নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নগরায়ণ

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০২



১. কোন এক ছুটির দিনে আশুলিয়ার পথ দিয়ে যেতে যেতে ডান তাকিয়ে আপনার মনে হবে ইশ! এখানে যদি আমার একটা জায়গা থাকতো। জানালা খুলেই কি সুন্দর প্রকৃতি দেখতে পারতাম। এই দমবন্ধ ঢাকা থেকে মুক্তি মিলতো। আপনার পরিচিত যে বন্ধুরা ইতোমধ্যেই এই স্বর্গ নিশ্চিত করে ফেলেছে তাদের কথা ভেবে আপনার ঈর্ষাও হচ্ছে। দেখুন পরের টি।


দেখুন আগেরটি ২. আপনার কষ্ট এবং আকাংখা আরো একটু বেড়ে যাবে যখন দেখবেন আরে মেট্রোরেলটা তো এখান থেকেই শুরু হয়েছে। কি আরাম করে জ্যাম এড়িয়ে অফিস যাওয়া যাবে। আহ! স্কাইয়ে বসে সেলফি পোস্ট করবেন। ডানপাশে ওয়াটার বডি। জাস্ট ওয়াও। দেখুন পরের টি।



দেখুন আগেরটি ৩. আপনি একটু এদিকেও তাকাবেন। আরে নদীটা কি ভরা। বিকেলে এখানে বেড়াতে আসা যাবে। ছবি তোলা যাবে। এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য থাকবে। দেখুন পরের টি।



দেখুন আগেরটি। ৪. আপনার মনে হবে এই দুইজন নদীর দিকে তাকিয়ে কি দেখে? নদীর সীমানা? থাক! এঁদের নিয়ে এত ভাবনার আর কিছু নেই। যারা এভাবে একদম পথের পাশেই বসে থাকে তারা আর কেমন হবে? এরা নিশ্চয়ই সেই ফ্ল্যাটে থাকে না। দেখুন পরেরটি।


দেখুন আগেরটি। ৫. আপনি বিরুলিয়া ব্রীজে যাবেন। সেখান থেকে ফেইসবুকে দেবার জন্য সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে চাইবেন। দ্বীপ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছগুলো দেখে আপনার মনে হবে ইউটিউবে কোন কোন নাটকে জানি দেখছিলাম! আপনারও মনে হবে যাই যাই। কিন্তু আগের ছবির মত এই বালুবাহী লঞ্চ আপনার বিশেষ মনযোগ নিবেনা। lনদীর মধ্যে এই খাম্বার কোন অর্থ আপনার মধ্যে ঢুকবে না। আপনার মধ্যে ডানদিকে নৌকায় চড়ার এক্সাইটমেন্ট কাজ করবে। দেখুন পরেরটি।


দেখুন আগেরটি। ৬. আপনি বুঁদ হয়ে আছেন এইসব কন্ডোমিনিয়ামে নিজের জায়গাটুকু নিশ্চিত করার স্বপ্নে। আর নাহয় বিরুলিয়া ব্রীজের পাশে মাটির কাপে চা খাওয়ার বাসনায় দেখুন পরেরটি।



দেখুন আগেরটি। ৭. আপনি বালির ড্রেজার, নদীটার মধ্যে বাঁদিকের জায়গাটার সাথে কোন সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন না। আপনার মনে হবে না যে বাঁদিকের জায়গাটা ছিলনা। ঐ জায়গাটা নদী দখল করেই হয়েছে। দেখুন পরেরটি।



দেখুন আগেরটি। ৮. আপনি হয়ত খেয়াল করেননি, তবে কুকুরটি হয়ত খেয়াল করেছে ক'দিন আগে সেখানেও নদী ছিল। এখন বড় বড় ক্রেন এসে কামড়ে কামড়ে নদী ভড়াট করছে। সেই চিরাচরিত ড্রেজিং এর পাইপ বসেছে। আর যে লোকটি দেখাশোনা করছে সে ক্যামেরাওয়ালা কাউকে দেখেই সন্দেহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আর বলছে "কে ভাই আপনি? সাংবাদিক নাকি?" দেখুন পরেরটি।


দেখুন আগেরটি। ৯. কখনো একটু থেমে চিন্তা করে দেখলে ভাবতে পারেন।

ঐই হয়। প্রথমে বালি ভরাট হয়। সেটি দিয়ে নদীতে একটা টিলা হয়। আশেপাশে একটা চিমনি থাকে, সেখান থেকে ইট আসে। টাওয়ার থাকে দুইটা সেখানে নেটওয়ার্ক আসে। সেখানে একটা ছাউনি হয়, সেখানে শ্রমিক আসে। সেখানে ব্যাটা পুরুষ নেতা হয়, দালাল হয় আর নতুন নতুন দালান তৈরি করে। সে আবার দালানের মালিক হবার স্বপ্ন দেখে। সেই দালানে সিমেন্টে বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুন নতুন আয় করার ধান্ধা আসে। আবার সেখানে নির্লজ্জ কাশফুলও ফোটে। সেখানে লোকেরা বেড়াতে আসে। সেখানে ফুচকার দোকান বসে। চক্র চলতে থাকে। ঢাকা বিস্তৃত হয়। প্রকৃতি পরাস্ত হয়। শেষ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

বেড়ানোর মতো আর ছবি তোলার মত জায়গা। বর্ষাকালে কেমন অসাধারণ হয়ে ওঠে । এবারও ব্যতিক্রম নয় কিন্তু ।

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: তুমি শুধু সৌন্দর্য্য দেখলা? রাজনীতি দেখলানা? হি হি হি।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবি হলো নগরায়নের এখানে সবাই রাজনীতি দেখবে। আমিতো সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ টুগ্ধ হয়ে রাজনীতি ভুলে গেছি।রাজধানী চারপাশেই প্রসারিত হচ্ছে। গ্রামের বাড়ি ধামরাই হওয়তে আশুলিয়া বারোমাসের রূপ চোখের উপর ভাসে। আবাস গড়ে তোলার এটা দারুন জায়গা কোন সন্দেহ নেই বর্ষাকালে মনে হবে উই আর লিভিং ই ন ভেনিস। ভেনিসে যাই নি তবে সিঙ্গাপুর গিয়েছি। ওটা বর্ষাকালে সিঙ্গাপুরের মত হয়ে যায়।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা। "ওটা বর্ষাকালে সিঙ্গাপুরের মত হয়ে যায়। " কিন্তু সিঙ্গাপুর আর হয় না।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শরৎ দা এই জায়গা নিয়ে এর আগে আপনার যে ছবি ব্লগটা ছিলো তা ছিলো কাশবনের!!! মনে আছে সেই পোস্টের কথা??
শরৎ এর কাশ আনন্দ

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ওয়াও কাভা। কি মনে করায়া দিলা। ৯ বছরে দেখার চোখ অনেক পাল্টেছে দেখলাম। অনেক শুভেচ্ছা ভাইটি।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার সব ছবি, চমৎকার উপস্থাপনা।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দস্যু। অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নগরায়ণ একদিন আশুলিয়া গ্রাস করবে। যেমনটি গ্রাস করেছে পূর্বাচল। বসুন্ধরা আবাসিক এরাকা পুরোটা জলা ডোবা ঝিল ছিলো, কিছু ছিলো ধানি ক্ষেত। চাকদিগুন নাকে একটি জলা ছিলো উত্তরা সেক্টর ১২ থেকে সেক্টর ১৮ তা গ্রাস করেছে।



৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: একদম, একদম ঠিক বলেছেন মাহমুদ।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা শহরকে জন্মনিয়ন্ত্রণ টেবলেট খাওয়াতে হবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ট্যাবলেটে আর হবে না মনে হয় গাজী, ...চারপাশের নদী ব্যবস্থাকে সচল না রেখে প্রাণ-প্রকৃতির ভারসাম্য না তৈরি করে শুধু ঢাকা কেন পুরো দেশেরই অবস্থা বেহাল হবে

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:১১

কামাল১৮ বলেছেন: ধানমন্ডি,বনানী,গুলশান,বারিধানা এই তো সেদিন বসুন্ধরা ও উত্তরা এই রকম ছিল।দিন দিন তাদের অবস্থা খারাপের দিকে।অপরি কল্পিত নগরায়নে সব নষ্টদের দখলে চলে যায় ।দেখার কেউ নাই।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দেখার আছে নিশ্চয়ই কিন্তু তারা কি দেখবেন আর কি দেখবেন না সেটা বেশ ভাবনার বিষয় বইকি।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: নদীর পাশে সীমানা নির্ধারন করার পরেই এই কাজগুলো একযোগে শুরু হয়েছে। আগে করত লুকিয়ে ছাপিয়ে, এখন করে বুক
ফুলিয়ে।
আমার প্রায় প্রতিদিন ও পথে যাওয়া হয় ধীরে ধীরে পরিবর্তনটা দেখলাম-কিভাবে প্রকৃতি আর সৌন্দর্য মানুষের লোভের কাছে
অসহায়!!!

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্রকৃতি আর সৌন্দর্য মানুষের লোভের কাছে পরাজিত সেই আদিকাল থেকে। আমার বলার কথাটা হল, নাগরিক সেই সাজানো ওয়াটার বডি ই আপনি কিনবেন নিজের এপার্টমেন্টের নীচে। তাতে নদী মরল কি বাঁচল কি এসে যায়।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১০

হাবিব বলেছেন: ঢাকা শহরে আর কয়েক বছর পর মানুষ টিকতে পারবে বলে মনে হয়না।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এই যে ওভার সেন্ট্রালাইজেশন, সেখানে গল্পগুলোতে স্তরে স্তরে সাজানো। হয়ত ঢাকা টিকবে কিন্তু আশেপাশের মানুষ?

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

গফুর ভাই বলেছেন: বাংলার মূল সমস্য হল জনসংখ্যা বিস্ফোরন।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তবে, একটাই কি? অব্যবস্থাপনা, দুর্ণীতি, দৌরাত্ব্য.।এগুলোকে কীভাবে দেখবেন?

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ৯৮ সালে বিদেশীদের নিয়ে এই এলাকার সবখানে ঘুরেছি খালি জমির খোজে । মেলেনি বা পছন্দ হয়নি । সব শেষ ২০০৫ । তখনো আশুলিয়ার ঝিল ফাকা । মিরপুরের ১২ তালার উপর দিয়ে খুদে দালান দেখিয়ে বাড়িওয়ালা বলল আপনার আশুলিয়া । বিশাল এক সিটি তৈরি হয়ে আছে । গেল এবং চলতি করোনা সময়ে প্রতিদিনই দেখি আর ভাবি নদী ঝিল বিল নষ্ট আমরাই করছি । যাব ভেড়িবাধের রাস্তা দিয়ে দেখতে ।


বেশ কষ্ট করেছেন পুরো বিষয় তুলে আনতে ।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনি তো দারুণ করে ঢাকার বিস্তারের গল্পটা ওরাল হিস্টোরির মধ্য দিয়ে বললেন। দারুণ সম্মৃদ্ধ করলেন।

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপরিকল্পিত নগরায়নের গ্রাসে নিহত প্রকৃতি....
স্থির চিত্রের মধ্য দিয়ে যেন এক সকরুন ধ্বংসের উপাখ্যান :((

পোষ্টটা মনে হয় রিপিট হয়েছে!

ফিরিয়ে দাও অরন্য -লহ এ নগর প্রকৃতির এ চিৎকার শুনছেনা কেউই

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্টের রিপিট ঠিক করে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ভৃগু। অপরিকল্পিত নগরায়নের প্রকল্পে মধ্যবিত্তের লোভ-কে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না কিন্তু, কি বলেন?

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু ক্ষমতাসীনেরা দখল করে নিচ্ছে। কিন্তু সব দেখে শুনে চুপ করে থাকতে হবে। এটাই এই দেশের নিয়ম। কথা বলতে গেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিবে।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: একদম। আপনার পর্যবেক্ষণ দারুণ। আমি যুক্ত করতে চাই যে এটি কেবল একমুখী গল্প না, এর মধ্যে যারা পার্টিসিপেন্ট (মানে মধ্যবিত্ত, নাগরিক ) তারাও কিন্তু এর উৎসাহী সাব্সক্রাইবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.