নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাদার ডাইরি - ছোট গল্প

১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩


বাবা মা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে একবার ভদ্রলোক বাড়িতে এসেছিল । প্রায় দুই যুগ পর আবার ভদ্রলোক তার ছেলে কে নিয়ে গ্রামে বাড়িতে আসে । ভদ্রলোকের ছেলের বয়স তখন ২১ বছর । ছেলে কে ভ্রদলক তার বাবার বাড়ি গাছ পালা সব ঘুরে দেখায় । সেই ছেলে অনেক পুরাতন একটা আলমারিতে একটা ডাইরি খুজে পায় ।
সারারাত সে সেই ডায়রি পড়ে । খুব গোপনে সেই ডায়রি ছেলেটা নিয়ে যায় । ঢাকা আসার পর ছেলে বায়না ধরে সে লন্ডন পড়তে যাবে। ছেলে কে মা বাবা লন্ডন পাঠায় । লন্ডন যাওয়ার পর ছেলে আর বাবা মা কারো সাথে যোগাযোগ করে না। বাবা ফোন করলে ধরে না, মা ফোন করলে ধরে না । বাবা মা লন্ডন আসে কিন্তু ছেলে কে পায় না। কোথায় হারিয়ে গেল এমন করে ছেলে তার কোন খুঁজ নেই । সময় যায় মাস যায় বছর যায় এমন করে কেটে যায় এক যুগ । ভদ্রলোক আর ছেলের খোঁজ পায় না। সারাক্ষণ ছেলের জন্য কান্না করে । একদিন ছেলের বুকশেলফে একটি ডাইরি খুজে পায় । ভদ্রলোক অবাক হয়ে দেখে তার বাবার ডাইরি । সেই ডাইরি খুলে পড়তে থাকে। দেখে ডায়রির পাতায় পাতায় এক বৃদ্দা পিতা তার পুত্রের জন্য কত অপেক্ষা কত আকুতি কত মিনতি । ভদ্রলোক তখন খু জুড়ে চিৎকার করে কান্না করে । কারন
সে তার বাবা কে দেখতে যায় নাই । তখন সে বাবার ছেয়ে তার ব্যবসা ক্যারিয়ার , আর ভালবাসা কে সময় দিয়েছে । ভদ্রলোক তার ভুল বুঝতে পারে । কজে তার ছেলে তার সাথে আজ একেই ব্যবহার করছে । ডাইরি পাড়া শেষ করে তার স্ত্রী কে বলে আমি গ্রামে চলে যাব । আমার জীবনের বাকি সময় টা আমার বাবা মায়ের কবরের পাশে তাদের জন্য দোয়া করে কাঁটিয়ে দেব । আমি অনেক ভুল করেছি । ভদ্রলোক স্ত্রী কে বলে তুমি যাও না যাও আম চলে যাব । স্ত্রী খুব অবাক হয় । এত বছর পর তার স্বামী আজ তার অবাধ্য হচ্ছে । ভদ্রলোক তার স্ত্রী সহ গ্রামে আসে আবার ১৪ বছর পর । বাড়িতে প্রবেশ করে ভদ্রলোক অবাক একটা বাচ্চা ছেলে ৭ বছরের একটা বচ্চা ছেলে বলছে এই যে ভদ্রলোক কাকে চাই । ভদ্রলোক বলল খোকা তুমি কে । বাচ্চা ছেলে বলছে আব্বু দেখ আমাদের বাড়িতে
কে যেন আসছে । বাচ্চা ছেলের কণ্ঠ শুনে তার বাবা ঘর থেকে বের হয় । ভদ্রলোক বাচ্চা ছেলের বাবা কে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে জরিয়ে ধরে । কারন এই হল সেই তার লন্ডন পড়তে যেয়ে হারিয়ে যাওয়া ছেলে । ছেলে বাবা কে বলে বাবা আমি জানি তুমি হয়ত দাদার ডাইরি পড়েছ । আমি চাই আমার বাবা তার বাবাকে দেয়া কষ্ট গুলো বুঝক । বাবা পুত্র কে বলে যা হয়েগেছে
আমি আমার পিতার কাছে অনুতপ্ত । ছোট বাচ্চা বলে আব্বু কে এই লোক । আজ দাদ নাতিকে কুলে নিয়ে বলে তোমার বাড়িতে তোমার দাদু ভাই ।। নাতি কে বুকে জরিয়ে পরম শান্তির একটা নিশ্বাস নেয় ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:




পড়েছি, এর থেকে বেশী কিছু নয়

২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

মানুষ বলেছেন: কই গিয়া মরতাম। :|

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

কালনী নদী বলেছেন: ভালো হয়েছে বোন।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.