নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ঋতুরানী শরৎ কাল

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৪

ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎ বাংলার ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু।
শরৎকে ইংরেজিতে “অটাম” বলা হলেও উত্তর আমেরিকায় একে “ফল” হিসেবে ডাকা হয়।পৃথিবীর ৪টি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎকাল।
উত্তর গোলার্ধে সেপ্টেম্বর মাসে এবং দক্ষিন গোলার্ধে মার্চ মাসে শরৎকাল গ্রীষ্মকাল ও শীতকালের মধ্যবর্তী ঋতু হিসেবে আগমন করে।
এসময় রাত তাড়াতাড়ি আসে এবং আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতে থাকে।
এই সময়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পত্রঝরা বৃক্ষের পাতার ঝরে যাওয়া।
কাশফুল, পরিষ্কার নীল আকাশ আর সবুজ মাঠ৷ শব্দগুলো শুনলেই মনে আসে ঋতুর রানি শরতের নাম৷ মাত্র ক’দিন আগেই শুরু হয়েছে সেটা৷ বাংলার প্রকৃতিতে শরতের আবির্ভাব আবারো মুগ্ধ করেছে আমাদের৷
শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি৷” এভাবেই বাঙালির সামনে শরতের সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তাঁর মতোই শরতে মুগ্ধ বাংলার কবিকূল৷
শরৎ নিয়ে তাঁর কবিতাই বলুন, কিংবা গান – তার যেন কমতি নেই৷ বিভিন্নভাবে শরৎ সম্পর্কে নিজের আবেগকে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ৷ শরৎ হচ্ছে চমৎকার মেঘের ঋতু, স্পষ্টতার ঋতু৷ কেননা শরতের আকাশ থাকে ঝকঝকে পরিষ্কার৷ নীল আকাশের মাঝে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ যেন ভেসে বেড়ায়৷ তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের বধূ যেমন মাটি লেপন করে নিজ গৃহকে নিপুণ করে তোলে, তেমনি শরৎকাল প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়৷ বর্ষার পরে গাছগুলো সজীব হয়ে ওঠে৷ আকাশে হালকা মেঘগুলো উড়ে উড়ে যায়৷”
শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুল৷ শরৎ মানেই গাছে গাছে হাসনুহানা আর বিলে শাপলার সমারোহ৷ শরৎ মানেই গাছে পাকা তাল৷ সেই তাল দিয়ে তৈরি পিঠা, পায়েস৷ আর ক্ষেতে ক্ষেতে আমন ধানের বেড়ে ওঠা চারা । কিন্তু সময়ের বিবর্তনে গ্রামে-গঞ্জে কাশফুলের আধিক্য কমে গেছে৷আমরা মানুষরা শুধু লোভীর মতো প্রকৃতির কাছ থেকে খাদ্য চাই৷ কিন্তু প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিছুই করিনা৷ যেমন আগে প্রায় প্রতিটি গ্রামে বটগাছ দেখা গেলেও এখন তেমনটা চোখে পড়ে না৷ মানুষ নিজের প্রয়োজনে সেগুলো কেটে ফেলেছে৷ অথচ আগে এই বটগাছকে কেন্দ্র করে কত উৎসব হয়েছে৷ বটগাছের ছায়ায় মানুষ বিশ্রাম নিয়েছে৷ আশ্রয় নিয়েছে কতরকম পাখি আর পোকামাকড়৷ কিন্তু এখন আর সেসব নেই৷”
কাশফুল বাংলাদেশী শরতের বৈশিষ্ট আর অনেক দেশের শরতের আসল রূপের শান্তনা মাত্র. পাহাড়, গারো নিল সমুদ্র, আর নানা রকম ফুলের সমারোহ নিয়ে সবচাইতে সুন্দর শরত ।।
বর্ষার বিষণ্ন বিধুর নিঃসঙ্গতার পর প্রকৃতির রঙ্গমঞ্চে ঋতুরানী শরৎ এসেছে। শরতের রূপ দীপালি, পুবালি হাওয়ায় ঝরাফুল শেফালি। ঘন কাশবনে ছন্দে আনন্দের নাচন তুলি। তাই শরতের কাব্যগুলো মনে পড়ে। কাশবনে কে গো কাশ ফেলে যায়? অাঁচল দোলায় ভাদ্র-আশ্বিন হাওয়ায়। মেঘমালারা সুপ্ত রঙের খেলা করে আকাশপানে। নদী, সরোবর স্বচ্ছ জলধারায় প্রফুল্ল মনে ঘোরাফেরা করে রুপালি মাছ। পানকৌড়িরা ডুবসাঁতার দেয় বিলের জলে; বক মাছ শিকারে ধ্যানে মগ্ন।
শরতের সকালটা খুব অন্য রকম মেঘ আর নীলের বিস্তৃত দিগন্ত দেখে বোঝা যায়, শরতের শুভ্রতা এসেছে প্রকৃতির মাঝে। ভোরে ঘাসের ওপর দিয়ে খালি পায়ে চলতে গিয়ে শিশিরের স্পর্শে শিহরিত মন। ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা দিগন্তজোড়া সবুজের ওপর শুভ্র কুয়াশার চাদর দেখে সত্যিই প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। শরতের ভোরে ফোটা শিউলি ফুল আর দূর্বা ঘাসের ডগায় শিশিরের জল দেখে মনে হচ্ছে প্রকৃতির সব সৌন্দর্য উদার হাতে দান করেছে শরতের প্রভাতকে!
কাশবনে পড়ন্ত বিকাল নতুন অনুভূতি। শরতের মৃদু বাতাসে সি্নগ্ধ রোদ দিঘির জলে চিকচিক করছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অতি সুস্দর মনোদুগ্ধকরভাবে শরতকে করেছেন প্রকাশ
প্রিয় শরতের রং রূপে নিজেকেই খুঁজি শত অভিধায়
যেমন খুঁজেছেন কবি ও শিল্পীগন শত গান কবিতায়
শরতকে স্বাগত জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ রচেছেন কথামালা
আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, গেঁথেছি শেফালীমালা
নবীন ধানের মঞ্জরি দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
নির্মল নীলপথে

পড়ন্ত বিকালে কাশবনে শরত নিরন্তর আনে নতুন অনুভুতি।
ভাল লাগল প্রিয় শরতকে নিয়ে আপনার রচনাখানি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



গরুর রচনা থেকে মোটামুটি ভালো হয়েছে

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫

মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে!

শুভ কামনা।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিনা জাহান প্রিয়া ,




সময়ের সাথে মিলিয়ে শরৎ আবাহন ।
সাথে লিংক দিলুম আর এক শরৎয়ের ----পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনও ......

শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রাত গভীরে একবার দেখে গিয়েছিলাম, এবার দেখা হল ভাল করে । সুন্দর হয়েছে শরত বন্দনা ।
শরতের আবাহন : নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা
এই লিংকটাও দেখতে পারেন ভাল লাগলেও লাগতে পারে ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.