নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

১৯৭১ থেকে ২০১৫ আমরা কখনও ভাল ছিলাম না।

সেলু

আমি সেলু যোসেফ। এই ব্লগে নতুন, আমার লেখায় কোন ভুল ভ্রান্তি হলে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি নিয়ে দেখার অনুরোধ রইল।

সেলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একাই করতে হবে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

দেশ পরিচালিত হচ্ছে এক অসভ্য, বর্বর, অমানবিকভাবে সর্বপরি সৃষ্টি করা হচ্ছে অসহায় এক অবসহার যা হয়তো কারো চোখে পড়ছে, আবার নতুন আরেক দস্যুতায় চাপা পড়ে যাচ্ছে? অন্যদিকে চলছে বিরোধীদলের লাগাতার অবরোধ, দূর পাল্লার বাহনগুলো গুটিসুটি মেরে যত্নের সাথে রাখা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম তো আছেই, অন্যদিকে কেউ মারা গেলেও তার জানাযায় উপস্তিত থাকতে পারবে কি না সেটাও একটা নতুন ভয় হিসাবে দেখা দিয়েছে। আর এই ভাবে যদি চলতে থাকে পরবর্তীতে কি হবে তা এই মূর্হুতে কেউ বলতে পারবে না। খোদ প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী নিজেরাও জানে কি না সন্দেহ যে আজ কত জন মানুষ মারা গেছে?। বা যাচ্ছে?

আজকের পত্রিকায় দেখলাম, এক অনুষ্ঠানে স্বয়ং স্বাস্ত্যমন্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির উপস্তিতিতে মঞ্চের পেছন থেকে চার চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়, আমরা কোন আযাবের দেশে বসবাস করছি ভাই? এই প্রশ্ন কাকে করবো? মন্ত্রী এমপিদের যদি হয় এমন অবস্হা তবে আমাদের অবস্হাতো ইদুরের চাইতেও খারাপ।
এর মাঝে গোঁদের উপর বিষফোড়ার মতো প্রত্যাহ চলছে হরতাল বা অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার গ্যাস, গুলি, ভাঙচুর, মারামারি, হত্যা সহ গণ-গ্রেপ্তার, যারা এই সব করছে পত্রিকার ভাষায় এরা দুস্কৃতিকারী বা সন্ত্রাসী এদেরই আগুনে পুড়ে গেছে এক উপদেষ্টার গাড়ী এবং তিনি নিজেও আহত হয়েছেন, অন্যদিকে রংপুরে গত মঙ্গলবার পেট্রোল বোমা দিয়ে চার জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, এই সব ঘটনাই ঘথেষ্ট প্রমাণ করে যে দেশে বিরাজ করছে এক মারাত্মক পরিস্হিতি।

এইরুপ পরিস্হিতি থেকে উত্তোরণের পথ কি? প্রতিদিন অবরোধ, হরতাল, জালাও পোড়াও সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ভাবার জন্য যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি, তারা ঠিকমতো দেশ পরিচালনা করতে পারছেনা বলেই এমন পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে। আমরা এইরুপ রাজনীতি চাই না, আপনারা এইরুপ রাজনীতি বন্ধ করুন।

আর এই জন্য অবশ্যই সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, সরকারকে বুঝতে হবে যে তারা দেশ শাসন করছেন, বিরোধীদলের কর্মসূচীতে তালা লাগিয়ে বিরোধীদলকে রাজনীতি করতে না দিলে তবে অবস্হা আরও ভয়াবহ হবে, মানুষ মরবে, সম্পত্তি ধ্বংস হবে, জালাও পোড়াও বাড়বে, আর বাড়বে সাধারণ জনগণের দূর্ভোগ, এই ভাবে কোনদিন গনতন্ত্র কায়েম করা যাই না। এই সরকার যদি মনে করে তাদেরকে আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে তবে অবশ্যই তাদের বর্তমান বৈরী অবস্হান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। যে কোনো ভাবেই হউক বিরোধীদলকে আমলে নিয়ে যা করার তা বুদ্ধি মত্তার সাথে করতে হবে, সরকারকে কৌশলী হতে হবে। সবার আগে সাধারণ জনগণের কথা, দেশের কথা ও দেশের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। নমনীয় হওয়ার জন্য কারো বুদ্ধি পরামর্শের দরকার হয় না, যা করতে হবে সরকার বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একাই করতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০১

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: প্রধানমন্ত্রি যদি করবেন , তাহলে আরো আগেই করতেন । সব র্সাথ পর

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৫

সেলু বলেছেন: সুপ্ত আহমেদ ভাই, আরও আগে ই কিভাবে করবেন? ঘোষণা টা কোন নোটিস ছাড়া এসে গেল........

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৫

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
দেশের কল্যানের জন্য--
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী হয়ে সকল দেশ প্রেমিকদের আগাইয়া আসার অনুরোধ করছি ।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১১

সেলু বলেছেন: করিম ভাই, আপনার কথা ভাল লেগেছে, আপনাকে সাধুবাদ।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৭

রামন বলেছেন: বিরোধীদলকে রাজনীতি করতে দেওয়া হয় নাই, কথাটি কেন বলছেন! গত বছর বি এন পি রাজনীতি বন্ধ ছিল কী ? আসলে বি এন পির উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতি। . সভা সমাবেশের নামে নৈরাশ্য ও অরাজকতা সৃষ্টি করে এই সরকারের অর্জনকে ম্লান করতে চায় তারা। বর্তমানে বি এন পি যে সমস্ত কৌশল অবলম্বন করছে সেগুলো আত্মঘাতী। লন্ডনে বসে এই দলের তথাকথিত এক নেতা দেশ ও জনগনকে বিপদের মধ্যে ফেলার নীলনকশা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে জনগণ সজাগ থাকলে দেশের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্র বুমেরাং হয়ে তাদের ঘরেই বিস্ফোরিত হবে নিশ্চয়ই।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০২

কলাবাগান১ বলেছেন: "লন্ডনে বসে এই দলের তথাকথিত এক নেতা দেশ ও জনগনকে বিপদের মধ্যে ফেলার নীলনকশা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে জনগণ সজাগ থাকলে দেশের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্র বুমেরাং হয়ে তাদের ঘরেই বিস্ফোরিত হবে নিশ্চয়ই।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.