লাগলো, সুরেলা। কিন্তু গান যত সুরেলাই হোক, বাজারই তো। থাকতে হলে বরং বাংলা গানের বাজারে থাকি, বেশি করে থাকি। বাংলা গানের বাজার বাড়াই, আমেরিকা-ইন্ডিয়া ছাড়া তো অন্য দেশের গান আর সংস্কৃতি ভাষা আছে সেগুলো শুনি, শিখি, জানি। নিজেরটারে সম্মৃদ্ধ করি।





বাংলা সিনেমার অসাধারণ সব গান

বাংলা সিনেমার অসাধারণ সব গান নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন ব্লগার সুত্রধর। এই তার পোষ্টের লিংক:

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ ভাবুক মানুষদের নস্টালজিয়াতে ভোগায় । খুব খোলামেলা বলেছেন এবং বুকের ভেতরের ভারটা নামিয়ে দিতে পেরেছেন মনে হয় । গান যারা না শোনে তারা সৃষ্টির ডাক থেকে বঞ্চিত এমন কি ঈশ্বর কেও গানের মধ্যে খুজে পাই । গান একটা নৈবেদ্য , প্রার্থনা !! ভালো কাটুক সময় ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এত সময় ধরে এত দীর্ঘ একটা লেখা পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

সোহানী বলেছেন: আহ্ মনে করিয়ে দিলেন সেই সব দিনের কথা............. কি দিন ছিল !!!!!! কম বেশি একই রকম ...............যাই হোক অসাধারন লেগেছে আপনার স্মৃতিচারন.......... ++++++++++++++

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা সোহানী। ধন্যবাদ এত বড় লেখা পড়ার জন্য।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ডিডি১ আসার আগেই আমরা ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম । ৮৩ সালের বিশ্বকাপ আগের প্রজন্ম থেকে আমাদের আলাদা করে দেয়- অর্থাৎ আমরা পিচ্চি ছেলেপুলেরা ফুটবল-কাবাডি ছেড়ে ব্যাট বলের এই নতুন খেলাটি শুরু করে দিয়েছি । আমাদের অগ্রপথিক স্কুল শিক্ষকেরা, খেলা দেখার ফাঁকে তারা খেলা প্র‌্যাকটিস করতেন আর আমরা পিচ্চিরা (আমি তখন সিক্স এ পড়ি) মাঠের বাইরে গড়িয়ে যাওয়া বল কুড়িয়ে এনে দিতাম । বছর দুয়েক পর আমাদের একজন শিক্ষক রেডিওতে ক্রিকেট ম্যাচ ধারাবর্ণনার কথা বললেন । কোন টিম জানি তখন ইন্ডিয়া ট্যুরে আসছে, আমরা রেডিওতে লাইভ কমেন্ট্রি শুনি । হিন্দি তেমন কিছুই বুঝতাম না, তবে ক্রিকেটিও পরিভাষা জানা থাকায় সমস্যা হতো না ।

৮৭-৮৮ সালে যখন ভিভ রিচার্ডসের দুধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইমরান খান-জাভেদ মিঁয়াদাদ আর নতুন ছোকরা ওয়াসিম আকরাম নাকানি চুবানি খাওয়ানো শুরু করে, তখনই নতুন এক প্রযুক্তি আমাদের হাতে আসে । টিভি এন্টিনার সাথে এনামেলের হাড়ি-পাতিল বেঁধে সেই খেলা টিভিতে দেখা ।

তারপর ক্যাম্পাসে থাকতেই ৯২-৯৩ সালে হলে ডিশ এলো । খেলার সাথে প্রচুর হিন্দি মুভি দেখতাম । কিছু কিছু নতুন-পুরাতন হিন্দি গানের সুর এতো ভালো লাগত- কিন্তু হিন্দি ভাষাটা আজতক বুঝিনা । মাঝে মাঝে আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করে জেনে নেই, সে তার মায়ের মত পটপট করে আমাকে হিন্দির বঙ্গানুবাদ করে দেয় ।

পোস্ট পড়ে ছেলেবেলার দারুণ কিছু নস্টালজিয়ায় ভাসলাম । ধন্যবাদ শরৎ ভাই ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা মামুন। আপনার সুবাদে আরো দুই দশক এবং ক্রিকেটের গল্পটাও জানা হল বেশ। চমৎকার একটা সংযুক্তি। আরো শুভেচ্ছা এই লম্বা লেখা পড়ার জন্য।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

রাকিবুল হাসান ২০১০ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে পুরানো দিনে ফিরে গেলাম , অনেক স্মৃতি আওড়াতে চেষ্টা করলাম । কিছু মনে আছে , কিছু মনে নেই ।আমার মনে আছে , আমি জীবনে প্রথম ভিসিআর-এ ইন্ডিয়ান সিনেমা দেখি ইশ্বরদীতে ১০টাকা দিয়ে টিকেট কেটে । মেঝেতে বসে, তা ও কোন ফ্লোর মেট ছিল না, খড়ের বিছানার উপর বসে দেখি । সে কি উদ্দাম নাচ--- ছবিটার নাম মনে নেই । আমি পুরাপুরিই ঢাকার ছেলে- ইশ্বরদীতে আমার আড্ডাখানা ছিল । সেখানে প্রচুর তাড়ি েপাওয়া যেত - সাথে ছিল কাচা ছোলা - ঝাল মিশিয়ে খেতাম । আর ও অনেক কথাই মনে পড়ে । তবে আপনার লেখাটা অনেকের স্মৃতিকেই ঝালিয়ে নিতে পারে ।

যায় দিন ভালই যায় । এটাই বোধ হয় প্রযোজ্য ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা, আমাদের সবার মাঝে নিশ্চয়ই এক একজন পুরোনো নতুন মানুষ থাকেন। আপনার স্মৃতিচারণ সেখানে এক মজার সংযুক্তি হল। ভিসিআর-এ সিনেমা দেখার উত্তেজনা আমি দেখেছি অনেক পরিচিত কাছের মানুষকে।

আপনার তারুণ্য বেশ জমজমাট ছিল, সেটাতো তো নিশ্চিত করেই বলা যায়। অনেক শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা আবারো। আপনার গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

হাসান রাজু বলেছেন: আহারে সেই দিন গুলো । আমি ছাদ থেকে হাক দিতাম "হইছে/আসছে?" ছোট ভাই উত্তর দিত"না-একবার আসছিল এখন আবার জির-জিরি" ।
ডিডি ওয়ান এ চন্দ্রকান্তা দেখতাম আর ভাললাগতো আম্রাভাতি কি কথা য়ে, চিত্রাহার, দেখ ভাই দেখ ......আরও কি কি জানি।
ভাই কি মনে করিয়ে দিলেন । অস্থির লাগতেছে ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রাজু আপনি যা যুক্ত করলেন সেটাও তো অনবদ্য, "আমি ছাদ থেকে হাক দিতাম "হইছে/আসছে?" ছোট ভাই উত্তর দিত"না-একবার আসছিল এখন আবার জির-জিরি" ।" আহা আহা। হাহাহাহাহাহা।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

হাসান রাজু বলেছেন: ৩৫ টাকায় ক্যাসেট । ১০ টাকায় ক্যাসেট রেকর্ডিং ১৫ টাকায় বাছাই রেকর্ডিং। বক্সের ভিতরে পিঁপড়ের বাসা হয়ে গেছে মাঝে মাঝে পরিস্কার করি আহা আজও সেই ক্যাসেটের মায়া ছাড়তে পারিনি ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: টিডিকে ক্যাসেট, ৯০ মিনিটের রেকর্ডিং। রেকর্ডিং দোকানে বিশাল বিলাশ দুটা স্পীকার, ইকুইলাইজারে ২০টা নব। ইয়ামাহা এ্যাম্প। আর ক্যাসেটের পেছনে লিরিকস। সেকি জোশ। এর মায়া ছাড়া সম্ভব না কোনদিনও। আমার এখনো কষ্ট হয় ভাবতে যে ক্যাসেট অবসোলিট হয়ে গেছে। কি বেদনা।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারণ স্মৃিতচারণ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এত লম্বা লেখা পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা, অনেক শুভেচ্ছা। আপনারগুলোও শেয়ার করতে থাকুন।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
গান্দী বাত, গান্দী গান্দী গান্দী গান্দী গান্দী বাত !! B-)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আন্নে এই কতা কইলেন কিল্লাই? আঁই কি কইচ্চি?

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নষ্টালজিক হলাম কিছুটা !
বাংলা গান অনেক ভালো !

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা অভি। তোমার গল্পও শুনতে চাই এবার।

১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্ট খুবই ভালো পাইলাম। নস্টালজিক অনুভব করছি। আগে টিভি ভিসিপি ভাড়া পাওয়া যাওয়ার একটা সিস্টেম ছিল। মানুষ সারারাত জেগে সিনেমা দেখত। ঘরের মহিলারা হাসি মুখে রাতের সব কাজ শেষ করে ফ্লাক্সে চা বানিয়ে দিতেন। আমরা সারারাত জেগে সিনেমা দেখতাম। প্রবল ঘুমে চোখ ভেঙে যাচ্ছে কিন্তু দেখতেই হবে, কারন পয়সা দিয়া ভাড়া আনা হইচে। কেউ ঘুমিয়ে পড়লে তারে মাথায় গাট্টা মেরে ঘুম থেকে তোলা হইত।

ডিডি চ্যানেল দেখার জন্য তখন এন্টেনার সাথে একটা ছোট ঢাকনা লাগানো হতো। এই সব এন্টেনা নাড়ানোর সিস্টেম ছিল। B-) উল্টা পালটা নাড়াইলে, বকা খাইতে হইত। উপরে ভাই যে বললেন, জির জির - ঐ একই ডায়লগ আমরাও দিতাম- হইছে হইছে, আর একটু একটু, থাম থাম! আহারে! আগে যেমনে দিসিলি তেমনে দে!!! হইছে হইছে!! আয় আয়!! B-)


বহুত হিন্দি গান ছোট কালে শুনছি। ভাই আপনার মনে আছে- তু চিজ বাড়ি হে মাস্ত মাস্ত শুইনা পোলাপাইন কি করত। বাল্যকালে আমাদের সকল প্রেমের জাতীয় সংগীত ছিল- এক লাড়কি কো দেখা তো এয়াসা লাগা

সামনের বাসার বারান্দায় কোন উপযুক্ত তরুনী দেখলেই হইছে- ঐ কে আছিস বাজাও গান- এক লাড়কি কো দেখা তো এয়াসা লাগা



তবে আপনি যে মহান বাক্যের মাধ্যমে পুরুষ সমাজের ব্যাথা তুলে ধরেছেন - তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে শরৎ দা! সব মেয়েরাই আমার ফ্রেন্ড হয়, বাট অন্য কিছু হয় না। আহা! কি নির্মম, নিষ্ঠুর অবুঝ হৃদয়ের আস্ফালন! :( তবে আশা কথা এখন সবাই সব কিছুর মধ্যেই ফ্রেন্ড ফ্লেভার চায়। B-) B-) দেখা যাক ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট হইতে পারি কিনা। B-) ;) :P :P


পোষ্টে প্লাস!! আর আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করে বলতে চাই যে বাংলা গানের বাজারে থাকি, বেশি করে থাকি। বাংলা গানের বাজার বাড়াই, আমেরিকা-ইন্ডিয়া ছাড়া তো অন্য দেশের গান আর সংস্কৃতি ভাষা আছে সেগুলো শুনি, শিখি, জানি। নিজেরটারে সম্মৃদ্ধ করি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দুঃখিত, দেরীতে উত্তর দিচ্ছি বলে। "প্রবল ঘুমে চোখ ভেঙে যাচ্ছে কিন্তু দেখতেই হবে, কারন পয়সা দিয়া ভাড়া আনা হইছে। কেউ ঘুমিয়ে পড়লে তারে মাথায় গাট্টা মেরে ঘুম থেকে তোলা হইত।" হাহাহাহাহাহাহাহা। কিযে সত্য একটা কথা। সাধারণত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই প্রজেক্ট শুরু হত। এইটারও আবার ক্রমবিভাজন ছিল, সাপের ছবি নামে একটা ক্যাটাগরি ছিল, বিশেষ করে বাড়ীর নারীদের এইটা কেন এত পছন্দ ছিল তা আমি বুঝি না এখনো। এরপরে হইত পারিবারিক ড্রামা বিষয়ক সিনেমা এবং গভীর রাত্রে আর্টি ফিল্ম। (কারণটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না, হেহেহেহেহেহে।)

আমাদের সকল প্রেমের জাতীয় সংগীত- এক লাড়কি কো দেখা তো এয়াসা লাগা এতটাই মারাত্মক ছিল যে আন্তাকসারী(অন্তরীক্ষ= অক্ষর অন্তর) নামক গানের খেলায় গড়ে ৭বার, এ দিয়ে সকল গানের শুরুত এটাই আসতো। এবং সেইগানের সাথে সাথে বিশেষ কারো দিকে তাকিয়ে গদগদ একটা ভাব করার সূক্ষ প্রচলনও ছিল।

সব মেয়েরাই আমার ফ্রেন্ড হয়, বাট অন্য কিছু হয় না। ----এই প্রসংঙ্গে এই কথাটা না বললেই নয়, "এ জ্বালা কিযে জ্বালা, বোঝে কি আর জনে...ভুক্তভোগীরাই কেবল এর বেদনা বুঝতে পারে"। যে বন্ধুরা একসময় ঈর্ষা করত, তারাই যখন যুগল হবার পর উপহাস করা শুরু করত, তার কষ্ট কেবল....এই নিষ্ঠুর পথের অভিযাত্রীরাই জানে।....


তবে সেটা ছিল একটি বিল্পবের সূচনা আর তার ফলেই, "এখন সবাই সব কিছুর মধ্যেই ফ্রেন্ড ফ্লেভার চায়।" হে কমরেড...আমাদের শ্রম বৃথা যায় নাই। যার যত বন্ধুত্ব আছে সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়, জয়ী তুমি হবেই হবে।

১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

রাকিবুল হাসান ২০১০ বলেছেন: @@অন্যমনস্ক শরৎ ঃঃ আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করবেন , ঐ সময়টাতে যারা বয়স্ক ব্যাক্তি ছিলেন, তারা ও হয়তো আজ আর জীবিত নেই । যেমন , আমার বাবা-মা দু’জনেই নাই । ওনারা ও আমাদের এই নস্টালজিকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দুঃখিত, দেরীতে উত্তর দিচ্ছি বলে। রাকিবুল, একদম ভেতরের কথাটা বলেছেন। আমাদের এই সবকিছুই তো তাঁদের সাথে জড়িত। আমি সৌভাগ্যবান যে এখনো তাদের স্নেহ ভালোবাসা পাচ্ছি। এই পুরো বড় হওয়াটার পুরো কৃতিত্ব তো তাদেরই।

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কিন্তু গান যত সুরেলাই হোক, বাজারই তো। থাকতে হলে বরং বাংলা গানের বাজারে থাকি, বেশি করে থাকি। বাংলা গানের বাজার বাড়াই, আমেরিকা-ইন্ডিয়া ছাড়া তো অন্য দেশের গান আর সংস্কৃতি ভাষা আছে সেগুলো শুনি, শিখি, জানি। নিজেরটারে সম্মৃদ্ধ করি।

সহমত জ্ঞাপন করছি। যদিও স্মৃতিচারণমূলক লেখা, তারপরও বলবো ওপরের তুলে ধরা বক্তব্যটাই পোস্টের মূল কথা।

পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এর মধ্যে আবার দুটো গানও শুনে নিলাম। মামুন রশিদ '৮৭-৮৮ সালের রিলায়েন্স ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করেছেন। ঐ ম্যাচটার কথা আমি মনে হয় কখনোই ভুলবো না। কারণ ভিভ রিচার্ডস আমার অনেক প্রিয় একজন ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে মাঠে দাঁড়িয়েই তাকে কাঁদতে দেখেছিলাম, যা আমাকে খুব ব্যথিত করেছিল। এন্টেনার সাথে হাড়ি পাতিল লাগিয়ে দূরদর্শন দেখার স্মৃতি আমার চোখেও ভেসে উঠেছে। এন্টেনা নিয়ে অনেককেই কত কসরত করতে দেখেছি। এখন তো সব ফকফকা।
পুরোপুরি না হলেও কিছুটা নস্টালজিক আমিও হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ অন্যমনস্ক শরৎ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা বিদ্রোহী। বাহ! আপনার স্মৃতিচারণ সম্মৃদ্ধ করে তুলল পোষ্টটাকে।

"'৮৭-৮৮ সালের রিলায়েন্স ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করেছেন। ঐ ম্যাচটার কথা আমি মনে হয় কখনোই ভুলবো না। কারণ ভিভ রিচার্ডস আমার অনেক প্রিয় একজন ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে মাঠে দাঁড়িয়েই তাকে কাঁদতে দেখেছিলাম, যা আমাকে খুব ব্যথিত করেছিল। "

ভিভ রিচার্ডস আমারো অনেক প্রিয় ক্রিকেটার, তবে আমি তার শেষের দিকের দর্শক।

১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন:
সবার পুরনো দিন প্রায় একই হয় কেন?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এইজন্যই হয়ত সেটা সেইসব পুরোনো দিন; কিন্তু আপনার ভাগের স্মৃতিটুকু থেকে আমরা বঞ্চিত হবো কেন?

১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: মনটাকে সেইসব দিনরাত্রিতে নিয়ে গেলেন !

Click This Link

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা কামাল, এর দাওয়াত পেয়েছি বেশ আগেই।

১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব নস্টালজিক লেখা পড়তে ভাল লাগে, সময় নিয়ে পড়লুম। চমৎকার লাগল। ডায়নার্টির জে আর মানে ল্যারি হ্যাজম্যান মারা গেছেন। আরো অনেকেই নেই। একদিন আমিও..। সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে নাকি? ধন্যবাদ আপনাকে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে যেমন, তেমনি সুযোগও তো দিচ্ছে; জীবন হল কেবলই বর্তমানের, এই যেমন আমি কমেন্টটা লিখছি; এটাইতো।
আপনার ভাগের স্মৃতিটুকুর অপেক্ষায় রইলাম। শুভেচ্ছা অশেষ।

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। সুন্দর বিশ্লেষন ধর্মী পোষ্ট।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা অনন্য, সাথে থাকার জন্য।

১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

হাসান রাজু বলেছেন: এই নিয়ে তিন বার পড়লাম পোস্টটা । কোথায় যেন নিজেকে পাই এই লেখায় ।
আমাদের বিটিভি আসতইনা দেখতে হতো দূরদর্শন । তবে সব সময়ই দূরদর্শন থেকে বিটিভির অনুষ্টানের মান ভাল ছিল । এক সময় যারা দূরদর্শন দেখতেন তাদের জন্য ।

http://www.youtube.com/watch?v=9-7JmGB9BRA

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রাজু, অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনি এত চমৎকার করে কমেন্ট করে পোষ্টটাকে নিরন্তুর সম্মৃদ্ধ করে যাচ্ছেন। আমরা কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই আছি ঐ সময়ের মধ্যে।

আর খুব খুব একমত বিটিভির অনুষ্ঠানের মানের কোন তুলনাই ছিলনা সেসময়।

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: এই নিয়ে তিন বার পড়লাম পোস্টটা । কোথায় যেন নিজেকে পাই এই লেখায় ।
আমাদের বিটিভি আসতইনা দেখতে হতো দূরদর্শন । তবে সব সময়ই দূরদর্শন থেকে বিটিভির অনুষ্টানের মান ভাল ছিল । এক সময় যারা দূরদর্শন দেখতেন তাদের জন্য ।

১৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

হাসান রাজু বলেছেন: একটা সময় জানতাম ইংলিশ গান মানেই মাইকেল জেকসন । যাক এক সময় আমার সখ হল স্মার্ট হই অনেক বাংলা ব্যান্ড হল এবার ইংলিশ হবে আরও স্মার্ট আরও হেনডসাম । এভারগ্রিন লাভ সং ভলি
উম ১, ২, ৩ ..... careless whisper, hello, last Christmas, waiting for you আরও কি কি জানি । আরও ভলিউম বাড়াতে হবে । সবাই জানুক রাজু ইংলিশ গান শুনে । কিন্তু ভলিউমে আর কুলোয় না । এবার শুনে হচ্ছে না বুঝতে ও হবে । মনে আছে CD Sound এর ক্যাসেটে লিরিক সহ পাওয়া যেত । এইভাবে কখন যে U2, Scorpions, Rainbow, GNR , pink Floyd দের ভক্ত হয়ে গেলাম জানিনা। এর পর আর স্মার্ট হতে পারিনি থেমে গেছি । green day, disturb, Children of Bodom বা Ramstain দের গান এতটা ভাল লাগে না ।হয়ে যাচ্ছি ... বুড়ো আরও বুড়ো ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মাইকেল জ্যাকসনের কোন তুলনা হয়না আসলে; এত বড় আইকন তৈরি হওয়া সহজ না। এটা সময়ের বিশেষ অনুগ্রহে তৈরি হয়।

ভারগ্রিন লাভ সং ভলি
উম ১, ২, ৩ ..... careless whisper, hello, last Christmas, waiting for you ...

হাহাহাহাহাহাহা........কি যে জোশ একটা সময়। আমি মাঝেমাঝে শুনি কিন্তু এখনো। আর এত সহজে বুড়ো হচ্ছিনা আমরা। উহু কোনভাবেই নয়।

২০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

নহে মিথ্যা বলেছেন: পুরান দিনে ফিরে গেলাম লেখাটা পড়ে... তবে তখন আমি পিচ্চি... তারপরেও অনেক কিছু মনে পরে গেল... :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: তাহলে অতিদ্রুত নতুন নতুন স্মৃতি রোমন্থনের গল্প আমরা পাবো অচিরেই।

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ওই সময় প্রায় বাড়িতে বাঁশ দিয়ে তার উপর টিভির এন্টেনা কিংবা রান্না করার কড়াই লাগাতে দেখা যেত। আমাদের বাড়িতেও একটা ছিল। আমারে চালের উপর উঠায় দিয়ে আমার ভাই বলত ওই একটু ডাইনে কাইত কর, রাখ রাখ... এইবার বামে....... ব্যাস.......... তারপর বহুকষ্টে টিভি দেখতাম।

আহা !!! সেইসব দিনের কথা মনে পড়ে গেল।

দারুন, দারুন, অসাধারন একটা পোস্ট পড়লাম। সংগ্রহে রেখে দিলাম আপনার পোস্টটা।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা কান্ডারি, হায়রে সেই এন্টেনা ঠিক করার কসরৎ। ছাদে বাঁশ হলে নীচে থাকতো আরেকজন, এক অদৃশ্য ইথারে টিভির চ্যানেলের সাথে সংযোগ। এর মধ্যে ঝড় হলে সেই ঝিরঝির। মনে আছে এনালগ টেলিফোনের তার দিয়ে সে এক বিচিত্র সংযোগ, সবচেয়ে মন খারাপ হত যখন প্রিয় সিরিয়াল দেখার সময় কারেন্ট নাই হয়ে যেতো। কি যে মর্মান্তিক।

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
স্মৃতিকাতর করে দিলেন...
আমাদের গ্রামেও বিটিভি’র চেয়ে ডিডি’র কোন চ্যানেল ভালো দেখা যেতো...
ছেলেমেয়েরা হিন্দি আওড়াতে পছন্দ করতো...
রামায়ন দেখার জন্য স্যারেরা স্কুল শুরু করতেন দেরিতে...

তবু বাংলা নাটক, বাংলা সিনেমা আর বাংলা গানেই উদ্বেল হতাম।


কাকলীরা তখনও ছিলো... বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ঢঙে
কেউ প্রেরণা দিতো... কেউবা করতো ছলনা ;)


ধন্যবাদ... লেখাটির জন্য

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রামায়ন দেখার জন্য স্যারেরা স্কুল শুরু করতেন দেরিতে...হাহাহাহাহাহা।


আর সেই মহাভাআআআআআরারারারারাআআআআততততত?
কি যে বিচিত্র। লোকজন তো অস্থির হয়ে গিলতো, কিভাবে করতো তা আমি বুঝিনা এখনো।

কোন কোন কাকলী যে আপনাকে প্রেরণা দিয়েছিল তা বোঝা যাচ্ছে বেশ, আপনার সৌভাগ্যের জন্য ঈর্ষা।

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দারুন নস্টালজিয়া! হিন্দি ভাষা আমার কাছে মুলতঃ সিনেমার ভাষা বলেই মনে হয়। তুলনামূলক বিচারে যাবো না। তবে আমার মাতৃভাষা বাংলাই আমার কাছে প্রিয় এবং দুনিয়ার সবচেয়ে মধুর ভাষা বলে মনে হয়।
ধন্যবাদ, অন্যমনস্ক শরৎ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মাতৃভাষা বাংলার সাথে তুলনা করার কোন সুযোগই নেই। তবে বড় হয়ে ওঠার সংস্কৃতিতে এই নন-ডিশ যুগের অবদান অনেক। শুভেচ্ছা আশরাফুল।

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: বহুত আচ্ছে হুয়া হে আপকে স্মৃিতচারণ, বাট হিন্দি সাঙ্গিত মুঝে ভি আচ্ছে লাগতেহে।


আউস মান ভাবো !!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ঠিক হ্যায় ইয়ে ভি আচ্ছা হ্যা।

তবে বাংলা তো বাংলাই। বুঝলেন কিনা। শুভেচ্ছা অশেষ।

২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ফেলে আসা মফস্বল থেকে যেন নতুন করে মফস্বলে ঢুকলাম।

আবার পড়লাম অর্ধেক...

অনেক ধন্যবাদ আবার..

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা তুহিন। নতুন এই মফস্বল নিজেই ট্রেন্ডে সেটার, আর তাই তার কাজ সতর্কতা অনেক বেশি হওয়া দরকার ছিল।

২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: একই জেনারেশন এবং উত্ত্রাঞ্চল, ডিডি-সেভেন, ওয়ান ইত্যাদি মিলে যাওয়ায় লেখার বিষয়বস্তু খুব উপভোগ্য লাগ্লো। আমি অবশ্য একটু বড় হবার পর (নাইনে) ভয়াবহ হিন্দিবিদ্বেষী হয়ে গেসিলাম। এখন কিছুটা হলেও কমেছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্রক্সিমিটি আর টাইমই তো সব উপভোগ্যতার ভিত্তি হাসান। অশেষ শুভেচ্ছা...। তবে (নাইনে) ভয়াবহ হিন্দিবিদ্বেষী হয়ে যাবার গল্পটার জন্য কৌতুহল নিশপিশ করছে। নিশ্চয়ই অচিরেই এই জরুরী বয়ানটুকু পেয়ে যাবো।

২৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছু বলার নেই। পোস্ট পড়া শেষে এক এক করে পোষ্টের কমেন্টগুলো পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম।

প্রিয়তে নিলাম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মনযোগী পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ শঙ্কু, কিন্তু কি ভাবছিলেন তাতো বললেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.