![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেলু যোসেফ। এই ব্লগে নতুন, আমার লেখায় কোন ভুল ভ্রান্তি হলে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি নিয়ে দেখার অনুরোধ রইল।
ঘড়িতে রাত তিনটা,
জো'র হাত ঘড়িতে বিপ বিপ শব্দ শুরু হয়ে গেল, দশ সেকেন্ড অন্তর অন্তর এই শব্দ খুবই লঘু সাউন্ড দিয়ে বাজতে থাকবে, তিনবারের পর যদি থামানো না হয় তবে এমন ভাইভ্রেট হবে মনে হবে কারেন্টের শক। প্রথম বিপেই জো তার মাসকুলার জিম করা শরীর নিয়ে সন্তর্পণে বিছানা ছাড়ে।
আরেক পাশে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে তার বিয়ে করা চার মাসের বউ, তার মুখে কাচেঁর জানালা ভেদ করে জোস্নার আলোটাকে ম্লান দেখাচ্ছে। ছোট করে সে একটা চুমু খেলো, তার পুটুনি বউকে, এসির ভলিউম কমিয়ে দিয়ে চাদরটা পুটুনি বউয়ের গায়ে ভাল করে জড়িয়ে দিলো আর ভাবছিল, ঈশ, জো’র লাকটায় খারাপ, এই শহরের চারিদিকে যেন অব্যবস্হাপনার এক একটি নগ্ন রুপ, এমনকি খোদ পুলিশের মাঝেও দেখা দিয়েছে এই অব্যবস্হাপনার নগ্ন দিক। বেজায় পুলিশ ধরা ও পড়ছে, জোআস্তে আস্তে কয়েকটা বুক ডন দিয়ে চলে যাই শাওয়ারের কাছে, সকালের গোসল করতে হচ্ছে রাত তিনটাই, তবুও তো একটা সোনার চাকরী, বেশ মজায় আছে জো, চাকরীটাতে থ্রিল যেমন আছে তেমনি আছে ভায়োলেন্স।মরে যাওয়ার ভয় আছে তবে প্রচুর লজিষ্টিক থাকা মানে ভরসা, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছাড়াও আছে হেলমেট, হাতের কবজি পূর্যন্ত কভারেজ, তাই জোর কোনো ভয় নেই, সে নির্দেশ পেলে আগুনে ও ঝাপ দিতে প্রস্তূত।
সম্পূর্ণ রেডি হতে না হতে জো দেখে সর্ট মেসেজ, হারি-আপ। যো স্ক্র্যাচ কার্ড ঢুকিয়ে দরজা খুলে, ঠিক তখন তার পুটুনি বউ এক পাশ থেকে আরেক পাশে ঘুরে এবং পাশ বালিশ নিয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়ল, জো ভাবে হায়রে কপাল, চাকরীটাও তার এমন পড়েছে, ডিজিটাল দরজা, রুম টেম্পারেচার ইত্যাদি চেক করে জো তরতরিয়ে নেমে যাই, পুটুনি বউয়ের কাছে ও স্ক্র্যাচ কার্ড আছে অতএব চিন্তার কি?
void(1);
গ্যারেজ খুলে সে তার মোটরসাইকেল পালসারটা বের করে দারোয়ানকে শীস দিয়ে দরজা বন্ধ করতে বলেই স্পীড তোলে।
মতিঝিল ব্যাংক কলোনীর ৩৪/৪ এর ক-২ নম্বর বিল্ডিং যার দশ তলায় বেশ ঢিম করে জ্বলা আলোতে কিছু লোক কিছু একটা করছে, বিশেষ সংবাদটা পাওয়া যায়, এস আই আসলামের কাছে, বিল্ডিংটির চারতলা পূর্যন্ত অফিস, বাদ বাকী ভবনগুলো এখনও নির্মাণ হয় নি, শুধু পিলার কিন্তু দশ তলা আধা কাচা ঘর আর সেইখান থেকেই আলো আসছে। কি করতে পারে ঐ ভিতরের লোকগুলো?
যথা সময়েই হেড লাইট ছাড়া জো একটা পজিশনে মোটর দাঁড় করায়। অতপর ওয়াকিতে আসলামকে তার পজিশন জানাই, আরও জানতে চাই লজিষ্টিক কি কি আছে, উত্তর আসে, যা যা দরকার সবই গাড়ীতে আছে, তারা অপারেশন শুরু করবে আর পাচ মিনিট পর, এর পর কি হবে?
আসলামকে দেখা যাই, সে জানাই এক প্লাটুন পুলিশ জায়গাটাকে ঘিরে রেখেছে যেন একটাও হাপিস না হয়, জো ততক্ষণে চিন্তা ভাজছে কি করে দশ তলায় উঠা যায়, তখনে লজিষ্টিকের ব্যাগ নিয়ে আমির হাজির সে কনষ্টেবল, বেশ বলিষ্ঠ, জো এঙ্কর করা রশিটা নিয়ে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে দশ তলায় ছুড়ে মারে, প্রথম বারের চেষ্টায় বিফল হলো দ্বিতীয় বারের বার জায়গা মতো এঙ্কর বিধে ষষ্ঠ তলার কার্ণিশে, এরপর উপরে উঠার পালা, ঠিক তখন দেখা যাই আসলামকে যে অলরেডি পাইপ বেয়ে দোতালা অবধি উঠে গেছে।
আসলে কি হচ্ছে ঐ দশ তলা ঘরে? সেখানে সাতজন চোরাকারবারী জ্বাল টাকা বানাচ্ছিল। তাদের তিন দিকে গরাদহীণ জানালায় গার্ড, জো আর আসলাম যে দিক দিয়ে উঠছে তা মারাত্মক ভয়াবহ যার দরুন সেই দিক দিয়ে তাদের মনোযোগ ছিলো না, জো নয় তলায় এসে একটু দম নেয়। দশ তলা জানালায় যে বসে আছে তার হাতে একটি বোতল, খুব সম্ভব উইস্কি হবে, জো সন্তর্পনে পিছন থেকে ধরে মুখ ছিপে ধরে ঘাড়টাকে এমন মোচর মারে যে এক মারেই কুপোকাত। সেই জানালা দিয়ে জো ঢুকে পড়ে, সামনে একটা দরজা সেখান থেকে নকল টাকা বানাবার যে তোড় জোড় তা তার চোখে পড়ে, ওদিকে আসলাম বেচারা যাকে টার্গেট করেছিলো সে আসলামের চাইতে ভারী ফলে রবে উঠে “সাবধান, পুলিশ..ভেতরে তারা সাবধান হওয়ার আগেই জো তার দুই হাতে রিভলবার বার করে হুমকি ছাড়ে সাবধান যে যেখানে আছো সেখানেই থাকো, নড়াচড়া করলে বুলেট তোমাদের ছাড়বে না, ততক্ষনে পায়ে খোড়াতে খোড়াতে আসলাম এসে যোগ দেয়, সবগুলোকে পিছ মোড়া করে বাধে, এরপর আসে পুলিশ, একজনও তাদের পালাতে পারে না, দুই বস্তা নকল টাকা, টাকা বানাবার সরঞ্জাদি সহ গ্রেফতার করা হয়, এবং পুলি্শের হাতে সোর্পদ করা হয়্। আসলাম দ্রুত এম্বুলেন্সে করে সিএমএইচ এ স্তানান্তর করা হয় কারণ তার পায়ে ছুরির ফলা লেগেছে। পরের দিনের পত্রিকায় বেশ জমকালো ভাবে ‘জো, আসলাম সহ চোরাকারবারীদের ছবি সহ টাকার বস্তার ছবি বিভিন্ন দৈনিকে জায়গা পায়। এক ফাঁকে জো দেখে আসে তার সহকর্মীকে। আর এইভাবেই ছোট গল্পের সম্পাত্তি ঘোষণা করছি, ভাল লাগলে কমেন্ট নিশ্চয় কিছু জানতে পারবো, আজ এই পূর্যন্ত, সবাই ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.