নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল-কুরআন এর সরল অনুবাদ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া সবার কাজ নয় । প্রতিটি মুসলমানেরই এটা জানা জরুরী ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২১

শুধু কোরআনের সহজ বাংলা অনুবাদ পাঠ যথেষ্ট নহে । যাহারা অনুবাদ সহ কুরআন তেলাওয়াত করিয়া থাকেন , তাহাদের মধ্যে এই ক্রটি পরিলক্ষিত হয় যে তাহারা কুরআনের বাংলা অনুবাধ পড়িয়া তাহার সঠিক ব্যাখ্যা খুজার চেষ্টা করেন না । এখন কুরআনের অর্থ অনুধাবন করার অর্থ এই নয় যে, কুরআন অর্থ সহ পড়িয়া তাহার ভাবার্থ অনুধাবন করার চেষ্টা করিতে হইবে । শুধুমাত্র অর্থসহ কুরআন পড়িয়া তাহার মূল অর্থ বোঝা সবার জন্য সম্ভব নহে । সত্য বলিতে গেলে বিজ্ঞ আলেম ছাড়া সাধারণ মানুষ এর কাজ তা নয় ।



অনেক স্হলে দেখা গিয়েছে , শুধুমাত্র অনুবাদ পাঠ করিয়া কোরআনের অনেক কিছুই বোঝা সম্ভবপর নহে । কেননা, কুরআনে এমন অনেক বিষয় বস্তু রহিয়াছে যাহা বুঝিতে হইলে ব্যাকরণশাস্ত্র, অলংকারশাস্ত্র ও মানসুখ অর্থাৎ রহিত ও রহিতকারী আয়াত সমূহ , ওছুল এবং ফেকাহ প্রভৃতি কতিপয় শাস্ত্রে বুৎপত্তি থাকা একান্ত প্রয়োজন । এই প্রাথমিক শাস্ত্রগুলিতে যতক্ষণ পর্যন্ত কেহ জ্ঞান লাভ না করিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাহারও কুরআনের সরল অনুবাদ পাঠ করিয়া তাহার ব্যাখ্যা করা কোনরূপেই উচিত নয় । করিলে তাহাতে ভূল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়া যায় । অথচ আজকাল কিছূ মানুষ তাহাই করিতেছে । হাদিসেও কঠোর নিষেধ আছে আলেম ছাড়া যে কারোর-ই কুরআনের ব্যাখ্যা প্রদান না করার বিষয়ে।



তদুপরি সবচেয়ে বড় সমস্যা এই যে, কোন কিছূ বুঝিতে অক্ষম হইলে অপরের নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হওয়ার অভ্যাস আজকাল মানুষের মধ্যে অতি বিরল । কোন বিষয়ে সন্দেহ জন্মিলে অধিকাংশ লোকই নিজের বিবেকানুযায়ী উহার কোন না কোন অর্থ আবিস্কার করিয়া লয় । ইহার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল সিন্ধান্তে আসার ফলে ঈমান ও আকীদাও নষ্ট হয় । (যেমন এক ব্লগার লিখিয়াছেন কুরআন অনুসারে ইহুদী থেকে মুসলমান না হইলেও নাকি কোন সমস্যা নাই অথচ এ ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) স্পষ্ট হাদিস আছে মহানবী (সাঃ) আসার পর ইসলাম গ্রহণ ছাড়া যেই মৃত্যু বরণ করবে তার দ্বীন গ্রহণ যোগ্য হইবে না)



এখন আমাদের মত সাধারণ মানুষের উপায় কি ? উপায় হইলো কোন বিজ্ঞ ও পরিচিত আলেম দ্বারা লিখিত কুরআনের তাফসীর ও ব্যাখ্যা পাঠ করা । এখন এজন্য বিজ্ঞ আলেম ও উনার লেখার অনুসন্ধান খুবই জরুরী ।



আসুন একটা উদাহরণ দিয়ে আলোচনা কারা যাক । ধরা যাক একটি শহরে দুই জন চিকিৎসক রহিয়াছেন । একজন চিকিৎসাশাস্ত্রে অত্যন্ত পারদর্শী । উনার রোগ নির্ণয় এবং ওষুধ নির্বাচনে কোন ভূল সাধারণত হয় না । কিন্তু ভাষাগত দিক দিয়ে তিনি অত্যন্তু দুর্বল এবং চুপ চাপ স্বভাবের ব্যাক্তি । অপরদিকে অন্য চিকিৎসক ভাষা গত দিকে দিয়ে অনেক পটু । কথা দিয়ে মানুষের মন জয় করে ফেলেন । কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে অতটা দক্ষ ও বিচক্ষণ নহেন । এখন আপনারা ভাবিয়া বলূন, আপনাদের রোগ হইলে আপনারা কার নিকট ওষুধের জন্য যাইবেন ? নিশ্চয়ই যে চিকিৎসা ভালো জানে তার নিকট । কেননা রোগ মুক্তি-ই উদ্দেশ্য , কথা শুনে খুশী হওয়ার জন্য নয় ।



বন্ধুগণ ! আমরা যদি কুরআন শরীফকে আমাদের 'রূহানী' রোগের চিকিৎসা গ্রন্হ মনে করি তাহলে উহার তরজমা ও তাফসীর গ্রন্হ নির্বাচনের বেলায়ও একজন নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলোমের তাফসীর ও ব্যাখ্যা নির্বাচন করাও জরুরী । কোন তরজমা ভাষার দিক দিয়া চাকচিক্যময় হইলেও তাহা যদি একজন বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য আলেমের না হয় তবে তাহা অবশ্যই পরিত্যাজ্য ।



বন্ধুগণ ! দুনিয়াবী কাজ কর্মের প্রতি লক্ষ্য করুন । সামান্য সামান্য কাজগুলিও উস্তাদের নিকট না শিখিলে কেহ নিজে নিজে আয়ত্ব করিতে পারেনা । এমনকি কাঠ মিস্ত্রির কাজ যদি কেহ উস্তাদ ব্যতীত নিজে নিজে শিখিতে আরম্ভ করে তবে সে নিশ্চয়-ই নিজের হাত-পা কাটিয়া ফেলিতে আরম্ভ করিবে । অথচ প্রত্যেক মানুষ জীবনে বহু কাঠ মিস্ত্রিকে স্বচক্ষে আসবাব পত্র বানাইতে দেখিয়াছে । কিন্তু এক্ষেত্রে কেহ এরূপ বলে না যে, আমি কাঠ মিস্ত্রিকে চেয়ার বানাইতে দেখিয়াছি , সুতরাং আমিও তাহা তৈরী করিতে পারিব । দুনিয়াবী সমস্ত কাজে আমরা জানি যে, শিক্ষকের নিকট শিক্ষা ব্যতীত আমরা তাহা শিখিতে পারিবনা , করিতে পারিব না ।



কিন্তু নিতান্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, পবিত্র কুরআন শরীফকে আমরা খুবই সাধারণ গ্রন্হের পর্যায়ে নিয়া গিয়াছি । কোন শিক্ষকের নিকট ইহা শিক্ষা করা ব্যতীত-ই আমরা ইহার অনুবাদ পড়িয়া ব্যখ্যা করা শুরু করিয়া দিয়াছি । যার ফলে আমরা নিজেরাও ধ্বংস হইতেছি এবং অন্যকেও যাদেরকে এই ব্যাখ্যা শুনাইতেছি ও পড়াইতেছি , তাদেরকেও ধ্বংস করিতেছি ।



অনুগ্রহ করে আমরা এরূপ বিপদজনক কাজ হইতে বিরত হই এবং অন্যদেরকেও সাধবান করিয়া দেই যাহারা এরূপ কাজ করিতেছে ।



আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরানের সঠিক অনুবাদ ও তাহার ব্যাখ্যা জানার তৈাফিক দান করুন । আমিন ।



সূত্রঃ মাওয়া-ই-আশরাফিয়া । মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) । এমদাদিয়া লাইব্রেরী । চক বাজার, ঢাকা ।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

েশখসাদী বলেছেন:
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

কান্টি টুটুল বলেছেন: অনেক স্হলে দেখা গিয়েছে , শুধুমাত্র অনুবাদ পাঠ করিয়া কোরআনের অনেক কিছুই বোঝা সম্ভবপর নহে । কেননা, কুরআনে এমন অনেক বিষয় বস্তু রহিয়াছে যাহা বুঝিতে হইলে ব্যাকরণশাস্ত্র, অলংকারশাস্ত্র ও মানসুখ অর্থাৎ রহিত ও রহিতকারী আয়াত সমূহ , ওছুল এবং ফেকাহ প্রভৃতি কতিপয় শাস্ত্রে বুৎপত্তি থাকা একান্ত প্রয়োজন

[7] তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না .......সুরা আল ইমরান।

সুতরাং কোরআন শরীফের অনুবাদ পড়িয়া "কিতাবের আসল অংশ" (যেগুলি সুস্পষ্ট বলিয়া আল্লাহ বলেছেন) তাহা অনুধাবন করা উচিত।
কারন যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৭

সাহায্যপ্রাপ্ত বলেছেন: আপনার উদ্দেশ্য কি জানি না তবে আপনি নিজের অজান্তেই মানুষ কে কুরআন থেকে দুরে সরে দিচ্ছেন। আশা করি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

২১ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫২

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার কেন তা মনে হইল ...একটু দয়া করে বুঝিয়ে দিবেন কি ?

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩১

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সূরা মোহাম্মদ-২৪> তারা (মানুষেরা) কি এ কোরআন নিয়ে গবেষনা/বুঝার চেষ্টা/ করে না। নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?

কোরআনের এই আয়াত দিয়ে অনেক উলামা বলেছেন যারা কোরআন বুঝার চেষ্টা করেন না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ। তাই আমাদের উচিত কোরআন বুঝা।

তবে সেইভাবে বুঝা যেভাবে বুঝেছেন নবী ও সাহাবারা। যেমন সূরা আল ইমরানের ১০৩-৪ নং আয়াতে বলা হইছে তোমরা আল্লাহর রশিকে শক্ত ভাবে আকড়ে ধরো। এখন রশি কি?

রশির ব্যাখ্যা সম্পর্কে রাসুল সাঃ হাদিসে বলেছেন রশি হলো কোরআন। অর্থ্যাত কোরআনকে আকড়ে ধরো। তাই কোরআন বুঝতে হবে কোরআন দিয়ে। কোরআন বুঝতে হবে হাদিস দিয়ে। এবং বুঝতে হবে সাহাবারা যেভাবে বুঝেছেন।

ম জ বাশারের মতো লোকরাই নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে কোরআন প্রচার করে।

=> এক্ষেত্রে আরেকটা কথা বলা দরকার যে, শুধু এক আলেম এর উপর ভরসা করা যাবে না। অতীতের আলেমদের এবং বর্তমানের আলেমদের লেখাগুলো পড়তে হবে। তারা কিভাবে এই আয়াতগুলো ব্যবহার করেছেন তা দেখতে হবে। ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

েশখসাদী বলেছেন:

পড়ার জন্য ধন্যবাদ । নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা দেওয়া যাবেনা - এটাই হলো মূল কথা । আলেম নির্বাচনেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৬

কান্টি টুটুল বলেছেন: যেমন এক ব্লগার লিখিয়াছেন কুরআন অনুসারে ইহুদী থেকে মুসলমান না হইলেও নাকি কোন সমস্যা নাই অথচ এ ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) স্পষ্ট হাদিস আছে মহানবী (সাঃ) আসার পর ইসলাম গ্রহণ ছাড়া যেই মৃত্যু বরণ করবে তার দ্বীন গ্রহণ যোগ্য হইবে না

যে হাদীস আল কোরআনের বিরুদ্ধে যায় সেই হাদীস বাদ।

[48]……..যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন।
……….সুরা আল মায়েদা

[69] নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
..........সুরা আল মায়েদা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২৫

েশখসাদী বলেছেন: এই কুরআনে-ই কিন্তু বলা আছে যে, তোমরা মুসলমান না হয়ে কবরে আসিওনা ।

এ জন্যই মুরুব্বীদের নিকট কুরআন এর ব্যাখ্যা জানার জন্য আলেমগণ উপদেশ দিয়া থাকেন । মহানবী (সাঃ) যা বলিয়াছেন তা তিনি নিজের থেকে কিছু বলেন নি । তা আল্লাহরই কথা । সহীহ হাদিস নিয়ে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয় ।

এখন যেহেতু কুরআনের উক্ত আয়াত অনুসারে আপনি যদি বুঝে থাকেন যে ইহুদী আর খ্রষ্টানদের মুসলমান হওয়ার দরকার নাই যা আপনি মহানবী (সাঃ) থেকেও বেশী বুঝে গেছেন ...যিনি সারাটি জীবন ও সাহাবীরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্যয় করেছেন ..উনারা এবং আউলিয়া কেরাম কেহই এই কথা বলেন নি যে, তাদের মুসলমান হওয়ার প্রয়োজন নাই ...তখন আপনাদেরকে বলার কিছু নাই ।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

িবদ্রহী বলেছেন: সাহায্যপ্রাপ্ত বলেছেন: আপনার উদ্দেশ্য কি জানি না তবে আপনি নিজের অজান্তেই মানুষ কে কুরআন থেকে দুরে সরে দিচ্ছেন। আশা করি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

েশখসাদী বলেছেন:
কুরআন থেকে দূরে সরানো হচ্ছে না বরং কুরআন সহীহ ভাবে জানার ও বুঝার পথ উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো । এটা আমার কথা নয় । সূত্র উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে । পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৩

িবদ্রহী বলেছেন: শুধু এই কারনেই আমি তাবলিগে যাইয়াও তাবলিগ ছাইড়া দিছি.

কোরআন নাকি মুরব্বিদের তদারকি তেই পড়তে হবে!!!!!!!!!!!!!!


মিয়া যেখানে আল্লাহ নিজেই বলছেন পড় , আবার ঐ কোরআন নিয়া ঘাটাঘাটিও করতে বলছে যাতে বান্দা কিছউ খুইজা পায়।


আমি যেদিন তাবলিগে যায় সেদিন আমার এক বড় ভাই যিনি ইসলামি স্টডিজ থেকে পাশ করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান উনি বলেছিলেন যে

" মোরগের ক্ষমতা পেরাই বা খাসিয়া করার আগেই থাকে পরে নাহ, " । তাবলিগে যাইয়া মোরোগ তার পুরষত্ব হারায়। ইমানি জজবাহ হারায়। আর কোরআন থেকে দূরে চলে যাবি।


ভাই কোরান পড়েন মানুষকে কোরআন পড়তে বলেন ..।ঐ সব ফাজায়েল টাজায়েল দিয়ে ইসলাম হবেনা।
কি যে যুগ আইলো .।একজন লাহোরের দিক কইরা বইয়া থাকে আর আরেক জন দিল্লির নিজামুদ্দিন আওলিয়ার দরবারের দইকে বইয়া থাকে ।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৪

কান্টি টুটুল বলেছেন:

সহীহ হাদিস নিয়ে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়

=============================================

আপনার এই কথা সম্পূর্ণ ভুল বলিয়া মনে করি,
সন্দেহ থাকা উচিত নয় শুধুমাত্র আল কোরআনের আয়াতের ব্যাপারে,

কারন আল্লাহতাআলা স্বয়ং বলেছেন.......
[2] এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই....সুরা আল বাকারা,

কিন্তু সহি হাদিসের সার্টিফিকেট দিয়েছেন ভুলত্রুটি যুক্ত কয়েকজন মানুষ,

আর তাই সন্দেহ মুক্ত হবার মাপকাঠিতে আল-কোরআনের আয়াতের মত সহি হাদিস কে কোন অবস্থাতেই এক পাল্লায় মাপা বুদ্ধিমানের কাজ না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:১৬

েশখসাদী বলেছেন:

আল-কুরআন নিয়ে কে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছে ? আপনি যদি কুরআনের ব্যাখ্যা নবী করিম (সাঃ), সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়া দের থেকে বেশী বুঝে থাকেন --আপনাকে আমার বলার কিছূ নাই । সেটাতো আগেই বলে দিয়েছি । দয়া করে তর্ক করিবেন না ।

ধন্যবাদ ।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩৭

কান্টি টুটুল বলেছেন:

আল-কুরআন নিয়ে কে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছে ?


আপনি আল-কুরআন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন নাই কিন্তু "আল-কুরআন" ও "সহি হাদিস" এই উভয়কে সমান সন্দেহ মুক্ত বলছেন,এটি আপনি করতে পারেন না।

আমার কথা বোঝার চেষ্টা করেন,
আল-কুরআন সন্দেহ মুক্ত......এই সার্টিফিকেট আল্লাহতাআলা দিয়েছেন কিন্তু "সহি হাদিস" এর ব্যাপারে এই রকম কোন সার্টিফিকেট আল্লাহতাআলা দেন নাই,

আর তাই "আল-কুরআন" আর "সহি হাদিস" উভয়েই সমান সন্দেহ মুক্ত এই কথা বলা যাবেনা,

অবশ্যই"আল-কুরআন" সন্দেহ মুক্ত হবার বিচারে "সহি হাদিস" অপেক্ষা অধিক নির্ভর যোগ্য কারন আল্লাহতাআলা এই সার্টিফিকেট দিয়েছেন কিন্তু "সহি হাদিস" এর ব্যাপারে এই রকম কোন সার্টিফিকেট আল্লাহতাআলা দেন নাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৭

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই । আমি বুঝিয়াছি ।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২০

ভেপু বলেছেন: কোরান পড়া আর কোরান ব্যাক্ষা করা এক জিনীস না। আল্লাহ বলেছে কোরান পড়। এই জন্য আমরা আরবিতে কোরান পড়ি। এটা সবার জন্য প্রজোজ্য। কিন্তু কোরান ব্যাক্ষা করা সবার কাজ না। আজকে ক্লাস ফাইভ এর একটা বাচ্চা যদি e = mc2 ফর্মুলা ব্যাক্ষা করতে যায় তাহলে ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে যাবে। এর একমাত্র কারণ এই ফর্মুলা ব্যাক্ষার জন্য যেসব prerequisite knowledge দরকার সেটা একটা ক্লাস ফাইভ পড়ুয়া ছেলের থাকার কথা না। ঠিক তেমনি ভাবে ২ পাতা কোরান পরে যখন ওগা মগারা কোরান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে তখন ব্যাপারটা আমার কাছে খুব হাস্যকর মনে হয়। বি এ পাস করে একটা সাধারন মাপের কেরানীর চাকরিও আজকাল পাওয়া অনেক কঠিন। অথচ বি এ পাস করতে কমপখ্যে ১৫ বছর মেহেনত করতে হয়। তাহলে একটু চিন্তা করে দেখেন কোরান আল্লাহর কালাম, পৃথিবীর সবচাইতে দামী গ্রন্থ (অত্তন্ত আমার কাছে)। এটা খালি বুঝার জন্য কত বছর মেহেনত করা দরকার। ব্যাক্ষা করা তো আরও পরের কথা। মানুষ মেহেনত করলে কি না পারে। প্রথমে আমরা মেহেনত করি, তারপরে আমরা ব্যাক্ষা করি। একলাফে মইএ না উঠার চেষ্টা করি।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে থাকার তৌফিক দান করুক।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫১

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ও যথপোযুক্ত মন্তব্যের জন্য ।

আমার লেখার মূল কথা এটাই । কিন্তু মানুষ সেটা বুঝতে ও মানতেই চায় না । কত রকম বিভ্রান্তি যে তৈরী হচ্ছে এই না বুঝার কারণে ..তার ইয়াত্তা নেই ।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৫

অগ্রপথিক... বলেছেন: কোরআন নিজে নিজে বুঝতে চাওয়া মানে হচ্ছে,কোরয়ান কে খেলনার বস্তুতে পরিণত করা। তাইতো দেখুন আজকাল অনেকেই নিজে নিজে কোরআনকে বুঝে নিজেদের খেয়ালখুশি মত ব্যবহার করছে। কিন্তু তাফসীর করতে যে সব শর্ত এবং যোগ্যতা লাগে তা তাদের নেই,এমনকি অনুবাদের সময় অন্য একজন যা বলেছে তার উপরই নির্ভর করতে হয়।
কিন্তু এতটুকু পড়েই নিজেকে আল্লামা সাহেব মনে করে,আর ফতোয়া দিতে থাকে। আল্লাহ এই ফেতনা থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:১৫

েশখসাদী বলেছেন:
জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমানদের জন্যই উপদেশ এবং তারাই তা বুঝতে পারে ।


আল্লাহ এই ফেতনা থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমিন ।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:০৪

কান্টি টুটুল বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই । আমি বুঝিয়াছি ।

আল্লাহ আপনাকে সং পথে চালিত করুক।

২১ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

েশখসাদী বলেছেন:

ধন্যবাদ ..তবে আমি যা বুঝিয়াছি আপনি তা বুঝেন নি ।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৩

স্বপ্নডানা বলেছেন: সাধু ভাষায় ব্যাপক আলোচনা হইতে দেখিয়া, মন আবেগ-আপ্লুত হইয়া পড়িল। নিজেকে রবীন্দ্রযুগের মানুষ মনে হইতে লাগিল। আহা, সে সব দিনগুলির কথা কে না ভুলিতে পারে?

২২ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:২১

েশখসাদী বলেছেন:

ধন্যবাদ ... তাই নাকি । ভালো লাগলো ।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:২৫

বাঁশ বাগান বলেছেন: তাহলে একটু চিন্তা করে দেখেন কোরান আল্লাহর কালাম, পৃথিবীর সবচাইতে দামী গ্রন্থ (অত্তন্ত আমার কাছে)। এটা খালি বুঝার জন্য কত বছর মেহেনত করা দরকার।

আল্লাহতায়ালা সূরা আল ক্বামারএ ৪ জায়গায় বলেছেন (১৬,২২,৩২৪০):

"আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?"

যেখানে আল্লাহ বলছেন কোরআনকে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছেন। আর আপনারা হিন্দু ব্রাহ্মনের মত বলছেন এটা বুঝার জন্য বহু বছর মেহনত করা দরকার।

এখন আপনারই বলেন আমরা কি আপনাদের কথা বিশ্বাস করবো না আল্লাহর। অবশ্যই আল্লাহর। ভ্রান্ত আকিদাহ আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।

"আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই। যখন আপনি কোরআনে পালনকর্তার একত্ব আবৃত্তি করেন, তখন ও অনীহাবশতঃ ওরা পৃষ্ট প্রদর্শন করে চলে যায়।" সূরা বনী ইসরাঈল: আয়াত: ৪৬।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে ইসলাম বুঝার তৌফিক দান করুন।

২৪ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ ..আশা করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করবেন ।

১৫| ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৫০

নতুন বলেছেন: আল কোরআন হইলো.... খুবই পবিত্র... এতো যে তা শুধু ঘরে উপরের তাকে সাজাইয়া রাখতে হবে....

আর সব কিছু যখন কিছু মাওলাণারা যানে... তাদের কাছে যেয়ে জিঙ্গাসা করে আসতে হবে....

তাহলে সব ঠিক আছে....

আমি বুঝিনা... আলো কারোর সাথে ভাগ করলে কি কমে যায় নাকি?

এই জন্যই তো আমাদের দেশে এতো পীর... কারন পীর কাছে সব কিছু আছে... গোপন বক্সে গিয়ান রেখে দিয়েছে.... শুধু মাত্র মুরীদরাই বাবার কাছে টাকা পয়সা খরচা কইরা সেই গীয়ান নিতে পারবে...

কোরান নিয়া ব্যবসা আর কতদিন করবে এরা?

এই সব ভন্ডামী নিমূল করতে হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.