নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাল আমরা থাকি না থাকি- কাল মনে রাখবে এই মূহুর্ত!!!

০২ রা জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৫


Hum, rahen ya na rahen kal
Kal yaad aayenge ke ye pal

কাল আমরা থাকি বা না থাকি,
কাল এই মুহূর্তগুলি মনে রাখবে,
মুহূর্তগুলো ভালোবাসার মুহূর্ত,
এসো -আমার সাথে চল,
এসো -ভেবেছ কি জীবনটা কত ছোট,
কাল-কে ফের পেলে কতইনা সৌভাগ্যের হবে।
আমরা থাকি বা না থাকি, এই মুহূর্তটি আমরা মনে রাখব।

রাতের আঁধার ভেঙ্গে দিয়ে
দেখো সেই রাত কত সুন্দর,
এসো -আমরা দুজনে মিলে
লিখি তোমার-আমার এই প্রেমের গল্প
আমরা থাকি বা না থাকি, এই মুহূর্তটি কাল আমাদের মনে রাখবে।

সন্ন সকাল,জানিনা নতুন কোন রঙের খেলায় মাতে
আমার ইচ্ছাগুলোকে রেখে দিও কোন এক চিহ্নের মত
আমরা থাকি বা না থাকি, এই মুহূর্তটি আমরা মনে রাখব।
কাল আমরা থাকি বা না থাকি,
কাল এই মুহূর্তগুলি মনে রাখবে,
মুহূর্তগুলো ভালোবাসার মুহূর্ত,
এসো -আমার সাথে চল,
এসো -ভাবি জীবন কতই না ছোট,
কাল-কে ফের পেলে কতইনা সৌভাগ্যের হবে।

আমরা থাকি বা না থাকি, এই মুহূর্তটি আমরা মনে রাখব।।

* কাল বলতে আগামীকাল বোঝানো হয়েছে।
--------------------------------------------------------
ব্বুই এর দশকের শেষভাগে ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান মিউজিক ডিরেক্টর লেসলি লুইস ওয়েষ্টার্ন গানের নতুন এক ধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল ভারতবর্ষকে। রক সং! স্বনামধন্য গীতিকার মেহেবুবের কলমের ছোঁয়া আর কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ নামের তরুন এক শিল্পির অসাধারন কন্ঠে নেচে উঠল সারা ভারতের তরুণেরা। শুধু কি ভারত- বাংলাদেশ পাকিস্থান হয়ে নেপালের যুবারাও চরম আবেগে কে কের কন্ঠের সাথে সুর মেলাতে লাগল। দুর্দান্ত এই প্রেমের গানটি শেষ-মেষ বন্ধুদের গান হয়ে গেল, আড্ডার জনপ্রিয় গান হয়ে গেল। যারা অল্পসল্প হিন্দি জানে তাদের সরল সহজ এই কথাগুলো হৃদয়াঙ্গম করতে কষ্ট হয়নি। হিন্দি বিমুখ চরম জাতীয়তাবাদী ঘরনার অনেক ছেলে-মেয়েরাও লুকিয়ে কে কের এই গান শুনত।
আমরা অনেক কিছুকেই অতি আবেগে জাতিগত কিংবা ভাষাগত কারনে আঞ্চলিক করে ফেলতে চাই- অবহেলাভরে ভালো সৃষ্টিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি। এর ব্যতিক্রম নন খোদ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষাভাষির ভারতীয়রাও। কে কের মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের উন্মাদনা দেখে জনপ্রিয় এক বাঙ্গালী গায়ক রুপঙ্কর খেপে উঠল। তার কথাটা এমন; আমরা অনেকেই কে কের থেকে ভাল গাই কিন্তু সব আলোটাই কে কের মত শিল্পী কেড়ে নেয়- আমরা থাকি ব্রাত্য, আজ পয়সার জন্য গান ছেড়ে আমাকে অভিনয় করতে হয়। তার এই কথায় ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে নিন্দার ঝড় উঠল। স্বাভাবিকভাবেই বেচারা কোণঠাসা হয়ে পড়ল। সে সম্ভবত একবার আমাদের জেমস-এর হিন্দি সিনেমাতে গান গাওয়া নিয়েও এমন ধারার মন্তব্য করেছিল- তখন বাংলাদেশীরাও ক্ষেপে গিয়েছিল।
------------------------------------------------
অবশেষে তার পক্ষালম্বন করলেন ওপার এপার বাংলার জনপ্রিয় জীবনমুখী ধারার গানের শিল্পী’ নচিকেতা’। লোকটার ঠোঁটকাটা হিসেবে অপবাদ আছে। তবে কথাগুলো ভাল বলেছে। গুনী শিল্পীদের সম্মান করতে জানেন তিনি;

রাজার মতো মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। এমন মৃত্যুই তো সকলে চায়। আমরা শিল্পীরা আসলে জনসমুদ্রে মিশে যেতে চাই। ওই ভিড়ে পিষ্ট হতে চাই। ভিড়ের চাপে মরে যেতে চাই। ওখানেই তো শিল্পীর সার্থকতা। শ্রোতাদের ভিড়ে এক জন শিল্পী মিশে গিয়ে জীবনের শেষ গান শোনাচ্ছেন, এটাই শিল্পীর স্বপ্ন। কেউ কেউ বলছেন, ভিড়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। মোটেও নয়। গাঁন্ধীজী জনসমুদ্রে মিশেছেন। ইন্দিরা গাঁন্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি নরেন্দ্র মোদীও জনসমুদ্রে মিশে যেতে চান। যানও। ওঁরা রাজনৈতিক ‘পারফর্মার’। আমরাও ‘পারফর্মার’, তবে সাংস্কৃতিক। আমাদের সকলেরই এই ভিড়ের খিদে থাকে। মাইকেল জ্যাকসনের ছিল। এলভিস প্রেসলির ছিল। কেকে-র ছিল। আমার আছে। আমি গত ৩০ বছর ধরে এই জনসমুদ্রে মিশছি। দুর্ভাগ্য, কেকে-র মতো মৃত্যু হল না। ও আমার থেকে কয়েক বছরের ছোট ছিল। তা-ও বলব, রাজার মতো গিয়েছে। ওর মৃত্যু আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। বাঙালি যে ওকে এত ভালবাসে, সেটা দেখে ভালও লাগছে।
আমি পাহাড়ে বেড়াতে এসেছি। কাল রাতেই কেকে-র কথা শুনেছি। আজ জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(বাঙ্গালী অভিনেতা) ফোন করেছিল। ও-ই আমাকে বলল, ‘‘দাদা তোমার গান কেকে খুব পছন্দ করত। বিশেষ করে রাজশ্রী।’’ আমি তো শুনে চমকে উঠলাম। ও আমার গান শুনত! কেকে এত ভাল গান গাইত! আমি তো ওর ফ্যান ছিলাম। কিন্তু ও আমার গান শুনত জানতে পেরে, ভাল লাগছে। আসলে বাঙালিকে সারা ভারত শোনে। শুধু বাঙালিই সেটা বুঝতে পারে না।

রূপঙ্করও আমার থেকে ছোট। ছোটদের অভিমান অনেক বেশি। ওরা বাংলার কথা বলতে চায়। বাংলা সংস্কৃতিকে ওরা আন্তর্জাতিক করতে চায়। আসলে কী জানেন তো, রবীন্দ্রনাথ নোবেল না পেলে তিনিও আঞ্চলিক কবি হয়ে থেকে যেতেন। সত্যজিৎ রায় এই কলকাতায় পুরনো বাড়িতে থাকতেন। আর সুভাষ বোস বাংলোয় থাকতেন। কার পরিচিতি সর্বভারতীয় স্তরে বেশি? বাঙালিদের অভিমান আছে। থাকবে। আমার নেই।~ শিল্পী নচিকেতা
-------------------------------------------------
~ কেকে অন্য কত কি জনপ্রিয় গান গেয়েছে কি না গেয়েছে সেই নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা ব্যাথা নেই। অনেক কম শিল্পীর সৌভাগ্য হয় একটা মাস্টারপিস গান গাইবার। কেকে সেই সুযোগ পেয়েছিল ‘পল’ বা 'মুহুর্ত' গানে।
এখনো আমি আবেগে মথিত হই তার সেই গানের সুর আর কথায়।
---------------------------------------
লেজের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গায়ক কেকে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই সব শেষ। তরতাজা কেকের এ ভাবে, অসময়ে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তাঁর গানের ভক্তরা। এখনও তাঁদের কানে একটানা বেজে চলেছে, ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল…’
কেকের মৃত্যুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর প্রকাশ্যে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা যাচ্ছে, হোটেলের লবিতে হেঁটে যাচ্ছেন কেকে। মনে করা হচ্ছে, লিফ্‌ট থেকে নেমে ওই লবি দিয়ে হেঁটেই ঘরে পৌঁছন শিল্পী। লিফ্‌টে ওঠার পর দৃশ্যত অসুস্থ লাগছিল তাঁকে। নিউ মার্কেট এলাকার ওই বিলাসবহুল হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে অবশ্য কেকে-কে দেখে অসুস্থ মনে হয়নি। বরং স্বাভাবিক ছন্দে হাঁটতে হাঁটতেই চলে যেতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশে ছিলেন ম্যানেজার হিতেশ ভাট। কেকের পরনে ছিল অনুষ্ঠানেরই পোশাক, গলায় একটি সাদা তোয়ালে ছিল। যে তোয়ালে দিয়ে অনুষ্ঠানে বার বার ঘাম মুছতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হিতেশের সঙ্গে গল্প করতে করতেই লবি দিয়ে সোজা হেঁটে ঘরের দিকে চলে যান তিনি।
হিতেশ জানিয়েছেন, নিজের ঘরে ঢুকেই একটি সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান কেকে। তখন টেবিলের কোনায় মাথা ঠুকে কেটে যায়। হিতেশ চিৎকার করে হোটেলের কর্মীদের ডাকাডাকি শুরু করেন। ততক্ষণে অচেতন হয়ে পড়েছেন কেকে। হোটেলকর্মীরা চিকিৎসককে ফোন করেন। চিকিৎসক বিপদ বুঝে কেকে-কে একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। অত কম সময়ের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা না হওয়ায় হোটেলের গাড়িতে তুলেই ইকবালপুর রওনা হতে হয়। কিন্তু যাত্রাপথেই সব শেষ।
ওপারে ভাল থাকুন প্রিয় শিল্পী।

• অনুবাদটা হয়তো ঠিক ঠাক হয়নি। কবিতা লেখা আমার কম্মো নয়।

লেখা সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা ও উইকি।


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:০৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লিজেন্ড দের নিয়ে কিভাবে লিখতে হয় আপনার কাছে শেখা উচিৎ ।

৫ম লাইনে জীবনটা । টাইপো আছে।

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার প্রশংসায় বিব্রত হলেও ধন্য হলাম!

# টাইপো ঠিক করে দিয়েছি- এজন্য আলাদা করে একটা ধন্যবাদ পাওনা।

২| ০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:০৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা।

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালবাসা- ভাল থাকবেন ভ্রাতা।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সব মিলিয়ে পোষ্ট টা সুন্দর হয়েছে।

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: এটা কিন্তু রাশিয়া নিয়ে লিখিনি :)
হিন্দিভাষী গায়কে নিয়ে লেখা কোন নিবন্ধ আপনার ভাল লাগতে পারে সেটা আমার ধারনায় ছিল না।

সবিশেষ ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথম খবরটা শোনার পর থেকেই কী এক গুমট ভাব কাজ করছে মনের ভেতরে ! সেটা কাটছে না কিছুতেই ....

কেকে ভক্ত এই পাল আর ইয়ারো গান থেকেই । তারপর কত শত গান যে মুগ্ধ করেছে সেটার কোন ঠিক নেই । আর কোন নতুন গান গাইবে না সে !

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা পরশু সকালে খবরটা শুনে আমিও ঝিম মেরে গিয়েছিলাম!
সারাদিন আর ব্লগে ঢুঁ দেই নি। রাতে আপনার পোষ্ট দেখেছিলাম-ভাল লেগেছিল দেখে যে কেকে-কে অনেকেই ভালবাসে।
মন্তব্য করা আর হয়নি- কি লিখব এই ভেবে।
এই বয়সে এমন প্রতিভাবান মানুষকে হারানো বড় কষ্টের! আরো হয়তো অনেক কিছু দেবার ছিল তার। মুডি লোক ছিল সে- আমি তাকে কখনো কোন রিয়েলিটি শো-তে দেখিনি।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কেমন একটা খারাপ লাগা ছড়িয়েছে এই সংবাদটা। আহা!! দুঃখজনক।

গাঁধীজি জনসমুদ্রে মিশেছেন। ইন্দিরা গাঁধী
টাইপো হয়েছে মনে হয়।

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৭:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই অনুভুতি আমাকেও ছুঁয়ে গেছে। ওর ওই গানটা নিয়ে কত স্মৃতি আমাদের আমার ছোট ভাইদের।
সব সৃতি কালের গর্ভে হারিয়ে গেল শিল্পীর প্রয়ানের সাথে সাথে।

*লেখার ওই অংশটা আনন্দবাজার থেকে হুবুহু তুলে দেয়া। ওরা মনে হয় এখন গান্ধী কে গাঁধী বলে। তবুও ঠিক করে দিলাম।
আমার খুব ভাল লাকে এমন করে লেখায় খুব ভুল ধরলে। একটুকুও বিব্রত হই না, ভাল লাগে এই ভেবে যে, তিনি লেখাটা ভাল করে পড়েছেন।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৮:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক ঝরে পড়া তারকার প্রতি গভীর অনুভবে চমৎকার শ্রদ্ধাঞ্জলি!
আপনার জন্য ভালো থাকার শুভকামনা....

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কেকের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
আপনি সুস্থ্য ও ভাল থাকুন

*আপনার প্রবাসজীবনের গল্পগুলো পড়ছি। ব্ফরশীতল ঠান্ডা আমার কিন্তু বেশ লাগে।

৭| ০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৯:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: গত তিন দিনে প্রিয় শিল্পী কে কে উপর এমন সুন্দর লেখা স্যোসাল মিডিয়ায়্য আর একটাও পড়িনিখুব সুন্দর হৃদয়গ্রাহী লেখার জন্য ধন্যবাদ। +

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ১০:১২

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি? আপনার প্রশংসায় আমিতো হাওয়াতে উড়ছি :)

অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন

৮| ০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই সাড়াজাগানো সঙ্গীত শিল্পীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। রেস্ট ইন পিস, কে কে।

আমি অত্যন্ত দুঃখিত, এবং লজ্জিতও যে, বাংলা গানের বাইরে হিন্দি, ইংলিশ বা অন্য কোনো ভাষার গান বা শিল্পী সম্পর্কে আমার আইডিয়া খুবই নগণ্য, যা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। কেকে'র নাম আমি সর্বপ্রথম দেখি অপু তানভীরের পোস্টের শিরোনামে। 'কেকে' - হয়ত কোনো ওয়েস্টার্ন সিঙ্গার হবেন, এই ভেবে পোস্ট এড়িয়ে গিয়েছিলাম। পরে ঐ পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, কেকে একজন ভারতীয় বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী। হয়ত, তার কোনো গান শুনে থাকবো, কিন্তু নাম না জানায় তাকে চেনা হয় নি।

যারা মনে করছেন, বিরাট হল রুমে এসি না থাকায় তার মৃত্যু হয়েছে, তারা মনে হয় না ঠিক বলছেন। কেকে'র কোনো হার্ট ডিজিস, কিডনি ডিজিসি বা হাই ব্লাড প্রেশার ছিল কিনা, সেটা জানি না। ওগুলো থাকলে, সাডেন হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। ওসব না থাকলেও হতে পারে। বিপুল জনসমুদ্রে, গরমে গান গাওয়ার, মিছিল, মিটিং করার উদাহরণ তো হরহামেশা, ভূরি ভূরি, যা আপনি নিজেও উল্লেখ করেছেন। সেখানে এরকম সাডেন ডেথের উদাহরণ এমন আছে বলে মনে হয় না।

একজন স্টার, তার পারফর্মেন্স বা খ্যাতি জীবদ্দশায় যাই থাকুক না কেন, তার মৃত্যুর সময় মানুষের প্রতিক্রিয়া বা উচ্ছ্বাস যেটা দেখা যাবে, সেটা তার অর্জন। কেকে'র চাইতে নিশ্চয়ই আরো সেরা শিল্পী অনেক আছেন। কেকে'র প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা দেখে রূপঙ্করের উত্তেজিত হওয়া ঠিক হয় নি। রূপঙ্কর নিজেও সময়ের সেরা শিল্পীদের একজন, যাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালোবাসি। তার প্রতিক্রিয়ায় প্রমাণিত হলো আবারো - এক শিল্পী সারাজীবনই অন্য শিল্পীদের প্রতি ঈর্ষান্বিত।

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে বাংলাদেশসহ ভারতে অনেক ভক্তের বিপুল উচ্ছ্বাস দেখে ভারতীয়/কোলকাতার জনৈক শিল্পী একটা হিংসাত্মক কমেন্ট করেছিলেন - (কথাগুলো হুবহু মনে নেই) - কে এই আইয়ুব বাচ্চু? তাকে নিয়া এত উচ্ছ্বাসের কী আছে - এ ধরনের কিছু। অন্য শিল্পীকে অপমান করলে তা নিজের কাছেই ফিরে আসে।

শেরজা তপন ভাই, পোস্টের ব্যাপারে একটু কনফিউশনে পড়ে গেলাম। এর লেখক কে? আমরা পাহাড়ে গেছি - ও আমার ছোট, জিৎ ফোন করেছিল। - এ কথাগুলো কার? যদিও আনন্দবাজার পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করেছেন, লেখকের নাম দিয়ে দিলে এই কনফিউশন হতো না মনে হয়।

সুন্দর পোস্ট।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ১০:১০

শেরজা তপন বলেছেন: লিখেছি; ওই প্যারার পুরোটাই 'নচিকেতা'র কথা। জিৎ -হল টালিগঞ্জের অভিনেতা।

আইউব বাচ্চু কি জিনিস সেটা অঞ্জন দত্ত তার সাক্ষাতকারে বলেছেন।
- হ্যা কিছু শিল্পিরা ঈর্ষাকাতর হয়ে থাকে। যারা নিজেদের যোগ্যতা অনুসারে জনপ্রিয়তা পায়নি বলে মনে করী তাদের ভাগটাই বেশী। তবে দিনশেষে তারাও তো মানুষ! ~ রুপঙ্কর একটু অহংকারী টাইপের মানুষ। জাতিস্বরের গানটা চমৎকার গেয়েছে। এমন ভরাট কন্ঠের শিল্পী ভারতে কম-ই আছে।
-ঠিক বলেছেন -নিশ্চিতভাবে তার হার্টের কোন সমস্যা ছিল। সে হয়তো পাত্তা দেয়নি। তবে তার ধুলা-বালির এলার্জি ছিল। স্টেজে গান গাইবার আগে পুরো স্টেজ পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে বলতেন।

কেকে'কে অনেকেই চেনে না। সে একটু আড়ালেই থেকেছে সব সময়।
আপনি নিজের সৃষ্টি নিয়ে মেতে আছেন- দরকার নেই অন্য কাউকে চেনার।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা অনেকদিন পরে আমার পোষ্টে এসে বিশাল এক মন্তব্য করার জন্য। পুরনো আপনার কথা মনে করিয়ে দিল।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা কিন্তু রাশিয়া নিয়ে লিখিনি :)
হিন্দিভাষী গায়কে নিয়ে লেখা কোন নিবন্ধ আপনার ভাল লাগতে পারে সেটা আমার ধারনায় ছিল না।

সবিশেষ ধন্যবাদ।

ভারত দেশটা আমার খুব পছন্দের দেশ। ওদের নাটক সিনেমা দেখেই বড় হয়েছি।

২১ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: যাক তাহলে আপনি হিন্দি ভাষায় নাটক সিনেমা দেখেন কিংবা গান শোনেন।
আমার ধারনা ছিল বাংলা ছাড়া অন্য কোন বিজাতীয় ভাষার কিছু আপনার পছন্দ নয় :)

১০| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৫২

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: কেকে, শান এদের গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি আর হিন্দিতে লাস্ট এরাই প্রিয় শিল্পী ছিল। এদের পরে আর কোনো শিল্পীদের গান সেভাবে শোনা হয়নি। এখন যা শোনা হয় সব পুরানো। এদের জন্য অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। কেকে অনেক তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছেন। আকস্মিক মৃত্যুটা তাই শকিং ছিল।

লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে। কেউ মারা গেলে আমি কখনই কিছু লিখি না, কারণ এই জিনিস গুলো আমি কখনও সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারিনা। আপনি সেই অসাধ্য কাজটি সুন্দর করে করেছেন।

২১ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

শেরজা তপন বলেছেন: এক সময় আমার ছোট ভাইয়েরা সারাক্ষন কেকের গান শুনত আর গিটার দাবড়ে চ্যাচাত !! :)
সেই শুনে শুনে কে কে কে ভাল লাগা।
অনুপ্রাণিত হলাম। সবশেষ ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন নিরন্তর।

১১| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভীষণ প্রিয় কে কে ' র গান।

২১ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বহুদিন বাদে আমার ব্লগে- ভুল করে নাকি!!
আপনার একটা ব্লগে গতকাল একটা পোষ্ট মনে হয় দেখেছিলাম- প্রচন্ড ঘাড় ব্যাথায় বিরক্ত লাগছিল- তাই পড়া হয়নি।

ধন্যবাদ- ভাল থাকুন। ব্যাস্ত থাকলে আসবেন এখানে ( ভালা পাই :) )

১২| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

ফারহানা শারমিন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা লেখা। কে কে' র জন্যে অনেক অনেক শ্রদ্ধা এখন ভালোবাসা।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে অনেকদিন বাদে আপনাকে পেলাম!!
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। নিয়মিত লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.