নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির বিভক্তি : রুখবে কে?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৯



জাতির বিভক্তি : রুখবে কে?
-------------------------------------------
নিরা পড়ে বিদেশী কারিকুলামের ইংলিশ স্কুলে,
জিতু পড়ে দেশীয় কারিকুলামের ইংলিশ স্কুলে,
মিল্টন পড়ে ক্যাডেট কলেজে,
স্বপন পড়ে কিণ্ডার গার্টেনে,
খোকন পড়ে শহরের নাককরা স্কুলে,
বাতেন পড়ে গ্রামের অখ্যাত স্কুলে,
রহমান পড়ে কওমী মাদ্রাসায়,
আবদুল্লাহ পড়ে আলীয়া মাদ্রাসায়,
ধরুন এরা সবাই একই পরিবারের সন্তান।তারপরও তারা বড় হয়ে কোনদিন কোন বিষয়ে একমত পোষণ করবেনা,একই মায়ের সন্তান হলেও।তাদের চিন্তা-চেতনা হবে যোজন যোজন দুরে,কাজও হবে সম্পূর্ণ ভিন্নতর।শুধু তাই নয়,একে অন্যকে আপন ভাবা দুরে থাক,ভাববে প্রতিপক্ষ।যে দেশে আগামী প্রজন্ম এরুপ ভিন্ন মানসিকতা আর সংস্কৃতিতে বড় হচ্ছে তাদের দ্বারা জাতির একতা গড়ে উঠবে কি করে?আমার সোজাসাপ্টা জবাব,জাতির একতা কোনদিন হবেনা।বরং বিভত্তি বেড়ে যাবে দিনের পর দিন।এমনিতেই সুদভিত্তিক বাজার অর্থনীতির কারণে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে ক্রমাগত।তার সাথে শিক্ষার এ বৈষম্য যুক্ত হয়ে জাতিকে নিয়ে যাবে স্থায়ী বিভক্তি আর বৈষম্যের দিকে।
অথচ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল
★অর্থনৈতিক সমতা বিধান,
★সার্বজনীন একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন।
জানিনা স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি দায়িত্বপ্রাপ্তরা কি জবাব দেবেন ???

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

আশমএরশাদ বলেছেন: বিভক্তি না বলে বৈচিত্রতা বলা যায় কি?

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২০

আচিন বলেছেন: আমরা অনেক এই অনলাইন এ নিউসপেপার পরে থাকি..কিন্তু আমাদের জন্য সকল সংবাদ পত্রের লিংক মনে রাখা সম্ভব হয় না...আর তাই আপনাদের সুবিধার জন্য নিয়ে এলাম একটি সাইট যেখানে বাংলাদেশ আর প্রায় সকল সংবাদ পত্রের খবর ও লিংক খুঁজে পাবেন যাতে আপনি সহজেই অনলাইন এ নিউস পেপার পড়তে পারেন ...
সাইট টি বুকমার্ক করে রাখুন যাতে যে কোনো সময় এ সকল খবর পেতে পারেন....
ধন্যবাদ
http://onpbd.blogspot.com/

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিনা জাহান প্রিয়া ,





বিভক্তি রোখার কেউ নেই । বিভক্তি বাড়ানোর লোক আছে ঢের । আছে হরেক ছল ।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

আহমেদ তারিক বলেছেন: Unity in Diversity

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: আসলেই তাই।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: জাতির বিভক্তি : রুখবে কে?
আসলেই তাই! যুক্তিক প্রসঙ্গ তুলেছেন

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শিক্ষা ব্যাবস্থায় বিভক্তি তো জাতির বিভক্তি নহে।দুধ আর ঘির মূল্য তো এক হইতে পারে না।যার যেমন মেধা, আগ্রহ তাহাকে সেই লাইনেই শিক্ষা গ্রহণ করিলে ভালো হয়। নাহলে তো সবাই গোলআলু হইয়া যাইবো। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার , কেউ আলেম এমন হইবোনা। আমাদের গোলালুর দরকার নাই।প্রাথমিক শিক্ষা একমুখী হইতে পারে যদি সাথে ধর্মীয় শিক্ষা থাকে যাহা কওমি মাদ্রাসাগুলোতে এখন অনুসরণ করা হইতেছে। আর সবার জন্য সমান সুযোগ রাখা দরকার যেন অভাবে বা দুর্নীতির কারণে মানুষের জায়গায় গরু যেন সার্টিফিকেট নিয়ে বের না হতে পারে !

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



নিরা পড়ে বিদেশী কারিকুলামের ইংলিশ স্কুলে,
জিতু পড়ে দেশীয় কারিকুলামের ইংলিশ স্কুলে,
মিল্টন পড়ে ক্যাডেট কলেজে,
স্বপন পড়ে কিণ্ডার গার্টেনে,
খোকন পড়ে শহরের নাককরা স্কুলে,
বাতেন পড়ে গ্রামের অখ্যাত স্কুলে,
রহমান পড়ে কওমী মাদ্রাসায়,
আবদুল্লাহ পড়ে আলীয়া মাদ্রাসায়,
ধরুন এরা সবাই একই পরিবারের সন্তান।তারপরও তারা বড় হয়ে কোনদিন কোন বিষয়ে একমত পোষণ করবেনা,একই মায়ের সন্তান হলেও।



-এগুলোকে জাতির বিভক্তি নয়, বৈচিত্র হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। একটি সুস্থ সুষ্ঠু সুখময় সমাজ বিনির্মানে এ বৈচিত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সমাজে কুলি থেকে শুরু করে বিচারপতি পর্যন্ত সকল স্তরের মানুষ থাকা প্রয়োজন। তবে হ্যাঁ, বৈচিত্রটা যেন বৈষম্যতে পরিনত না হয়, অর্থাত অধিকার বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। আর সেই সাথে প্রত্যেক জাতি ধর্মের লোকের জন্য তার বা তাদের ধর্মের পাঠ বাধ্যতামূলক হওয়া দরকার। মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্যও অন্তত: অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা একান্ত প্রয়োজন। যাতে করে, কোন মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া কোন দুর্ভাগা মায়ের নারীছেঁড়া ধন তার সন্তান বড় হয়ে, বয়স কালে, বুড়ো বয়সে সূরা ফাতিহা আর জায়নামাজের দোআর তা'লিম নিতে না হয়।

আফসোস! আজ যখন একজন ডাক্তার, একজন এডভোকেট, একজন ইঞ্জিনিয়ারকে দেখি, সহীহভাবে আত্তাহিয়্যাতুটা পর্যন্ত পড়তে পারেন না। তখন অবাক হই! কষ্টে হৃদয় চৌচির হয়!! যে শিক্ষা ব্যবস্থা একজন মুসলিম সন্তানকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে, সে শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে স্বভাবত:ই তখন মনের কোনে প্রশ্ন জাগে।

সুন্দর চিন্তাকে শ্রদ্ধা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.