নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হলোদোমোর~ ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ- শেষ পর্ব

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৬


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
গোয়েবলস বলেছিলেন; লেনিন একজন মহান ব্যক্তি এরপর হিটলারও লেনিনের মত একজন মহান ব্যক্তি। লেনিনিজম(কমিউনিজম) আর হিটলারিজম(নাৎসিজম) এর মধ্যে পার্থক্য সামান্যই- একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ-(১৯২৪ নিউইয়র্ক টাইমস!)
স্তালিনের স্বেচ্ছাচারের বলি তিন কোটি মানুষঃ ১৯২৪ সালে লেনিনের মৃত্যু স্তালিনকে একচ্ছত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পথ খুলে দিল। ইচ্ছা করেই হোক আর অনিচ্ছাকৃতই হোক দেশ পরিচালনার ব্যাপারে যে কোন বড় সিদ্ধান্ত বলশেভিক পার্টি প্রধান লেনিনের অনুমতি নিতেই হোত! আগেই ছিলেন ভয়ঙ্কর দুর্দমনীয়-এখন তিনি হয়ে উঠলেন লাগামছাড়া স্বৈরাচার! প্রথমেই তিনি ত্রোতোস্কির মত মানবীয়( আবার অমানবিক ও বটে; লেনিনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাশিয়ার বলশেভিকদের হাতে আটককৃত শেষ জার, জারিনা ও তাদের পাঁচ সন্তানকে নিঃশ্বংসভাবে হত্যার মুল কারিগর ছিলেন তিনি~ সেজন্য সিংহভাগ রাশিয়ান তাকে কখনোই ক্ষমা করবে না) , বুদ্ধিদীপ্ত চৌকশ পার্টি নেতা লেনিনের অবর্তমানে যারা তার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাদের কোণঠাসা করে ফেললেন।
(They changed their name to Russian Communist Party (of Bolsheviks) in March 1918; to All-Union Communist Party (of Bolsheviks) in December 1925; and to Communist Party of the Soviet Union in October 1952.)
শিল্পায়নের জন্য ফসল রপ্তানি: ১৯৩২ ফসল থেকে,সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ ১৯৩১ ফসল থেকে প্রাপ্ত ৭.২ মিলিয়ন টনের তুলনায় মাত্র ৪.৩ মিলিয়ন টন সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল। শহরগুলিতে রেশন ব্যাপকভাবে হ্রাস করা হয়েছিল। তখনকার সরকারী নথি থেকেই জানা যায় ১৯৩২-১৯৩৩ সালের বসন্তে,অনেক শহুরে এলাকার মানুষও অনাহারে ছিল।
প্রথম প্রথম শহুরে কর্মীদের রেশন ব্যবস্থা দ্বারা খাদ্য সরবরাহ করা হত এবং তারা তাদের সেই রেশন থেকে সাধ্যমত বাঁচিয়ে গ্রামাঞ্চলে তাদের অনাহারী আত্মীয়দের সাহায্য করতে পারত। কিন্তু ধীরে ধীরে রেশনের পরিমাণও কমে এল;এবং ১৯৩৩ সালের বসন্তে,শহুরে বাসিন্দারাও অনাহারের মুখোমুখি হয়েছিল।
সেই সময়ে,শ্রমিকদের কৃষি -বিরোধী চলচ্চিত্র দেখানো হোত। যেসব ফিল্ম ও ডকুমেন্টারিগুলোতে কৃষকদের প্রতিবিপ্লবী দেশের উন্নয়ন ও সমাজতন্ত্রের মুল শত্রু হিসেবে দেখিয়েছিল। যারা এমন সময়ে শস্য এবং আলু লুকিয়ে রেখেছিল,যখন শ্রমিকরা-যারা সমাজতন্ত্রের "উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ" নির্মাণে সহযোগিতা করার স্বপ্ন দেখেছিল,তারা অনাহারে ছিল।

ওদিকে কিছু নথি বলে কিছু বলে অন্যকথা-১৯৩২ থেকে ৩৪ সাল সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বোচ্চ পরিমাণ শস্য ইউরোপে রপ্তানি করে। যা আগের বছরগুলোর তুলনায় কয়েকগুণ। এবং সেই শস্যগুলো সংগ্রহ করা হয় মূলত উক্রাইন থেকে।
কিছু পণ্ডিতের মতে সোভিয়েত ইউনিয়নের যৌথীকরণ নীতি এবং অনুকূল শিল্পের অভাব ছিল বলে দুর্ভিক্ষ মৃত্যুহার (অতিরিক্ত মৃত্যুর ৫২%) এত বেশী ছিল,এবং কিছু প্রমাণ দেখায় যে, জাতিগত-ভাবে রুশীয়দের সাথে উক্রেনীয় এবং জার্মানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ছিল। যেই বৈষম্যের ফলে উক্রাইনানদের জাতিগত-ভাবে নির্মূল বা পঙ্গু করে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। যা মূলত সেই ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট সংকট এবং দুর্ভিক্ষে অবদান। ১৯২৯ এবং ৩০ সালে,কৃষকদের জমি এবং পশুসম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খামারে স্থানান্তরের জন্য প্ররোচিত করা হয়েছিল যার ভিত্তিতে সম্পদশালী কৃষকদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে হোত। উক্রেনীয় সহ আরো কিছু কৃষি প্রধান অঞ্চলে সোভিয়েত ইউনিয়নে যৌথীকরণ কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল না এবং জোরপূর্বক যৌথীকরণের ফলে অসংখ্য কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল। কৃষকদের বিদ্রোহ ও দিনমজুর হিসেবে কাজ করার অনীহার কারণে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় উক্রেনীয় খামার থেকে প্রত্যাশিত উৎপাদন হয়নি। উপরন্তু, দুর্বল প্রশাসনিক পরিকল্পনার এবং প্রাসঙ্গিক সাধারণ ব্যবস্থাপনার অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শস্য সঠিক সময়ে উত্তোলন, প্রক্রিয়াকরণের,পরিবহন বা সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদিত ফসলের ঘাটতি আরো বেড়ে যায়। ফসল উৎপাদন ও রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় স্তালিন প্রশাসন ভয়ঙ্কর ক্ষিপ্ত হয় উক্রাইনান, মলদোভিয়ান ও অন্যান্য কৃষি-প্রধান অঞ্চলের কৃষক এমনি কম্যুনিস্ট কর্মী ও নেতাদের উপরেও।
১৯৩০ সালের গ্রীষ্মে,সরকার খাদ্য রিকুইজিশন একটি কর্মসূচি চালু করেছিল,দৃশ্যত শস্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য। খাদ্য চুরি মৃত্যুদণ্ড বা নুন্যতম ১০ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তিযোগ্য ছিল। উক্রাইনের সেই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময়েও খাদ্য রপ্তানি অব্যাহত ছিল,যদিও কম হারে।
লোকমুখে প্রচারিত হলেও দ্ব্যর্থহীন ভাবে সত্য যে, সোভিয়েত নেতৃত্ব উক্রেনীয় জাতীয়তাবাদকে আক্রমণ করার জন্য মানবসৃষ্ট বা কৃত্রিম দুর্ভিক্ষকে ব্যবহার করেছিল এর পাশাপাশি দমন পীড়নও অব্যাহত ছিল, কেন্দ্র থেকে এমন কিছু মারাত্মক নীতি গৃহীত হয়েছিল যার ফলে খাদ্যাভাব বা দুর্ভিক্ষ অবধারিত ছিল।
১৯৩৩. যৌথকরণ নীতির অধীনে,কৃষকরা কেবল তাদের সম্পত্তি থেকেই বঞ্চিত হয়েছিল না,তাদের একটি বড় অংশকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করা হয়েছিল। যারা দুর্ভিক্ষপীড়িত সেই অঞ্চল থেকে পালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাদেরকে সরাসরি বিনা দ্বিধায় গুলি করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিদেশী ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা তখন যারা সেখানে ছিলেন তারা এই নৃশংসতা বা এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছিলেন। কিন্তু অধিকাংশই বিস্ময়কর ভাবে নিশ্চুপ ছিল। এমনকি নিউইয়র্ক টাইমসরে পুলিতজার পুরস্কারপ্রাপ্ত জাঁদরেল সাংবাদিক পর্যন্ত মিথ্যাচার করেছেন।২০২০ সালে হলিউড থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি, মিঃ জোন্স এ এর পেছনের কারণ কিছু ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে পরে আলোচনায় আসছি।
সে সময় হাঙ্গেরিয়ান-ব্রিটিশ সাংবাদিক আর্থার কোয়েস্টলারের বিবরণ ছিল, যা এই শব্দগুলিতে হলোদোমোরের শীর্ষ বছর বর্ণনা করেছিল:
প্রতিটি [ট্রেন] স্টেশনে ক্ষুধার্ত কৃষকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তারা একটিমাত্র রুটির বিনিময়ে সেই ভয়ঙ্কর শীতে নিজের গায়ের পোশাকটি খুলে দিতে পর্যন্ত রাজী ছিল। মহিলারা জোড় করে তাদের বাচ্চাদের বগির জানালা দিয়ে তুলে দিচ্ছিলেন-সেইসকল শিশুদের অবস্থা ছিল করুণ এবং ভয়ঙ্কর,সরু কাঠির মত শুকিয়ে যাওয়া হাত-পা,ফুলে যাওয়া পেট ও কৃশ ঘাড়ে লম্বা বড় মাথা!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান উক্রাইন দখলের সময়,তারা হলোদোমোর এবং অন্যান্য কমিউনিস্ট অপরাধ সম্পর্কে স্থানীয় সংবাদপত্রে নিবন্ধ প্রকাশের অনুমতি দিয়েছিল,কিন্তু তারা জাতীয় ভাবাবেগকে নাড়া দেওয়ার জন্য এই বিষয়ে খুব বেশি মনোযোগ দিতে চায়নি। ১৯৪২ সালে,খারকিভের কৃষিবিদ স্টিপান সোসনোভি সোভিয়েত আর্কাইভের নথির উপর ভিত্তি করে হলোদোমোরের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে একটি ব্যাপক পরিসংখ্যান গবেষণা প্রকাশ করেছিলেন।
যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে,উক্রেনীয় প্রবাসীরা ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় হলোদোমোর সম্পর্কে তথ্য প্রচার করেছিল। প্রথমে,জনসাধারণের মনোভাব বেশ সতর্ক ছিল-তারা অনেক তথ্য গোপন করেছিল কিংবা ভয়ে প্রকাশ করতে চায়নি,যেহেতু তথ্যগুলি সোভিয়েত দখলকৃত অঞ্চলের বসবাসকারী লোকদের কাছ থেকে এসেছিল- তথ্য প্রচারের অভিযোগে ফের এমন অত্যাচার নেমে আসতে পারে সেই ভয়ে। কিন্তু ১৯৫০-এর দশকে এই অবস্থা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়েছে। জীবিতদের দ্বারা প্রকাশিত স্মৃতিচারণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার উপর ভিত্তি করে হলোদোমোরের সঠিক বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা ১৯৫০-এর দশকে শুরু হয়েছিল।
পণ্ডিতরা বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন "মানবসৃষ্ট সোভিয়েত দুর্ভিক্ষ কি গণহত্যার অভিযান একটি কেন্দ্রীয় কাজ ছিল, অথবা এটি কেবল উক্রেনীয় কৃষকদের গবাদিপশু জমা দেওয়া ও জমি হস্তান্তরের জন্য করা হয়েছিল। সোভিয়েত শিল্পায়নের জন্য শস্যের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য হলোদোমোর একটি গণহত্যা কিনা আধুনিক রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় এবং সোভিয়েত নীতিগুলি গণহত্যার আইনি সংজ্ঞার আওতায় পড়বে কিনা তা নিয়ে কোন আন্তর্জাতিক ঐকমত্য নেই।
এ ব্যাপারে পণ্ডিতদের অবস্থানও ভিন্ন ভিন্ন। রাফায়েল লেমকিনজেমস মেস,নরম্যান নাইমার্ক,টিমোথি স্নাইডার এবং অ্যান অ্যাপলবাম হলোদোমোরকে গণহত্যা এবং স্ট্যালিনিস্ট নীতির ইচ্ছাকৃত ফলাফল বলে মনে করেন। মাইকেল এলম্যান হলোদোমোরকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে মনে করেন,কিন্তু এটাকে গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করতে নারাজ তিনি।
রবার্ট কনকুয়েস্ট এবং স্টিভেন রোজফিল্ড মনে করেন যে মৃত্যু মূলত ইচ্ছাকৃত রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে ঘটেছে,অল্প ফসল উৎপাদনের জন্য নয়। কেন্দ্রের অসাড় ও জঘন্য নীতি এবং সমস্যা সম্পর্কে অজ্ঞতা। ১৯৯১ সালে, আমেরিকান ঐতিহাসিক মার্ক টাগার হলোদোমোরকে প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক অবস্থার ফলাফল এবং ব্যর্থ অর্থনৈতিক নীতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন,ইচ্ছাকৃত রাষ্ট্রীয় নীতি নয়।
সোভিয়েত এবং পশ্চিমাদের প্রাথমিক মিথ্যাচার
মূল নিবন্ধ: হলোদোমোর অস্বীকার
হলোদোমোর অস্বীকার হল এই দাবী যে সোভিয়েত ইউক্রেনে ১৯৩২-৩৩ গণহত্যা হয় না বা ঘটেছে কিন্তু এটি পূর্ব পরিকল্পিত কাজ ছিল না। দুর্ভিক্ষের অস্তিত্ব অস্বীকার করা সোভিয়েত রাষ্ট্রের অবস্থান ছিল এবং সোভিয়েত প্রচার এবং জর্জ বার্নার্ড শ,ওয়াল্টার ডুরান্টি এবং লুই ফিশার সহ কিছু পশ্চিমা সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীদের কাজ উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিফলিত হয়েছিল। দুর্ভিক্ষ,ও এবং ইউক্রেনীয় ঐতিহাসিক ‘স্তানিস্লাভ কুলচিতস্কি’ বলেছিলেন যে, কমিউনিস্ট পার্টিকে নির্মূল করতে এবং স্তালিনের উত্তরাধিকার বজায় রাখার জন্য সোভিয়েত সরকার তাকে তার অনুসন্ধানকে মিথ্যা বলে এবং দুর্ভিক্ষকে একটি অনিবার্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে চিত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছিল।

জর্জ বার্নাড শ~ একজন জ্ঞানপাপী
I Appeal to the chemists to discover a humane gas that will kill instantly & painlessly to dead the all means But humane not cruel – barnerd shaw 7Feb 1934
জর্জ বার্নাড শ ব্রিটিশ এই সাহিত্যিকের বিশ্ব সাহিত্যে তার বিশাল অবদানের জন্য স্বীকৃত। এই সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম সেক্সপিয়েরের পরেই তুলনা করা হয়।
কিন্তু সাহিত্যিকের আড়ালে তিনি ছিলেন মার্ক্সীয়বাদ, হিটলার, স্তালিন মুসোলিনির একান্ত ভক্ত। তার ক্ষুরধার কলম শেষোক্ত তিনজনের অপকর্মকে ঢাকতে বা সেগুলোর পেছনে মোক্ষম যুক্তি দিতে ব্যবহৃত হয়েছে। দুর্যোগের মাত্রা আড়াল করার জন্য সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, সাংবাদিক গ্যারেথ জোন্স, ম্যালকম মুগরিজ, ইওয়াল্ড আমেন্ডে, রিয়া ক্লাইম্যান, প্রকৌশলী আলেকজান্ডার ভিয়েনারবার্গারের তৈরি ছবি ইত্যাদির প্রকাশের জন্য এটি বিদেশে পরিচিতি লাভ করে। ইউনিয়ন একটি পাল্টা প্রচার প্রচারণা শুরু করে, যার মাধ্যমে বার্নার্ড শ,এডোয়ার্ড হেরিয়ট এবং আরও বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটি সোভিয়েতে ভ্রমণ করেন এবং তারপর বিবৃতি দেন যে তারা ক্ষুধা দেখেনি। ত হয়েছে। রাজনীতি এবং বিতর্কের প্রতি তার ক্ষুধা কম ছিল না; ১৯২০ -এর দশকের শেষের দিকে তিনি ফ্যাবিয়ান সোসাইটির ক্রমবর্ধমানতা ত্যাগ করেছিলেন এবং প্রায়ই ডান এবং বামদের স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে লিখতেন এবং কথা বলতেন — তিনি মুসোলিনি এবং স্ট্যালিন উভয়ের জন্য প্রশংসা প্রকাশ করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা সোভিয়েত ইউনিয়নে ভ্রমণ শেষে -আমরা স্বাক্ষর করছি নিন্ম লিখিত বয়ানে... আমরা বলতে চাই যে, আমরা সোভিয়েত ভূখণ্ডে অর্থনৈতিক দাসত্ব, বেসরকারীতা, বেকারত্ব এবং উন্নতির নিন্দনীয় হতাশার প্রমাণ কোথাও দেখিনি। ... যেখানেই গিয়েছি সেখানেই আমরা দেখেছি আশাবাদী এবং উত্সাহী শ্রমিক-শ্রেণী ... সোভিয়েত এই সমাজতান্ত্রিক শিল্প বিপ্লব একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছ। আমারা যদি সেই দৃষ্টান্ত অনুকরণ ও অনুসরণ করে আমাদের শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারি- এবং বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করে, তাহলে আমরা আরও অনেক সমৃদ্ধ হব। "
সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য শ -এর উৎসাহ শুরু হয় এবং তিনি সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিকের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ১৯২০ -এর দশকের গোড়ার দিকে। যখন তিনি লেনিনকে "ইউরোপের একজন সত্যিই আকর্ষণীয় রাজনীতিক" বলে প্রশংসা করেছিলেন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন পরিদর্শন করার বেশ কিছু সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে, ১৯৩১ সালে তিনি ন্যান্সি অ্যাস্টরের নেতৃত্বে একটি পার্টিতে যোগ দেন। অতি গোপনীয়তায় মধ্যে তার সাথে স্তালিনের দীর্ঘ বৈঠক হয়, যাকে পরে শ’ "জর্জিয়ান ভদ্রলোক" বলে বর্ণনা করেছিলেন যাতে তার মধ্যে কোন বিদ্বেষ ছিল না। তার সম্মানে দেওয়া এক নৈশভোজে, শ’ সমাবেশে বলেন: "আমি কারো চেহারায় উদ্বেগ বা ভয় দেখিনি এবং আমি তাদের সাথে আলোচনা ও তাদের সার্বিক কর্মকান্ডে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম’।
১৯৩৩ সালের মার্চ মাসে শ’ ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান পত্রিকায় সোভিয়েত সাফল্যের ক্রমাগত ভুল উপস্থাপনার প্রতিবাদ করে একটি চিঠি লেখেন~No lie is too gorgeous, no slander too stale ... Press the British for jobs by more reckless material. (দ্য ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানকে চিঠি, ২ মার্চ ১৯৩৩, শ এবং ২০ জন বিশিষ্ঠ ব্যক্তি দ্বারা স্বাক্ষরিত)
মুসোলিনি এবং স্ট্যালিনের প্রতি শ’র প্রশংসা তার ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসকে প্রমাণ করে যে স্বৈরতন্ত্রই( যা আদপে সমাজতন্ত্রের তৎকালীন রূপ) একমাত্র কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা।
১৯৩৩ সালের জানুয়ারিতে যখন নাৎসি পার্টি জার্মানিতে ক্ষমতায় আসে, শ হিটলারকে ‘একজন অসাধারণ মানুষ, একজন অত্যন্ত যোগ্য ব্যক্তি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
এবং নিজেকে ইংল্যান্ডের হিটলারের সপক্ষে একমাত্র লেখক হিসেবে গর্বিত বলে দাবি করেন যিনি "হিটলারের অত্যন্ত ভদ্র ও ন্যায়পরায়ণ ব্যাক্তি’।
ফের সাল ১৯৩৯ মলোটভ -রিবেন্ট্রপ চুক্তিকে স্তালিনের বিজয় হিসাবে দেখেছিলেন~ তিনি বলেছিলেন, ‘এখন হিটলার রয়েছে স্টালিনের বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচে।‘


লোদোমোরের ভয়াবহতা আড়াল করার জন্য সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও,সাংবাদিক গ্যারেথ জোন্স, ম্যালকম মুগরিজ, ইওয়াল্ড আমেন্ডে, রিয়া ক্লাইম্যান, প্রকৌশলী আলেকজান্ডার ভিয়েনারবার্গারের তৈরি ছবি তথ্য প্রকাশের পরে এটি বিদেশে পরিচিতি লাভ করে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ও একটি পাল্টা প্রচার প্রচারণা শুরু করে,যার মাধ্যমে বার্নার্ড শ,এডোয়ার্ড হেরিয়ট এবং আরও বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটি সোভিয়েত ইউনিয়নে ভ্রমণ করেন এবং তারপর বিবৃতি দেন যে তারা ‘হলদোমোর বা মানবসৃষ্ট কোন দুর্ভিক্ষ বা ক্ষুধা দেখেনি’।

নিউইয়র্ক টাইমস এর মিথ্যাচার ও ওয়াল্টার ডুরান্টি (২৫ মে ১৮৮৪-৩ অক্টোবর ১৯৫৭) একজন লিভারপুলে জন্মগ্রহণকারী অ্যাংলো-আমেরিকান সাংবাদিক ছিলেন যিনি রাশিয়ার গৃহযুদ্ধে বলশেভিক বিজয়ের পর চৌদ্দ বছর (১৯২২-১৯৩৬) দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের মস্কো ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৩২ সালে ডুরান্টি সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন,যার মধ্যে এগারোটি প্রতিবেদন জুন ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে হলোদোমোর এর বিষয়ে অস্বীকারের জন্য তিনি সমালোচিত হন – সোভিয়েত সরকারের ইচ্ছাকৃত সৃষ্ট এই ব্যাপক দুর্ভিক্ষে (১৯৩২-১৯৩৩) সোভিয়েতে, বিশেষ করে ইউক্রেন ও মলদোভিয়ায় কয়েক মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।
বহু বছর পরে,তার পুলিৎজার প্রত্যাহারের জন্য দাবি তোলা হয় যে আহ্বান আজও অব্যাহত রয়েছে – কিন্তু পুলিৎজার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বরাবরই নিশ্চুপ ছিল। ১৯৯০ সালে,দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস~ ১৯৩২ সালে তার যে সকল প্রতিবেদন পুরস্কারের পুলিৎজার কর্তৃপক্ষ-এর কাছে জমা দিয়েছিল। তারা তাদের সেই ভুলের জন্য ক্ষমা প্রকাশ করে লিখেছিল যে, দুর্ভিক্ষকে অস্বীকার করে তার সেই প্রবন্ধগুলি "এই সংবাদপত্রের ইতিহাসে প্রকাশিত সবচেয়ে খারাপ রিপোর্টিংগুলির মধ্যে একটি!
মিঃ জোন্স চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে ওয়াল্টার ডুরান্ট স্তালিনের আশির্বাদপুষ্ট হবার জন্য- স্তালিনের আদেশ-মত নিউইয়র্ক টাইমস এ তার প্রতিবেদন জমা দিত। এর বিনিময়ে স্তালিন তাকে সব ধরনের আরাম আয়েশ অর্থ সুযোগ সুবিধা প্রদান করে।তার বড় সাধ ছিল পুলিৎজারের মত সম্মানজনক পুরস্কার পাবার। কথিত আছে স্তালিন নাকি পুলিৎজার কর্তৃপক্ষের উপর প্রভাব খাটিয়েছিল।
গ্যারেথ রিচার্ড ভন জোন্স (১আগস্ট ১৯০৫ - ১২ আগস্ট ১৯৩৫) ছিলেন একজন ওয়েলশ সাংবাদিক যিনি মার্চ ১৯৩৩ সালে প্রথম পশ্চিমা বিশ্বে রিপোর্ট করেছিলেন,
জোন্স ১৯৩১ সালে সোভিয়েত ইউক্রেন এবং দক্ষিণ রাশিয়ায় অনাহারে টাইমসে বেনামে রিপোর্ট করেছিলেন, এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে তার তৃতীয় সফরের পর, ২৯ মার্চ ১৯৩৩ তারিখে বার্লিনে তার নিজের নামে একটি প্রেস রিলিজ জারি করে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের বর্ণনা দিয়েছিল বিস্তারিত। ম্যালকম মুগারিজের রিপোর্ট, ১৯৩৩ সালে একজন অজ্ঞাতনামা সংবাদদাতা হিসেবে লেখা, ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানে সমসাময়িকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল;সোভিয়েত ইউনিয়নে দুর্ভিক্ষ উল্লেখ করে তার প্রথম বেনামী নিবন্ধ ২৫ মার্চ ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
সোভিয়েত ইউনিয়নে পুনরায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর, ১৯৩৫ সালে জাপান-অধিকৃত মঙ্গোলিয়ায় তদন্ত করার সময় জোন্সকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়; তার হত্যা সম্ভবত সোভিয়েত গোপন পুলিশ,এনকেভিদ্যা( এন কে ভি ডি) দ্বারা হয়েছিল।
সাংবাদিক জোন্সের বায়োগ্রাফি ও হলোদোমোর নিয়ে ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি।

তার মৃত্যুর পর,প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ বলেছিলেন,~বিশ্বের যেখানেই বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে সেখানে কি ঘটছে তা খুঁজে বের করার জন্য তার একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল,এবং তার তদন্তের খাতিরে তিনি যে কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে পিছপা হননি। কোন হুমকি বা ভয় তাকে তার আদর্শ বা দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হতে দেয়নি। যেখানে তিনি দেখেছেন সত্যকে মিথ্যের আবরণ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানেই তিনি ছুটে যেতেন সঠিক তথ্য বিশ্ববাসীকে জানানোর জন্য।
১৯৩২-৩৩ সালে বৃহত্তর সোভিয়েত দুর্ভিক্ষের অংশ হিসাবে যা দেশের প্রধান শস্য উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলিকে প্রভাবিত করেছিল,ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা-যাদের অধিকাংশই জাতিগত-ভাবে উক্রাইনান ছিলেন,শান্তির নামে মানব সৃষ্ট ভয়াবহ বিপর্যয়ে অনাহারে মারা যান যাকে উক্রাইনের ইতিহাসে নজিরবিহীন বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত হয়।
পণ্ডিত এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে প্রাথমিক অনুমান ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। ধারনা করা হয় দুর্ভিক্ষের ফলে ১২মিলিয়ন জাতিগত ইউক্রেনীয়রা মারা গিয়েছিল বা তাদের হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে ২৫টি দেশ স্বাক্ষরিত একটি জাতিসংঘের যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ৭-১০ মিলিয়ন উক্রাইনীয় জনগণ মৃত্যুবরণ করেছিল। গবেষণা থেকে অনুমানিক ন্যুন্যতম ৩.৬ আর সর্বোচ্চ ৭.৫ মিলিয়নের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১০ সালে কিয়েভের আপিল কোর্টের ফলাফল অনুসারে,দুর্ভিক্ষের কারণে জন-সংখ্যাতাত্ত্বিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩৯ লক্ষ সরাসরি দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুবরণ করে এবং আরও ৬১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় হত্যা,অনাচার, খুনোখুনি, সংঘর্ষ ও জন্মের আগে বা পরে শিশুদের অপুষ্টির কারনে।
হলোদোমোর গণহত্যা ছিল কিনা তা এখনও একাডেমিক বিতর্কের বিষয়,যেমন দুর্ভিক্ষের কারণ এবং মৃত্যুর ইচ্ছাকৃততা। অধিকাংশ ইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন যে, উক্রাইনানের স্বাধীনতা আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য জোসেফ স্তালিন দুর্ভিক্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন।ওদিকে অনেক অর্থনীতিবিদ ও কিছু পণ্ডিতেরা বলেন যে, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ছিল সোভিয়েত শিল্পায়নের ফল!
২০১৭ সালে হলোদোমোরের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবি ' বিটার হার্ভেস্টের' পোস্টার।

তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন হলোদোমোরের বিষয়ে বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। তারা সবসময়ই একে সোভিয়েত বিরোধী প্রোপাগান্ডা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দুষেছে পশ্চিমা মিডিয়া ও কিছু দুষ্কৃতিকারী স্বাধীন-কামী উক্রাইনকে যারা কম্যুনিস্টদেরকে নাৎসি বাহিনীর সাথে তুলনা করেছে। নাৎসি বাহিনী যেহেতু ৬০ লক্ষ ইহুদীকে হত্যা করেছে সেহেতু কমিউনিস্টরা যে অদের থেকেও ভয়ঙ্কর সেটা প্রমাণ করার জন্য প্রকৃতি-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে অল্প কিছু মানুষের মৃত্যু’কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ১ কোটি বলা হয়েছে।
তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকার করুক আর না করুক- ঘটনাটা ঘটেছিল সত্য।
২০১৫ সালের ৭ ই নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের হোলোদোমোরের একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়।

সেই দুর্ভিক্ষ ১৯৩২ সালের বসন্তে ইউক্রেনীয় এবং মলদোভিয়ান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (সেই সময় ইউক্রেনীয় এসএসআর এর একটি অংশ) প্রভাবিত করেছিল এবং ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ থেকে জুলাই ১৯৩৩ সালের বসন্ত পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে জন-সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিসংখ্যানে এর ফলাফল স্পষ্ট। ১৯২৬ এবং ১৯৩৯ সালের মধ্যে ইউক্রেন ও মলদোভিয়ান জনসংখ্যা মাত্র ৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছিল,যেখানে রাশিয়া এবং বেলারুশ যথাক্রমে ১৬.৯ এবং ১১.৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
শুধু তাই নয় সেই সময়ে উক্রাইনে আদমশুমারির সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের অধিকাংশকে গুম বা হত্যা করা হয়।

রুশ সরকারের বারংবার অনুরোধ উপেক্ষা করে জাস্টিন ট্রুডো উক্রাইনের হলোদোমোর মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

# প্রিয় ব্লগার, হলোদোমোর নিয়ে ব্যাপক পরিসরে লেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু লিখতে ভাল লাগছে না- আগ্রহ পাচ্ছিনা, সাথে সময়ের অভাব।
ওদিকে এত ডকুমেন্টারি, ফিল্ম, রিভিউ দেখে মানসিকভাবে খানিকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই আপাতত এই পর্বেই শেষ করে দিলাম। তথ্যগত ভুল চোখে পড়লে শুধরে দিলে কৃতার্থ হব।


সুত্রঃ
Film: Bitter Harvest 2019
Film: Mr. Joens -2020(Film Review)
Documentary: Holodomor
Britannica
WIKI
Denial of the Holodomor

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: তপন ভাই, শেষ পর্ব এওকটু লম্বা সময় পরেই দেওয়ায়- আবার আপনার আগের পর্ব ঘুরে আসতে হলো। আপনি এতোটাই বিস্তারিত লিখেছেন যেখানে পাঠকদের মন্তব্য করার সুযোগ খুবই কম আছে। অবুও আমি আমার মতো করে দুটো কথা লিখছি-
মজার ব্যাপার হচ্ছে- সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে এমনকি ইউক্রেন সরকারও হলোদোমোরকে স্বীকৃতি দেয়নি একটি গণহত্যা হিসেবে। প্রায় ৭৩ বছর পর, ২০০৬ সালে ইউক্রেনে প্রথম স্বীকৃতি পায় এটি। সেই সাথে আরো ১৫টি দেশ একে আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়েছে গণহত্যার স্বীকৃতি। এই গণহত্যার নেপথ্যে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার। আর সবচেয়ে বেশি দায় বর্তায় যে মানুষটির কাঁধে, তিনি হলেন জোসেফ স্ট্যালিন।

হলোদোমোরের মোট মৃতের সংখ্যা কত? আজকের দিনেও এ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। ইতিহাসবিদ টিমোথি স্নাইডারের মতে, ৩৩ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু ন্যাশনাল মিউজিয়াম মেমোরিয়াল অফ ভিক্টিমস অফ দ্য হলোদোমোর দাবি করছে, সে সময় ইউক্রেন সীমান্তের ভিতরই মারা গিয়েছিল ৭০ লক্ষ মানুষ। এছাড়া সীমান্ত পার হয়ে বাইরে মারা গিয়েছিল আরো ৩০ লক্ষের মতো মানুষ। তবে আরো ভয়ংকর ব্যাপার হলো, ইতিপূর্বে কিছু পরিসংখ্যানে মৃতের সংখ্যাকে ২ কোটি ৬ লক্ষ পর্যন্তও বলা হয়েছে!

অনেক ধন্যবাদ ইতিহাসের একটা নির্মম বিশয়কে আপনার পাঠকদের সাথে এমন নিখুঁত ভাবে তুলে ধরার জন্য। আশা করি ভবিষ্যতে এমন আরও লেখা আমাদের পড়ার সুযোগ দিবেন।
শুভ কামনা।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২২

শেরজা তপন বলেছেন: দীর্ঘ বিরতি দিয়ে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ভাই! ব্যাস্ততার পাশাপাশি লেখালেখিতে একদম আগ্রহ পাচ্ছিনা ইদানিং।
আপনার মন্তব্যে সবসময়ই দারুন চমকপ্রদ কিছু তথ্য সন্নিবেশিত থাকে। এমন দারুন তথ্যবহুল চমৎকার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
আপনি ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন সবসময়।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার লেখাটা সবটুকু পড়িনি দুই চার লাইন পড়ে মন্তব্য করছি। কমিউনিষ্ট পার্টি প্রধানের সমালোচনা করছেন অকমিউনিষ্ট দৃষ্টি ভঙ্গিদিয়ে।কমিউনিষ্ট নেতৃত্ব গড়ে উঠে গনতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতার মাধ্যমে।প্রথমে কিছু নীতি ঠিক করা হয় সেই নীতি বাস্তবায়নেক জন্য একজন নেতা নির্বাচন করা হয়।সে যতক্ষন পর্যন্ত সেই নীতির বাইরে না যায় ততক্ষন পর্যন্তই সেই নেতৃত্বে থাকে।বাইরে থেকে মনে হয় এক নায়ক।
কমিউনিষ্ট পার্টির শাসন হলো শ্রেনী শাসন।গরীব লোকের দ্বারা বড়লোকদের শাসন করা।এটা কোন মানবতাবাদী সংগঠন না।কমিউনিষ্টরা উগ্র বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শোষক শ্রেনীকে পরাজিত করে গরীবদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করে।প্রথম কয়েক বছর গরিবদের প্রতিহিংসা থাকে প্রচুর, হাজার হাজার বছরের শোষণের প্রতিশোধ।তাই হত্যা একটু বেশি হয়।সেটাই হয়ে ছিল রাশিয়ায় ও চীনে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা নেই কখনো সময় নিয়ে পড়বেন না হয়।
হয়তো আপনার কথা সঠিক।

মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সবটা পড়লে হয়তো অন্য রকম মন্তব্য করতাম।অত বড় লেখা আমি পড়ি না।সময় করে আস্তে আস্তে পড়বো।আপনার লেখা পড়তে ভাল লাগে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে দারুন উদ্দীপ্ত ও প্রীত হলাম ভ্রাতা। মন্তব্য আগেই দেখেছিলাম- আলসেমিতে উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
কখনো পুরোটা পড়বেন এই অপেক্ষায় রইলাম...
ভাল থাকুন।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জাস্টিন ট্রুডো সহ কানাডার লিবারেল এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্ট্রেফান হার্পারসহ কনজারভেটিভ উভয় দলেরই স্ট্যালিন সৃষ্ট হলদোলমার জেনোসাইডের কারণে ইউক্রেনিয়ানদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে - যেমনটি সহানুভূতি রয়েছে ইতিহাসের আরেক নিষ্ঠুর নায়ক হিটলার কর্তৃক জেনোসাইডের কারণে ইহুদি ধর্মালম্বীদের প্রতি। এই দুটি ঘটনাই মানব সৃষ্ট চরম নিষ্ঠুরতা ও নিস্রংশতার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষন করছি।

সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভাল থাকুন

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

এখন পর্যন্ত মানবজাতির সর্বোচ্চ হিংস্রতার লেভেল কোনটি?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা আমি নিশ্চিতভাবে জানিনা- কেউ জানে বলে মনে হয় না।
তাহলে শুরু থকে মানব্জাতির ইতিহাস পুরোটা জানতে হবে

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

হলোদোমোকে নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। বিশ্বের ইতিহাসে কুখ্যাত ঘটনা গুলোর মধ্যে একটি। কমিউনিস্ট প্রশাসন আত্মপক্ষ সমর্থনে যতই যুক্তি খাড়া করুক না কেন হলোদোমোকে মানব সৃষ্ট নরকীয় হত্যাকাণ্ড বললে অত্যুক্তি হয় না। তবে অবাক হলাম জর্জ বার্নার্ড শ কর্তৃক হত্যাযজ্ঞের তিন নায়ককে এভাবে স্তুতি গাওয়া দেখে।
বিশ্বের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের একটা নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে কিন্তু শুধুমাত্র কম্যুনিস্ট প্রেম থাকার জন্য হলোদোমোর মতো নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পিছনে যুক্তি খাড়া করা বা সেটাকে নেহাত খাটো করে দেখার মধ্যে সংকীর্ণতার প্রতিফলন বৈকি।
জাস্টিন ট্রুডোকে ধন্যবাদ সোভিয়েত রক্তচক্ষুকে অগ্রাহ্য করে তিনি যেভাবে হত্যা যজ্ঞে নিহত মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে খাটো করব না এমন একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার পিছনে সময় দিয়ে আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য।

পোষ্টে বিষন্নের লাইক।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: এত দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বরাবরই আপনার মন্তব্যে আমি দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হই। আপনাকে পাশে পেয়ে নির্ভার বোধ করি!
বিষন্ন লাইক, চমৎকার দীর্ঘ মন্তব্য ও শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন নিরন্তর।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যুদ্ধের পিছনে পিছনে চুপিসারে দুর্ভিক্ষ আসে, ঠিক তখন লোভি মানুষেরা দুর্ভিক্ষকে পেলে-পুষে বড় করে তোলে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: তা খানিকটা ঠিক বটে। কিছু মানুষ ভিন্ন কিছু পরিস্থিতিতে ফায়দা লোটে। মানব্জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় নব্বুই শতাংশ

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি লেখাটা পড়ার পড় অনেক জায়গাতেই বিস্মিত হয়েছি। যেমন;

- দেশের মানুষকে অনাহারে রেখে খাদ্য রফতানি!!!
- ইউক্রেনীয়দের জাতিগতভাবে নির্মূলের এবং তাদের স্বাধীনতা আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ!!!
- খাদ্য চুরির অপরাধে মৃত্যু দণ্ড!!!
- যৌথকরণের বিরোধিতার জন্য সাইবেরিয়ায় নির্বাসন এবং পালানোর চেষ্টা করলে সরাসরি গুলি!!!
- নিউইয়র্ক টাইমসের পুলিতজার পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকের এই ব্যাপারে মিথ্যাচার ( বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন) !!!
- একটিমাত্র রুটির বিনিময়ে সেই ভয়ঙ্কর শীতে নিজের গায়ের পোশাকটি খুলে দিতে পর্যন্ত রাজী ছিল কৃষকেরা!!!
-মহিলারা জোড় করে তাদের বাচ্চাদের বগির জানালা দিয়ে তুলে দিচ্ছিলেন-সেইসকল শিশুদের অবস্থা ছিল করুণ এবং ভয়ঙ্কর,সরু কাঠির মত শুকিয়ে যাওয়া হাত-পা,ফুলে যাওয়া পেট ও কৃশ ঘাড়ে লম্বা বড় মাথা!!!
- রাফায়েল লেমকিনজেমস মেস,নরম্যান নাইমার্ক,টিমোথি স্নাইডার এবং অ্যান অ্যাপলবাম হলোদোমোরকে গণহত্যা এবং স্ট্যালিনিস্ট নীতির ইচ্ছাকৃত ফলাফল বলে মনে করেন। মাইকেল এলম্যান হলোদোমোরকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে মনে করেন,কিন্তু এটাকে গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করতে নারাজ তিনি!!!
- জর্জ বার্নারড শ এই গণহত্যাকারীদের পক্ষে ছিলেন!!! তিনি স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে লিখতেন!!! তার মিথ্যাচারগুলি বিস্ময়কর!!! তার হিটলারের প্রতি প্রশংসা বাক্য এবং পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্য!!! সোভিয়েত নেতারা বারনারড শকে কিনে ফেলেছিল মনে হয়!!!
- এই দুর্ভিক্ষে ১২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু!!!
- নিউইয়র্ক টাইমস সাংবাদিক দুরান্তির ব্যাপারে ঠিক কাজ করেছিল বটে।
- সাংবাদিক বেচা কেনা অনেক দেশেই তাহলে হয়ে থাকে!!!
- সাংবাদিক জোন্সকে সোভিয়েত গোয়েন্দারা হত্যা করেছিল সত্যি কথা প্রকাশ করার জন্য!!! ভালো সাংবাদিকও তাহলে অনেক আছে।

এত মর্মান্তিক বিষয় নিয়ে লেখা সত্যিই একটা কঠিন কাজ। আপনি অনেক কষ্ট করে লিখেছেন। তাই ধন্যবাদ আপনাকে। আমার এই বিষয়ে কোন ধারনাই আগে ছিল না। আমাদের দেশে এই মাত্রায় মানবসৃষ্ট মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেনি বলে মনে হয়। ১৯৪৬ সালে রায়টের সময় কিছু হয়ে থাকতে পারে। প্রাকৃতিক কারণে হলে সেটা অন্য বিষয়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি দারুনভাবে প্যারা ধরে ধরে মন্তব্য করেছেন দেখে আমি বিস্মিত হলাম।
এমন চমৎকার মন্তব্যের উত্তর এত দেরিতে দেবার জন্য অনুশুচোনা হচ্ছে।

এমন দারুন মন্তব্যের উত্তর দু চার লাইনে দেয়া যায়না।
আপাতত আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কেটে পড়ছি। ভবিষ্যতে সময় পেলে আর মুড আসলে আসব ফের।

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



জমি নিয়ে যৌথ খামার করার ফলে পুরো দেশের অর্থনীতি ভালোর দিকে যাচ্ছিলো, নাকি খারাপের দিকে গিয়েছিলও

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: তেমন ভাল কিছু হলে ভাঙ্গন হোত না
জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল আস্বাভাবিকহারে। খাদ্য শস্য উৎপাদন সামগ্রিকভাবে খানিকটা কম হলেও রেশনিং এর জন্য সেটা সেভাবে অনুধাবন হয়নি। মৌলিক চাহিদা পুরন হলেও সেভাবে এভেইলেবেল ছিল না।

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে সুন্দর করে লিখেছেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকুন

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: মন খারাপ করা লিখা পড়লাম। তবে দু:খ হলো হিটলারের ইহুদি নিধন নিয়ে এতো এতো কথা হলেও হলোদোমোর নিয়ে তেমন কোন প্রচরনা হয়নি। কারনতো বলেই দিলেন, কিছু পেইড বিশ্বাসঘাতক এটিকে ধামাচাপা দিয়েছে। অথচ এদেরকে সবার আগে বিচারের কাঠগড়ায় আনা দরকার ছিল।

আমার একজন ইউক্রেনের বন্ধু আছে। চমৎকার ভালো মানুষ। ও খুব বিনয়ী। যদিও তার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করিনি কিন্তু মাঝে মাঝে খুব সত্যটা জানতে ইচ্ছে করে। সে মন খারাপ করতে পারে ভেবে প্রসঙ্গ তুলিনি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: সুযোগ হলে একটু জানবেন-তো তাঁর কাছে বিষয়টা নিয়ে। এ বিষয়ে এখনকার প্রজন্মের মতামত জানাটা জোরুরই। যদিও এরাই এ
বিষয়গুলে সামনে নিয়ে এসেছে এবং সে জেনোসাইডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত
ভাল থাকুন নিরন্তর।

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: পোষ্টে +++

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা- ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.