নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের প্রথাগত সমাজে নারী চরিত্র কেমন তা কয়েকটি প্রবাদের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৮

আমাদের প্রথাগত সমাজে নারী চরিত্র কেমন তা কয়েকটি প্রবাদের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

☻ভাই বড় ধন
রক্তের বাধন
যদিও বা পৃথক হয়
তবে, নারীর কারণ

ভাই যে কারো বেশ আদরের ধন তা বলাই বাহুল্য কিন্তু ধরেই নেয়া হয় যে বিয়ের পর (স্বাভাবিক সামাজিকতা) ভাই ততোক্ষণই কাছে থাকবে যতোক্ষণ কোন নারী তার উপর কোন নঞর্থক প্রভাব বিস্তার করবে না। কিন্তু সাধারণত এমন ভাবা হয় না যে পৃথক ভাইও কোন কারেণ হতে পারে নারী দ্বারা প্রভাবিত না হয়েই।

☻নদীতে নদীতে দেখা হয়
কিন্তু বোনে বোনে
দেখা হয় না।

সাধারণত নারীদের বিয়ের পর তাদের স্থান হয় স্বামীর ঘরে সেখানে তারা স্বামীর হুকুমের বাইরে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না (যদিও বর্তমানে এই অবস্থার উন্নতি হচ্ছে)। আর এর ফলে বোনে বোনে চাইলেও দেখা হয় না। যেটা সাধারণত পুরুষদের বেলায় ঘটে না।

☻জাতের নারী কালো ভালো
নদীর জল ঘোলা ভালো।

সাধারণত আগে (বর্তমানেও অনেক ক্ষেত্রেই) পাত্র পক্ষ নারীর জাত দেখে মুলত বিয়ের সম্বন্ধ আনতো। এক্ষেত্রে নারী কতোটা শিক্ষিত বা কতোটা গুণী তার চেয়ে বেশি তার জাত ভালো কিনা তা দেখা হতো। এক্ষেত্রে হিন্দুদের মধ্যে শুদ্র শ্রেণীরা বেশি অবহেলিত ছিল। বর্তমানে যার উত্তরণ হচ্ছে।

☻পুরুষ রাগলে হয় বাদশা
নারী রাগলে হয় বেশ্যা।

পুরুষরা যদি রেগে ঘর ছাড়ে তবে সে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নারী যেহেতু হেরেমবাসিনী তাই সে রাগ করে ঘর ছাড়লে তার শরীর বিক্রী করে জীবন চালানো ছাড়া আর কোন গতি থাকে না। কিন্তু বর্তমান সময়ে নারী শিক্ষিত হচ্ছে, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। কাজেই এক সময়ের এই প্রচলিত প্রবাদটি এখন আর গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না।

☻উচঁ কপালী চিঁড়ল দাঁতী
লম্বা মাথার কেশ
এমন নারী করলে বিয়ে
ঘুরবে নানান দেশ।

এখানে নারীর বাহ্যিক রুপকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বিয়ের ক্ষেত্রে। অথচ গুণ থাকলে যে, বাহ্যিক রুপ কোন ব্যাপার না তা বর্তমান সময় গুলোতে অনেকটাই প্রমাণিত।

☻রান্ধিয়া বারিয়া যেই বা নারী
পতির আগে খায়
সেই নারীর বাড়িতে শীঘগীর
অলক্ষী হামায়।

রান্না করার পর ততক্ষণ পর্যন্ত একজন স্ত্রী খেতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার স্বামী খাবে। বর্তমাণ সময়ের অনেক শ্বাশুরীদের মাঝেও এই প্রবণতা দেখা যায় যে, আগে তার পুত্র খাবে তারপর তার পুত্রবধু খাবে। এতে সাধারণতই নারীরা গ্যাস্ট্রিক সহ নানারকমের শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকে। এখন নারী/পুরুষ উভয় কেএষত্রই সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এই অবস্থা অনেকাংশেই হ্রাস পাচ্ছে।

☻পতি বিনে
গতি নেই

এই প্রবচনটিতে প্রকাশ পায় যে, পতি ছাড়া নারী চলতে পারে না। লৈঙ্গিক শ্রমবিভাজন আর জেন্ডার অসম সম্পর্কের মধ্যে নারীকে স্বামীর মুখাপেক্ষী থাকতে হয়। এই অবস্থা সত্যিকার অর্থে এখনও অনেকাংশেই সত্যি। তারপরও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ফলে এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।

☻পতির পায়ে থাকে মতি
তবে তারে বলে সতী

বিয়ের আগে নারীর সতীত্বের ধারণা নির্ভরশীল তার শরীরকে বাচিয়েঁ চলার উপর আর বিয়ের পর নারীর সতীত্ব রক্ষার ধরণ পাল্টে তা হয়ে যায় স্বামী নির্ভর। এখানে স্বামী অর্থাৎ পুরুষদের সতীত্বের বিষয়ে কখনোই কিছু শোনা যায় না সাধারণত।

☻পতি হারা নারী
মাঝি হারা তরী

নারী যে নিজের মতো করে জীবন যাপন করার ক্ষমতা নেই, এই ধারণাটাকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এই প্রবচনটির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এখানে নারীকে তরী আর পতিকে মাঝির সাথে তুলনা করা হয়েছে। নারীর শিক্ষা বিস্তার, অর্থনৈতিক সামর্থ্যই পারে একমাত্র এসকল ধারণা থেকে তাকে বের করে আনতে।

☻পথি নারী বিবর্জিতা

খুবই দুঃখজনক বিষয় হলো এই প্রবচন দ্বারা চলার পথেও নিজের আপন নারী কুলকেও বিবর্জিত করে চলার ধারণঅকে প্রতিষ্ঠিত করে। যেই নারী আলোর মুখই দেখেনি সে ঠিকমতো পথ চলতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক বিষয়। হেরেমবাসিনী বন্দিনীর পক্ষেতো পথ চলার অভ্যাস/অভিজ্ঞতা কোনটাই থাকার কথা নয়। বর্তমাণ সময়েও অনেক নারীরাই আধুনিক, শিক্ষিত হওয়ার পরও পুরুষের উপর নির্ভর করে পথ চলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এই অব্যবস্থা থেকে নারীকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, পুরুষদেরও সচেতন হবে নারীকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

☻পদ্মমুখি ঝি আমার পরের বাড়ি যায়
খেদা নাকি বউ এসে বাটার পান খায়

এখানে যদিও পরিষ্কার করে লৈঙ্গিক বিষয়টা উঠে আসে নি...এটা কোন পুরুষ বা নারীর মুখ থেকে আসা তারপরও সমাজের বউ-শ্বাশুড়ীর টানাপোড়েনের মুখরোচক বিষয়ই এর মূখ্য। নিজের মেয়ে যেমনই হোক তার দোষ যেমন মায়েদের চোখে পড়ে না, ঠিক তেমনই পরের মেয়ে যখন পুত্র বধু হিসেবে আসে তখন তার দোষগুলো খুব সহজেই শ্বাশুরীদের চোখে পড়ে। আর শ্বাশুরীদের এই মনোভাব বোঝাতেই সম্ভবত এই প্রবচনটির প্রচলন। এর থেকে আসলে বেরিয়ে আসা এখনও সম্ভব হয়ে উঠেনি। আজকে যেই নারী পুত্রবধু আগামীতে সেই শ্বাশুরী হয়ে একই ভুমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। এর থেকে সমাধানের পথ খুঁজতে সচেতনতার, মানবিকতার বিকল্প নেই।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৭

মধ্য রাতের আগন্তক বলেছেন: সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সেইজন্য পড়তে ভালো লেগেছে।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: স্বামী ছাড়া নারী
রাস্তা ছাড়া বাড়ি।

দারুণ কিছু প্রবাদ বচন উল্যেখ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৬

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো নারী প্রসঙ্গে অনেক অজানা প্রবাদ তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকুন। আরো লিখুন।.।।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:০৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রবাদ প্রবচন গুলি সত্যিই দারুণ অবশ্য এখন আর এসব কথার ভেলু নাই।
লেখাটা পড়তে ভালো লেগেছে।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রাসেল বলেছেন: i think women not only involved to find out her. we should also consider other circumstance.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.