নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম

নদীর নাম দিলাম ময়ূরাক্ষি, তোমার নাম দিলাম জল

শারমিন নিসা

নদীর নাম দিলাম ময়ূরাক্ষি, তোমার নাম দিলাম জল

শারমিন নিসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাছে আসার গল্পঃঅত:পর ভালোবাসা হয়ে গেলো (পর্বঃ৫)

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

কথা হয়,সারা দিনে ঠিক যতটা সম্ভব।।
আর রাত..!! সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না..।।কথার ভেলা ভেসেই চলছে।
আমরা দু'জনে দু'জনের মতই কথা সাজাচ্ছি..বিয়ে নিয়ে,বিয়ের পর কি হবে তা নিয়ে কিন্তু পরিবার মাঝখান থেকে বাধ সাধলো।।
ঠিক হলো আমার মায়ের পছন্দ করা ছেলে আমাকে দেখতে আসবে সাথে বিয়ের দিন-তারিখও ঠিক হবে।
আমি আমার হবু বরকে জানালাম।অনেক হতাশার ভীড়ে একটা আশার আলো দেখতে পেলাম।খবর এলো,আমার হবু শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী বিয়ে ঠিক করার আগে আবারও এক পলক দেখতে চায় যাতে তাদের বড় কোন ভুল না হয়ে যায়। তাতেও আমি নারাজ ছিলাম না।
সে পর্বটাও শেষ হলো।তবুও তাদের আপত্তি রয়ে গেল।এবার সরাসরি আমার হবু-বর দায়িত্ব নিলো।সে তাদের আশ্বস্ত করেছে যে,সে এবার আবার আমাকে দেখবে এবং তার পছন্দ হলে বিয়ের সানাই বাজবে।কিন্তু তার বাবা-মায়ের আবদার ছিলো সে যাতে একা না যায়।
যদিও আমি তাকে ভালোভাবে দেখিনি এবং আমার বাব-মাও যে তাকে খুব একটা পছন্দ করেছিল তাও নয় তবুও হাতে ওই আংটি টা পড়ার পর আমার কি হলো জানিনা..!! আমি আর ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছিলামনা।ওরা যা করছিল তাতে ভীষণ রাগ হচ্ছিল কিন্তু কেমন যেন একটা মায়ার বাধনে বাধা পড়ে গেলাম..!
২০শে জুলাই,২০১২।যথারীতি আমরা দেখা করার উদ্দেশ্যে এক হলাম।কথা ছিল আমরা যে দেখা করবো তা আমরা দু'জন ছাড়া আর তৃতীয় কেউ জানবে না।কিন্তু সে তার প্রমিজ ভেঙে সাথে তার এক বন্ধুকে নিয়ে এলো এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও তা জানতো।শুধু জানতামনা আমি আর আমার পরিবারের কেউ।
সে দিনটা ছিল আমার জন্য প্রথম ডেটিংয়ের দিন।মনে মনে ভীষণ খুশি হতে লাগলাম এই ভেবে যে,এরেন্জ ম্যারেজ করেও বাকী সবার মত বিয়ের আগে আমার একটা ডেটিং হতে যাচ্ছে..!লুকিয়ে,চুপিসারে আমি আমার হবু বরের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।আই এম ফিলিং সো মাচ এক্সাইটেড..!!
সে যখন আমার সামনে এসে দাড়ালো,জানিনা কোথা থেকে যেন হাজার লজ্জা এসে আমার কাধে ভর করলো..!! আমি তার চোখের দিকে তাকাতেও পারছিলামনা।জীবনেও আমি এত লজ্জা কখনোই পাইনি..।
একসাথে প্রায় ২ ঘন্টার মত কাটালাম এবং সে আমার অনেকগুলো ছবি তুললো যদিও আমি মোটেও তাতে রাজী ছিলামনা।সবশেষে তার অনেক রিকুয়েস্টের পর তার পাশে দাড়িয়ে একটা ছবি তুললাম এবং মজার ব্যাপার হলো সে ছবিটা তুলেছিলো তার সেই বন্ধুটি যা ছিল আমার অজানা।
তারপর.............!!
আমরা দেখা করেছিলাম ফয়েজলেক-এ।আমার বাসা ছিল ঠিক তার আগের গলিটায়।আর সে এসেছিল ঢাকা থেকে।সবশেষে যখন আমরা দু'জন বিদায় নিয়ে ফিরছিলাম একটু ফিরে দেখি সে আমার পিছু পিছু আসছে। আমি অবাক হলাম।তারপর সে ফোন দিয়ে বললো:"তোমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।যদি অনুমতি দাও তাহলে তোমার বাসা পর্যন্ত তোমার পিছু পিছু আসতে চাই..."।
ইশ্............কি মধুর ই না ছিল সেই আবদার...............!!!!
কৃষ্নচূড়ার গাছের ফাকে ফাকে আবছা আলো-ছায়ার খেলা......মনে হল যেন আজ এই পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা বুঝি আমাদের জন্য..।ভালোবাসার শিহরণ বুঝি এমনই হয়।।কথার সাগরে বুঝি ভালোবাসার মানুষের জন্য এভাবেই ভেসে যেতে হয়।এ যেন এক অন্যরকম অনুভুতি....!!!পৃথিবীর সমস্ত সুখ বুঝি আজ আমার হাতের মুঠোয় বন্দী...।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.