![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. মুস্তাওরেদ ইবনে শাদ্দাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন, আমি রাসূলূ্ল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর কসম ! আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত কেবল এতটুকু-ই যেমন, তোমাদের কেউ নিজেদের আঙ্গুল সাগরে চুবিয়ে দিল । এবার সে দেখুক, এ আঙ্গুল কতটুকু পানি নিয়ে ফিরে আসে । - মুসলিম
২. হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল (সাঃ) একটি কানহীন মৃত ছাগলছানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেটা রাস্তায় মৃত অবস্হায় পড়া ছিলো । তিনি তার সাথীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে কে এ ছাগল ছানাটি কেবল এক দেরহামের বিনিময়ে ক্রয় করা পছন্দ করবে ? তারা উত্তরে বলল, আমরা তো এটা কোন মূল্যের বিনিময়েই কিনতে রাজী নই । এবার হুযুর (সাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম ! তোমাদের নিকট এ ছাগল ছানাটি যত তূচ্ছ ও মূল্যহীন , আল্লাহতায়ালার নিকট দুনিয়াটা এর চেয়েও অধিক তূচ্ছ ও মূল্যহীন । - মুসলিম
৩. হযরত সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলূ্ল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহতায়ালার কাছে যদি দুনিয়ার মূল্য একটি মশার ডানার সমানও হতো, তাহলে তিনি কোন কাফেরকে এখান থেকে এক চুমুক পানিও পান করতে দিতেন না । - মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযি ।
৪. হযরত আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি দুনিয়াকে নিজের প্রেমপাত্র ও ইপ্সিত লক্ষ্য বানিয়ে নিবে , সে অবশ্যই নিজের আখেরাতের ক্ষতি করবে । আর যে ব্যাক্তি আখেরাতকে নিজের প্রেমপাত্র ও লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নিবে , সে নিজের দুনিয়ার ক্ষতি করবেই । অতএব তোমরা ক্ষণস্হায়ী দুনিয়ার পরিবর্তে চিরস্হায়ী আখেরাতকে অবলম্বন কর এবং এটাকেই প্রধান্য দাও । - মুসনাদে আহমাদ ।
৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) আমার দুই কাঁধে হাত রেখে বললেন , দুনিয়াতে এমনভাবে থাক যে, তুমি যেন একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির । - বুখারী
৬. হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) একদিন একটি ভাষণ দিলেন । সে ভাষণে তিনি বললেন, তোমরা শুনে রাখ , এ দুনিয়া হচ্ছে একটি উপস্হিত অস্হায়ী পণ্য । এতে প্রত্যেক পূণ্যবান ও পাপাচারীর অংশ রয়েছে । তাই পূণ্যবাণ ও পাপী সবাই এখান থেকে আহার পায় । পক্ষান্তরে আখেরাত হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে আগত এক বাস্তব সত্য । আর সেখানে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান বাদশাহ (আল্লাহ)। মনে রেখ, সকল কল্যাণ ও সুখের ঠিকানা হচ্ছে জান্নাত আর সকল অকল্যাণ ও দুঃখ রয়েছে জাহান্নামে । অতএব, তোমরা অন্তরে আল্লাহর ভয় রেখে আমল করে যাও । তোমরা বিশ্বাস কর যে, তোমাদের আমলসহ তোমাদের আল্লাহর দরবারে উপস্হিত করা হবে । তাই যে ব্যাক্তি অণূ পরিমাণ সৎকর্ম করবে , সে তা দেখতে পাবে । আর যে ব্যাক্তি অণূ পরিমাণ মন্দ কাজ করবে , সেও তা দেখতে পাবে । - মুসনাদে শাফেয়ী ।
উপরোক্ত হাদিস সমূহের আলোকে আমরা নিজেদের মিলিয়ে নেই আমরা কি দুনিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের আখিরাতকে ক্ষতিগ্রস্হ করছি না দুনিয়াকে পাশে রেখে আখেরাতকে পাওয়ার জন্য আল্লাহর হুকুম ও নবী (সাঃ) এর তরীকা মত জীবন-যাপন করছি ? ধন্যবাদ ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৩
জহির উদদীন বলেছেন: আমিন....
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন ভাই। আপনার পোস্ট স্পর্শ করল।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৩
শার্লক বলেছেন: আমরা এই চিরন্তন সত্য কথাটা কেন বারবার ভুলে যাই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩১
েশখসাদী বলেছেন: কারণ আমাদের মানুষ করে বানানো হয়েছে রোবট বা ফেরেশ্তা নয় ।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪১
নস্টালজিক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোস্ট!
শুভেচ্ছা সাদী ভাই!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫৪
েশখসাদী বলেছেন:
পড়ার জন্য ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা সানন্দে গ্রহণ করা হলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২২
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আসলে আমার ভূলে গেছি আমাদের একদিন মরতে হবে।