![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন,
"আপনার প্রতিপালকের কসম, আমি অবিশ্বাসীদেরকে ও শয়তানদিগকে পুনরুত্থিত করব এবং তাদেরকে উপুড় করা অবস্হায় জাহান্নামের পার্শ্বে এনে উপস্হিত করবে। " (মারইয়াম-৬৮) ।
হে মানুষ সকল ! চিন্তা কর তখন তোমার কি পরিস্হিতি হবে ? পৃথিবীতে এ যাবতকাল থেকে কেয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সমস্ত মানুষকে খাতনাবিহীন উলঙ্গভাবে হাশরের ময়দানের দিকে টেনে যাওয়া হবে । সে ময়দান তৃণলতাশূন্য সমতল ময়দান । এমন কোন টিলা থাকবেনা যার আড়ালে লুকিয়ে থাকা যাবে । আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সেদিন সমগ্র পৃথিবীর আনাচ-কানাচে মানুষসহ যত কিসিমের মাখলুক ছিলো সবাইকে একত্রিত করবেন ।
আল্লাহপাক বলেন,
"যেদিন যমীন ও আসমানসমূহকে ভিন্নতর যমীন ও আসমানে রূপান্তরিত করা হবে । " (ইব্রাহীম - ৪৮)
মহানবী (সাঃ) বলতেন,
"কিভাবে আমি আনন্দ উল্লাস করবো, অথচ ইস্রাফিল (আঃ) মুখে শিঙ্গা লাগিয়ে শির অবনত করে গভীর মনযোগে কান পেতে অপক্ষো করছেন - কখন শিঙ্গায় ফুক দানের হুকুম আসে । "
হযরত মুকাতিল (রহঃ) বলেন, শিঙ্গাটা শিং এর মত । শিঙ্গার গোলাকার মুখটি সাত আসমান ও যমীনের সমান । তিনি অপলক নেত্রে আরশের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষা করছেন যে, কখন আদেশ করা হয় । প্রথববার যখন শিঙ্গায় ফুক দিবেন , তখন আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা বেহুশ হয়ে মারা যাবে শুধু কয়েকজন ব্যতীত । তারা হলো- জীব্রাঈল, মীকাঈল, ইস্রাফিল ও মৃত্যুর ফেরেশ্তা আজরাঈল (আঃ) । অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশ্তাকে তাদের জান কবয করার হুকুম দিবেন । তারপর আল্লাহর হুকুমে মৃত্যুর ফেরেশ্তার মৃত্যু হবে । তারপর চল্লিম বছর যাবত পর্যন্ত আল্লাহ কুদরতে সমস্ত রুহ আলমে বরযখে থাকবে । তারপর আল্লাহর হুকুমে ইস্রাফিল (আঃ) জীবিত হবেন ও দ্বিতীয়বার ফুক দিলে সবাই জীবিত হয়ে হাশরের মাঠে একত্রিত হবে ।
এ কথাই আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন,
" অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুক দেওয়া হবে । তৎক্ষণাত তারা (জীবিত) হয়ে দাড়িয়ে (পুনরুত্থানের ভয়ংকর দৃশ্য) অবলোকন করতে থাকবে । (যুমার -৬৮)
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ)বলেন, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে সূর্য্য যমীনের নিকটবর্তী হবে ; ফলে মানুষ ঘর্মাক্ত হতে থাকবে । কারো ঘাম গোড়ালী পর্যন্ত, কারো অর্ধহাটু , কারো উরু, কারো কোমর , কারো মুখ পর্যন্ত পৈাছবে । কারা মাথা পর্যন্ত ঘামের মধ্যে ডুবে যাবে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেদিন মানুষ রাব্বূল আলামিনের সম্মুখে হিসাবের জন্য দন্ডায়মান হবে , সেদিন অনেকেই নিজের ঘামে কান পর্যন্ত ডুবে যাবে ।
আর এক হাদিসে আসে, মানুষ দন্ডায়মান অবস্হায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকবে এবং সীমাহীন কস্টের দরুণ ঘাম ঝরে ঝরে গলা পর্যন্ত পৈাছবে ।
মহানবী (সাঃ) এর এক স্ত্রী উলঙ্গ থাকার কথা শুনে লজ্জা অনুভব করার কথা বললে, মহানবী (সাঃ) বলেন,
'প্রতিটি মানুষ সেদিন এমন অবস্হার সম্মুখিন থাকবে, যা তাকে অন্য সবকিছুর কথা বিস্মৃত করে দিবে ।'
সাত ব্যাক্তি হারশের নীচে ছায়া পাইবেঃ
হুজুরে আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, যেইদিন আল্লাহর ছায়া ব্যাতীত অন্য কারো ছায়া হইবেনা, সেই দিন আল্লাহপাক সাত ব্যাক্তিকে আপন রহমতের ছায়ার নীচে আশ্রয় দান করবেন ।
১. ন্যায় পরায়ণ শাসক / বাদশাহ,
২. যেই যুবক যে যৈাবনে আল্লাহর ইবাদত করে,
৩.যাহার অন্তর মসজিদের সহিত সংযুক্ত থাকে,
৪. সেই দুই ব্যাক্তি যাহারা এক মাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই ভালোবাসে এবং সেই জন্য একত্রিত হয় এবং সেই জন্য পৃথক হয়,
৫.ঐ ব্যাক্তি যাহাকে কোন সুন্দরী নারী অপকর্মের জন্য নিজের দিকে ডাকে তখন সে বলিয়া দেয় যে, আমি আল্লাহকে ভয় করে ,
৬. যেই ব্যাক্তি এত গোপনে ছদকা করে যে, তাহার দ্বিতীয় হাতও উহা টের পায় না ।
৭. যে ব্যাক্তি নিরবে বসিয়া আল্লাহর জিকির করে ও তাহার চক্ষু হইতে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে । (বোখারী-মুসলিম)
সুত্রঃ মুক্কশাফাতুল ক্বুলুব । হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৫
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ । ছবি বাদ দেওয়া যাচ্ছেনা , তাই পরিবর্তন করে দেওয়া হলো ।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম!আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন পোষ্ট দেওয়ার জন্য!
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩
বাদ দেন বলেছেন: ভয়ে হাত পা ভিত্রে ধুইক্কা গেল
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪
মরূেবল বলেছেন: ছবিটা বাদ দেন।
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০
ইণ কোযেসট অব ট্রুথ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম!আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩২
ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: সাত ব্যাক্তি হারশের নীচে ছায়া পাইবে:
৭. যে ব্যাক্তি নিরবে বসিয়া আল্লাহর জিকির করে ও তাহার চক্ষু হইতে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে । (বোখারী-মুসলিম)
চোখে টাইগার বাম লাগাইয়া জিকির শুরু করলে হাশরের ছায়া নিশ্চিত। হা হা প গে
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৫
স্বার্থত্তা বলেছেন: ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: সাত ব্যাক্তি হারশের নীচে ছায়া পাইবে:
৭. যে ব্যাক্তি নিরবে বসিয়া আল্লাহর জিকির করে ও তাহার চক্ষু হইতে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে । (বোখারী-মুসলিম)
চোখে টাইগার বাম লাগাইয়া জিকির শুরু করলে হাশরের ছায়া নিশ্চিত। হা হা প গে
১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৩
েশখসাদী বলেছেন:
এরকমভাবে হাসতে হাসতে একদিন কবরে চলে যাবেন, তারপর হাসি বন্ধ হয়ে যাবে । তাই , এখন যত পারেন হেসে নেন , হেসে গড়াগড়ি খান ।
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
কাকপাখি ২ বলেছেন: "আপনার প্রতিপালকের কসম, আমি অবিশ্বাসীদেরকে ও শয়তানদিগকে পুনরুত্থিত করব এবং তাদেরকে উপুড় করা অবস্হায় জাহান্নামের পার্শ্বে এনে উপস্হিত করবে। " (মারইয়াম-৬৮) ।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
কাকপাখি ২ বলেছেন: নাস্তিকরা সেইদিন হায় হায় করবে।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
কাকপাখি ২ বলেছেন: নাস্তিকরা সেইদিন হায় হায় করবে।
১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০১
অহন_৮০ বলেছেন: নাস্তিকরা সেইদিন হায় হায় করবে
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২০
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
ঠিক আছে। তবে, আপনার ছবিটা মানানসই হয়নি। হাশরের ময়দানের scenario ফুটিয়ে তুলতে পোষ্টের গায়ে সেঁটে দেয়া ছবিটি কোন অবস্থাতেই হাশরের ময়দানের প্রতিনিধিত্ব করে না। ১%-ও না। কোন ছবি না-দিয়ে বা বিমূর্ত কোন ছবি দিয়ে পোষ্ট তৈরী করতে পারতেন। এখন হাশরের ময়দানের ভয়াবহতার ব্যাপারটা খেলো হয়ে গেছে।
তবে কনটেন্টের জন্য ধন্যবাদ।