![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পসিটিভ স্কুলের মাধ্যমে আমরা পুরো বাংলাদেশ এ পসিটিভ মানসিকতা ছড়িয়ে দিতে চাই। বিজ্ঞান এবং পসিটিভ সাইকোলজির জ্ঞানের সাহায্যে, আমরা বাংলাদেশিদের উন্নত মানের সেবা বিলিয়ে দিতে চাই। আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত কিন্তু সেই সাথে আকর্ষণীয় পসিটিভ কনটেন্ট এর মাধ্যমে তরুন বাংলাদেশিদের মানসিক, সামাজিক, এবং শারীরিক উৎকর্ষতা বাড়াতে চাই।
আমার আর আমার এক বন্ধুর ছোটবেলার কথা বলছি আজ।
আমাদের সবার ছোটবেলাটা পার করেছি হয় আমার মত অথবা আমার বন্ধুর মত করে। অথবা এদুটোর কিছুটা মিশ্রণে।
প্রথমে বন্ধুর কথা বলি, মোটামুটিভাবে, ছোটবেলায় যখন সে মন খারাপ করতো কেউ না কেউ তাকে চাঙ্গা করতে আসতো। রেগে গেলে কেউ তাকে শান্তভাবে হ্যান্ডল করতো। যখন ওর মনোযোগ প্রয়োজন কেউ সেখানে তার পাশে ছিলো, যখন সে কিছু বুঝতে পারতো না, কেউ ওকে ব্যাখ্যা করতো, যখন তার হযবরল অবস্থা, কেউ তাকে শাঁসানো থেকে বিরত থাকতো। যখন ও কিছুতে খারাপ করতো, ওর উপর বিরক্ত হত না কেউ। তাই বড় হলে ও যখন সমস্যায় পরতো, সে কিভাবে যেন পার করতে পারতো। আসলে সে কখনও অস্তিত্ব শঙ্কটে ভুগতো না। তার বেঁচে থাকার দরকার আসে কি না, সমাজে তার কোন ভাল্যু আছে কি না, সবাই তাকে একসেপ্ট করছে কি না এগুলো তাকে ভোগাতো না। তার ভিতরে, তার মনে প্রানে সে বিশ্বাস করতো তার অনেক ভাল্যু আছে। কারন সে হচ্ছে অন্তত দুটি পৃথিবীর মধ্যমণি। যতদিন লাগে তাকে ঘিরে থাকে মমতাময়ী দুই বিশ্ব।
আর আমার শৈশব কেটেছে মোটামুটি ভাবে যাকে বলে খারাপ শৈশব। যখন কান্নাকাটি করেছি আমার আশেপাশের মানুষরা আমাকে ছন্নছাড়া বলে ডাকতো। যখন আমি তাদের কষ্ট দিতাম, তারা বলতো আমি নাকি অযথাই মনোযোগ আকর্ষণ করছি। যখন আমি ফেইল করতাম ওটা তারা ব্যক্তিগত ভাবে নিতো। যখন আমি আশপাশ নোংরা করেছি তারা বিতৃষ্ণার চোখে তাকাতো। যখন কিছুটা শক্ত হতে চেষ্টা করেছি, তারা এটিকে হুমকি মনে করতো। যখন আমি দুর্বল, সাদামাটা, আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো। তাই, আমার জন্মটাই যেন দুঃখের ব্যাপার। আমি চারপাশে থাকা মানেই ঝামেলা। সমাজে আমি থাকাটা খুব একটা জরুরী কিছু না। আমার অস্তিত্বটা আমার প্রাপ্য না। আমি একটি বোঝা। আমি মানেই নিরাশা।
আমার বন্ধুর শৈশবটি একটা মানুষের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। এমন শৈশবই জীবনে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। স্বপ্ন দেখতে শেখায়, উচ্চাকাঙ্ক্ষা শেখায় এবং নানা দুর্যোগ অতিক্রম করতে সাহায্য করে।
আর আমার মত খারাপ শৈশবটি সারা জীবনের ঝামেলা। একটুতেই সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলি। কনফিডেন্স থাকে না। হতাশা, আশঙ্কা, সন্দেহ, ঘৃণা, রাগ এবং অপমান সবসময় আমার ভেতরে থাকে।
এখনো কিভাবে পুরোপুরিভাবে খারাপ ছোটবেলার পরিনাম থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবো ঠিক জানি না। মনে হয় খারাপ ছোটবেলার পেইন আমাকে ছাড়বে না।
কিন্তু তারপরও তোমার যদি এমন খারাপ শৈশব কাটে দুয়েকটি জিনিস খুব জানপ্রান দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারো।
তোমার ভিতরের পাগলামিটা যতটুকু সম্ভব একটু বুঝতে চেষ্টা করো। হঠাত হঠাত তোমার যেসব ইমোশন এবং রিঅ্যাকশন হয় তা বুঝতে চেষ্টা করো। নিজেকে ডোবানোর জন্য অদ্ভুত যেসব কাজ করো সেগুলো একটু খেয়াল করো। মাঝে মাঝে নিজেকে ইম্প্রুভ করার কিছু চান্স আসবে। সেগুলো একটু কষ্ট হলেও ধরার চেষ্টা করো। তোমার চারপাশের মানুষদের তুমি কিসের মধ্যদিয়ে গেছো বা যাচ্ছ তা শেয়ার করো। শেয়ার করো শান্ত ভাবে, বোঝানোর জন্য। তাদেরকে তোমার জন্য দুঃখিত হবার জন্য ইনভাইট করো। নিজেকে জটিল না করার জন্য মনে প্রানে চেষ্টা করো। চেষ্টা করো বই পড়ে, থেরাপি নিয়ে, এবং নিজে নিজে চিন্তা করে কিভাবে তুমি নিজেকে একটু হলেও জানতে পারো।
পৃথিবীতে কেমন পদচিহ্ন রেখে যাবে সারা জীবন এই চিন্তাটি সাথে নিয়ে চলো সবসময়। খারাপ ছোটবেলার জন্য মাঝে মাঝে নিজের জন্য সামান্য একটু দুঃখিত হলে না হয়।
পসিটিভ স্কুলে আমরা সস্তা এবং ক্ষুদ্রতাকে এড়িয়ে চলি। তাই আমাদের রাস্তা একটু কঠিন। আমাদের সাথে থাকো, আমাদের বড় হতে সাহায্য করো। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করো, শেয়ার করো। তুমি সাথে সাথে আমাদের ধন্যবাদ পাবে। এছাড়াও তুমি বিনামূল্যে ৫টি পসিটিভ লাইফ ই-বুক পাবে যা তোমাকে শেখাতে পারে কিভাবে তোমার স্বপ্নের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারো।
দিনটি অসাধারণ কাটুক!
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
রেজাউলকরিমবাবলু বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার লেখা।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২১
সুমন কর বলেছেন: শৈশব নিয়ে আপনার অনুভূতি বা কথাগুলো ভালো লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুন্দর হয়েছে, ইংরেজীতে অনুবাদ করে বৃটেনের রাণীকে পাঠায়ে দেন।