নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'আলকাশ\'- পর্ব ৮ ও ৯

০১ লা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০২


আলকাশ সপ্তম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ প্রথম পর্বঃ Click This Link
ইদানীং অবশ্য লতিফের সাথে মইনের ঘনিষ্ঠতা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। আমি লতিফকে অপছন্দ করি বলে-সে আমাকে বাসায় রেখে 'জরুরী কাজ আছে' বলে বেড়িয়ে গিয়ে লতিফের ডেরায় যায়।
ওদিকে লারিসার কুঞ্চিত কপাল ধীরে ধীরে প্রশস্ত হচ্ছে। মইনের সাথে গল্প করার সময় -ঠোটের কোনে কখনো সখনো এক চিলতে হাসিও দেখা যায়।
দু'জনে দু'জনার মুখের ভাষা না হোক শারীরিক অভিব্যক্তি বোঝার চেষ্টা করে।আমিও ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিচ্ছি নিজেকে।গল্পের মাঝে হুট হাট করে উঠে পড়ি নানান অজুহাতে। ওদেরকে একা ছেড়ে দিই কিছুক্ষণ -পরস্পরের বোঝাপড়া হবে ভেবে।
সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ লারিসার ছোট ভাই আন্দ্রে যাকে সবাই আদর করে ডাকত আন্দ্রেউসকা বলে। সে আর তার বন্ধু মিশা সারাক্ষণ আমাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করত। তাদের মূলত আকর্ষণ ছিল সিগারেট আর ওয়াইনের প্রতি। মইনও সেটা বুঝে দু-চার শলাকা সিগারেট আর ওয়াইন ভেট দিয়ে তাদেরকে অতি সহজেই বশ করেছিল। এর বিনিময়ে মইন ওদের বিনে পয়সার গোয়েন্দা হিসেবে নিযুক্ত করল। লারিসার অতীতের সব কর্মকাণ্ড আর বর্তমান দিনলিপি নিয়ে অতি সন্তর্পণে মইনকে অবহিত করত।
ব্যাপারটা আমার পছন্দ ছিল না বলে, ওরা যথা সম্ভব আমাকে এড়িয়ে চলত।
তবে আন্দ্রকে আমি খুব আদর করতাম-সেও আমায় বেশ মান্য করত। আন্দ্রে একটু বেকুব টাইপের হলেও মিশা খুব চতুর ছেলে। আন্দ্রেকে সামনে ঠেলে কাজের বিনিময়ে সে তার সবটুকু উসুল করে নিত। মিশার কাজিন সিভেতা(সিভিয়েতা) লারিসার বাল্য বন্ধু। প্রতিবেশী হবার সুবাদে লারিসাদের বাসায় ছিল তার অবাধ যাতায়াত।
সুন্দরী একহারা গড়ন-অপছন্দ হবার কোন কারণ নেই। আমাদের সাথে শুধু পরিচয়টুকু হয়েছিল ব্যাস!- লারিসা কেন যেত তার আগমনে খুব বেশী খুশী হত না। আমাদেরকে এড়িয়ে আন্দ্রের ঘরেই গল্পগুজব করত।
মইনের সাথে ওর একটু ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই একদিন কি ভেবে সে খুব আগ্রহভরেই আমাদের রুমে সিভেতাকে এনে আমার সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিল। সে পরিচয় পর্বে অন্য কিছুর আভাস ছিলঃ 'মিশু শোন ওর কোন ছেলে বন্ধু নেই।' লারিসার এই কথাটা খট করে বাধল আমার কানে। ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। মনে মনে আমি উৎফুল্ল -যাক নিঃসঙ্গতা ঘুচবে এবার! তবে বিপত্তি হল অন্য-খানে-সিভেতা ঠাণ্ডা টাইপের মেয়ে; কথাবার্তা ভীষণ রকম কম বলে। যা-ই জিজ্ঞেস করি শুধু হু হা করে আর মেটে হাসি দেয়।একা একা গল্প আর কাঁহাতক চালানো যায়। আমার ধারনা ও আমার ভাষা ভাল করে বুঝতে পারছিল না -স্বভাবতই প্রথম দিনেই আমার আগ্রহ উদ্দীপনায় খানিকটা ভাটা পড়ল।
তবে লারিসা কি যেন সব বলেছে আমাকে নিয়ে ওর কাছে কে জানে? প্রথম থেকেই সে মেয়ে এমন মোহিত হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছিল যেন আমি কোন 'প্রেদমেদ অবঝানিয়ে' হার্টথ্রব সেলেব্রিটি। মনে হচ্ছিল আমি দু ছত্র প্রণয় আলাপ করলেই সে ভালবাসার নৌকার পাল তোলে! ঠিক যেন জ্বলন্ত মোমবাতির মাথায় গলে যাওয়া মোমটুকু পড়ার অপেক্ষায়...
এমন নিরস মেয়ের আর যাই হোক সাথে ভাব-ভালবাসা হয়না। আর আমি ‘এরেঞ্জ লভে’ প্রস্তুত না! তবুও লারিসার অতি আগ্রহ আর নিজের ভবিষ্যৎ নিঃসঙ্গতার কথা ভেবে ওর সাথেই আপাতত জড়ালাম। রুশীয় প্রেমের ভবিষ্যৎ নিয়ে অত-বেশী শঙ্কিত হবার কিছু নেই- আমাদের বাঙ্গালীয়ানা প্রেম চলে শুধু দাবি দাওয়া উত্থাপন-ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, হাজারো শর্ত আর কিরা কসম কেটে। এসবের বালাই ওখানে নেই বিশেষ। ওরা বেশীরভাগ-ক্ষেত্রেই বর্তমান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশী উদ্বিগ্ন নয়। ছেলেদের হার বেশী হলেও প্রণয় আলাপে দু-পক্ষই বেশ আবেগ-ভরে দরদ দিয়ে মিথ্যে কথা বলে(ব্যতিক্রম উদাহরণ নয়)।শারীরিক সম্পর্কের পরে ওখানে কেউ নাকের জলে চোখের জলে এক করে বলে না; আমিতো সবকিছু তোমাকে দিয়ে দিয়েছি-এখন আমার কি হবে?

০৯

আন্দ্রেউসকা এবার আঠারতে পা দিবে। আঠার মানে, যৌবন প্রাপ্তির বয়স। বড়দের কাতারে কাধ মেলানোর সুযোগ। অন্য অভিজাত পরিবারে কি নিয়ম আমার জানা নেই, কিন্তু এদের এখানে নিয়মটা খানিকটা কড়া। আঠারোর আগে মুরুব্বিজন সম্মুখে মদ্যপান নিষিদ্ধ! সেই মতে আন্দ্রে এতদিন বড় বিপাকে ছিল-আমাদের দেয়া মদ আমাদের সামনেই খেত লুকিয়ে-চুড়িয়ে! আন্দ্রের আঠারোর জন্মদিন নাকি ধুম-ধাম করে হবে। লারিসাদের বাসার সবাই সেই নিয়ে ভীষণ ব্যাতি-ব্যাস্ত।
এই ধুম-ধামের পিছনের মাষ্টার মাইন্ড আমাদের মইন ভাই। তিনিই সবাইকে উস্কে দিয়েছেন। আন্দ্রেকে বলেছেন, কুছ পরোয়া নেহী-সব কুছ হোগা ধুম ধাম সে!’ বেকুব আন্দ্রে কথা না বুঝে ফ্যাক ফ্যাল করে আমার দিকে তাকায়। আমি মইনকে জিজ্ঞেস করি। এটা কি হিন্দি না উর্দু? লতিফের সংস্পর্শে থেকে আপনার দেখি মাথা গেছে!
মইন হেসে বলল, কি করব এই ব্যাটা রোমানিয়ান, ইংরেজী, বাংলা কিস্যু বোঝে না। তাই উর্দু বললেই কি অন্য ভাষায় বললেই, বোঝাবেন তো আপনি।
কথা ঠিক! আমিই বোঝালাম আন্দ্রেকে। আন্দ্রের খুশীতে তখন পাগল দশা! সে দৌড়ে গেল মিশাকে ডাকতে, আর ফিরে এল সাথে করে একটা কুকুর ছানা নিয়ে। কুকুর ছানাটা একদম ছানা নয়, একটু ডাঙ্গর হয়েছে। কে যেন, মনের দুঃখে ওকে গিফট করেছে! এমন বেকুব কুত্তা আমি জীবনে দেখি নাই। চোখ ঘুরিয়ে লেজ নেড়ে এক জায়গা-ই চড়কির মত ঘোরে। আর দরজায় কেঊ আসলে দরজার সামনে ঘেউ ঘেঊ না করে- দৌড়ে গিয়ে টেবিল চেয়ার যা পায় তার নীচে লুকিয়ে পড়ে, থাবার মাঝে মুখ লুকিয়ে; কেউ কেউ করে!
কুকুর নিয়ে সারা বাসায় হুল স্থুল। আন্দ্রে লজ্জা পেয়ে সেটাকে যত ট্রেনিং দেয়, পর মুহূর্তেই পিচ্চিটা তা ভুলে যায়! সেদিন-ই তার নামকরন হল ‘রোন্দ্রে’ সংক্ষেপে ‘রো’। মইন-ই তার নামকরনে হোতা। আন্দ্রের ভাই রোন্দ্রে। আন্দ্রে ভীষণ লজ্জা পেলেও বাকি সবাই চরম মজা পেল। পিঠাপিঠি বড় বোন এই নিয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে বেশ ঠাট্টা মস্করা করছে দেখে মইন খুশীতে বগল বাজাতে লাগল।
তার নাম- এই রকম মার্কেট পাবে(তার ভাষায়) সে ভাবে নাই।
ছোট খাট একটা গেস্টের লিস্ট হল; আন্দ্রের বন্ধু আছে এক মিশা। মইন আর আমার কমন দু’তিনজন বন্ধু আর লারিসার গোটা দুই বান্ধবী ব্যাস! ঘরোয়া অনুষ্ঠান, এর থেকে বেশী লোকের স্থান সংকুলান হবে না।
লারিসার বান্ধবী সিভেতা আসবেই- সে এখন প্রতিদিনই বার কতক এ বাড়িতে চক্কর দেয়। তার সাথে আমার ভাব ভালবাসা হয়েছে কিনা বোঝা মুশকিল। কাছে পিঠে আসলেও তার আশ্চর্যজনক নীরবতা, নিস্পৃহতা আর ক্যাব্লার মত মেটে হাসি দেখে আবেগ মরে যায়!
সিভেতা ছাড়া আর কাকে বলা হোল, সে প্রশ্ন করলে লারিসা মুচকি এড়িয়ে যায়। মইনের চরম আগ্রহ সেটা আগে ভাগে জানার। সে চায় লারিসার গোটা দশেক বান্ধবী অন্তত আসুক সেই অনুষ্ঠানে। কিন্তু গোটা দশেক বান্ধবী থাকতে হবেতো। আমাকে খোচায়, কাকে কাকে বলেছে জিগান না? আমি জিজ্ঞেস করলে লারিসা বলে’ পাসমাত্রিম’ (দেখা যাবে)।
রুশীয় অনুষ্ঠানে খাবার থেকে ভিন্ন স্বাদের বাহারী লেবেলের মদ,বিয়ার,শ্যম্পেন, লিকার,কনিয়াক, ওয়াইন থাকে মুল আকর্ষণের কেন্দ্রে। তাছাড়া এবার-ই প্রথম আন্দ্রে মদ খাবে সবার সম্মুখে, ভাবি শ্যালকের জন্য জান লড়িয়ে দিল মইন মদ যোগাড়ে!
মুল অনুষ্ঠানের দিন দুপুরেই লারিসা আমাকে ডেকে চুপি চুপি বলল, ব্রাত(ভাই) তোমাকে ছোট্ট একটা উপকার করতে হবে?
কি করতে হবে বলো সিসত্রা(বোন)?
সে একটু লাজুক নেত্রে হেসে বলল, আমার এক বান্ধবী আসবে। কয়েক বছর দেশের বাইরে ছিল- রাস্তা ঘাট ভাল চেনে না। ওকে কি একটু বাস স্ট্যান্ড থেকে নিয়ে আসবে?
লারিসার হাসি বলে অন্য কিছু। আমি বললাম, আমরাতো কেউ কাউকে কোনদিন দেখিনি-সে আমাকে চিনবে কেমনে আর আমিই বা তাকে?
ওকে তুমি দেখলেই চিনবে। এখানেতো আর আর গন্ডা গন্ডা সুন্দরী মেয়ে নামে না। ওর হাভ ভাব পোষাকই অন্যরকম। আর তোমাকে দেখেই সে এক লহমায় চিনে নিবে, এ তল্লাটে দু’জন বিদেশীর-ই বাস।
তার কথা মনে ধরল। এরপরে নাকি সুন্দরী-তথাস্তু!
বিকেল পাচটা থেকে বাসস্ট্যন্ডে দাঁড়িয়ে আছি।এখানে একটাই রুট থাকায় বাস আসে কালে-ভদ্রে! ‘উলিতসা ফ্লরিওর’ ফুলের রাস্তা। যেমন নাম তেমন-ই নয়নাভিরাম এ রাস্তার ধার! গ্রীষ্মের এই উজ্জ্বল বিকেলে অতি আগ্রহ নিয়ে আমি অপেক্ষা করছি অচেনা সুন্দরী এক রমণীর।
অবশেষে তিনি আসলেন। বাসের দররজায় তার আগমনে, গ্রীষ্মের মনোরম এই উজ্জ্বল বিকেলটার উজ্জলতা যেন শতগুন বেড়ে গেল। প্রথম দেখায় আমার মনে হোল তোমার-ই অপেক্ষায় আমি জনম জনম ধরে ছিলাম! সিড়িতে পা রাখবার আগে সে একবার, কালো ডাগর ‘পাখির নীড়ের মত চোখ’তুলে তাকিয়ে আমার অস্তিত্ব কনফার্ম করে নিল। আর আমি অস্ফুট স্বরে বললাম; ‘এতদিন কোথায় ছিলেন’?

আপাতত শেষ- চাইলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন

পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক্কেবারে মোক্ষম সময়ে এসে ব্রেক ;)
যাক বাবা !!
মিশু ভাই এর সাথে ব্রাত আর সিসেত্রা তে এসে ঠেকেছে ! হু টাকায় আর চেষ্টায় কি না হয় !!!!
আহা সিভেতা ! শুধু মাত্র প্রকাশ করতে না পারার জন্য একলাই থেকে যাচ্ছে।

আলকাশের কাহিনী পাত্র/ পাত্রী ‘ র সাথে এ লেখার আমার কাছে অন্যতম আকর্ষন এর প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের বর্নণা !
বেশ মনে গেথেঁ রয় রাশিয়ার গ্রামীন পরিবেশ!

ধন্যবাদ দারুন এক ঈদ শুভেচ্ছা নিয়ে ফেরার জন্য।


ঈদ মোবারাক !

০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিই প্রথম এলেন?! এরপরের পর্বে কিন্তু একটু অন্যরকঅম আলোচনা আছে :)
আপনার মন্তব্যে পরের পর্ব শীঘ্রই পোস্ট দেবার আগ্রহ বেড়ে গেল কয়েকগুন
ভাল থাকুন- অনেক ধন্যবাদ
ওহ ঈদ মোবারক

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একটা গল্প বলি-
দুই ডাকাত একটা রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে বলতেছেঃ
প্রথম ডাকাত - প্রথমে ১০০ জন মানুষ খুন করবো তারপর ১ টা ছাগল খুন করবো
এই কথা শুনে দোকানদার বলতেছে - " ভাই, একটা ছাগল খুন করবেন কেন ? "
২য় ডাকাত - আমি কইছিলাম না একটা না একটা গাধা এই কথা বলবো যে ছাগল কেন খুন করবো; কিন্তু জিগাইবো না ১০০ মানুষ খুন করবো কেন !
আসলে বাঙ্গালি এই রকম-ই !

০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: গল্পটার সাথে এই লেখার যোগসুত্র বের করতে একটু কষ্ট হল রাজীব নুর ভাই! একটু বুঝায় বলবেন?

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ।
ঈদ মোবারক

০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ফের ঈদের শুভেচ্ছা(একবার আপনার লেখায় দিয়ে এসেছি-সেজন্যই ফের)
ভাল থাকুন সব সময়- লেখার মন্তব্যটা কি এটাই?

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৬

আকন বিডি বলেছেন: তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। ঈদ মোবারক।
বস অবশেষে টেপাটিপি চালু হল। মারহাবাহ। ব্যাপক আরাম পাচ্ছি। সকাল থেকে প্রচুর ব্যস্ততার পর আপনার কিবোর্ডে টেপাটিপি ব্যাপক আরামের যোগান দিচ্ছে। কিন্তু যে স্থানে ব্রেক কষছেন। কি আর কমু বস। সহ্য করা কষ্টকর।মন আকুপাকু করে আর কি?

"ফের 'আলকাশ' শুরুর আগে কিছু কথা"
লেখা দেখছি কিন্তু ব্যস্ততার জন্য আর মন্তব্য করতে পারি নাই। এইখানে করি:
স্মৃতির উপর নির্ভর করে লিখছি, সৈয়দ মুজতবা আলীর কাছে আসছেন তার আত্মীয় যিনি একটি ফার্স লিখেছেন।সৈয়দ সাহেব যেন দেখে দেন। সৈয়দ সাহেব দেখলেন কিছূই হয় নাই, আবার আত্মীয়কে কিছু বলতে পারছেন নাই তাই বললেন "এইগুলা স্টেজ পার্ফম করলে ভাল বোঝা যায়"। সেদিনের মত আত্মীয় খুশি হয়ে বিদায় নেন।অনেক দিন পর সৈয়দ সাহেব শুনেন তার সেই আত্মীয় ফার্স স্টেজ পার্ফম হবে। তিনিতো পুরাই অবাক এবং লজ্জা পান খবরটা শুনে।তিনি পালিয়ে বেরালেন।যেদিন স্টেজ পার্ফম সেদিন দেখেন মানুষ হাসতে হাসতে শেষ। কেউ হাসতে হাসতে পেটে হাত দেওয়া তো আর এক জন হাসতে হাসতে গড়াগাড়ি খাচ্ছে আর বলছে "চাক্কু মারছে, চাক্কু মারছে" । সৈয়দ সাহেব পুরা বেকুব বনে যান সাহিত্যের এই রূপ রস দেখে।কোনটা কাল জয়ী আর কোনটা সময়ের চোরাবালিতে হারাবে সেটি পাঠকের উপর ছেড়ে নির্ভাবনায় লিখুন।

সৈয়দ সাহেব বিভিন্ন দেশে ঘুরে যা লিখেছেন তা বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। তিনি জার্মনী, ফ্রান্স, মিশর ইত্যাদি দেশ অভিজ্ঞ।
আপনি যেহেতু রাশিয়ার একটি উল্লেখ্য যোগ্য সময় ছিলেন তাই বলা যায় আপনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা কম না। যা আমাদের সাহিত্যের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে। আপনার টেপাটিপি চমৎকার। আমাদের রাশিয়ার অভিজ্ঞতা বামপন্থিদের দ্বারা, যাদের কাছে রাশানরা দেবতা, কোটি মানুষ মেরেও পূজনীয়, এরা রাশান স্টাইলে দেশের উন্নতি করতে চায়। নিরপেক্ষ দৃষ্টি এদের কাছে প্রত্যাশা করা যায় না। তাই বলবো নির্ভাবনায় আপনার স্টাইলে লিখুন।

যেহেতু 'আলকাশ' শুরু করেছেন "রুস্কাইয়া ব্লুদা" শুরু করবেন আশা করি।

০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: ভাইজান, আপনার মন্তব্যতো আমার একটা পর্বের সাইজ হয়ে গেছে! এত বড় মাপের একটা মন্তব্যের জন্য আমার অন্তর থেকে ভালবাসা সেই সাথে ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।
মুজতবা আলী-তো আমার পীর , মুর্শিদ, আমার গুরুর গুরু। পড়াশুনার অর্ধেক কাল কাটিয়েছি তার লেখা আর তার জীবনি পড়ে। কিন্তু শিখতে পারিনি একছত্র।
গুরুর পদদ্বয়ে আমার কদম্বুচি রেখে বলছি- উদাহরণটা চরম হয়েছে!
এসব লিখতে চাই বলেই ফের শুরু করেছি- কিন্তু কতদুর কি হবে, সেটা ভবিতব্যই বলে দেবে ,শুধু আমার গিন্নি তার ল্যাদা গ্যাদা নিয়ে মহান আল্লাহ খোদা ঈশ্বরের কৃপায় গৃহত্যাগ না করেলেই হল !
সাথে থাকুন সব সময় এমনি করে , আমিও আছি - যতক্ষন বাঁচি!

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক!

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: ঈদ মোবারক দাদা। পোস্টে কোন মন্তব্য নাই????

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টে কোন মন্তব্য নাই????

পরে হবে কখনো।

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে- না হয় অপেক্ষায় থাকলাম...

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেহেতু অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম, তাই কেমন লাগলো বলে ঢং করতে চাই না। খালি একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন......এটা শেষ না করে আবার গায়েব হয়ে যাবেন না যেন!

আর একটা কথা। প্রতিটা পর্বের শুরুতে আগের পর্বের লিঙ্ক, আর শেষে পরের পর্বের লিঙ্ক দিবেন। আর এটার শুরু যেহেতু অনেক আগে করেছিলেন, তাই প্রতিটা পর্বের শেষে প্রথম পর্বের লিঙ্ক বাই ডিফল্ট দিয়ে রাখবেন নতুন পাঠকদের জন্য।

আপনার পাঠককে রাগিয়ে দেয়ার একটা উদাহরন দেই। ৭ম পর্বের শেষে আপনি ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্ক দিয়েছেন। পাঠক সপ্তম পর্ব পড়ে ষষ্ঠ পর্ব পড়তে চাইবে, নাকি অষ্টম পর্ব পড়বে? :)

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: না ভাই এইবার আর শেষ না করে যাচ্ছি না। তবে সাত পর্বের পরে পরে আমাদের সবারই বয়েস আরো সাত বছর বেড়ে গেছে। আপনিও সেই সময়কার আবেগ নিয়ে পড়বেন না আর আমারও ধ্যান ধারনা আবেগ অনুভুতি পাল্টে গেছে অনেকখানি!!
তাই সমস্যাগুলো ধরিয়ে দিএল উপকৃত হব- ঢং করে ভাল লেগেছে ভাল লেগেছে না বলাই শ্রেয়!

আপনার উপদেশগুলো মনে থাকবে।

অনেক ধন্যবাদ সবকিছুর জন্য। পরের পর্বগুলোতে এমন করে বলে যাইয়েন

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: গল্পটার সাথে এই লেখার যোগসুত্র বের করতে একটু কষ্ট হল রাজীব নুর ভাই! একটু বুঝায় বলবেন?

যোগসুত্র অবশ্যই আছে। বুঝে সুজেই মন্তব্যটা করেছি।

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ- অবশেষে যদি বুঝতেই না পারি,তবে কোন একদন বুঝিয়ে দিবেন আশা করি? :)

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

অশুভ বলেছেন: লতিফের ক্যারেক্টারটা ভুলে গিয়েছিলাম। এজন্য আবার একেবারে প্রথম পর্ব থেকে শুরু করেছি। দশম পর্ব পর্যন্ত টানা শেষ করলাম। পাঠককে মোহিত করার একটা দুর্বার ক্ষমতা আছে আপনার লেখাগুলোর। এজন্য এক লেখা বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আহারে! এমন ভালবেসে করে কেউ আর এখন বলে না! ফের সবগুলো পড়েছেন- নতুন করে লেখার আগে শুরু থেকে ঝালাই করতে গিয়ে আমারই-তো ঘাম ঝড়ে গেছে!!
পারেন বটে- এটুকু ভালবাসা পেলেই আমি বর্তে যাই।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৩৫

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভাল লাগছে----দেখা যাক, আমাদের ভাইয়ার কপালে শেষমেষ কি আছে!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু- ভাগ্য অলরেডি নির্ধারিত হয়ে গেছে!! পরের পর্বটা পড়েছেন;
https://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/30304739
মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পর্বটা পড়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তাই আগের গুলি পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে- পুরোটা পড়ে এসে কিছু একটা মন্তব্য করে গেলে প্রীত হব।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যদিও আমি ইতিমধ্যে পরের পর্ব পড়ে এসেছি। তবে বাসস্ট্যান্ড থেকে যে বিদেশিনীকে আনতে গেলেন,যাকে দেখে হৃদয় উঠলো নেচে, এতদিন কোথায় ছিলেন? তার পরিচয় তো আর পেলাম না। অবশ্য আমার চোখ এড়িয়ে যেতেও পারে।

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মিশুর লিয়েনাকে দেখা পাওয়ার জন্য নবম পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। আগের কমেন্টে শেষ লাইনে সেই বিদেশিনীর দেখা পেলাম। আপাতত আলকাশে পাঠক হিসেবে মিশুর লিয়েনাকে ভীষণ মিস করছি। মঈনের তো লরিসা ধরা দিল।ধরে রাখতে পারে নি সেটা মঈনের আলকাশের জন্য। কিন্তু মিশুর শূন্য হৃদয়ে লিয়েনা যে গভীর ক্ষত রেখে গেছে তা বুঝি ইহজীবনে পূর্ণ হওয়ার নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি সিরিজ আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় তপন ভাই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: মিশু লিয়েনের সম্পর্কটা অনেক জটিল মনস্তাত্বিক! এর ব্যাখ্যা দেয়া আসলেই কঠিন! সেজন্যই বেশী না পেঁচিয়ে মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছি।
নিশ্চিতভাবে সেই বিচ্ছেদের গভীর ক্ষতটা আজও মিশু বয়ে বেড়ায়! সত্যকারে ভালবাসাটা শারিরিক সম্পর্কের থেকেও বহু উর্ধে।
আপনাকে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার চেষ্টা না করাই ভাল।
আমি আপনার ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ, আপ্লুত। এমন অনুপ্রেরণা আরো ভালো কিছু সিরিজ উপহার দেবার প্রেরনা যোগায়।
ভালথাকুন থাকুন নিরন্তর!

১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ০৮ঃ - লারিসার ঠোঁটের কোণে 'এক চিলতে হাসি' ফুটে ওঠার কথাটা দারুণ লাগল।
০৯ঃ - বেচারা সিভেতা! প্রেম ঢেলে দেয়ার জন্য যে মনে মনে এতটা উদগ্রীব, শুধুমাত্র উপযুক্ত প্রকাশ ক্ষমতা না থাকার কারণে তার 'মেটে' হাসিটাকেও অবশেষে 'ক্যাবলাকান্তের হাসি' বলে অভিহিত হতে হলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.