নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিঘৃণার রাজনীতিতে ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের “মুসলমান পরিচয়”

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩১


করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম যে করোনা একটি গ্লোবাল বিপ‍র্যয়। এটি ভীষণভাবে আত্মপরিচয় ভিত্তিক রাজনীতির ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। সেট দেখা গেল অচীরেই। চীন বা চৈনিক চেহারার মানুষরা নানান জায়গায় আক্রান্ত হওয়া শুরু করলেন। সামগ্রিকভাবে চীনকে এই বিশ্বের শত্রু হিসেবে গণ‍্য করা শুরু হল। বৈশ্বিক জনমানসে স্পষ্টতই এই ধরণের চিন্তার ঢেউ এখনো ফুরিয়ে যায়নি বরং আরো জোরদারই হচ্ছে। সেটার এক রকমের প্রতিকার হিসেবেই আলিবাবার জ্যাক মা ঘোষনা দিলেন বিভিন্ন দেশে বিপুল সংখ্যক মাস্ক, পি.পি.ই., টেস্ট কীট দেবার। চাইনীজ মিডিয়াতেও দেখা গেল “সব ঠিক হয়ে গেছে”। আবার ক’দিন পরেই করোনা আক্রান্ত ও নিহতের ভিন্ন সংখ‍্যা আসা শুরু হল। কোন দেশ, কোন সংস্কৃতি কীভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে তা করোনা পরবর্তী রাজনীতির জন্য আবশ্যক হয়ে উঠবে।

জাতিঘৃণা একটি সচেতন ও সূক্ষভাবে নির্মিত রাজনীতি। ৯/১১ এর পর থেকে “মুসলমান পরিচয়” এই জাতিঘৃণা রাজনীতির নানান রুপ আমরা দেখতে পাই। দেশ দখল, সম্পদ হরণ, গণহত‍্যা ইত‍্যাদি সকল কাজে এর ব‍্যবহার হওয়া শুরু হয়। আর্ন্তজাতিকভাবে “মুসলমান পরিচয়” বহন করার আত্মশ্লাঘা তৈরির চেষ্টাও চলে। আবার চলে এই পরিচয় বহনের অতি উচ্ছাস। দুটোই পরস্পর সম্পর্কিত। মনে রাখতে হবে যে পুরোটাই নির্মিত এবং একটি আরেকটির প্রতিক্রিয়া।

আবার দেখার মত বিষয় হল, ২০০০ পরবর্তীতে যে বিশ্বের মত বাংলাদেশেও উগ্রবাদের যে উত্থান তা ভীতিকর। বিগত কয়েক দশকে জনপ্রিয় পরিসর কেন্দ্রীক, মানুষের ঘরে ঘরে যে “ইসলাম” ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে তা সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা দরকার। মূল ধারার রাজনীতিতেও যে সাম্প্রতিক প্রভাব সেটিও মনে রাখা দরকার।

ব্লগার কোপানো, হলি আর্টিজানের পাশাপাশি জনপ্রিয় পরিসর কেন্দ্রীক যে “ইসলাম” তা নিয়ে কাজ খুব বেশি হয়নি বলেই মনে করি। সাম্প্রতিককালের যে “ওয়াজ” সংস্কৃতি চালু হয়েছে সেটিকে পূর্ববর্তী ইতিহাসের বাইরে দেখা বিপদজনক। ঘরে ঘরে জীবনের পথ প্রদর্শক হিসেবে এঁদের উত্থান ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যম ঘাটলে কেবল এঁদের ফ‍্যানাটিক অংশটুকুই দেখতে পান অনেকে। একদিকে যেমন বলা হচ্ছে “কোরানে মহামারীর কথা নাই”, তেমনি দেখা যাচ্ছে অনেকে ত্রাণ কর্মসূচী নিয়ে হাজির হচ্ছেন। কেন হচ্ছেন? অনেকে দাবী করেন কেবল ধর্ম ব‍্যবসা হিসেবে। আমি তা মনে করিনা। এটি একইসাথে রাজনৈতিক, মানবিক, অবশ্যই অ‍র্থনৈতিক এবং আত্মপরিচয় কেন্দ্রীক ঘটনা। আর এই উচ্চাভীলাস টা বেশ বড়। ফলে এসব ট্রেন্ডের ভোঁতা বিশ্লেষণকারীরা আবার একটু ভাববেন দয়া করে।

২০০০ পরবর্তী দু দশকে গভীরতর নানান পরিবর্তন হয়েছে। সারা বিশ্বে “মুসলমান পরিচয়” ভীষণ সংকট এবং অপমানের সম্মৃক্ষীণ হয়েছে। আবার এটার স্থানীয় মোকাবিলার যে ম‍্যাকানিজম তাও ঠিকমত দাঁড়াতে পারেনি। একদিকে স্যাটেলাইট, একদিকে ইন্টারনেট, একদিকে শহরে মাইগ্রেশন, একদিকে গা‍র্মেন্ট অ‍র্থনীতি, একদিকে জনক-ঘোষক, একদিকে চেতনা, একদিকে মোবাইল, একদিকে মাদ্রাসা, একদিকে মোবাইল, এত ফেইসবুক এত এত মৌলিক পরিব‍র্তনের মধ্য দিয়ে নব্য উদার নৈতিক অ‍র্থনীতি তার শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছে, পাল্টে দিয়েছে। এত পরিবর্তন ধারণের জন্য যে মন সে কোথায় যাবে? রবীন্দ্রনাথ? মোশাররফ করিম? আজহারি? মানুষ ধ‍র্মে আশ্রয় খুঁজবে না?

রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা আছে, ডিমান্ড আছে, মোটিভেশনাল স্পীকারের নতুন ব্যবসাটা আছে, সুদূর রাজনৈতিক এবং বিশ্বাসগত অভিঘাত আছে। তাহলে এর ব্যাখ্যাকাররা শক্তিশালী হবেন না?

মজার বিষয় হল এই ব্যাখ্যাকাররাও মূলত নব্য উদার নৈতিক অ‍র্থনীতির পন্থা ধরেই এগুচ্ছেন। ওয়াজ একটি বড় ব‍্যবসা যেমন, তেমনি সামাজিক প্রিচীং এর রাস্তা ও ক্ষমতাও বটে। অপনিয়ন লিডার। এই দেশে ভেন্টিলেটর পেতে হলেও তো অন্তত দুই লক্ষ লোকের লিডার হওয়া লাগে তাই না?

এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল। আমার এক ভারতীয় বন্ধুর সাথে ঘন্টা তিনেকের আলাপে বারবারই উঠে আসছিল, তাঁর ভাষাতেই "আমি দেখেছি যে তারা ইমামের কথা শোনে, আমরা এতটা শুনিনা। কিন্তু ইমামরা কেন মহামারীর সময়ে নির্দেশনা দেন না?"
এর কোন একক উত্তর নেই। সেকুলারবাদী উত্তরও নেই। আমি জানিয়েছিলাম যে দেশের যে মাইনোরিটি তাকে তার নেতৃত্বের কৌশলে বেশি অনুগত দেখা যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবার জন্য এমনটা দেখতে পাবেনা তুমি। আবার এও বলেছিলাম, যে মেজোরিটিকেও এভাবেই দেখানো হয় যে মাইনোরিটি সবদিক দিয়েই খারাপ। এরা যুক্তি বোঝে না, নিজের ভালোটাও বোঝে না। এরা খারাপের খারাপ। আর ঠিক কয়েকদিন পরে দেখা গেল, ভারতীয় হসপিটালে সেবা পাচ্ছেন না মুলসমানরা। এটাকে প্রায় গণহত্যা বলে অরুন্ধতি অবিহিত করলেও, এর পাটাতন আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল। এই পাটাতন তৈরি দ্বি-পাক্ষিক। সরকারও চেয়েছে, নেতারাও চেয়েছে। বিপদে পড়েছে মানুষ।

আর্ন্তজাতিক মিডিয়া যে ব্রাম্মণবাড়িয়ার কেইস পিক করল, তাতে বাংলাদেশের মুসলমান মানেই উগ্র ইসলামিক জমায়েত" যা মানেনা কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা, নাই অপরের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ, মুসলমান মাত্রই মানুষ নয় বরং পালে পালে পোকা, অতএব পরব‍‍র্তীতে এদের পরমাণু কীটনাশক দিয়ে নাশ করা ঠিকই আছে, হাসপাতালে চিকিৎসা না দেয়া ঠিকই আছে, এরা তো মানুষ না এই ন্যারেটিভ জোরালো করতেই ব্যবহৃত হইল। আর এদিকে স্থানীয় ছোট রাজনীতির মাসল দেখাইতে, সরকারের সাথে দর কষাকষী বাড়াইতে জানাযায় শো ডাউন করল খেলাফতে মজলিশ। বিশ্বাস তো ব্যবহৃত হইলই, ইসলামিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন্ও দেখানোর ট্রায়ালও হইল। করোনাতে মরবে মানুষ। করোনা পরবর্তী রাজনীতিতেও মরবে মানুষ। কোন মানুষ এরা?

দুই রাজনীতিতে ব্যবহৃত হল মুসলমান পরিচয়। এ যাত্রা করোনাতে মারা না গেলেও, মোটুমুটি নিশ্চিত যে করোনা পরবর্তী নতুন জাতিঘৃণায় চীনাদের চাইতেও মুসলমানের নাম সর্বাগ্রে রাখার এবং নিধনে এই রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ফলে সতর্ক হন এখন থেকে। “মুসলমান পরিচয়” এর জাতিঘৃণা রাজনীতির ফাঁদে পড়েন না।










মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।

তাহলে কোনো সমস্যা থা্কবে না।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রাজীব সমস্যা তো পরিচয় রাজনীতির, আর সেখানেই সমস্যা।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশ আপাতত সব যুক্তির বাইরে।
তাই ওসব ভাবনা ২০০/৩০০ বছর পর যারা বেঁচে থাকবে তারা ভাববে।

তার চেয়ে বলুন আপনি কেমন আছেন?

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন, আমি খুব যে ভালো আছি তা বলা যাবে না, দেশের এই অবস্থা নিয়ে লিখলাম আরকি। আপনি কেমন আছেন?

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

পলাতক মুর্গ বলেছেন: নাইজেরিয়াতে চাইনিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উপর হামলা হচ্ছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুব বিস্ময়কর না। তবে ভয়ানক জাতিবর্ণবাদের ইশারা পাওয়া গেল আরকি।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তালি এক হাতে বাজে না। আপনার পোস্টের ব্যাখ্যা দুভাবে দেয়া যেতে পারে।

ইসলামিক পার্সপাক্টিভে যদি দেখা যায় তাহলে আমাদের ব হুধাবিভক্ত হবার কারন খুজতে গেলে যেতে হবে গোড়ার দিকে। বক্করচক্কর/উমর/আলি/মুয়াবিয়ার রাজনৈতিক চিপায় পড়ে উসমানের মৃত্যু এবং তার সাথে চলতে থাকা ইসলামের সম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার আগ্রাসনের মধ্যে একটা জিনিস প্রকট ছিলো: ডাকাতের খেয়ালখুশিমত তৈরী বিধান গুলো থেকে নানা মতের সৃষ্টি যার ফলে পরবর্তি ৪০০ বছর বিভিন্ন স্কলারদের মধ্যে রিদ্দার প্রভাব প্রকট হতে থাকে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক শূন্যতার তৈরী হয়। ফলে এই ভয়াবহ দ্বন্ধ থেকে মুক্তি পাবার জন্য ফিকহ শাস্ত্রের উদ্ভব ঘটে কিন্তু সেখানেও দুটি দলে ভাগ হয়ে যায়। যার একটা হলো তাকলিদ আরেকটা হলো ইজতিহাদ। এক দল যদি সরাসরি অন্ধ অনুকরন করতে পছন্দ করে আরেক দল পছন্দ করে এর ভাবাদর্শ(উপমহাদেশে যেকোনো দাওড়ার প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখবেন উসুল শার্সি পড়ানো হয় অথচ মিডল ঈস্টে উসুল ফিখ ভিন্ন অন্য কিছুর দিকে নজর দেয়া হয় না কারন তারা মনে করে ওটা ভ্রান্ত আকীদা)। এর আক গ্রুপ থেকে যদিও মডারেট শ্রেনীর উদ্ভব কিন্তু সেখানেও বিভক্তি থেমে ছিলো না এবং এই বিভক্তির দিকে সরাসরি আঙ্গুল তুলেছিলেন আভিরুশ। এরপর মৌলিক দিক থেকে কেউ এসব নিয়ে তেমন গবেষনা করেননি। হাল আমলের মওদুদী বা তাবলীগ বা ওয়াহাবী বা নিও-মৌলবাদী তত্বগুলো নিজের বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ ও রাজনৈতিক কোন্দলের সুযোগে সৃষ্টি হয় আইএসআইএস, জেএমবি, হিজবুল্লাহ, তালেবানের মতো জঙ্গি দল। ফলে এখনো কোনো মুসলমানকে জিজ্ঞেস করলে আপনি উত্তর পাবেন না যে স হী ইসলাম কে পালন করেছে। তাদের কাছে একজন স হী ইসলামিক আদর্শ শুধু এক মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউ নেই।

আর সেই মোহাম্মদের আদর্শও এখন প্রশ্নবিদ্ধ জনসম্মুখে কারন ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও সামাজিক প'লাটফর্ম যেখানে মুক্তমনা ভার্সেস গোড়া ইসলামিস্টদের উদ্বাত্ত ডিবেট লক্ষ করা যায়। শরীয়া আইন সেক্ষেত্রে জুলুদের বর্বরতাকে হার মানায় সেটা অনেকেই জানে।

সরকার নিজের ফ্যাসিবাদী ও ব্যার্থতা টিকিয়ে রাখতে সেই পুরোনো কূটচাল অর্থাৎ ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে প্রশ্রয়ের মাধ্যমে এটা আরো গুবলেট করে ফেলে। তলোয়ারের জোরে আদর্শিক লড়াইয়ের দিন শেষ, এখন জয় শুধু মাত্র যৌক্তিক ও দার্শনিক শুদ্ধতার যেটার অভাব ডাকাতের তৈরী ধর্মের মধ্যে গোড়া থেকেই ছিলো---- আমার মতে নওফেলের মৃত্যুর পরই সে পথ হারায়। যখন আপনার দুধ পঁচে যায় তখন তা দিয়ে আপনি দই বা ছানা বানাতে যান সেটার স্বাদ বিগড়াবেই। এখন তাতে আপনি আরো খারাপ কিছু দেন তা হবে অপাচ্য দুর্গন্ধযুক্ত মলের মতো।

যেখানে সারা বিশ্বে উদার অর্থনৈতিক এবং মুক্ত বাজার ভিত্তিক অর্থনীতির দুর্বার অগ্রসরতা সেখানে মল যুক্ত আদর্শ খুব ভালো ফল বয়ে আনবে না। আর বাকি থাকে ইউটোপিয়ান চিন্তা।

পশ্চিমা সমাজ ব্যাবস্থা নিজেদের জন গনের জন্য একটা নিরাপদ এবং আদর্শ সমাজ গঠন করলেও সেটার মূল্য দিচ্ছে এসব মল ভর্তি জঙ্গি ফ্যাসিবাদী রাস্ট্রের নীরিহ জন গন। সেক্ষেত্রে সুইডেনের কথা বলা যায়। নিজেরা সব সময় শান্তির কথা বললেও গত দশকে তাদের জিপিএস গাইডেড ক্রজ মিসাইলের সরবরাহের কারনে সোমালিয়ার মতো দেশে ভয়াবহ নারকীয় হত্যা হয়। উচ্চ মূল্যস্ফীতির দেশ সুইডেনের বাজেটের একটা বড় অংশ আসে এই অস্ত্র বেচে। একসময় যুক্তরাস্ট্র তার সম্রাজ্যবাদী নীতির মাধ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে ভালো লাভবান হলেও পরে সে প্রক্সি যুদ্ধে ঝুকে। কিন্তু তাতেও সুবিধা তেমন হলো না, কারন তাদের কর্পোরেট দুর্নীতি ও আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিভক্তির কারনে শত বাধা সত্বেও রাশিয়া ও চীন নতুন করে তার প্রভাব বিস্তার করে। রাশিয়া এখনো আগের মতো সরাসরি যুদ্ধে থাকলেও চীনের যু্দ্ধটা অর্থনৈতিক বাজার নিয়ে। যার ফলে যুক্তরাস্ট্র দেরীতে হলেও সম্বিত ফিরে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরী হয়ে যায়।

এমন ক্রান্তিকালে পশ্চিমা সমাজের এই টানপোড়েন ঠিক রাখতে স্বভাবতই তাদের ক্ষতি সারা বিশ্ব দিয়ে পুষিয়ে নেবার প্রবনতা সেটাকে আপনি এই ভ্রান্ত আদর্শ বা ফ্যাসিবাদী দুর্নীতিবাজ নেতা নিয়ে ঠেকাতে পারবেন না, এমনকি তাদের সচতুড় ভাবে গড়ে ওঠা শ্রেনী বৈষম্যের সমাজের ঝকঝকে মায়া জালে আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক মাথাগুলো সেখানে গিয়ে তাদের সেবাদাসে পরিনত হবে আরো বেশী আগ্রহী। তাই আমাদের সামনে ভালো কোনো উপায় নেই। ইরানের মতো থিওলোজিক্যাল বিপ্লব আসতে শুধু দরকার একটা বড় ঝাকি তারপর আমরা ফিরে যাবো সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতায়।

আমাদের ভুল ছিলো বঙ্গবন্ধু মারা যাবার সাথে সাথে তার সেক্যুলার গোছের হাইব্রিড রাস্ট্রব্যাবস্থা থেকে সরে আসা এবং খুনি জিয়ার হাত ধরে ধর্মীয় গোড়াদের উথ্থানকে প্রশ্রয় দেয়া। আর তারচেয়েও বড় ভুল সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন খালেদাকে দাবায়া রাখের জন্য আরো গোড়াদের মদদ দিয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থার সলিল সমাধি করে দেয়।


এখন বসে বসে দেখা ছাড়া কিছু নেই। সুই সুতো দিয়ে যে ফাক ফোকড় ১৪০০ বছর ধরে লাগানো সম্ভব হয়নি সেখানে এসব আধুনা বুদ্ধিজীবিরা যখন জানের ভয়ে সেই সুইসুতোর কথাই ইনিয়ে বিনিয়ে বলে তখন আরো হাসি পায়।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: উদাসী, খুব ভালো কমেন্ট।


সেক্ষেত্রে সুইডেনের কথা বলা যায়। নিজেরা সব সময় শান্তির কথা বললেও গত দশকে তাদের জিপিএস গাইডেড ক্রজ মিসাইলের সরবরাহের কারনে সোমালিয়ার মতো দেশে ভয়াবহ নারকীয় হত্যা হয়।
মানুষ তো নিজের ঘর গোছায়, আমাদের দেশ তো নিজের ঘরের...

আপনি এই ভ্রান্ত আদর্শ বা ফ্যাসিবাদী দুর্নীতিবাজ নেতা নিয়ে ঠেকাতে পারবেন না, তা আর পারলাম কই। বানিজ্যও বোঝেনা মানুষও বোঝেনা।

"বুদ্ধিবৃত্তিক মাথাগুলো সেখানে গিয়ে তাদের সেবাদাসে পরিনত হবে আরো বেশী আগ্রহী" ইতোমধ্যে হয়ে গেছে না?

সুই সুতো দিয়ে যে ফাক ফোকড় ১৪০০ বছর ধরে লাগানো সম্ভব হয়নি সেখানে এসব আধুনা বুদ্ধিজীবিরা যখন জানের ভয়ে সেই সুইসুতোর কথাই ইনিয়ে বিনিয়ে বলে তখন আরো হাসি পায়।

এইটার যে বানিজ্য তা তো হত্যাকারী বানিজ্য। ভীষণ কষ্টই হয়।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১০

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল লেখা।

অতি ধার্মিক এই ছাগলেরা টেরও পাচ্ছে না কীভাবে তারা রাজনীতির ঘুঁটিতে পরিণত হয়ে সকল মুসলমানের জন্য অভিশাপ নিয়ে আসছে। এক মওলানা সাদের আহম্মকী উগ্রবাদীদের হাতে ব্যাটন তুলে দিয়েছে। ঐটাই ওরা চাচ্ছিল। মি: আহম্মক সেটা অতি যত্ন সহকারে ঘৃণাবাদীদের হাতে তুলে দিয়ে সাধারণের জীবন যাপন কঠিন করে তুলেছে। আমরাও এখানে বাইরে নেই। শুধু আঙ্গিকটা ভিন্ন। কিন্তু ছাগলদের খোয়াড়ে বন্দি রাখবে এ সাধ্য কার।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মি: আহম্মক সেটা অতি যত্ন সহকারে ঘৃণাবাদীদের হাতে তুলে দিয়ে সাধারণের জীবন যাপন কঠিন করে তুলেছে। আমরাও এখানে বাইরে নেই। শুধু আঙ্গিকটা ভিন্ন। কিন্তু ছাগলদের খোয়াড়ে বন্দি রাখবে এ সাধ্য কার।

আর বইলেন না, তাকায়া তাকায়া দেখি। ভালো থাকবেন।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৪

পলাতক মুর্গ বলেছেন: বোকা বন্ধুর চেয়ে বুদ্ধিমান শত্রু ভাল
শত্রুর সাহায্য করার জন্য বোকা হওয়াই যথেষ্ট

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম থাকুক ধর্মের যায়গায়।ব্যক্তিগত ভাবে পালিত হউক ধর্ম,রাষ্ট্রিয় ভাবে না।সরকারী কোন কাজেই ধর্মকে টেনে অনা যাবে না।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: ধর্মান্ধরা আসলে এক্টা বড় সমস্যা

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাই হতাশ হবেন না। সোনালী সকাল আসবেই

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৮০-৯০ দশক থেকেই বাচ্চু রেজাকাররা বিটিভিকে ইসলামিক টিভি বানিয়ে রেখেছিল।
পরে সরকার বদল হলেও রাজনিতিকদের ইসলাম তোষন ইসলামিক টিভির সংখা ও পরিসর আরো বৃদ্ধি পায়। চলতেই থাকে।
শাহাবাগের সময়ে একবার সুযোগ এসেছিল এদের সায়েস্তা করতে, সাপলাতে দমনের পর সরকারকে সমর্থন করতে কোন দলই এগিয়ে আসেনি, নিজ জোটের এরসাদরাও না, এমনকি বামরাও না।
ধর্মান্ধতা মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লুপ্ত করে ফেলে।

পশ্চিমবঙ্গেও একই অবস্থা, জামাত মৌলবাদি তোষন চলছে,
বাংলাদেশের পলাতক যুদ্ধাপরাধী খুনি আসামী, জেএমবি, ব্লগার হত্যাকারিদের আশ্রয়, মুজিব হত্যাকারিদের অরিজিনাল কাগজ তৈরি করে খাইয়ে পরিয়ে নিরাপদে রেখেছে তৃনমুল-জামাত জোট।
বাচ্চু রাজাকারকেও দাড়ী কামিয়ে কাগজ তৈরি করে লন্ডন পৌছে দিয়েছিল এই তৃনমুল-জামাত চক্র।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০৮

রাফা বলেছেন: আহাম্মকরা আজিবনই আহাম্মক থাকে ।আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়কে যে সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ/বাঙালী ও মুসলিমদের নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার।এর মাশুল কিন্তু গুনতে হবে আমার আপনার মত মানুষ'কেই বেশি।ঐ ধর্মান্ধরা কুপের মধ্য থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে কাজেই তাদের তেমন সমস্যা হবেনা।

ধন্যবাদ,শ.চৌধুরী।ভালো লিখেছেন।ভালো থাকুন ও ভালো রাখুন।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কোরোনার দিকে মিডিয়াগুলোর মনোযোগ থাকায় কিছুদিন মুসলিম ও সন্ত্রাসী বিষয়ক খবরগুলো তেমন ছিল না | যা ছিল বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানদের জন্য অনেকটা স্বস্তিকর | গতকাল কানাডার একটি প্রধান টিভি মাধ্যমে প্রচারিত হলো 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশাল জানাজার' সংবাদ | সংবাদটি অতি সংক্ষিপ্ত হলেও আমার পরিচিত বেশ কয়েকজন কলিগ আমাকে ফোনে প্রশ্ন করেছেন, বাংলাদেশে কি এতো ফ্যানাটিক আছেন যাদের স্বাস্থ্যবিধি, বিজ্ঞান এসবের কিছুতেই বিশ্বাস নেই ? আমি আমতা আমতা করে এটা সেটা বলে কাটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি - যদিও এসব পাশ কাটানো উত্তরে কোনো লাভ হয় নি বলেই মনে হয় |

ধর্মান্ধ কিছু সুযোগ সন্ধানী তাদের উপস্থিতি জানান দিতেই এই কাজটি করলো কিনা সেটা তদন্ত করা প্রয়োজন | এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটুকু ক্ষুন্ন হলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না |

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব সমস্যা তো পরিচয় রাজনীতির, আর সেখানেই সমস্যা।

তাহলে আপনার লেখায় বেশ কিছু পরিবর্তন করতে হবে।

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০২

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আশা তো করি সোনালি দিন আসবে, কিন্তু কে আনবে আর কিভাবেই বা তা হবে, চারিদিকে শুধু নেগেটিভ ই নজরে পড়ে :((

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

কানিজ রিনা বলেছেন: উগ্রধার্মিক ও উগ্রনাস্তিক অতিকায় বেড়ে গেছে
এরা ঘুএর এপিট ওপিট।
ধর্মীয় রীতি নীতির শাসন যুদ্ধ কত হাজার বছর
চলেছে আর বিজ্ঞানের রীতি নীতি শাসন যুদ্ধ
কত হাজার বছর চলবে। পৃথিবীর নেতারা
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অস্ত্র ব্যবসায়ীর সীমা
লঙ্ঘন করছে এটোমিক এটম প্রদর্শন হোমকি
ধোমকি দিয়ে যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে।
আসলে কি পরমানু আবিস্কার হয়েছিল পৃথিবী
ধ্বংশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? নাকি পরমানু
দিয়ে যত আবিস্কার করে মানুষ আধুনিক
হবে? ঠিক ধর্ম তেমন প্রতি ধর্মেই ভাল কিছু
শিক্ষা সামাজিকতার কথা বলা আছে।
কিন্তু মানুষ ধর্মীও অনুশাসন অগ্রাজ্য করে
যার যার ইচ্ছা মত বই বানিয়ে আস্তিক
নাস্তিকের তর্ক যুদ্ধ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
আপনার কাছে প্রশ্ন ধর্মীও যুদ্ধ কত হাজার
বছর চলেছে, ব্রিটিশ আমেরিকা রাশিয়া
ক্ষমতার যুদ্ধ কত হাজার বছর চলাবে? ও
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার এটোমিক এটোমের
শাসন কত হাজার বছর পৃথিবী টিকবে?ধন্যবাদ।

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৫

আশাবাদী মানব বলেছেন: ধর্ম বনাম রাজনীতি, আস্তিক বনাম নাস্তিক, বিজ্ঞান বনাম ধর্ম এই বিতর্কগুলো দিন দিন মানুষে বিবেদকে উসকিয়ে দিচ্ছে। সকল ধর্মীয় বিধানই শান্তির কথা বলে এটা আমরা সবাই জানি। আবার ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। এই নিয়ে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেয়ারও কোন প্রয়োজনা আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেয়ার কি প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চলছে? অন্যদিকে সকল ধর্মেই ধর্মান্ধতা রয়েছে। করোনাকালে শুধু মুসলিমরাই গণ জমায়েত করে নাই,ভারতে হিন্দু ধর্মের লোকেরাও গণ জমায়েত করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে, ইসরাইলের এক বিশেষ সম্প্রদায়ও জমায়েত করেছে, আমেরিকার এক ধর্মীয় যাজক ও করোনাকে পাত্তা না দিয়ে চার্চে লোকজনকে আহবান জানিয়েছে। এত ঘটনার মাঝে কেন যেন সব সময় ইসলাম ধর্মের অনুসারীদেরকেই বেশি গালিগালাজ করা হয়। এর কারণ অনুসন্ধান করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে???? অন্যদিকে আমরা যারা শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করার সুযোগ লাভ করেছি তারা কেন ধর্মীয় গোড়ামি দূর করার জন্য কোন কাজ করছি না। রাজনীতির বাইরে থেকে সমাজের কুসংস্কার দূর করার জন্য আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজ কি কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে? এর উত্তর আমি খুঁজে পাই না .।.।।।

১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১০

সোহানী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার একটা ভালো লেখা পেলাম।

তবে আমার মতে, মুসলিম জাতিঘৃনা যেভাবে সারা পৃথিবী গ্রাস করেছে সেরকম চীনা ভীতি তেমন কাজ করবে না। কারন সারা বিশ্বের অর্থনীতির নাটাই বলতে গেলে তাদের হাতে। আর আমরা মুসলিমরা রাস্ট্রগুলা একেকটা একে কিসিমের ধড়িবাজ, ঐক্য কি জিনিস আমরা জানি না।

তবে ওয়াজ নিয়ে যা বলেছেন তার সাথে সহমত। ওয়াজ যেভাবে সহজেই এ বেকাসোকা মানুষগুলোকে গ্রাস করতে পারে তা অন্যকোনভাবেই সম্ভব নয় নয়্ তাই এ শ্রেনীর উথ্থান্একটা ভয়ংকর বার্তা বটে।

১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন-এর এতো বানান ভুল যে তাঁর মূল ম্যাসেজটাই বুঝতে পারলাম না।

১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪০

অন্তরন্তর বলেছেন: আপনার পোস্টে অনেক দিন পর। লিখায় পূর্ণ সহমত। অতি জাতীয়তাবাদ যেমন ভয়ংকর তেমনি ধর্মান্ধতা আরও বেশি ভয়ংকর। বাংলাদেশে এই ধর্মান্ধ গুষ্ঠি বেশ খুঁটি গেড়ে বসেছে। মানুষ সাবধান না হলে বাংলাদেশ আফগানিসতানের মত হবে এটা চিন্তা করলেই শিহরিত হই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের হেফাজত করুন। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.