নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক~২য় পর্ব (তৃতীয় খন্ড)

১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৯


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
ভোরের শুরু থেকে রাতের দ্বি-প্রহর পুরোটা সময় আমার এলিনার কাছে পিঠে থাকতে হয়। অল্প বয়সীরা যা হোক আকার ইঙ্গিত আর অতি ভাঙ্গা ইংরেজি বুঝে নেয়, সমস্যা হয়েছে মুরুব্বীদের নিয়ে।
ওদিকে ববি আমার বন্ধুু সুমনকেও কব্জা করেছে। সারাদিন ওর টিকিটির দেখা নেই। সকালে নাস্তার টেবিলে ববিকে কাছে পেয়ে অনুযোগের স্বরে বললাম; দোস্ত তোমরা-তো হেব্বী মোস্ত মাস্তি করতেছ, আমারে এই গ্যাঁড়াকলে ফাঁসাইল ক্যান?
ও ফিচেল হাসি দিয়ে বলল, তোর ডার্লিং তুই সামলা।( কথোপকথন রুশ ভাষায় ছিল- কেউ কিচ্ছু বোঝেনি)। যদিও ঘর ভর্তি রমণী বিশেষ করে এলিনার আসে পাশে থাকতে আমারও ভাল লাগছিল কিন্তু বিষয়টা ও কিভাবে নিচ্ছে সেটা যাচাই করতে একটু খানি ভণিতা।
আজ সন্ধ্যায় এলিনার আর ববির গায়ে হলুদ। বর পক্ষের হোল সবাই আর কনে পক্ষের আমি সবে-ধন। এক্কেবারে একেলা পড়ে যাই তাই বন্ধু সুমনকে দলে ভেড়ালাম। যদিও সে বুঝে গেছে তাঁর কর্মকাণ্ড ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা মাফিক হবেও তবুও এলিনার আশে পাশে থাকতে পারবে ভেবে চরম খুশী।

লিনাকে সোনালী পাড়ের হলুদ শাড়ি আর গাঁদা ফুল দিয়ে সাজিয়ে মঞ্চে বসানোর পরে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাই আরকি! আশে পাশে চোখ ঘুরিয়ে দেখি কারো চোখের পলক পড়ছে না। একই মঞ্চে দুজনের হলুদ হবে। তবুও মেয়েরা এসে আমার হাত ধরে নিয়ে গিয়ে খানিকটা জোড় করে এলিনার পাশে নিয়ে বসাল। আমার খানিকটা ছোঁয়ায় ও যেন ভীষণভাবে কেঁপে উঠল।
বহুদিন বাদে ওর শরীরের উষ্ণতা আমাকে আবিষ্ট করল-আমার মস্তিষ্ক বিবশ হয়ে পড়ল ওর শরীরের মাতাল করা ঘ্রাণে।
গায়ে হলুদ ব্যাপারটা এলিনার পরিচিত সমাজে ভীষণ অন্যরকম একটা বিষয়। সে খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে। কি করতে হবে- কিসের পরে কি হবে সবকিছু তাঁর ধারনার বাইরে।
ও আমার দিকে ফিরে রক্তিম চেহারায় হেসে বলল, তোমার এই পোশাক মানিয়েছে ভাল।
আমি ধন্যবাদ দিয়ে বললাম; তোমাকে আজ অন্যরকম লাগছে।
এবার সে বোকার মত ফের হেসে বলল, আমিতো কিছুই জানিনা কি করতে হবে। যদিও ববি আমাকে অভয় দিয়েছে; বলেছে সবাইকে বাংলায় ‘ধন্যবাদ’ দিতে হবে আর যে খাবার মুখের কাছে এগিয়ে দিবে তা থেকে একটু একটু খেতে হবে। এ ধরনের খাবার-তো এ জন্মে আমি কোনদিন খাই নি!
-কোন সমস্যা নেই। সব মিষ্টি জাতীয় খাবার। ভালো না লাগলে মুখের মধ্যে রেখে কিছুক্ষণ পর পর টিস্যুর মধ্যে কায়দা করে ফেলে দিলে হবে।
আমার কথা শেষ হতে সে ফিক করে হেসে ফেলে বেশ লজ্জায় মাথা নিচু করল। তদ্দণ্ডে আমার মনে হোল এতো সত্যকারেই বাঙ্গালী বধূ।
সব মেয়েদের পরনে সোনালী পাড়ের হলুদ শাড়ি আর ছেলেদের কাঁচা হলুদ রঙের পাঞ্জাবি। চারিদিকে ভীষণ রকমের হলুদামেজ। এলিনার কাছে এই নতুনত্ব বিস্ময়কর! সে নার্ভাস ও অবাক দৃষ্টিতে চারিদিকের মানুষজনকে দেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে- উপস্থিত অতিথিদের কাছেও ব্যাপারটা একেবারেই নতুন। অতি সুন্দরী এক রুশ রমণী গায়ে হলুদের সাজে মঞ্চে উপবিষ্ট বিষয়টা ভীষণরকম ব্যতিক্রম! অভ্যাগতদের সারাজীবন গল্প করার মত উপকরণ!

তিথি বেশী নয়- বাড়ির ছাদে মেরাপ বেঁধে ছোট খাট আয়োজন! সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেক মানুষ হবে।
প্রথমে মুরুব্বিদের পালা! ববির মা আসলেন- এলিনার কপালে প্রথম হলুদ ছোঁয়ালেন। এলিনা যেন কিঞ্চিত কেঁপে উঠল। আমি খালাম্মার সাথে খানিকটা খুনসুটি করলাম।আমার মজার কথায় কেউ মাইন্ড করে না। তিনি উল্টো আমার মুখেও খানিকটা হলুদ ছোঁয়ালেন। এলিনা আমার দিকে চোখ ঘুরিয়ে হেসে ফেলল। আমি খানিকটা বিব্রত।
উপস্থিত অতিথিদের বেশীরভাগের সাথেই এই দুই দিনে আমার কুশল বিনিময় হয়ে গেছে। আমি সবাইকে পরিচিত করানোর চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যা ববির সাহায্য নিচ্ছি। ও শালা বেশ সিরিয়াস ভঙ্গীতে হলুদ নিচ্ছে। রাতে মাল টেনেছে- এখনো মুখ দিয়ে সামান্য গন্ধ বেরুচ্ছে! তাই কথা বলছে সাবধানে। তবে দূর থেকে বন্ধুরা ইশারায় মজা করছে- আর সে লাজুক হেসে নীরবে প্রতিউত্তর দিচ্ছে।

বাড়ির গুড়া গাড়া বাচ্চা কাচ্চা, সবাই এক এক করে হলুদ দিচ্ছে। এলিনা আমার থিউরি ফলো করছে। কারো কারো প্রশ্ন আমার ইন্টারপ্রেট করতে হচ্ছে- কোনটা এলিনা নিজেই ইয়েস নো তে উত্তর দিচ্ছে। ববির ছোট বোন আর ওর বান্ধবীরা পড়ল আমাকে নিয়ে। সারা মুখে হলুদ লেপ্টে একাকার। এলিনা এসব দেখে হাসতে হাসতে কাত হয়ে পড়ল। তবে সব কিছুতে ববির প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল। তবে ইয়ার্কি ফাজলামি করলেও আমি বেশ সংযত ছিলাম।

ব বন্ধুদের শেষে আসল আমার পালা। প্রথমে ববিকে দিলাম পুরো মুখ লেপ্টে – এরপর আস্ত একটা রসগোল্লা ওর অনেক নেতিবাচক আবদার স্বত্বেও মুখে ঠেসে ভরে দিলাম। চারিদিকে হাসির হুল্লোড়! আঙ্গুলের মাথায় খানিকটা হলুদ নিয়ে – হলুদ ছোঁয়ানোর ছলে ওর কপোলটা ছুঁয়ে দিলাম – সারা শরীরের রক্ত যেন পুঞ্জীভূত হয়ে সহস্র বীণার ঝংকারে এটম-এর গতিতে ছড়িয়ে পড়ল।
~এলিনা আমার দিকে তাকিয়ে আছে নির্লিপ্ত নয়নে। তবে সারা মুখাবয়ব জুড়ে তীব্র বিদ্রূপাত্মক তাচ্ছিল্যের হাসি!

~প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর এবং নিখুঁত উপস্থাপণ! পর্ব যত এগুচ্ছে গল্পের গতিশীলতা ততই পরিনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে! আশা করছি আরও একটা জমজমাট সিরিজ পেতে যাচ্ছি আমরা- যা ক্ষয়িষ্ণু সামু ব্লগে ভালো লেখক ব্লগারদের ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।শুভ কামনা। +

১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার দীর্ঘ বিরতির পরে ফিরে আসা ক্ষয়িষ্ণু ব্লগের জন্য আশির্বাদ হয়েছে।
আপনার নিয়মিত ব্লগ বাড়িতে পদচারনা য়াচমকা যেন থেমে না যায়। আপনার লেখা ও মন্তব্যে ব্লগারেরা দারুনভাবে উপকৃত হচ্ছে।
আমি চেষ্টা করছি আমার সামান্য অবসর সময়ক্ষন্টুকু ব্লগের পেছনে ব্যয় করতে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল এই সামান্য লেখাকে এত উচ্চ মর্যাদায় আসীন করার জন্য। ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর!
আমাদের নিরন্তর চেষ্টা হবে যে করেই হোক ব্লগকে সুন্দর ভাবে সচল রাখা।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান , কি হওয়ার কথা ছিল আর কি হচছে।

এলিনা যতই হাসিখুশী থাকুক তার হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচছে তা টের পাওয়া যাচছে এবং ববি সৌম্যকে বিয়েতে দাওয়াত দিয়ে এনে যদিও আপাতদৃষ্টিতে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তবে এটাই আবার তার েকরকম বিকৃত মানষিকতার পরিচায়ক ও ।

কারন, যত কিছুই হোক পুরনো প্রেমিক-প্রেমিকা এরকম সিচুয়েশনে একসাথে হলে-থাকলে তাদের অনেক কিছু মানষপটে ভেসে উঠে না চাইলেও আর এসবই উভয়ের জন্য অনভিপ্রেত।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: এলিনার সাথে ববির প্রেমের সুচনাতো সৌম্যের মাধ্যমেই হয়েছে!
সৌম্যই চেয়েছিল ববি এলিনাকে বিয়ে করে থিতু হউক। অত প্যাঁচানো ভাবনার বয়স কিন্তু তাদের ছিল না।

ওরা আসলে এত ভাবনা চিন্তা হয়তো করেনি। আমি যতদুর জানি এবং কাছ থেকে দেখেছি তাতে সৌম্য আর ববির বন্ধুত্ব ভীষন্রকম আন্তরিক ও বিশ্বস্ত ছিল।
প্রেক্ষাপটটা বাংলাদেশে বলেই কিংবা সৌম্যের রুশ সমাজ থেকে দীর্ঘদিন অনেক দূরে থাকার জন্যই হয়তো সিনারিও পালটে গেছে। আগে থেকে ওরা কেউ ভাবেনি এমন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য। ভাল থাকুন

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে গল্প। এলিনাতো তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতেই পারে যেহেতু তার বিয়ে ববির সাথে হয়ে যাচ্ছে।++++

১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাদের ভাল্বাসা ও আন্তরিকতায় লেখাটা এগিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি কল্পনার থেকে অনেক দ্রুত গতিতে
না হলে কবেই মুখ থুবড়ে থমকে যেত।
সাথে থাকার জন্য ও অনুপ্রেরনা দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




অতিথি বেশী নয়- বাড়ির ছাদে মেরাপ বেঁধে ছোট খাট আয়োজন! সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেক মানুষ হবে

বেশী নয় ??? পঞ্চাশজনতো অনেক মানুষ :(

বাড়ির গুড়া গাড়া বাচ্চা কাচ্চা, সবাই এক এক করে হলুদ দিচ্ছে।

ইস ! কি যে বিরক্তকর :((

~এলিনা আমার দিকে তাকিয়ে আছে নির্লিপ্ত নয়নে। তবে সারা মুখাবয়ব জুড়ে তীব্র বিদ্রূপাত্মক তাচ্ছিল্যের হাসি!

এবার ঠিক আছে, এমনটাই হবার কথা :)


২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন পঞ্চাশজন কি অনেক মানুষ??
আমার পরিবারেইতো পঞ্চাশজন হবে সব মিলিয়ে
~ যে হলুদ নেয় তার জন্য খানিকটা বিরিক্তিকর বটে কিন্তু এরাই অনুষ্ঠানের শোভা বর্ধন করে।
~ হ্যা এমনই হবার কথা ছিল, এমনই হওয়া উচিত।

গত দুই পর্বে আপনাকে মিস করেছিলাম।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এখনকার দিনে কিন্তু এভাবে হলুদ দেয়া হয় না। ফটোসেশান এর জন্য মেক আপ ইনট্যাক্ট রাখতে হয়। ছবির জন্য পোজ দিতে দিতে বর কণের এমন অবস্থা হয় যে শেষের দিকে তারা ক্লান্ত অবয়বে নেশাগ্রস্তের মতো হেসে ছবির জন্য পোজ দেয়। সৌম্যের প্রতি বিদ্রুপের হাসি ঠিকই আছে। এই হাসিতে সৌম্যের প্রতিক্রিয়া জানতে ইচ্ছা করছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক-এখন সবার হাতে সেলফোন ক্যামেরা থাকায় এটা একটা বিরক্তিকর বিষয় বটে।
আগে ছবি তোলার খরচ ছিল অনেক- তাই বেশীরভাগ লোক ছবি তোলার ধারে কাছে দিয়ে যেত না। তবে যার হাতে ক্যামেরা থাকত সে সারাক্ষন ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াত।
হ্যা এমনটাই ঠিক।
সৌম্যের প্রতিক্রিয়া বুঝে নিতে হবে-বলা যাবে না :)


৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মনে হচ্ছে সব শেষ হয়ে গেল

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:০১

শেরজা তপন বলেছেন: কেন ভাই এমন কেন মনে হচ্ছে?
সৌম্য এ কাহিনীর তৃতীয়পক্ষ ছিল -কিন্তু কেমনে যেন সে প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছে।
ধন্যবাদ এবার ও সাথে থাকার জন্য।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
সবচেয়ে বড় কথা আপনার লেখায় ধর্ম নিয়ে কিছু নেই। তাই ক্যাচালও নেই।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা কম করি সেটা ঠিক।
এটা মুলত আমাদের এক বিখ্যাত আড্ডা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি- সে আড্ডার অলিখিত নিয়ম ছিল, ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা নয়, ড্রাগ কে না( মদ, গাঁজা সিগারেট পর্যন্ত চলে)। আর এলাকার মেয়েদের উত্যাক্ত করা যাবে না। আমাদের এলাকার মেয়েরা উল্টো আমাদের টিজিং করত :)
বানানের ভুল টুল কি কমেছে ইদানিং?

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: ~এলিনা আমার দিকে তাকিয়ে আছে নির্লিপ্ত নয়নে। তবে সারা মুখাবয়ব জুড়ে তীব্র বিদ্রূপাত্মক তাচ্ছিল্যের হাসি!

অক্ষমতা কখনও কখনও তীব্র শ্লেষের জন্ম দেয় মনে । এলিনা তবু কোন এক বিরহী জোছনা রাতে উদাস হবে। সৌম্যের সৃতিচারণে আকুল হয়ে কাঁদবে। চরম আক্ষেপ নিয়ে ভাববে জীবনটা এত জটিল না হয়ে সহজ হলে কি ক্ষতি হতো!

ভালো লাগছে প্রিয় ব্লগার।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ~অক্ষমতা কখনও কখনও তীব্র শ্লেষের জন্ম দেয় মনে । এলিনা তবু কোন এক বিরহী জোছনা রাতে উদাস হবে। সৌম্যের সৃতিচারণে আকুল হয়ে কাঁদবে। চরম আক্ষেপ নিয়ে ভাববে জীবনটা এত জটিল না হয়ে সহজ হলে কি ক্ষতি হতো!- দারুন অর্থপূর্ন দুর্দান্ত মন্তব্য। কবিদের এজন্য আমি স্পেশাল শ্রদ্ধা করি :)
আমার কোন এক পর্বে এই কথাগুলো হুবুহু না হলেও খানিকটা তুলে দেবার প্রত্যাশা রইল। অনুমতি দিয়েন

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১০

ইসিয়াক বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আমার কোন এক পর্বে এই কথাগুলো হুবুহু না হলেও খানিকটা তুলে দেবার প্রত্যাশা রইল। অনুমতি দিয়েন



এমন কিছু হলে আমার চেয়ে আনন্দিত আর কেউ হবে না। অগ্রিম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলাম প্রিয় ব্লগার।
ভালো থাকুন সবসময়।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে প্রীত হলাম প্রিয় ভ্রাতা!
আনন্দে কাটুক আপনার দিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.