নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে এসেছি

শেখক

শেখক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিকের লেখা খবর আর চায়ের দোকানের আড্ডার কথা যদি একই রকম হয়...

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

মাছরাঙা টেলিভিশনের জিপিএ ফাইভ বিষয়ক খবর নিয়ে এখনো দেখছি ব্যাপক কথাবার্তা হচ্ছে। যদিও নেপালের রাজধানীর নাম জানা জরুরী কোনো বিষয় নয়—ইন্ডিয়ার সরকারী চাকরিজীবী বাংলাদেশের নাম জানেন না বলে সরকারী পরিকল্পনা বা সেবায় আমরা তাদের চেয়ে অগ্রগামী নই—তবুও বেশির ভাগ লোক এ ব্যাপারে একমত যে, তারা অন্তত একটি কাজ অবশ্যই অন্যায় করেছেন ছেলেমেয়েগুলোর চেহারা ঘোলা না করে দিয়ে।

গতকাল সমকালে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে শ্যামলী পরিবহন এবং তার মালিককে নিয়ে। রিপোর্টে দেখা যায় শ্যামলী পরিবহনের বাসের সংখ্যা দেশের ভিতরে ৪৫০টি, ইন্ডিয়া রুটে ১০টি। এই ৪৬০টি বাস থেকে "প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ শিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।" কীভাবে এটা সম্ভব আমার মাথায় ঢুকছে না।

ধরলাম প্রতিটি বাসের সাথে স্টাফ থাকে ৩জন, প্রতি বাসের টিকিট বিক্রি করে ১০জন লোক, প্রতিটি বাসের যন্ত্রপাতি ঠিক করার লোক ৫জন। অর্থাৎ ৩২ থেকে ৪৫জন যাত্রীর বিপরীতে ১৮জন লোক কাজ করে। তাতেও তো ৪৬০X১৮=২৮৮০ হয়। তো এই ২৮৮০ যদি লাখ লাখ হয় তাহলে তো...।

রিপোর্টারকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা রিপোর্ট উপহার দেয়ার জন্য। তিনি যখন এত বড় একটা রিপোর্ট তৈরি করতে পেরেছেন, সংস্থাটির কাছে জিজ্ঞেস করে তো তাদের জনশক্তির সংখ্যাটাও জানতে পারতেন। তখন না হয় তিনি বলতে পারতেন, প্রত্যক্ষ এই কর্মীদের সাথে পরোক্ষভাবেও এর সমান সংখ্যক লোক জড়িত আছে পরিবহনটির সাথে।

আমরা পাঠক, সাংবাদিকতার জ্ঞান আমাদের নেই। কিন্তু এটুকু বুঝি যে, সাংবাদিকরা যখন কোনো তথ্য দেবেন তখন জেনেশুনে দেবেন। আন্দাজের ভিত্তিতে কোনো কিছু বলবেন না। তাহলে মুখের কথা আর সাংবাদিকের দেয়া খবরের মধ্যে কোনো তফাত থাকবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিজন রয় বলেছেন: স্বাগতম ব্লগে।

লিখুন।
শুভব্লগিং।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.