নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি ও তার কবিতা

১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

আজকাল কবিদের অহরহ ছড়াছড়ি । প্রতিদিনই নীল সাদার পৃষ্টায় প্রচুর কবিতা চোখে পড়ে । কিছু খাদ্য কিছু অখাদ্য আর কিছু এতই জটিল যে ইহা খাদ্য না অখাদ্য তা বুঝে উঠাই মুসকিল । এই ক্ষেত্রে আমার দুটো তত্ত্ব আছে । যথাক্রমে -
.
১। জৈনিক কবিটি অধিক শিক্ষিত অর্থ্যাৎ যার মর্ম উপলদ্ধি করা সাধ্য আমার মত অশিক্ষিতের নেই
.
অথবা
.
২। জৈনিক কবিটি জানেই না সে কি কাকের ঠ্যাং বগার ঠ্যাং লিখছে
.
কিছু কিছু কবিতা ব্যাতিক্রম আছে যেগুলো একবার পড়ে উপলদ্ধি বড়ই কঠিন , সেগুলো বার বার পড়তে হয় এবং এর মর্ম সচরাচর আরেকজন কবিই বের করতে পারে । তবে বর্তমান এএকটা পোষ্টের পিছে এত সময় নষ্ট করার সাধ্য কয়জনেরই আছে বলুন ?
.
যে যাই বলুক না কেন । কবিতার সাথের রমনীর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ট । রমণীর আগমণ ও প্রস্থান দু ক্ষেত্রেই কবিতার সুখ ও দুঃখের মাঝে মিল বন্ধন করে অনেকেই তৃপ্তি খোঁজে । আমি নিজেকে কবি না বললেও আমার কবিতা আঁকাআঁকি কারণও কিন্তু এক রুপবতী রমণী । যে যাইহোক রমণীরা কবিতা বুঝুক বা না বুঝুক তারা চিরকালই কাব্যলক্ষী হতে ভালোবাসে আর ক্ষেত্র বিশেষে এর রচয়িতার প্রেমেও পড়ে । তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে রমণীরা কবি নয় বরং কবিতার বই যে কিনতে পারে তাকেই বিয়ে করে । কারণ কবিতা বেচে কোন কবিই লাখপতি হয়েছে আমাকে দেখাতে পারবেন ?
.
.
কবিতা নিয়ে আরেকটা ইন্টারেষ্টিং কথা বলি । যারা মোটামুটি কবি না হলেও কাব্যচর্চা করেন তাদের সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । সে সব কবিদের (!) সঠিক মূল্যায়ন বেশিভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বন্ধু ও পরিচিত কাছে কখনো হয় না । তারা চিরকালই বন্ধুটির কবিতা পড়ুক বা না পড়ুক "কবি" বলে বিদ্রুপ করতে ভালোবাসে । উদাহারণ সরূপ - এককালে যখন নিয়মিত কবিতা (!) লিখতাম তখন আমরাই এক বন্ধুই ছিল আমার কবিতার তীব্র সমালোচক । তারমতে আমি অত্যন্ত জঘন্য কবিতা লিখি (কথা সত্য) একদিন একটা কবিতা তাকে ধরিয়ে দিয়ে বললাম "কবিতাটা রুদ্রের , দেখতো কেমন হয়েছে ?" পড়েই বলল "অসাধারণ , রুদ্রের কবিতার কি কোন তুলনা চলে ?" উত্তরে আমি হাসি । তাকে আজো বলা হয়নি কবিতা আমার ছিল । অথচ এইসব সমালোচকরা রোমান্টিক বিপদে পড়লে ঘুরে ফিরে আজো আমার কাছে এসে ধর্ণা করে একটি রোমান্টিক কবিতার জন্য । যেটাকে অতীতে তারা পদ্য বমি বলে বিষেদাগারের গান গেছে ।
.
.
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থেকে ভিন্নতর , গ্রীক দার্শনিক প্লুটো একবার একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন । যেখানে সব পেশার মানুষ ছিল তবে সেখানে কবির কোন স্থান ছিল না । তার দৃষ্টিতে কবিরা সমাজকে কিছু দিতে পারে না । তাদের রচনা সুর সবই অর্থহীন । তবে আমার দৃষ্টিতে এই ধরণীর সবচেয়ে সুন্দর মনের মানুষ কিন্তু এই কবিরাই । তারাই অর্ন্তনিহিত সৌন্দর্যকে উপলদ্ধি করতে পারেন । মানুষকে ভালোবাসতে পারেন । ভালোবাসা শিখাতে পারেন । নিবেদন পক্ষে তাদের হাতে অন্তত কোন মানুষের সলীল সমাধি হয় না । উল্টো তাদের কবিতা সমাধির উপর শোভা পায় । আর যারা কবিতা লিখতে না পারুক , পড়তে ভালোবাসে তাদের মন আর যাইহোক কুলষিত মনের মানুষের চেয়ে ভালো থাকে
:-) :-)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শান্তনু চৌধুরী শান্তু ,



তবে আমার দৃষ্টিতে এই ধরণীর সবচেয়ে সুন্দর মনের মানুষ কিন্তু এই কবিরাই । তারাই অর্ন্তনিহিত সৌন্দর্যকে উপলদ্ধি করতে পারেন । মানুষকে ভালোবাসতে পারেন । ভালোবাসা শিখাতে পারেন । নিবেদন পক্ষে তাদের হাতে অন্তত কোন মানুষের সলীল সমাধি হয় না । উল্টো তাদের কবিতা সমাধির উপর শোভা পায় । আর যারা কবিতা লিখতে না পারুক , পড়তে ভালোবাসে তাদের মন আর যাইহোক কুলষিত মনের মানুষের চেয়ে ভালো থাকে

এটুকু সুন্দর লিখেছেন । এবং সাধারনত অধিকাংশ কবি আর কবিতা অনুরাগীরা ভালো মনের মানুষ-ই হন ।

২| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: উপলদ্ধির অংশটুকু ধরতে পেরেছেন বলে অশেষ ধন্যবাদ :-)

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

জেআইসিত্রস বলেছেন: কবিরা সভ্যতার আয়না। যুগে যুগে মানুষের জয়গান গেয়ে মানবতার গান গেয়ে কলমে প্রতিবাদ করে গেছেন, করে যাচ্ছেন। ভালবাসা সেতো কবির জীবনের অধ্যায়, কবিরা সমাজের বঞ্চিত, শোষিত, মানবতা, সাম্যের কথা বলে। মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম কবির লিখার মূল আকর্ষন। কবি লিখে কবির জন্য নয়, সমাজের জন্য। আপনার লিখাটি পড়ে ভাল লাগলো তাই কিছু লিখলাম। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.