নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
মস্কোতে এসে অব্দি এরা গুরুর গার্লফ্রেন্ড 'লুদমিলা'কে কাছ থেকে দেখেছে –অতীব সুন্দরী হবার পরেও অতি ভক্তিতে কেউ একবারের বেশী দু’বার মুখ তুলে তাকায় নি। চুলা আর ফেরদাউস এখনো কোন মাইয়া যোগাড় করতে পারেনি। ভাষা জানেনা আর ভিসার সমস্যা আছে বলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এরা কেউ বাইরে যায় নাশ। গেলেও- চোরের মত অতি সন্তর্পণে। রাস্তা ঘাটে শপিং মলে কিছু রুশ নারীকে দেখেছে এরা মাত্র- কারো গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর সুযোগ ও হয় নি কখনো। সেজন্য মাঝ বয়েসি দোকানদার মহিলাদের সুযোগ পেয়ে কেউ কেউ বড় ত্যক্ত করে।
গুরু আচমকা ফোন করে জানালেন যে, আজকে সন্ধ্যায় তাঁর দু’জন নারী অতিথি তাদের ওখানে। রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যেই তাদের এখানে আসা। তারা যান সাধ্যমত খাতির যত্ন করে। কোনরকম অসম্মান করলে ঘাড় মটকে দিবেন।
মুল বিষয় হোল; মেয়ে দুটো হোল গুরু’র মেয়ে বন্ধুর বান্ধবীর ছোট বোন আর তাঁর ক্লাসমেট। এরা দু’জন সুদূর ভারোনেঝ থেকে মস্কোতে আসছে কি একটা পরীক্ষা দেবার জন্য। মস্কোতে তাদের কোন আত্মীয় স্বজন নেই। বোনের বান্ধবীকে বলে থাকার একটা যায়গার ব্যবস্থা করেছে।
তাদের আসার খবরে ওদের মধ্যে দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হোল। ঘর দোর গোছ-গাছের জন্য হুলস্থূল শুরু হয়ে গেল! দিনের আলোয় পর্দা সরিয়ে রুমের দিকে তাকিয়ে সবাই মনে মনে নিজেকেই গালি দিল! এতদিন আমরা এমন শুয়োরের খোঁয়াড়ে ছিলাম।যেখানেই হাত দেয় সেখানেই স্তুপাকৃত ময়লা।বিকেল থেকে শুরু হোল রান্নার আয়োজন- সবাই খুব আনন্দ চিত্তে রান্না করছে আর গুরুর সেই গান গাচ্ছে~ নো উইমেন নো ক্রাই~
ওই মেয়েটারা বোধ হয় ইংরেজি বোঝেনা – নাহলে কি দারুন খুশী হোত এই গান শুনে।
ভাবত;ছেলেগুলো কতই না মানবিক-উদার এরা গান গায় একসাথে গলা মিলিয়ে~ নো উইম্যান নো ক্রাই~
আজকে ওরা এখনো কেউ মদ স্পর্শ করেনি। মাতাল না হয়েই কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখ বুজে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে গাচ্ছে,ওহ হো ইয়া~ নো উইম্যান নো ক্রাই~ আহা হা ~নো উইম্যান নো ক্রাই~
ওরা অকারণে হাসছে। এ ওর দিকে ইশারায় চোখে চোখে কথা বলছে, দুষ্টু মিষ্টি কথা! রাঁধুনিকে আজ সবাই রান্নার টিপস দিচ্ছে। রাশিয়ানরা খাবে ঝাল যেন না হয় বস। কালো রুটি আনা হইছে? ও আল্লাহ কালো রুটি ছাড়া মাংসের ঝোল খাবে ক্যামনে?
লিটন মামু, তুমি যাও না মাগাজিনে( শপিং মল)- কালো রুটি আর শসা নিয়ে আস? লিটন মামু হেসে বলে -কিরে মাসুম্যা, শালা নোয়াখাল্যা- আমারে ভুং ভাং দিয়ে একলা পাঠাইবা। আমি পুলিশের হাতে ধরা খাই আর তোমরা এইখানে মৌজ মাস্তি কর!
সবাই হো হো করে হাসে। মাসুম হাসতে হাসতে বলে,- ঠিক আছে মামু চল আমরা দুইজনেই যাই।
সন্ধ্যের মুখে মেয়ে দুটো আসল। এমন পরির মত মেয়ে মস্কোতেও কদাচিৎ চোখে পড়ে। ওদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সবাই হাঁ হয়ে গেল। এতগুলো ছেলে দেখে মেয়ে দুটো ঘাবড়াল না। প্রিভেদ' বলে সম্ভাষন জানিয়ে গায়ের ভারি পোষাক দরাজার পাশে যথা স্থানে ঝুলিয়ে- উঁচু বুট জোড়া জুতার সেলফে রেখে গট গট করে রুমের দিকে এগিয়ে গেল। ওদিকে দশজন বঙ্গ যুবক তখন থতমত খেয়ে লজ্জা শরমে লেজে গোবরে পাকিয়ে ফেলেছে!
প্রথমে চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়ে ছিল এখন ফিগার দেখে টাসকি খেয়েছে। আয় আল্লাহ কি সুন্দর – মনে হয় বেহেস্ত থেকে নেমে আসছে!! যে একটু রুশ ভাষা জানে দু’চার অক্ষর সে আইয়ে আইয়ে বৈঁঠিয়ে বৈঁঠিয়ে বলে রান্নাঘরে নিয়ে বসাল!
তরুনীদ্বয় কারো তেমন তোয়াক্কা না করে নিজেরাই সামোভারে পানি গরম করে শুধু লিকার চা আর কালো রুটি খেল। তারপরে দু’জনে দীর্ঘ এক গল্প জুড়ে দিল।
ওরা ভেবেছি একসাথে গপ সপ হবে, পেগ ঢালা ঢালি হবে। সবাই আবেগ নিয়ে~ নো উইম্যান নো ক্রাই~ গান শোনাবে। ওদের ভাঙ্গা ভাঙ্গা রুশ ভাষা শুনে মেয়েরা খিল খিল করে হেসে গড়িয়ে পড়বে- হয়তো ওদের কারো গায়ের উপরেই পড়বে। কেউ একটু সাহসী হয়ে ওদের কাছে একটু নাচের তালিম নিতে চাইবে- রাতে একসাথে জম্পেশ খানাদানা। তারপর.... ওরা ঘুমাবে কোথায়?
আমাদের রুমে ঘুমালে কি আমরা সারারাত এই রান্না ঘরে কাটাব? দরজা আটকে দিলেতো তাই থাকতে হবে! দরজা কি আটকাবে? না আটকালে... নাহ থাক ভাবতে পারছি না। মেয়ে দুটো গল্প করছে আর ওরা বড় রুম থেকে একজন দু;জন করে এসে ঠারে ঠুরে দেখে যাচ্ছে। কেউবা এমনিতেই রান্না করা তরকারি একটু নেড়ে চেড়ে দিচ্ছে। সাহসী হয়ে একটু কাছ থেকে দেখে কেউ ভিতরে গিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তাদের দৈহিক সৌন্দর্য আর অপ্সরীর মত রূপের বর্ণনা করছে। সবাই যে কত স্বপ্নের জাল বুনছে- সেটা ঠাহর করতে ঈশ্বরেরও বেগ পেতে হবে বলে মনে হয়!
রাত সাড়ে আটটার দিকে লিটন মামু গিয়ে জিজ্ঞেস করল, কুশাচ বুজেস(খাবা নাকি)?
মেয়ে-দুটো সমস্বরে বলল, নিয়ে- নিয়েত!
মামুর ভাষার দৌড় অতটুকুই! কেন খাবেনা কিজন্য খাবেনা? ওদের জন্য কত খাটুনি করে রান্না করেছে। বাঙ্গালী খাবার একবার খাইলে সারাজীবন আঙ্গুল চাটবে।এইসব কত কথা তাঁর মনের মধ্যে আঁকুলি বিকুলি করছে কিন্তু ভাষা না জানায় কিছুই সে বলতে পারছে না!!! শেষ মেষ উপায়ান্তর না দেখে সিগারেট প্যাকেট বের করে মুখ খুলে তাদের সামনে নিয়ে বলল, কুরিত বুজেস?
মেয়েরা এবার একটু হেসে, সিগারেট নিল! সেও একখানা সিগারেট তাদের সাথে ধরিয়ে একটু ফাঁকে গিয়ে টানল। এর মাঝে মাসুম দু’বার এসে দেখে গেছে। তাঁর চোখে স্পষ্ট ঈর্ষার ছাপ।
মামু যখন বের হবে মেয়ে-দুটো তখন আচমকা জিজ্ঞেস করল, কিছু যদি মনে না করেন, বলবেন কি আমরা কোথায় ঘুমাব?
মামু- যদি কিছু মনে না করেন' ছাড়া কিছুই বুঝেন নাই। তিনি ফ্যাল ফ্যাল করে তাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন। একটা মেয়ে তাঁর সমস্যা বুঝে হেসে ফেল, সে মাথার একপাশে দুটো হাত দিয়ে মাথাটা হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করতেই মামু’ বুঝে ফেলল।
বড় সড় সেই রুমটাতে সাড়া ফ্লোর জুড়ে কার্পেট বিছানো আর এক কোনে সেমি ডাবল একটা স্প্রিং এর খাট। সেখানেই বিছানা কম্বল সাজিয়ে রাখা। মামু সেখানে গিয়ে তাদের শোবার যায়গা দেখাতেই তারা ঘুমানোর তোড়জোড় শুরু করে দিল।
ব্রাশ করে এসে দুজনেই সবগুলো ছেলের জ্বলন্ত চোখের সামনে-শুধু শুভ রাত্রি বলে পাশাপাশি কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ল। উপায়ান্তর না দেখে ওরা ডিম বাতিটা জ্বেলে বড় বাতিটা নিভিয়ে দিল।
এর পরের ঘটনাটা ওদের জন্য দারুন শকড আর অভাবনীয় আর চরম রোমাঞ্চকর ছিল। বাতি নেভানোর পরেই মেয়ে দুটো একে কম্বলের নীচে থেকেই কায়দা করে অন্তর্বাস জোড়া বাদে শরীরের বাকি কাপড় খুলে মাথার কাছে পরিপাটি করে রেখে দিল।তাদের নগ্ন মসৃণ শ্বেত শুভ্র বাহুর জ্যোতি এই অল্প আলোতেও সবার চোখ ঝলসে গেল যেন।
খানিক বাদেই ভারি নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের শব্দে ওরা বুঝে গেল তরুণী-দ্বয় ঘুমিয়ে গেছে।
ওরা সবাই ফিস ফিস করে কথা বলছে।একটু খেয়াল করে কান পাতলে সবার দ্রুত হৃৎস্পন্দনের শব্দ শোনা যেত।
রুমের মুল হিটারটা নষ্ট থাকায়- গুরু বাইরে থেকে একটা হিটার কিনে দিয়েছিল। এমনিতে এটা ফুল হিটে চললেও ঠাণ্ডা লাগে- আজ যেন বড্ড গরম লাগছে, নাকি বাইরে ঠাণ্ডা কঃশ্বাসে? কেউ কেউ বাইরে যাবার বাহানায় দরজার কাছে গিয়ে চুপচাপ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ঘাড়টা লম্বা করে মেয়ে দুটোর মুখাবয়ব কাছ থেকে দেখে লম্বা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলছে! দরজার বামদিক ঘেঁষেই ওদের বিছানা।
রুম থেকে বাইরে বেড়িয়েই খানিক বাদে সে ফিরে আসছে- আর কাছের জনের কাছে ফিস ফিসিয়ে বলছে,- ব্যাডারে কি মাল-ই না একখান!!!
এক ঘণ্টা দুই ঘণ্টা! দশ বারোজন যুবক ছেলের ছাই চাপা দেয়া আগুন নিয়ে কি এক দুঃসহ অপেক্ষা।ওরা সম্ভবত কোনদিন কোন নারীর দৈহিক সংস্পর্শ পায়নি। মদে যেন রুচি নেই ওদের। সবচেয়ে সরেস খানাগুলো পরে রইল কিচেনে- প্রতি সন্ধ্যাবেলার মত মাগনিতোলায় আর সুর উঠছে না~ নো উইমেন নো ক্রাই~
মুরুব্বি হবার সুবাদে, লিটন মামুই অবশেষে মদের বোতলের মুখ খুলল!
এতক্ষণ কারো সুরার টান ছিল না কিন্তু এখন মনে হোল মদ না খেলে তারা উন্মাদ হয়ে যেতে পারে। শুরু হোল মদ খাওয়া- গান নেই, ভাব নেই, জাকোজকা নেই শুধু ‘র’ মদ গেলা। যেন সবাই মিলে চাইছে যত দ্রুত সম্ভব মাতাল হয়ে সবকিছু ভুলে যেতে।
আসর থেকে রিপন কখন উঠে গেছে কেউ টের পায়নি। আচমকা কেউ একজন তাকে লক্ষ্য করে তাঁর কর্মকাণ্ড দেখে অবাক হয়ে চেয়ে রইল।
বাকি সবার নজর ও সেদিকে চলে গেছে। কেউ কেউ উঠে গিয়ে কাছে গিয়ে বসল তাঁর। মেয়েদের বিছানার অতি সন্নিকটে রিপন রুম হিটারটা হাতে তুলে ধরে বসে আছে ভীষণ একাগ্রচিত্তে- চারিদিকে কে কি দেখছে সেদিকে তাঁর হুশ নেই। বলতে হোল না কিছু ওরা সবাই মুহুর্তেই বুঝে গেল সে কি করতে চায়।
আহা সে কি ভয়ঙ্কর প্রতি সেকেন্ড অপেক্ষা। মিনিট বিশেক বাদে এ পাশের মেয়েটা- দু’জনের মধ্যে সে-ই বেশি সুন্দরী। তাঁর শরীরে নড়াচড়ার আভাস।গরমে সে খানিকটা হাঁসফাঁস করছে।কেউ একজন ডিম আলোটাও নিভিয়ে দিয়েছে ততক্ষণে। শুধু রুম হিটারের হলদেটে লাল আভায় মিটার-খানেক যায়গা বেশ স্বপ্নলোকের মত দেখা যাচ্ছে।
একসময় মেয়েটা একপাশের কম্বল তুলে ফেলল- দু'য়েকজন চীৎকার করতে গিয়ে নিজের হাত দিয়েই মুখ চাপা দিল।
অতি সূক্ষ্ম কাজ করা লাল অন্তর্বাসের বাইরের শরীরটা সে যে বড় আরাধ্যের। এটা সিনেমা বা দূরদর্শনের দৃশ্য নয়। জলজ্যান্ত মানবীর প্রায় উলঙ্গ শরীর তাদের চোখের সামনে নাকের কাছে। কি এক অদ্ভুত মোহনীয় পরিবেশ।ছেলেগুলো একসাথে হুমড়ি খেয়ে নিঃশব্দ থেকেও নৈশব্দে জনম জনমের দেখা দেখে নিচ্ছে। নাহ শব্দহীন নয় একেবারে-তাদের প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম চাপা নিশ্বাসের শব্দ সেখানে আছে- আর আছে ভীষণ দ্রুতলয়ে চলা হৃদপিণ্ডের শব্দ। অনাঘ্রাত নারী শরির ছোঁয়ার অতুগ্র বাসনা দমনের ভয়ঙ্কর প্রচেষ্টায় মুষ্টিবদ্ধা হাত সবার।
ধীরে ধীরে ভোর হয়ে গেল। অতি যত্নে রান্না করা খাবারগুলো পড়ে রইল সেভাবেই, সে রাতে আর শোনা হোল না ওদের ~ নো উইমেন নো ক্রাই~
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: নেট ওয়ার্কের গোলযোগে প্রথমবার করা মন্তব্যটা হারিয়ে গেল
এই কাহিনীর একটা মর্যাল আছে- আমি আপনার কাছে সেই বিষয়ে আলোচনা আশা করেছিলাম
তা-না আপনি লাগলেন আমার চরিত্রের পেছনে
এরোটিক কল্প কাহিনীর বর্ণনা অনেকেই করতে পারে- কিন্তু আসল কামে বুকের পাটা লাগে।
ভিখেরিরও মাঝে মধ্যে দস্যুগিরি সখ জাগে- কিন্তু সবার কি আর সেই দুঃসাহস আছে। এইসব মনে মনে কলা খাবার মত ব্যাপার আর কি
আপনার মন্তব্যে মনে হোল -ভবিষ্যতে লেখালেখির ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে। না হলে একবার ট্যাগ লেগে গেলে সমস্যা। সখের লেখকের সংসার নিয়ে টানাটানি শুরু হবে।
যাহোক প্রথম মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মামুর ভাষার দৌড় অতটুকুই! কেন খাবেনা কিজন্য খাবেনা? ওদের জন্য কত খাটুনি করে রান্না করেছে। বাঙ্গালী খাবার একবার খাইলে সারাজীবন আঙ্গুল চাটবে।এইসব কত কথা তাঁর মনের মধ্যে আঁকুলি বিকুলি করছে কিন্তু ভাষা না জানায় কিছুই সে বলতে পারছে না!!!
একেবারে হৃদয়বিদারক অবস্থা!!
নো উইমেন নো ক্রাই দেখে ফাইন্ড আউট দ্যা লেডি নামের পুরনো একটা গল্পের কথা মনে পরে গেলো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: শুধু কি হৃদয় ভ্রাতা আরো অনেক কিছুই বিদীর্ণ হয়েছিল সে রাতে
ওদের শরির আর মনের উপ্রে দিয়া যে ভয়ঙ্কর টর্নেডো গেছে সে রাতে - একটু ভেবে দেখেন। কয়জন ওই বয়সী বুভুক্ষ কামার্ত যুবক সামলাতে পারবে নিজেকে?
ফাইন্ড আউট দ্যা লেডি ~আমি সেই গল্পটা পড়িনি- একটু শেয়ার কইরেন- পিডি এফ থাকলে
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য- ভাল থাকুন
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনার লেখার শেষ অংশে ঝড়ের আভাস পুরাটাই পাওয়া গেছে।
ফাইন্ড আউট দ্যা লেডি গল্পের কোনো পিডিএফ নাই। কোন বইতে এই গল্পটি পড়েছি সেটিও মনে নেই।
কাহিনীটি শুধু ছাড়া ছাড়া মনে আছে। খুবই ছোট একটা গল্প।
চেষ্টা করে দেখি লিখতে পারি কিনা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: মহাভারত শেষ করে তবে নাকি? যে হারে ধীরে সুস্থ্যে মহাভারত লিখছেন তাতে -এ লেখা কবে পাব আল্লা মালুম
তারপরেও জেনে প্রীত হলাম আপনার কাছ থেকে এমন এয়া লেখার অনুবাদ ভার্সান পাব জেনে।
অপেক্ষায় রইলাম- ভাল থাকুন
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা সবাই জানি আপনার বুকের পাটা শীল পাটার মত বড় এমনি এমনি হয় নাই। আমি উর্বশীদের ধ্যানে মগ্ন ছিলাম তাই গল্পের মরাল নিয়া চিন্তা করার সময় পাই নাই। তাই ধরতেও পারি নাই। আর আপনার চরিত্র তো ফুলের মত পবিত্র, এইটাও ব্লগের সবাই জানে। আপনি বিনয়ী মানুষ সব ক্রেডিট বন্ধুদের দেন। বাকিটা আমাদেরও বিনয়ের সাথে বুঝে নিতে হয়। ট্যাগ লাগার কিছু নাই। আপনার একটা ক্লিন ইমেজ আছে। তবে আপনার ধৈর্য অনেক, অনেক কিছু সহ্য করেন। আমি পারি না।
দুইজন অপ্সরা আর দশ জন প্রেমিক পুরুষ এক জায়গায় রাত কাটালে পুরুষদের উচিত ঐ অপ্সরাদের সারা রাত দেবী হিসাবে পূজা করা। এইটাই মনে হয় গল্পের মরাল। আমি ভেতো বাঙালি, এর চেয়ে বেশী কিছু আমার মাথায় আসে না।
আপনি আপনার মত লিখে যান, আপনাকে কেউ ট্যাগ দেবে না। আপনার ইমেজ অনেক গভীরে প্রথিত। তাই এটা নিয়ে ভাবনার কোন কারণ দেখি না। আর ভাবি তো অনেক উদার মনের মানুষ, আপনি কেন তাকে সঙ্কীর্ণ মনের ভাবছেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: মুল বিষয় হচ্ছে হচ্ছে নেতৃত্ব; গুরু আব্দুল্লাহর অনেক দোষ থাকলেও বিশেষ একটা গুন ছিল তা হচ্ছে চরিত্র আর কাউকে কনভিন্স করার দুর্দান্ত ক্ষমতা।
তাকে লুদমিলা' ছাড়া অন্য কোন রুশ ললনার সাথে কেউ কখনো দেখেনি।
ওখানকার প্রতিটা যুবক তাকে প্রচন্ড শ্রদ্ধা করত, ভাল বাসত এবং ভয় পেত। সেই যুবকগুলো সম্ভবত কোনদিন নারিদেহের স্বাদ পায়নি। এমন দু'জন রুশ ললনা সারারাত অর্ধ উলঙ্গ হয়ে তাদের এত কাছে ঘুমিয়ে আছে-তবু তারা সারারাত একবারের তরে তাদের শরির ছোয়ার স্পর্ধা দেখায়নি। নব্বুইয়ের দশকের শুরুতে সিনেমা ভিডিওতেও নগ্ন অর্ধ নগ্ন নারি দেখা খুব বেশী সহজ ছিলনা। তার উপরে দুর্দান্ত রুপসী দু'জন তন্বী রুশীয় ললনা। এটা ওদের কাছে অতি অনুপম সপ্নের মত ব্যাপার। কল্পনাতেই শুধু সম্ভব ছিল সেটা। আপনি ভাল করে ভেবে দেখুন সেই দৃশ্যটা?
শুধু একটা যোগ্য নেতৃত্বই পারে তার অনুগামীদের যেকোন অপরাধ্মুলক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখতে। এটা সব দেশ সব ধর্মের সব সমজের একটা ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি।
~আপনি আপনার মত লিখে যান, আপনাকে কেউ ট্যাগ দেবে না। আপনার ইমেজ অনেক গভীরে প্রথিত। তাই এটা নিয়ে ভাবনার কোন কারণ দেখি না। আর ভাবি তো অনেক উদার মনের মানুষ, আপনি কেন তাকে সঙ্কীর্ণ মনের ভাবছেন।~
আমার প্রতি আপনার আন্তরিক ভালবাসা ও উচ্চধারনার জন্য আমু মুগ্ধ ও কিঞ্চিৎ লজ্জিত
ওই বয়েসি যুবকদের( নারিদেহ সন্মন্ধে প্রায় অজ্ঞ) চরিত্র ভয়ঙ্কর একটু স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষায় থাকে। তাদের শরির জ্বলে উঠেনি শুধু একজন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আর ভয়ে।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মস্কোর জংগল
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: বুঝি নাই- একটু ক্লিয়ার করলে ভাল হইত
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মস্কো শহরে কিছু জংলী মানুষ আস্তানা করেছিলো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: জংলী হলে তারা সেখানে বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটিয়েই ফেলত- নয় কি?
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: মেয়ে মানুষ কি যোগাড় করার বস্তু।অনেকটা গনিমতের মালের মতো হয়ে গেছে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: লেখার কোন অংশের সুত্র ধরে বলেছেন বুঝতে পারলাম না কামাল ভাই
রাশিয়াতে মেয়েদের গনিমতের মাল হবার কোন সুযোগ নেই
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
প্রবাসে দেশী যুবকদের অবৈধ দিনরাতের পঞ্জী।
পুরোটা পড়ে "নো উইমেন নো ক্রাই" এর মতোই মনে হলো - "নো ষ্ট্রাগল নো লাইফ"
দু'টো পর্বই লেখার ষ্টাইলে অনবদ্য হয়েছে। এই পর্বটাতো সুপার্ব, বর্ণনার ইন্দ্রজালে।
লেখায় ++++++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বলেছেন প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই "নো ষ্ট্রাগল নো লাইফ"
এরা আসলে কান্নাকাটি করার মত কোন মেয়েই নয়- সারা রাত ধরে ইচ্ছে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এতোগুলো ছেলেকে কি ভয়াবয় যন্ত্রনা
আর ভয়ঙ্কর মধুরতম অত্যাচারই না করল!!!
আপনার মন্তব্য আমাকে দারুনভাবে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করল।
অনেক ধন্যবাদ
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
আপনার শব্দচয়ন নিয়ে নুতন করে আর কিছু বলার নেই। প্রতিষ্ঠিত কথাসাহিত্যিকদের মতোই লাগলো। তবে এখনও সাহসী বলতে পারছি না।প্রতিক্ষণে মেয়ে দুটিকে দলের সদস্যদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেও লেখক মহোদয়ের আলাদা করে কোনো অনুভূতি জানতে না পারায় ব্যথিত হলাম।আহারে যিনি অন্যের অন্তরের খবর আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।তারই অন্তরের খবর আমরা জানতে চাইবো না- এতো বড় অসামাজিক আমরা নই।হেহেহে। আশাকরবো আগামীতে লেখক মহোদয় আমাদের মনের চাহিদা পূরণ করবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: লাইক দিয়ে বেশ খানিক্ষন ডুব দিয়ে ছিলেন- অবশেষে অবসর পেলেন
অপেক্ষায় ছিলাম আপনার মন্তব্যের-আপনার লেখার পরের পর্ব কবে নাগাদ পাচ্ছি?
আপনার কাছ থেকে এত বড় কমপ্লিমেন্ট পেয়ে মনটা বেলুনের মত হালকা হয়ে আকাশে ভেসে যাতে চাইছে তবে ভালবেসে বেশী বলে ফেলেছেন
লেখক এসবে নিজেকে আর জড়াতে চায়না- বলাতো যায়না কোথা দিয়ে কোন কথা বাতাসে ছড়িয়ে আমার অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে
'বাবনিকে'একটু সাথে থাইকেন- সেখানে পরের পর্বে একটু ইয়ের কথাবার্তা থাকবে আরকি। তবে ভয়ে আছি বেশ
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালবাসা-একটু বেশী বেশী ভালবাসা দেবার জন্য।
১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি লিখেছেন,’চুলা আর ফেরদাউস——-‘এই বাক্যটি আমার কাছে একটু কেমন লেগেছ,তাই চৌদ্দশ বছর আগে চলে গেলাম।তারা এই রকম লুট পাটের মালের সাথে মেয়েদেরও ভাগ করে নিতো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ও সেই কথা- আগে কইবেন না!!
আমি ভাবলাম কি না কি? ভেবে ভেবে কোথায় ভুল হয়েছে ভেবে ফের আবার নিজের লেখাটাই রিভাইস দিলাম
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: আহা নো ওমেন নো ক্রাই ! কিন্তু আবার ওমেন ছাড়া নো লাইফও বটে ....
লেখায় প্লাস রইলো । সামনে আরও লেখার অপেক্ষায় !
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: দু-পর্ব একসাথে পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
জেনে অতিশয় আনন্দিত হলাম। আপনি ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন- নিয়মিত লিখতে থাকুন...
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, আপনি কেমন আছেন?
কি খবর?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমার খবর ভাল দেখেই ব্লগে নিয়মিত আছি
লেখাটা কি পড়েছেন? এটা নিয়ে দু-শব্দের একটা মন্তব্য রেখে গেলে আনন্দিত হতাম
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার লেখার একটি ভিন্ন স্টাইল রয়েছে - এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: আহা-আপনার প্রশংসা বাক্যে আমি ধন্য হলাম!
অনেক ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর ভ্রাতা
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
জুন বলেছেন: অসাধারণ বর্ননা শেরজা তপন, যাকে বলে মুগ্ধ পাঠ। স্বামী বিশুদ্ধানন্দের মতই এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। মেয়ে দুটোর বর্ননা, ছেলেগুলোর চিন্তা ভাবনা সবকিছু এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন যেন দক্ষ এক চিত্রকর।
ভরোনেঝ শহরের নামটা পড়েই মনের মাঝে ঝিলিক দিয়ে উঠলো বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক মিখাইল সলোকভের বিশ্বজয়ী গল্প ধীরে বহে ডনের কথা। বুড়ো সিপাহিটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে এক বাচ্চাছেলেকে খুজে পেয়েছিল চা খানাটার কাছে৷সেই বাচ্চাটিকে কাধে নিয়ে বুড়োটা যাচ্ছে মস্কো কাজের সন্ধানে।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে কি লিখব ভেবে উঠতে পারছি না!!!
তবে বেশ খানিকটা বেশী বলে ফেলেছেন এটা নিশ্চিত আমিও প্রতিবাদ করছিনা, কেননা প্রসংসা-বাক্য সবারই ভাল লাগে,
তাও যদি হয় আপনার মত ঋদ্ধ ব্লগার কাছে থেকে...
ভারোনেঝ রাশিয়ার বেশ বিখ্যাত একটা শহর- অনেক কবি লেখক শিল্পি উঠে এসেছেন ওই শহর থেকে। তবে এটা নিশ্চিত যে, আপনি আমার থেকে অনেক অনেক বেশী রুশ সাহিত্য পড়েছেন!
আপনাকে যত জানছি ততই বিস্মিত হচ্ছি
সুস্থ্য থাকুন ভাল থাকুন- সারা বিশ্ব দ্রুত উন্মুক্ত হোক আপনার জন্য।
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মান্যষগুলো এত চরম অত্যাচার সহ্য করলো কিভাবে সেটাই আশ্চর্যজনক। সন্ন্যাসী লেভেলের ডেডিকেশন দেখিয়েছে। যদিও নিষ্কাম নয়, বরং স্বকাম সন্ন্যাসী।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: তাতো বটেই- সেটা একটা ডেঞ্জারাস গেইম ছিল।
যে কোন মুহুর্তে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল না।
ছেলেগুলো চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিল- এমন সময় কোন ডর ভয় ও মানুষকে স্পর্শ করে না।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য- ভাল থাকুন।
১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: খানিকটা দেরীতে হলেও দুই পর্ব পড়ে শেষ করলাম। আপনি তো জানেনই, আমি ধারাবাহিক লেখা ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া পছন্দ করি না। তাই অপেক্ষায় থাকি শেষ পর্বের।
আপনার লেখার একটা ব্যাপার আছে। পড়তে থাকলে নিজেকে মনে হয়, ঘটনাস্থলেই আছি। এতো ডিটেইলস বর্ণনা, কিন্তু বোরিং লাগেনা মোটেও। লেখা পড়লাম, যথারীতি দারুন লাগলো, কিন্তু ভাবছিলাম........এতো ইনিয়ে-বিনিয়ে এই কাহিনী বর্ণনা করার পিছনের কারনটা কি? শুধুই কি একটা ঘটনার বর্ণনা?
৪ নং মন্তব্যের প্রত্যুত্তর পড়ে বিষয়টা পরিস্কার হলো। চমৎকার ব্যাখ্যা!!
ঠিক এই রকমের না হলেও কাছাকাছি একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার বিলাত জীবনের প্রথম দিকে। অনেকবার লিখবো লিখবো ভেবেও সায় পাই নাই লেখার! তাই আর লেখা হয়ে ওঠেনি!!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই ধৈর্যের প্রশংসা করতেই হয়- এর আগেও সব পর্বগুলো একসাথে পড়ে মন্তব্য করেছিলেন।
আমার সন্মন্ধে আপনার কমপ্লিমেন্ট আমাকে ভাল কিছু লেখার জন্য দারুনভাবে উদ্বুদ্ধ করে বরাবরই।
সেটা ঠিক ধরেছেন- প্রায় সবাই লেখাটার মর্যালিটিটা এড়িয়ে গেছেন। তারা মুল গল্পটাকে বিবেচনায় এনেছেন। আমি বললে বোধহয় ওই বিষয়টা উহ্য ইয়কে যেত।
ধন্যবাদ আপনাকে মুল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করার জন্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর ভ্রাতা।
১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: সামোভার আরও দুই একটা শব্দে মনে হয় যেন ফিরে গেছি রুশ দেশের উপকথা পড়ার রাজ্যে।
কিন্তু নো উইমেন নো ক্রাই পড়ে কেউ কেউ যে ইন্নিনিল্লাহ না পড়ে এখনও চুপচাপ আছে সেটা দেখে মুগ্ধ হলাম।
তবে চুয়াত্তরভাই কি পড়ছেন তা ভাবছি মনে মনে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
সাড়ে চুয়াত্তুর ভাই প্রথমেই মন্তব্য করেছেন। তার দু-দুটো বেশ বড়সড় মন্তব্য আছে এই পোষ্টে। তিনি আমাকে বলেছেন ,
ইরোটিক বর্ণনায় আপনার আবার মুনশিয়ানা আছে। আপনি ঐ দলে থাকলে ওদের এই অবস্থা হতো না। কিছু একটা করতেন, এই বিশ্বাস আমার আছে।
তাহলে বোঝেন ব্লগে আমার কি দারুন একটা ইমেজ তৈরি হয়েছে!!!!
আমি যেকোন রুশীয় গল্পে দুয়েকটা রুশীয় শব্দ সংযোজন করে সবাইকে রুশ ভাষা শেখানোয় ব্যাস্ত আছি।।
* আপনার সব লেখাই আমার পড়া হয় কিন্তু মন্তব্য করা হয় না।
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: সামোভার বা আরও দু একটা শব্দ আগেও পড়েছি আপনার লেখায় যা পড়লেই আমি ফিরে যাই বার বার আমার প্রিয় ছেলেবেলায়।
আর আপনার ইরোটিক বর্ণনার সে এক্সপ্লানেশন দিয়েছে তা চুয়াত্তরভায়ের শিবরাম হয়ে ওঠার এক উজ্জ্বল নমুনা।
যে ইমেজই বলেন না কেনো নিপাট ভদ্রলোক হিসাবে আপনার ইমেজ ভাঙ্গে কার সাধ্যি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ওরে আল্লা ইমেজের কথা আর বলবেন না,
ব্লগের অলিখিত ঈশ্বরপিতা জনাব 'চাঁদগাজী' বলেছেন আমি নাকি শুধু রুশীয় আর উক্রাইনের মেয়েদের নিয়ে পড়ে আছি। আরো অনেকেই অনেক কথা মনে মনে বলে শুধু প্রকাশ করে না সেটা আমি বুঝি।
যাক আপনার কমপ্লিমেন্টটা আমি মাথায় রাখছি- মেয়েরা মুলত ভদ্রলোকদের লেখাতেই মন্তব্য করে বলে আমার ধারনা
হা সাড়ে চুয়াত্তুর- ভ্রাতা বেশ ধার্মিক কিন্তু বেশ রসিকও - আর যদি সেটা হয় খানুকটা ইয়ে টাইপের
ফের আসার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মেয়েরা মুলত ভদ্রলোকদের লেখাতেই মন্তব্য করে বলে আমার ধারনা
এই ধারণা সঠিক।
আর আপনি কি নিয়ে পড়ে থাকবেন তাই নিয়ে অন্যের পড়ে থাকায় থোড়াই কেয়ার।
অন্যকে নিয়ে অন্যে যখন পড়ে থাকে সেই থাকাটাই বরং বোকামী বা মূর্খামীর লক্ষন।
আমাদের আশে পাশে কত মানুষ কত মন কত বোকা কত চালাক কত ভদ্রলোক কত অভদ্দরলোক।
কিন্তু সমস্যা হলো নিজের সম্পর্কে আমরা ভাবি আমরাই সঠিক অন্যেরা বেঠিক। আমরাই পুত পবিত্র এবং সৎ অন্যেরা ছি ছি সকলে ভন্ড সকলে অসভ্য
শুধু আমি ছাড়া। হা হা
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক ঠিক পুরো ঠিক শুধু আমি ছাড়া হাঃ হাঃ
তাহলে এই ব্লগে সবমিলিয়ে দুজনকে পাওয়া গেল
২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৯
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়।
If you want to live, you have to fight for yourself.
If you want a women as your love life and/or wife, you should have ability to fight for her happiness.
No women doesn't mean absence of fight. To fight is life.
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে -আপনি লেখার বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে মন্তব্য করেননি।
মন্তব্যের কথাগুলো ভাল কিন্তু এই লেখার সাথে খাপছাড়া-লাগামছাড়া হয়ে গেছে।
ভাল থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়ে দুটি আসার খবর পাওয়ার পর ওদের গাওয়া উচিত ছিল নো উওমেন নো লাইফ। নো উওমেন নো ক্রাই গেয়েছে বলেই এই অবস্থা। ওরা তো দুধের বদলে ঘোলও তো পেলো না। ওদের দুঃখ দেখে তো আমার এখন হাউ মাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে!!! ১০ টা বাঙালি ছেলে মিলে মাত্র দুইটা মেয়েকে পটাতে পারলো না। এটা তো বাঙালি জাতির কলঙ্ক। তবে আশা করি আপনি পরের পর্বগুলিতে পুষিয়ে দেবেন ওদের দুঃখ। ইরোটিক বর্ণনায় আপনার আবার মুনশিয়ানা আছে। আপনি ঐ দলে থাকলে ওদের এই অবস্থা হতো না। কিছু একটা করতেন, এই বিশ্বাস আমার আছে।