নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বার্লিনের ডায়েরি ১, ১৭ ঘন্টা ফ্লাইট, প্রথম ডিনার, বুন্ডেসটাগ
বার্লিনের ডায়েরি ২, বিদেশে বাংলাদেশ এবং মিটিং মিনিটস (ছবি কম কথা বেশি)
সেদিনের প্রথম মিটিং এ যাবার পথে ইন্টারেস্টিং একটা বিল্ডিং। এই বাড়ীর মালিক আশির দশকে অনেক বড়লোক হয়। এবং এই ঐতিহাসিক বিল্ডিংটা খরিদ করে। খরিদ করেও সে তৃপ্ত হয়নি, এর ভেতরে সে দুর্লভ চিত্র শিল্পের একটা গ্যালারি তৈরি করে এবং উপরে সে বসবাস করে। লোকজন টিকিট কেটে সেটা দেখতেও যায়।
জার্মানী একটা গরীব দেশ
দক্ষিন কোরিয়ার ইয়ং যখন ফিসফিস করে এই কথা বলছিল তখন কিছুক্ষণের জন্য আমিও অবাক হয়েছিলাম। কাহীনি সেই রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের অফিস থেকে শুরু। সবাই মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছে, তর্কে যুক্ত হচ্ছে কিন্তু কেউ কেউ কোন কথা না বলে কেবল ইতিউতি করছে। কারণটা কি সেটা জানা গেল একটু পরেই। অনেকেরই গরম লাগছে। একেতো ব্রেকফাস্টে, লাঞ্চে, ডিনারে জার্মানীর স্পার্কলিং পানি (মানে পানির মধ্য বুদ্বুদ মেশানো এক বিচিত্র তরল) যা তারা বিগত ষাট বছর ধরে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে পান করছে। কি বিচিত্র! পানির মধ্যে ঝাঁঝ মেশানোর কি হল? তো সেই পানি খেয়ে আসলে তৃষ্ণা নিবারণ না হয়ে অতৃপ্তিটাই যেন জোরালো হয়েছে। অন্যদিকে বড় অফিস এবং হোটেল ছাড়া জার্মানীতে এয়ার কুলার বা কন্ডিশনার নামক বস্তুটি নেই। সেই অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিল “পাবলিক্স স্ফিয়ার” নামক এনজিওর অফিসে। ফলে ইয়ং যখন জার্মানীর গরীবি নিয়ে বিরক্ত তখন বুঝতে হবে গরমটা ভালৈ। আমরা জানালা খুলেটুলে একটা কাজ চালানোর ব্যবস্থা করলাম, কিন্তু তাতে বিশেষ কোন লাভ হল না।
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনই বটে
গণতন্ত্র বিকাশে, ডিবেটে অংশগ্রহণে উৎসাহ দেবার জন্য এনজিও
ঠিক এই জায়গাটাতেই আমি বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছি যে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার ও সোশ্যাল মিডিয়া অনেক এগুনো। পাবলিক স্ফিয়ার নিয়ে গবেষণা শেষ করে “পাবলিক্স স্ফিয়ার” প্রতিষ্ঠানের প্রধান ড. মাইটি পিটার্সের মনে হয়েছে যে তরুণদের সোশ্যাল মিডিয়ায় গণতন্ত্র এবং বিভিন্ন মতামত ও তর্কের বিষয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য ওয়েব সাইট খোলা দরকার। ছয় মাসে রেজিষ্ট্রার্ড এবং নিয়মিত ইউজারের সংখ্যা মোটেও আশা ব্যাঞ্জক নয়। বাংলাদেশের সাথে তুলনীয় নয় তো বটেই। ২০০৮ এর নির্বাচন, বিডিআর বিদ্রোহ, তিতাস নদী বাঁচানো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ, রূপগঞ্জ, লংমার্চ, সুন্দরবন, গণজাগরণ আমি বলতে বলতে হাঁপিয়ে যাবো তবুও এদেশের ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের কাজের তালিকা শেষ হবে না। তাদের কোন এনজিও উৎসাহও দেয়নি, মোটিভেটও করেনি। তারা নিজের উদ্যোগে উদ্যমে হেন কোন বিষয় নেই তা নিয়ে সমানে তর্করত এবং আলাপরত। আর এর কৃতিত্ব প্রথমত সবগুলো লোকাল প্লাটফর্ম এবং ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্টদের আর দ্বিতীয়ত গ্লোবাল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের। আমি বললাম বাংলাদেশের শাহবাগ নিয়ে তাদের জানাশোনা আছে কিনা। উত্তরে স্পষ্ট আছে, আলবৎ আছে।
বিটকমে দুই দফা মিটিং
এরপর প্রায় মনোলোগ মিটিং। একটানা কথা শুনে যাওয়া। ১৯ বিলিয়ন ইউরোর মার্কেট, আর আইএসপি নিয়ে আলাপটা কেন যেন জমে উঠল না। তথ্য উপস্থাপণ কেবল আলোচনা হতে পারেনা। আলাপটা আকর্ষনীয় হয়ে উঠলো তখন যখন, রাশিয়ার ইরিনা প্রশ্ন করল, “তোমরা আইএসপিদের মাসিক কত টাকা চাঁদা নির্ধারণ করেছো?” এই প্রশ্নের উত্তর তারা দিলেন না। ডাটা প্রোটেকশন, সিকিউরিটি র আলাপে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই ইন্টারনেট ভিত্তিক বানিজ্যের কথা। এক্সেস এবং সেই কেন্দ্রীক বিশাল মার্কেটের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রাষ্ট্রের পলিসি। ইনফ্রাসটাকচারের খবর, ব্যান্ড উইথ ও তার ডিস্ট্রিবিউশনই এক্সেস নির্ধারণ করে দেয়। মার্কেট ভ্যালু খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাসিফায়েড এ্যাড ছাড়াও নতুন স্টার্ট আপ অনেক কোম্পানী আছে যারা মার্কেট শেয়ার করছে। বানিজ্য এবং প্রাইভেসি পলিসি খুব ইন্টারডিপেন্ডেন্ট।
একদিকে ডাটা প্রোটেকশন, অন্যদিকে বানিজ্য হিসাবটা সহজ নয় মোটেও। আইএসপিদের নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে খুব বড় জায়গার নিয়ন্ত্রণ খুবই সব সম্ভব। আবার মার্কেট তার নিজের পক্ষে সব সময় টেকনোলজিকে শেইপ করতে চাইবে। রাষ্ট্রও মার্কেটের উপর খুব নির্ভরশীল। এদিকে জায়ান্ট কর্পোরেশনগুলোর পক্ষে নতুন নতুন দেশের নিজস্ব পলিসির মত করে সার্ভিস প্রোভাইড করা আর আইনী লড়াইয়ের খরচ চালানো সম্ভব কিন্তু ছোটদের জন্য এটা ভীষণ কঠিন। আর তাই স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোয়োজনটা সবচেয়ে বেশি। তাদের টিকে থাকাও ভীষণ যুদ্ধের।
বিটকমের বাইরে আমরা
একটা ইন্টারেস্টিং কম্পিউটার: ১৯৮০ এর। কয়েক বছরে পুরো পৃথিবীটাই পাল্টে দিল তাই না?
হুররে!!!! রিভার ক্রুজ
জার্মান শিডিউল আর গরমে আমরা যখন অতিষ্ঠ তখনি খবর আসলো আমাদের জন্য রিভার ক্রুজের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের ফূর্তি আর দেখে কে? স্প্রী নদীর কাছে যেয়ে মনে হল, “হেইয়া কি নদী? হেইয়া তো খালেরও কম”। “আঁই ফুস করি হাসি দিলাম গই”। জার্মানীর লোকজন আঙ্গো লগে কি বাইচলামী ই না শুরু কইচ্চে। যাই হোক দল বেঁধে রিভার ক্রুজে রওয়া হলাম। আসুন দেখা যাক রিভার ক্রুজের ছবি ও দূর থেকে দেখা মিউজিয়ার আইল্যান্ড।
রিভারক্রুজে যাবার রাস্তায়
ডুকাটিটা দেখে একটু থমকে যেতে হলই।
এই ব্রিজটার একটু বিশেষত্ব আছে। বর্ণ সিরিজের একটি পর্বে জেসন বর্ণ এই ব্রীজ থেকেই গুলি খেয়ে পড়ে যায়। মানে সিনেমায়।
এবার শুরু করি রিভারক্রুজ এবং আশে পাশের দৃশ্য, বিশেষত মিউজিয়াম আইল্যান্ড।
এই যাহ! এল বুঝি বৃষ্টি। বার্লিনে বৃষ্টি। তবে যে বৃষ্টিতে ইউরোপীয়ানরা আহা উহু করছে, তার দিকে তাকিয়ে আমি বললাম যে, আমাদের দেশের শিশু মেঘগুলো হাঁচি দিলেই এরচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়।
এই বিল্ডিং এর একটা ঘটনা আছে। এখানে এঞ্জেলা মার্কেলের জন্য একটা রূম আছে যেখানে তিনি চাইলে থাকতে পারেন। তবে তার জন্য কোন প্রাসাদ নেই। তিনি প্রাইভেট এপার্টমেন্টে থাকেন।
দুপুরে খাওয়া হল চমৎকার এই রেস্তোরায়। আলভিস। বসার ব্যবস্থা চমৎকার।
আমাদের ডিনার বেশ আর্লি ই হল। বৃষ্টি ভেজার বিকেলটা মন্দ ছিলনা। সেটা পূর্ণতা পেল ডিনারের ব্যাবস্থায়। ইংলিশ গার্ডেনের টি হাউজ রেস্টুরেন্ট একেবারে সেই লেভেলের। আর এখানকার চীজকেক হল বিশ্বের সেরা। হাইলি রেকোমেন্ডেড।
আমাদের এ্যাংগোলার বন্ধু ক্যাডি দুই দিন পর অবশেষে আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারলো। ফ্লাইট মিস, ভুল এয়ারপোর্ট, সে এক ইতিহাস। যাক অবশেষে সে যে উপস্থিত হতে পারলো তাতেই আমরা খুশী।
জার্মান ওয়েটারদের সবচেয়ে বেশী জ্বালিয়েছিও এই রেস্তোরায়। আয়োজন ছিল ভেতরে বসার। সেটাকে পাল্টে বাইরে করা হল। কারো দরকার এটা কারো দরকার ওটা জার্মান ওয়েটার পুরাই বিরক্ত। তবে খাওয়া দাওয়া আর আড্ডায় মজা হল খুব।
ব্যাপক আড্ডা আর হইচই করে শেষ হল ৫ই আগস্টে আমাদের দিনভর ঘোরাঘুরি। পোনে নয়টায়, মানে সন্ধ্যার আলোতে আমরা ফিরে চললাম হোটেলের দিকে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা সোহানী। "এতোটা কারুকাজময় বিল্ডিং আমি আর কোন দেশে পাই নি। " খুব সত্য বলেছেন।
আমি জানিনা ফ্রান্স ভিজিট করেছেন কিনা। তবে নিশ্চিতভাবে সেখানকার দরোজার কড়ার কারুকার্য্য অনবদ্য। মানে ডোর নক আরকি।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: ব্রো বর্তমানে আমাদের দেশে যারা ব্লগে লেখালিখি করছেন তাদের মধ্যে কি আপনি মনে করেন এস এ ব্লগার সবাই সঠিক পথ ধরে এগুচ্ছে ?
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নটি বুঝিনি। একটু যদি খোলাসা করেন।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ঝলমলে সব ছবি ঠাসা ঋজু অথচ দারুণ প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় বাঁধানো এ মনোলগ কিংবা ভ্রমণ লগ দেখলে কার না ভালো লাগবে ...!
আমার তো দেখেই ইচ্ছা হলো শোকেসে রেখে দেই ...
তবে শেষটার অপেক্ষায় আছি ...
দ্বিতীয় ভালোলাগায় (+) মার্ক করলাম ...
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় নাসিফ, সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা অশেষ। এমন পাঠক আছে বলেই লেখার সব চেষ্টা সফল। শুভেচ্ছা অনেক।
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: ব্রো আমার ব্লগ থেকে একটু ঘুরে গেলে খুশি হব। অনেকেই ঘুরে যাচ্ছে কিন্তু জানিনা কেন কেউ কমেন্ট করতেছেনা। বোধ হয় পোস্টটা ভাল হয় নাই ?
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট তো চমৎকার ছিল। কমেন্টও করেছি।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারন।ভাল লাগল। আর হ্যা পরের বারের জন্য ছোট একটা টিপস , প্রায় প্রতিটা রেস্ট্রুরেন্টেই ৩ ধরনের পানি পাওয়া যায়, স্পার্কলিং ওয়াটার বা সোডা ওয়াটার, আর একটা আছে সোডা ছাড়া যেটা স্টিলেস ভাসা মানে নরমাল পানি আর একটা হচ্ছে মিডিয়ম যেটাতে মিডিয়ম লেভেলের বুদবুদ বা গ্যাস মেশানো । তাই পরের বার জার্মানিতে আসলে আপনি আগেই রেস্ট্রুরেন্টে বলে দেবেন যে আপনি বুদবুদ ছাড়া পানি খেতে চান। এইবার একটা মজার কথা বলি সেটি হল , এই বুদবুদ বা স্পার্কলিন ওয়াটার খেলে আপনাকে ঘন ঘন পাব্লিক টয়লেটের দিকে যেতে হবে না যেটা কিনা স্টিলেস বা নরমাল পানি খেলে ঘটে থাকে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ক্যপ্রিসিয়াস কমেন্টটা পোষ্টটাকে সম্মৃদ্ধ করল। একদম যথার্থভাবে। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম ফলে, ২য় দিন থেকে সহজ পানি পাওয়া শুরু করি, তবে পরিমাণে কম। "এই বুদবুদ বা স্পার্কলিন ওয়াটার খেলে আপনাকে ঘন ঘন পাব্লিক টয়লেটের দিকে যেতে হবে না যেটা কিনা স্টিলেস বা নরমাল পানি খেলে ঘটে থাকে।" এটা তো দারুণ একটা বিষয়।
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য,চমৎকার বর্ণনা আর অনেকগুলো জীবন্ত ছবিতে ভরপুর পোস্টটি পড়তে পড়তে শেষে এসে বুঝলাম আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই।কিন্তু একটা বিষয়ে চোখ কপালে উঠে আছে-“অন্যদিকে বড় অফিস এবং হোটেল ছাড়া জার্মানীতে এয়ার কুলার বা কন্ডিশনার নামক বস্তুটি নেই।” আমি খুবই অবাক হয়েছি!কারণটা কী হতে পারে ভাই শরৎ?
অনেক ভাললাগা আর শেষ পর্যন্ত থাকার দৃঢ় ইচ্ছের কথা জানিয়ে গেলাম।ভাল থাকবেন।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মবীন আপনার প্রশ্নের উত্তর তো ক্যপ্রিসিয়াস দিয়েই দিয়েছেন। তবে পাঠক হিসেবে আপনার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সাথে আছেন জেনে ভালো লাগলো অনেক।
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অসাধারণ যতসব ছবি!!
সেই সংগে আপনার সাবলীল বর্ণনা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা।
৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: @জাফরুল মবীন ,শীত প্রধান দেশ হওয়াতে আর সামারে যে গরম পড়ে তা আমাদের দেশের হেমন্ত বা শরত কালের মত পুরুপুরি বাংলাদেশের মত গরম মানে ২৫-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রা মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিনের জন্য পড়ে । তাই এইখানে বাড়িতে ফ্যান বা এয়ারকন্ডিশনারে প্রয়োজন পড়ে না। আমাদের দেহসে যেমন বাসা বাড়িতে ফ্যান মাস্ট এখানে রূম হিটার আর গরম পানি ছাড়া বাড়ি খুজে পাওয়া যাবে না। আর এইখানের সামারে দিনের বেলা গরম থাকলেও রাতে তাপমাত্রা আবার কমে যায়। তাই সারা বছরই লেপ কম্বল লাগে রাতে ঘুমানোর জন্য, আর সারা বছরই জ্যাকেট সাথে নিয়ে বের হতে হয়, সেটা উইন্টার জ্যাকেট বা সামার জ্যাকেট ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ভালো বলেছেন। তথ্যপূর্ণ কমেন্ট।
৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: “হেইয়া কি নদী? হেইয়া তো খালেরও কম”। “আঁই ফুস করি হাসি দিলাম গই”। জার্মানীর লোকজন আঙ্গো লগে কি বাইচলামী ই না শুরু কইচ্চে।
সবচে বেশি ভাল্লাগছে ৮০'র কম্পিউটার ।
চমৎকার অভিজ্ঞতা, চমৎকার পোস্ট ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহা, অশেষ কৃতজ্ঞতা এভাবে সাথে থাকার জন্য। কম্পিউটারটা দেখে আমিও বিষ্ময়ে তাকিয়েছিলাম। সাথে থাকুন।
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৪৩
অপ্রতীয়মান বলেছেন: নদীর কাছে যেয়ে মনে হল, “হেইয়া কি নদী? হেইয়া তো খালেরও কম”
আমাদের দেশের শিশু মেঘগুলো হাঁচি দিলেই এরচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়
এই লাইন গুলি পড়ার সময় অজান্তেই হেসে দিয়েছি। আমাদের দেশের সাথে আসলে কোন দেশেরই তুলনা চলবে না, অন্তত প্রাকৃতিক দিক থেকে তো নয়ই। তাদের ভুরি ভুরি থাকতে পারে কিন্তু আমাদের মত করে এভাবে ঋতু বৈষম্যে উপভোগ করতে পারে কি না সে নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আর চমৎকার সব জায়গা, আর তারচেয়েও মজাদার আর তথ্যমূলক গোছানো উপস্থাপন সত্যিই খুব ভাল লেগেছে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের সম্ভাবনার সাথে কারো কোন তুলনাই চলেনা। মানব বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক নানা দিক থেকে এই দেশ অতুলনীয়। এখন দরকার শুধু খাঁটি দেশপ্রেম।
অশেষ কৃতজ্ঞতা সাথে থাকার জন্য।
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
ইমিনা বলেছেন: ছবিগুলো দেখেই মুগ্ধ।
ছবি দেখে যে মুগ্ধতা আমায় পেয়ে বসেছে তার সম্মানার্থে এবেলা কাটিয়ে দিতে পারবো এবং তারপরই বর্ণনা একটু একটু করে পড়ে ফেলবো
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় ইমিনা অশেষ শুভেচ্ছা। আশা করি প্রথম পর্ব পার করে আপনি একটু একটু করে পড়েও ফেলেছেন। এবং পাশে পাচ্ছি পরের পর্বে। কৃতজ্ঞতা।
১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন সব ছবি!
ঝাজ দেয়া পানি কিরাম খাইতে ভাই? সোডার মত নাকি??
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ অনেক কাভা। ঝাজ দেয়া পানি খাইতেও বিচিত্র ঢালতেও বিচিত্র। খালি আশা জাগায় কিন্তু তৃপ্তি দেয়া না। ইউ নো হোয়াটা আই মিন।
হা হা হা। সাথে পাচ্ছি আশা করি।
১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো দেখলাম আর বর্ণনায় চোখ বুলিয়ে গেলাম।
ভাল লাগল।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা। সাথে থাকুন পরবর্তী পর্বেও।
১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:২১
আরমিন বলেছেন: ছবি প্লাসায়িত
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা সবসময়। সাথে থাকুন।
১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
বোকামানুষ বলেছেন: দারুন সব ছবি সাথে মজার সব বর্ণনা সব মিলে অনেক ভাল লাগলো
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মানুষ, এই ভালো লাগাটাই লেখার প্রেরণা। অনেক কৃতজ্ঞতা। পরবর্তী পর্বেও সাথে থাকুন।
১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
লিখেছেন বলেছেন: odbhut amazing
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা। পরবর্তী পর্বেও সাথে থাকুন।
১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
খাটাস বলেছেন: ছবির সাথে বর্ণনা মিলিয়ে আনন্দ পঠন। ++++
বিটকমের আলোচনার বিষয় টা ঠিক বুঝি না।
শুভেচ্ছা রইল শরৎ দা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা। বিটকমের আলোচনার বিষয়টা একটু টেকি তবে মূল প্রবণতা হল ইন্টারনেট বানিজ্যটাকে বোঝা।
১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০১
ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনারা কি খেতেন ওখানে? মানে জার্মানদের খাবার-দাবার আপনারা খেতে পারতেন তো?
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমরা বিফ/চিকেন স্টেক, কাবাব, গ্রিল বয়েলড পটেটো, সস, সালাদ, এইসব দিয়েই চালিয়েছি।
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনবদ্য পোস্ট +++
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ কান্ডারি।
২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০
কালীদাস বলেছেন: পানিটা আসলেই ইন্টারেস্টিং আছেন কেমন?
ইনশাল্লাহ আগামী মাসে বার্লিন যাব, দেখার জায়গার একটা লিস্ট দিতে পারেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
সোহানী বলেছেন: অসাধারন শরৎ দা। আমার কিন্তু জার্মান আর্কিট্রাক্চার খুব পছন্দ। এতোটা কারুকাজময় বিল্ডিং আমি আর কোন দেশে পাই নি।
আর হাঁ পানি !!!! ওরা কেন ইউ এর সবাই সোডা ওয়াটারে অভ্যস্থ। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলে পরে আমি ও অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। যথারীতি +++++