![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পসিটিভ স্কুলের মাধ্যমে আমরা পুরো বাংলাদেশ এ পসিটিভ মানসিকতা ছড়িয়ে দিতে চাই। বিজ্ঞান এবং পসিটিভ সাইকোলজির জ্ঞানের সাহায্যে, আমরা বাংলাদেশিদের উন্নত মানের সেবা বিলিয়ে দিতে চাই। আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত কিন্তু সেই সাথে আকর্ষণীয় পসিটিভ কনটেন্ট এর মাধ্যমে তরুন বাংলাদেশিদের মানসিক, সামাজিক, এবং শারীরিক উৎকর্ষতা বাড়াতে চাই।
ঠিক যেমন ক্যালকুলাস এর অংক জীবনের কোথাও কাজে লাগে না, পাঠ্য বই এর খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে জ্ঞানটুকু আমরা কখনই কাজে লাগাই না। অনেকেই হয়ত জানি কিন্তু ভুলে গেছি। Why we need to know about healthy food habit.
আমরা সবাই জানি এবং বারবার এই কথাটা শুনি যে, দেশের অধিকাংশ মানুষ পুস্টিহীনতায় বা অপুষ্টিতে ভুগছে। কিন্তু কেন পুস্টিহীনতায় বা অপুষ্টিতে ভুগছে? দেশের বেশিরভাগ মানুষ তো না খেয়ে থাকছে না। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় যেটা দেখেছি যে এই অপুস্টি জনিত সমস্যার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (proper diet) সম্পর্কিত ধারনার অভাব অন্যতম।
দেশের অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই অপুস্টিজনিত সমস্যা দূর করার জন্য নানা ভাবে কাজ করছে। সাধারণত এসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে নিম্নআয়ের মানুষদের নিয়ে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সঠিক পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি কিভাবে অল্প আয়ের মধ্যে অধিক পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা যায় এই জ্ঞান বা নির্দেশনা দেয়া উচিৎ। তাহলে অচিরেই অপুস্টিজনিত নানা সমস্যা থেকে মুক্ত হবার পাশাপাশি, তাদের দেহ ও মন উত্তরোত্তর ভালো হতে থাকবে। সে নিজে, তার পরিবার, সমাজ, সর্বোপরি দেশ এতে উপকৃত হবে।
আমার আজকের লেখা তাদেরকে নিয়ে যারা শিক্ষিত এবং যাদের মোটামুটিভাবে অর্থনৈতিক সমস্যা নেই তাদের নিয়ে। তাদের খাদ্য (diet) এবং পুষ্টি (nutrition) সম্পর্কিত জ্ঞান এবং বিভিন্ন (myth) নিয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঠিক যেমন ক্যালকুলাস এর অংক জীবনের কোথাও কাজে লাগে না, পাঠ্য বই এর খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে জ্ঞানটুকু আমরা কখনই কাজে লাগাই না। অনেকেই হয়ত জানি কিন্তু ভুলে গেছি।
আমরা প্রতিনিয়ত ডায়েট (diet), নিউট্রিশন (nutrition) এই শব্দ গুলো শুনি এবং নিজেরাও ব্যবহার করি। কিন্তু আমাদের সবার কি ডায়েট এবং নিউট্রিশন সম্পর্কে সঠিক ধারনা আছে? ডায়েট (Diet) মানে খাদ্য, পথ্য, আহার বা খাবারের অভ্যস্ততা। কিন্তু খুবই সাধারণভাবে আমরা ডায়েট বলতে না খেয়ে থাকা বা কম খেয়ে থাকাকে বুঝি। ওজন নিয়ন্ত্রন (body weight management) অথবা আমরা নিজেদের দেহের ওজন কমাতে বা বাড়াতে চাই অথবা যেমন আছে তাই ধরে রাখতে চাই – তাহলে আমাদের জন্য দরকার সঠিক খাবারের অভ্যাস বা সুষম খাদ্য (proper Diet)।
“যে ঠিকমত খায়নি; সে ঠিকমত চিন্তা করতে পারে না, ভালবাসতে পারে না, ঘুমাতে পারে না।”
― ভারজিনিয়া ঊলফ
“One cannot think well, love well, sleep well, if one has not dined well.”
― Virginia Woolf, A Room of One’s Own
কিভাবে? খুব সাধারণভাবে আমরা এটাও বুঝি যে যার ওজন বেশি সে যদি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সে কম খাবে এবং যার ওজন কম সে বেশি বেশি খেয়ে ব্যাল্যান্স করবে। কিন্তু সেই অল্প বা বেশি খাবারটাও যে সঠিক খাবারের সমন্বয়ে হতে হবে সেটি ভুলে যাই। কারন শুধু যেকোনো খাবার কম বা বেশি পরিমানে খেয়ে আর যাইহোক অন্তত সঠিকভাবে ওজন কমানো বা বাড়ানো যায় না। কিছুদিন পর কোন একটি খাবারের উপাদান কমে গেলে সেই উপাদানের ঘাটতি জনিত সমস্যা দেখা দিবে। তাই শুধু কম বা বেশি খেলেই হবে না, সেই কম বা বেশি খাবারে থাকতে হবে পুস্টিগুনের ব্যাল্যান্স।
তাহলে পুষ্টি কি জিনিস? পুষ্টি বলে প্রথমেই আমরা কোন খাবার কে বুঝি। কিন্তু সহজভাবে বলতে পুষ্টি একটি প্রক্রিয়া। যেকোনো খাবার খাওয়ার পর আমাদের দেহ সেই খাবার থেকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান (carbohydrate, protein, vitamins, minerals) তৈরি করে। সেই খাদ্য উপাদানগুলো আমাদের শরীরের সকল কাজে লাগে। যেমন শর্করা (carbohydrate) সাধারণত আমাদের শক্তি যোগায়। প্রোটিন (protein) সাধারনত আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বানাতে বা মেরামতের কাজে লাগে। তাই পুষ্টি নিজে কোন খাবার না কিন্তু একটি খাবারে কি কি উপাদান কি কি পরিমানে আছে তার উপর ভিত্তি করে আমরা নির্ধারণ করতে পারি যে সেই খাবার টি কতটা পুষ্টিকর বা সেই খাবার টি আমাদের শরীরের কতটা কাজে লাগবে।
এত গেল পুস্টির কথা এবার অপুস্টির কথা বলি। আমাদের অনেকের মনে হয় অপুষ্টি নিয়ে জানার কি দরকার, আমরা তো অনেক/পর্যাপ্ত খাবার খাই। এর উপর আবার ওজন নিয়ন্ত্রনের ঝামেলা তো আছেই। আসলে অপুষ্টি বলতে সল্প-পুষ্টি (under-nutrition) এবং অতি পুষ্টি (over-nutrition) উভয়কেই বোঝায়। বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের ঘাটতির কারনে যেমন আমাদের শরীরের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে ঠিক সেভাবে অনেক বেশি পরিমানে গ্রহন করলেও সেই একই ঝামেলা। অনেকক্ষেত্রেই বেশি পরিমানে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে অথবা খাবারের সাথে জড়িত দেহের অঙ্গ গুলো ঠিকমত কাজ করতে পারে না। ভেবে দেখো ঠিক টানা ৭ দিনের ঈদের দাওয়াতের পর যে অবস্থা হয়। ভরপেট দাওয়াত বা এইরকম ভারী খাবার (rich foods) বা ফাস্টফুড (fast foods) এর ক্ষেত্রে সাধারনত ভিটামিন (vitamins) বা মিনারেলস (minerals) জাতীয় পুষ্টি খুব কম থাকে। তাই এইসব খাবার বেশি পরিমানে খেলে অন্যান্য উপাদান পেলেও ভিটামিন (vitamins) বা মিনারেলস (minerals) এর ঘাটতি রয়ে যায়।
তাই অপুষ্টি; হোক সেটি সল্প-পুষ্টি (under-nutrition) বা অতি-পুষ্টি (over-nutrition), দূর করার জন্য দরকার সঠিক খাবারের অভ্যাস। সুষম খাদ্য (Balanced Diet); শুধু খাদ্য (Diet) না।
পরের পর্বে healthy food habit নিয়ে লিখছি আরো বিস্তারিত। তোমার কি মনে হয়? খাবারের অভ্যাস নিয়ে আমাদের আরো জানা উচিৎ? না আমরা যথেষ্টই জানি?
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় পসিটিভ স্কুলে। তোমার healthy food habit এর কথা কমেন্ট করে জানাতে পারো অথবা আমাদের ইনবক্সে জানাতে পারো। এরকম আরো পসিটিভ স্কুলের গল্প পড়তে পারো অথবা ভিডিও দেখতে পারো।
শুরু হোক তোমার positively awesome হবার পথচলা।
আমরা সবাই জানি এবং বারবার এই কথাটা শুনি যে, দেশের অধিকাংশ মানুষ পুস্টিহীনতায় বা অপুষ্টিতে ভুগছে। কিন্তু কেন পুস্টিহীনতায় বা অপুষ্টিতে ভুগছে? দেশের বেশিরভাগ মানুষ তো না খেয়ে থাকছে না। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় যেটা দেখেছি যে এই অপুস্টি জনিত সমস্যার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (proper diet) সম্পর্কিত ধারনার অভাব অন্যতম।
দেশের অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই অপুস্টিজনিত সমস্যা দূর করার জন্য নানা ভাবে কাজ করছে। সাধারণত এসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে নিম্নআয়ের মানুষদের নিয়ে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সঠিক পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি কিভাবে অল্প আয়ের মধ্যে অধিক পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা যায় এই জ্ঞান বা নির্দেশনা দেয়া উচিৎ। তাহলে অচিরেই অপুস্টিজনিত নানা সমস্যা থেকে মুক্ত হবার পাশাপাশি, তাদের দেহ ও মন উত্তরোত্তর ভালো হতে থাকবে। সে নিজে, তার পরিবার, সমাজ, সর্বোপরি দেশ এতে উপকৃত হবে।
আমার আজকের লেখা তাদেরকে নিয়ে যারা শিক্ষিত এবং যাদের মোটামুটিভাবে অর্থনৈতিক সমস্যা নেই তাদের নিয়ে। তাদের খাদ্য (diet) এবং পুষ্টি (nutrition) সম্পর্কিত জ্ঞান এবং বিভিন্ন (myth) নিয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঠিক যেমন ক্যালকুলাস এর অংক জীবনের কোথাও কাজে লাগে না, পাঠ্য বই এর খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে জ্ঞানটুকু আমরা কখনই কাজে লাগাই না। অনেকেই হয়ত জানি কিন্তু ভুলে গেছি।
আমরা প্রতিনিয়ত ডায়েট (diet), নিউট্রিশন (nutrition) এই শব্দ গুলো শুনি এবং নিজেরাও ব্যবহার করি। কিন্তু আমাদের সবার কি ডায়েট এবং নিউট্রিশন সম্পর্কে সঠিক ধারনা আছে? ডায়েট (Diet) মানে খাদ্য, পথ্য, আহার বা খাবারের অভ্যস্ততা। কিন্তু খুবই সাধারণভাবে আমরা ডায়েট বলতে না খেয়ে থাকা বা কম খেয়ে থাকাকে বুঝি। ওজন নিয়ন্ত্রন (body weight management) অথবা আমরা নিজেদের দেহের ওজন কমাতে বা বাড়াতে চাই অথবা যেমন আছে তাই ধরে রাখতে চাই – তাহলে আমাদের জন্য দরকার সঠিক খাবারের অভ্যাস বা সুষম খাদ্য (proper Diet)।
“যে ঠিকমত খায়নি; সে ঠিকমত চিন্তা করতে পারে না, ভালবাসতে পারে না, ঘুমাতে পারে না।”
― ভারজিনিয়া ঊলফ
“One cannot think well, love well, sleep well, if one has not dined well.”
― Virginia Woolf, A Room of One’s Own
কিভাবে? খুব সাধারণভাবে আমরা এটাও বুঝি যে যার ওজন বেশি সে যদি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সে কম খাবে এবং যার ওজন কম সে বেশি বেশি খেয়ে ব্যাল্যান্স করবে। কিন্তু সেই অল্প বা বেশি খাবারটাও যে সঠিক খাবারের সমন্বয়ে হতে হবে সেটি ভুলে যাই। কারন শুধু যেকোনো খাবার কম বা বেশি পরিমানে খেয়ে আর যাইহোক অন্তত সঠিকভাবে ওজন কমানো বা বাড়ানো যায় না। কিছুদিন পর কোন একটি খাবারের উপাদান কমে গেলে সেই উপাদানের ঘাটতি জনিত সমস্যা দেখা দিবে। তাই শুধু কম বা বেশি খেলেই হবে না, সেই কম বা বেশি খাবারে থাকতে হবে পুস্টিগুনের ব্যাল্যান্স।
তাহলে পুষ্টি কি জিনিস? পুষ্টি বলে প্রথমেই আমরা কোন খাবার কে বুঝি। কিন্তু সহজভাবে বলতে পুষ্টি একটি প্রক্রিয়া। যেকোনো খাবার খাওয়ার পর আমাদের দেহ সেই খাবার থেকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান (carbohydrate, protein, vitamins, minerals) তৈরি করে। সেই খাদ্য উপাদানগুলো আমাদের শরীরের সকল কাজে লাগে। যেমন শর্করা (carbohydrate) সাধারণত আমাদের শক্তি যোগায়। প্রোটিন (protein) সাধারনত আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বানাতে বা মেরামতের কাজে লাগে। তাই পুষ্টি নিজে কোন খাবার না কিন্তু একটি খাবারে কি কি উপাদান কি কি পরিমানে আছে তার উপর ভিত্তি করে আমরা নির্ধারণ করতে পারি যে সেই খাবার টি কতটা পুষ্টিকর বা সেই খাবার টি আমাদের শরীরের কতটা কাজে লাগবে।
এত গেল পুস্টির কথা এবার অপুস্টির কথা বলি। আমাদের অনেকের মনে হয় অপুষ্টি নিয়ে জানার কি দরকার, আমরা তো অনেক/পর্যাপ্ত খাবার খাই। এর উপর আবার ওজন নিয়ন্ত্রনের ঝামেলা তো আছেই। আসলে অপুষ্টি বলতে সল্প-পুষ্টি (under-nutrition) এবং অতি পুষ্টি (over-nutrition) উভয়কেই বোঝায়। বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের ঘাটতির কারনে যেমন আমাদের শরীরের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে ঠিক সেভাবে অনেক বেশি পরিমানে গ্রহন করলেও সেই একই ঝামেলা। অনেকক্ষেত্রেই বেশি পরিমানে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে অথবা খাবারের সাথে জড়িত দেহের অঙ্গ গুলো ঠিকমত কাজ করতে পারে না। ভেবে দেখো ঠিক টানা ৭ দিনের ঈদের দাওয়াতের পর যে অবস্থা হয়। ভরপেট দাওয়াত বা এইরকম ভারী খাবার (rich foods) বা ফাস্টফুড (fast foods) এর ক্ষেত্রে সাধারনত ভিটামিন (vitamins) বা মিনারেলস (minerals) জাতীয় পুষ্টি খুব কম থাকে। তাই এইসব খাবার বেশি পরিমানে খেলে অন্যান্য উপাদান পেলেও ভিটামিন (vitamins) বা মিনারেলস (minerals) এর ঘাটতি রয়ে যায়।
তাই অপুষ্টি; হোক সেটি সল্প-পুষ্টি (under-nutrition) বা অতি-পুষ্টি (over-nutrition), দূর করার জন্য দরকার সঠিক খাবারের অভ্যাস। সুষম খাদ্য (Balanced Diet); শুধু খাদ্য (Diet) না।
পরের পর্বে healthy food habit নিয়ে লিখছি আরো বিস্তারিত। তোমার কি মনে হয়? খাবারের অভ্যাস নিয়ে আমাদের আরো জানা উচিৎ? না আমরা যথেষ্টই জানি?
তায়েবা
পুষ্টিবিদ ও ওজন নিয়ন্ত্রন বিশেষজ্ঞ। নিউট্রিশনিস্ট হিসেবে কাজ করছি। নিউট্রিশন ও ফুড সাইন্স এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা। দেশের সকলের নিউট্রিশন ও ফুড হ্যাবিট নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে চাই।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় পসিটিভ স্কুলে। তোমার healthy food habit এর কথা কমেন্ট করে জানাতে পারো অথবা আমাদের ইনবক্সে জানাতে পারো। এরকম আরো পসিটিভ স্কুলের গল্প পড়তে পারো অথবা ভিডিও দেখতে পারো।
শুরু হোক তোমার positively awesome হবার পথচলা।
©somewhere in net ltd.