নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা নববর্ষ আসলেই একটি মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে পড়ে,,এটা হিন্দুদের পুজা উৎসব,বলে

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৩২



-----------------------------------------------------------------------------------
ইংরেজী নববর্ষ আসলে তো দেখি একজন আরেকজনকে সুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যায়,তখন কোন ফতোয়া দেখিনা,যত সব দেখি বাংলা নববর্ষের বেলায়,আসলে আমরা বিদেশী সংস্কৃতিকে বেশি প্রাধন্য দিই,বাংলা নববর্ষের ইতিহাস লিখতে গেলে কলেবরটা অনেক বড় হয়ে যাবে,তাই সংক্ষেপে উল্যেখ করছি,এটির প্রবক্তা সম্রাট আকবর,তিনি আরবী হিজরী সনের সাথে মিল রেখে বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরি করেছেন ।
আগে ইতিহাসটা জানুন তারপর কমেন্টস করুন,
পহেলা বৈশাখ রাত ১২ টা থেকে শুরু না সূর্যোদয় থেকে শুরু এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যোদয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ সালের ১ বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমী এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২.০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু করে।
আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না।
কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।
বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়। বৈসাবি হলো পাহাড়ীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ উৎসবকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই এবং ত্রিপুরারা বৈসুক বলে আখ্যা দিলেও গোটা পার্বত্য এলাকায় তা বৈসাবি নামেই পরিচিত। বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজু এই নামগুলির আদ্যক্ষর নিয়ে বৈসাবি শব্দের উৎপত্তি। বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ তিনদিন মিলেই মূলত বর্ষবরণ উৎসব ‘বিজু’ পালিত হয়। পুরানো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে পাহাড়ীরা তিনদিন ব্যাপী এ বর্ষবরণ উৎসব সেই আদিকাল থেকে পালন করে আসছে। এ উৎসব উপলক্ষে পাহাড়ীদের বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আদিবাসী মেলার আয়োজন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ ছিল জমিদারদের পুণ্যাহের দিন। ঢাকার ঘুড়ি ওড়ানো এবং মুন্সিগঞ্জের গরুর দৌড় প্রতিযোগিতা ছিল এক সময় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ। কিন্তু এদুটিসহ ঘোড় দৌড়, ষাড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, পায়রা ওড়ানো, নৌকা বাইচ, বহুরূপীর সাজ ইত্যাদি গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খেলা বর্তমানে আর তেমন প্রচলিত নেই। বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন আঞ্চলিক অনুষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামের বলীখেলা এবং রাজশাহীর গম্ভীরা প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমী, নজরুল ইনন্সিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ছায়ানট, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বি.এস.সি.আই.সি), নজরুল একাডেমী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনন্সিটিউশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান এবং দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেসব কর্মসূচিতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য মিছিল, বৈশাখী মেলা ইত্যাদি।বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন পহেলা বৈশাখের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। এছাড়া সংবাদপত্রগুলিতে বঙ্গাব্দ, নববর্ষ ও বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়।বৈশাখী মেলা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলনেও পহেলা বৈশাখ এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
বর্তমানের যে নববর্ষ পালন করা হয় যেমন মঙল প্রদীপ,মুখোশ,ঢাকঢোল বাঝানো,সঙ্খ ফুক ইত্যাদির ঘোর বিরোধী আমি । আমরা ইরানের মত নওরোজ পালন করতে পারি ।
Like

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

বীরেশ রায় বলেছেন: রাষ্ট্রে ভাষা আরবি আর জাতীয় উৎসব হিজরি নববর্ষ করা হোক!!! এইটাই তো এই দেশের হাজার হাজার হাজার বছরের সংস্কৃতি!!! এই বাংলাদেশ আগে তো ছিল না, ছিল আরবীয় উপমহাদেশ!!!!!!! কোথা থেকে, কে যে ইমানদার মুসলমানদের ইমান নষ্ট করার জন্য এই বাংলা নব বর্ষ আনলেন!!!!!

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: আপনি এক কাজ করতে পারেন, বুরখা পইড়া মঙ্গলশোভাযাত্রা অংশ নিতে পারেন। এতে বহুত ফায়দা হবে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ফাইদা যদি হয় বাঙালী কি আর কয় । সে নিজেই তার সাধ লয়

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০০

দুখু বাঙাল বলেছেন: এদেশ ছিল হিন্দুদের আয়ত্তে, তাই এদেশের সাংস্কৃতিতে হিন্দুয়ানি ই মিশে থাকবে। আর আছেও।
এই দিন হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় দিন হিসেবে জ্ঞান করে। তাই এই দিনটিকে হিন্দুদের উৎসব দিবস বললে ভুল হবে না।

তবে.... মুসলিমরা যদি একই দিন কে শুধু মাত্র বাঙালী হিসেবে উৎসব রূপে পালন করে থাকে, তাহলে দোষের কিছু দেখি না।।।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

কালনী নদী বলেছেন: আপনি এক কাজ করতে পারেন, বুরখা পইড়া মঙ্গলশোভাযাত্রা অংশ নিতে পারেন। এতে বহুত ফায়দা হবে। রাইসুল ভাই যেহেতু বলছেন, ব্যাপারটা ভেবে দেখার মতনই :)

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৯

rezaul827 বলেছেন: এখানে লেখিকাকে বার বার ক্রিটিসাইজ করা হচ্ছে ..। আমি ঘোর বিরোধী । লেখিকা যা লিখেছেন তার ব্যাক্তিগত অভিমত তুলে ধরেছেন। আপনার ভালো না লাগলে ইগনোর করুন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আরে ভাই করতে দেন । কিছু কিছু দলে .।.।.।.।.।থাকে

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৩

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: বহু কাল আগে এক রাজা সব জ্ঞানীদের ডাকলেন । সবাই তাহাদের জ্ঞান দেখাইতে লাগিল । রাজা তখন ঘুম ।
রাজার ঘুম ভাঙার পর সবাইকে বলিল তোমাদের জ্ঞান আমার অনেক কাজে লাগছে । জ্ঞানীরা বলল বলেন কি রাজা মশাই
কি কাজে লেগেছে । রাজা বলল জ্ঞানীরা এত জ্ঞান পাওয়ার পর আমার ঘুম হইল ।
কিছু দিন পর রাজা আবার ডাকিলেন এবং সবাই কে বললেন দেখুন জ্ঞান পণ্ডিত রা আমাকে কি বলতে পারবেন কখন সবাই জ্ঞানী হবে । একজন বলিল যে দিন জ্ঞান আপনার দরজায় আসবে আর কিছু ভেরার পাল সেই জ্ঞান পাইয়া বে বে করিবে ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.