নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানীং ফেসবুকে বিভিন্ন পোষ্টের কমেন্ট বক্সে কিছু লোকের কমেন্ট দেখতে পাওয়া যায়। কমেন্ট গুলো দেখতে কিছুটা এরকম: "লাল স্বাধীনতা" , "সংস্কার" ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখে মনে হবে কিছু হতাশাগ্রস্ত লোকের কমেন্ট। এবং তারা এই কমেন্টগুলো মূলত হতাশা থেকেই করে।
এখন আমরা এদের ব্যাপারে একটু কথা বলবো। কারা হতে পারে এরা? মূলত এরা একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের মানুষ। যাদের মধ্যে একটা সাধারণ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সমর্থক। সেটা তারা প্রত্যক্ষ ভাবে স্বীকার না করলেও আমরা খুঁজলে ব্যাপক তথ্য পেয়ে যাবো এই ব্যাপারে।
এরা তাদের কগনেটিভ ডিজোনেন্স এর জন্যে মেনে নিতে পারেনা যে বিগত সরকারের আমল ত্রুটিপূর্ণ ছিলো। অবশ্য তাদের দোষ দিয়ে কি হবে? তারা তো তাদের অতীতের বিশ্বাস ও কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে না। তারা তাদের এই মানসিক দ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্যে এখন বিগত শাসনামলে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যার সমতুল্য নৃশংস অপরাধকেও অস্বীকার করছে এবং এর পক্ষে যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে। এছাড়াও এদের প্রত্যেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে নানা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা পেয়ে আসছিলো। এখন সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা মানসিকভাবে প্রায় অসুস্থ বলা যায়। ফলে এখনো সরকার পতনের পরও তারা পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি একধরনের দুর্বলতা অনুভব করে। এর প্রধান কারণ বলা যায় অনৈতিকভাবে সুবিধা পেতে পেতে তারা নিজেদের সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল।
একটা উদাহরণ আমরা দেখতে পারি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি শাসনের পতনের পরে অনেক নাৎসি সদস্য ও তাদের সমর্থকেরা নাৎসি বাহিনীর শাসন আমলের অর্থনৈতিক ও সামরিক সফলতা অর্জনকে গ্লোরিফাই করা শুরু করে। এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা নাৎসি শাসনের বর্বরতা, যেমন: হলোকাস্ট ও যুদ্ধকালীন নৃশংসতাগুলোকে ছোট করে দেখাত।
ঠিক তেমনি আমাদের দেশের পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক ও সদস্যদের মাঝেও একই রকম প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৪
মেহেদি হাসান শান্ত বলেছেন: আন্দোলন হাইজ্যাক সেদিনই হয়েছে, যেদিন উপদেষ্টাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আর যারা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুব খুশি, তারা কারা? আর বর্তমান পরিস্থিতি আসলে কী রকম? অনেক রিকশাওয়ালা-শ্রমিক-মজুর বা মধ্যবিত্ত যারা আওয়ামী লীগের পতনে জোরালো অবদান রেখেছে, তাদের কথাবার্তা কী রকম? তারা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কি খুশি? না হলে কেন নয়? তারাও কি আগের সরকারের শাসনের বৈধতা দিচ্ছে?
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৭
মেহেদি হাসান শান্ত বলেছেন: আমার বলার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আর হ্যাঁ তারা আওয়ামী লীগের পতনে খুশি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুশি না। খুশি না থাকার কারণও আওয়ামীলীগ। কারণ দেশের অর্থনীতির যে হাল করে রেখে গেছে তারা, তার থেকে উত্তরণের পথ খুবই উঁচুনিচু। একটু তো কষ্ট ভোগ করতেই হবে।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: যেটাকে আপনারা আন্দোলন বলছেন, সেটাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা প্রতারনা বলছেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫
মেহেদি হাসান শান্ত বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আর বিপক্ষ নামক এই বাইনারিতে দেশের জনগণকে দেখাই ছিলো স্বৈরাচার পতনের অন্যতম কারণ। যারা স্বৈরাচারকে সমর্থন করতো তারা স্বৈরাচারের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলো। আর যারা স্বৈরাচার সমর্থন করেনি তারা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরেও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল হয়ে গেছিলো। তো এখন সেই রেজিমের কথিত পক্ষের লোকেদের আসলে আমি স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে দেখব এবং তাদের কথা কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নিজ দলের প্রতি সমর্থন যে কেউ জানাতেই পারে। ইতিহাস বিচার করবে, কে সঠিক ছিল। কিন্তু এই সময়ে আওয়ামী লীগের দালালি যারা করছে তারা কী বুঝে করছে সেটাই বড় একটা রহস্য। যে দলের প্রধান নেতা থেকে শুরু করে ৯৫% বড় নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে তারা এত সহজে ফিরতে পারবে না বলেই মনে হয়। তাহলে তাদের জন্য এখনও লুকিয়ে ‘জয় বাংলা’ লেখা কিংবা ভোর বেলা মুখোশ পরে মৃদু স্বরে মিছিল করে বেকুবদের কী লাভ? তাদের এতিম করে দিয়ে যে নেতা পালিয়ে যায় তাদের জন্য রাজনীতি করা কতটুকু উচিত। তাছাড়া আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে আসতে এরা বুড়া হয়ে যাবে...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭
মেহেদি হাসান শান্ত বলেছেন: নিজ দলের প্রতি সমর্থন এক জিনিস আর ডিলুশন এ থাকা আরেক জিনিস। ডিলুশনে থেকে নিজের অস্তিত্ব সংকট থেকেই এসব কমেন্ট করা এদের। কোপিং মেকানিজম আরকি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে।কিন্তু আন্দোলনটি হাইজাক হয়ে গেছে কিছু বর্ণ চোরার কারণে যাঁদের আমরা চিনতে পারিনি।এই দানবরা মুখোশ পরে তাদের আশল চরিত্র আড়াল করে রেখেছিলো।আস্তে আস্তে তা উন্মোচিত হচ্ছে জনগনের কাছে।সাথে যুক্ত ছিলো কিছু আন্তর্জাতিক চক্রান্ত।এখন তারা পালানোর পথ খুঁজছে।