নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক- পর্বঃ ৩ ও ৪( শেষ খন্ড)

২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০


স্কোর লুবেন্সকাইয়া স্কয়ারের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কেজিবির সদর দফতরে সোভিয়েতের খোলস থেকে বেরিয়ে রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা তখন নতুন নামে সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে। ‘ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস’ ইংরেজীতে FSS হলেও রুশ ভাষায় FSB।
এর সর্বোচ্চ পদ সবে অলঙ্কৃত করেছেন, ইয়েলিতসিনের চরম আস্থাভাজন প্রাক্তন কেজিবি’য়ান ভ্লাদিমির পুতিন। কে জানত তখন ববির মেয়ের জন্ম মুহুর্তের সময়ে সে দেশেই এমন একজন মানুষের হাতে ধীরে ধীরে ক্ষমতা চলে যাচ্ছে, কে ভেবেছিল তখন এই মানুষটাই বছর ঘুরতে না ঘুরতে রাশিয়ার দন্ডমুন্ডের কর্তা হবে। কে জানত দু’ যুগ বাদে তার বুদ্ধিদীপ্ত অথচ অপরিনামদর্শীতা আর ভয়ন্কর কিছু পদক্ষেপে সারা বিশ্ব টালমাটাল হয়ে পড়বে!!
বির সদ্য কেনা ফ্লাটে সৌম্য গিয়ে উপস্থিত হল একতোড়া ফুল,চকোলেট, শ্যাম্পেন আর ওয়াইনের বোতল নিয়ে। পকেটে অবশ্য লাল মখমলের থলেতে মায়ের দেয়া ছোট্ট একখানা স্বর্নের চেইন ও আছে। তিনি বার বার বলেছেন, আমি যেন নিজের হাতে চেইনটা ববির মেয়ের গলায় পরিয়ে দিয়ে আসি।
যদিও ববি এখন আমার সাথে- এসব নিতে সে নিষেধ করেছিল। কিন্তু পুরনো দিনের এলিনার কথা মাথায় রেখে এসব আমি জোড় করেই নিলাম। সে একসময় এসব দেখে খুশী হোত।
ববি ডোর বেল না বাজিয়ে তার ডূপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল। বাসার অভ্যান্তরে সুনসান নিরবতা! কোন জন মানুষ আছে বলে মনে হোল না। ববির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই সে ঘাড় ঝুলিয়ে আশ্বস্ত করল। আমি ওর ঝকঝকে ড্রইং কাম লিভিং রুমে গিয়ে বসলাম। ঘরের সবকিছু এত পরিপাটি করে সাজানো যে, বসতে দ্বীধা হচ্ছিল।
ববি বেডরুমে ঢুকে খানিকবাদে দামী কাপড়ে জড়ানো ওর পনেরদিন বয়েসী মেয়েকে নিয়ে বের হোল। আমার ধারনা ছিল পেছনে এলিনা’র দেখা পাব। কিন্তু চরম হতাশায় লক্ষ্য করলাম এলিনা নেই।
ও এসে আলতো করে মেয়েটাকে আমার কোলে তুলে দিল। তুলতুলে মাখনের ড্যালার মত বাবুটাকে কোলে নিয়ে মুখের দিকে তাকাতেই সারা শরিরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল! আরে এযে একবারে এলিনার মুখখানা ছাঁচে ফেলে বসানো!!
ববি’র মেয়েকে বেশ খানিকক্ষণ কোলে রেখে ওর উষ্ণতা অনুভব করলাম। ওর গায়ে একটা মিষ্টি তেলের গন্ধ! ভাবছিলাম, এটাতো আমার মেয়েও হতে পারত। ভাবতে ভাবতেই নস্টালজিক হয়ে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্যানমগ্ন হলাম।
-কি খাবি দোস্ত?
ওর ডাকে হুঁশ ফিরল! আজব কথা –এলিনা কি বাসায় নেই? না থাকলে মেয়ে এতক্ষন কার কাছে ছিল? ও না থাকলে ববি’ই বলত সে বাসায় নেই। ববি’র চেহারায় কেমন বিব্রত ভাব। সে নিজের মনেই বেশ লজ্জা পাচ্ছে বোঝা যায়।
কত কি ভেবেছিলাম এখানে আসবার আগে।পুরোনো প্রেমিকার সাথে দেখা হলে এই বয়সে কত রকম রোমান্টিক ব্যাপার স্যাপার-ই না ঘটে! ভেবেছিলাম আড্ডা হবে, গল্প হবে, তুমুল হাসা হাসি আর খানা পিনা। এর ফাঁকে আগে থেকে সাজিয়ে রাখা অনিচ্ছাকৃত চোখাচোখি। চোখে ঠোটে মুখে আর শরিরের ভাষায় না বলা কথা বলা। খানিকটা অভিমান কিংবা আহ্লাদ! ধ্যাত কিছুই হোল না তার।
ওয়াইন খাবি? –কেমন যেন ফিসফিস করে বলল ববি। কেউ শুনে ফেললে সব উচ্ছন্নে যাবে যেন! এদেশে ওয়াইন হোল স’বচেয়ে এলেবেলে পাণীয়। এটা অফার করতে কেউ মিন মিন করে! তবুও কিছু জিজ্ঞেস না করে- অভাবনীয়ভাবে আমি বলে ফেললাম ‘না’ খাবনা!
ও যেন হাঁফ ছেড়ে বাচল! তাহলে দুপুরে রান্না করি-একসাথে খাই। বাইরে গিয়ে তো খাবই।
-দাড়া তোকে আজকে স্যামন মাছের ঝোল খাওয়াব।
আমি ‘হ্যা’ বলে ইশারা করতেই ও বাচ্চাটাকে আমার কোল থেকে নিয়ে আদর করতে করতে শোবার রুমে নিয়ে রেখে আসল।
ও রান্না করল আর আমি রান্না ঘরেই ডাইনিং টেবিলে বসে ওর সাথে গল্প করলাম। ওয়াইন খাবনা বলে একগ্লাস জুস দিল আমায়।
স্যামন মাছের ঝোল এমন চমৎকার স্বাদের হতে পারে আমার ধারনা ছিলনা। ওর সাথে লেবু দিয়ে গরম বাদ ইয়াম্মী ছিল চরম।
ফেরার সময় হয়ে এল তবু এলিনার দেখে নেই!
শেষ মুহুর্তে আসল সে। বিবর্ন পাংশুটে পাথুরে মুখ করে। আমকে সম্ভাষণ জানিয়ে সেই তীর্যক গা জ্বালানো হাসিটা দিল- সে হাসি আমার অন্তরাত্মা খাঁমচে ধরল যেন। ভেবেছিলাম অসুস্থ সে, কিন্তু আমি নিশ্চিত সেটা শারিরিক নয় মোটেও। ভয়াবহ মানসিক পীড়নে আক্রান্ত সে। তবে কি সেই পীড়ন? ববিকে দেখেতো বোঝার উপায় নেই কিস্যু!
দু’চারটে গৎবাঁধা কথা হোল মাত্র। ফের দেখা হবে বলে বিদায় নিলাম ভীষন নিরস ভাবে। ওদের বাসা থেকে বেরিয়ে বাইরে এসে বড় করে শ্বাস নিলাম। এতক্ষন দম বন্ধ হয়ে আসছিল যেন।
-----------------------
পর্ব-৪
রপরে আর এলিনাকে নিয়ে বিশদ কোন আলোচনা হয়নি আমাদের। ববি তার জীবনকে উপভোগ করছে চরমভাবে। কোথাও একটুখানি ঘাটতি নেই।
আমার মস্কো যাবার উপলক্ষ্যে বেশ বড়সড় একটা পার্টির আয়োজন হোল।
আমি যখন শেষবার রাশিয়া থেকে গিয়েছিলাম। তখন এখানকার সবাই মোটামুটি ছাত্র বা আদম। সিনিয়র দু-চারজন রাশিয়ায় বিয়ে করেছে সবে। দেশে কেউ বিয়ে করে থাকলেও রাশিয়ার সেই টালমাটাল পরিস্থিতিতে কেউ বাঙ্গালী বউ আনতে সাহস করেনি।
মাত্র পাছ বছরের ব্যবধানে পুরো দেশটার সাথে এখানকার প্রবাসীদেরও আমুল পরিবর্তন! পার্টিতে গিয়ে দেখি সল্পবসনা সুবেশী রুশ রমণীদের পাশাপাশি হাতের কঙ্কনে ঝংকার তুলে কপালে টিপ আর কানে দুল পরিহিত সাধ্যমত বাঙ্গালীয়ানা শাড়িতে একঝাঁক রমণীদের কলকাকলি!! ওরেব্বাস কারো কারো হাতে লাল পাণীয় দেখে আমি ভিমড়ি খেলাম।
বড়লোক(ক্রুতোই) বড় ভায়ের বাসায় যৎকিঞ্চিত নয় ব্যাপক আয়োজন দেখে বুক বপুঁ দুটোই ফুলে উঠল একতালে। আমার দু-চারজন পুরোনো বন্ধু বান্ধবদের পাশে সারা মস্কোর ধনবানেরা এসে হাজির হয়েছে এখানটায়। এদের কাউকেই আমি চেহারায় চিনিনা- নাম শুনেছি মাত্র।
~ববি নারী ভাগ্য করে এসেছে বটে! এলিনা কোথায় জিজ্ঞেস করলে অবহেলা ভরে বলল, শরির খারাপ নাকি-আসেল না।ওর মুখ দেখে বুঝলাম, ডাহা মিথ্যে কথা। কথা আর না বাড়িয়ে পার্টিতে মনোযোগ দিলাম।
এখানকার স্থানীয় কিংবা প্রবাসী পুরষতো বটেই সব নারীরা ববিকে ভাল করে চেনে- শুধু চেনে না জানেও।
সবাই মিলে ববি ভাইকে নিয়ে যে আদিখ্যেতা শূরু করল তা দেখে আমি লজ্জায় লাল হয়ে যাই।
~ববি দোস্ত আমার আসর জমাতে জানে। সঞ্চালনা থেকে শুরু করে ভারি ও কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কবিতা, দরাজ গলায় গান, চরম রসিক ভঙ্গীতে জোকস থেকে শুরু করে হেন কোন বিষয় নেই যার সাথে তাল মিলিয়ে অন্য কেউ লড়তে পারে। এর পরে বাবা মুশকিল আসানের দায়িত্বও তার। যে কোন সমস্যা তদন্ডেই সমাধান! শুধু বর্তমান নয় ভবিষ্যত সমস্যার সমাধানে সমান পারদর্শী!
বিশেষ অতিথি যেহেতু আমি, সেহেতু আমার সাথে অতিথিবর্গের পরিচয় করিয়ে দেয়া দোস্তের দায়িত্বের মধ্যে পরে। সে কাজটা সে চরম নিষ্ঠার সাথে করল/ আমাকে তুললে সে উপরে উঠবে সেই মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে আমাকে সাত আসমান ছাড়াইয়া আট আসমানে নিয়া উঠাল। আমি অত উপরে তাকাবার সাহস করে উঠতে পারলাম না। সামনে দন্ডায়মান রমণীদের ওষ্ঠ অধর হতে বড়জোর কাজল মাখা হরিণী অক্ষি পর্যন্ত চোখ তুলিয়ে তাকালাম মাত্র।( চলিত ভাষায় সাহিত্য রচনা করা ব্যাপক সমস্যা)
ব্যাপক বিস্তর খানা-দানা কৌতুক গান কবিতা হাসি তামাশার সাথে ভদকা শ্যাম্পেন ওয়াইন চলল দেদারছে। প্রতিটা পুরুষ তার নিজ স্ত্রী কিংবা বান্ধবীদের সামনে ওদিকে আমার মত নাড়ি ছেড়া অভাগা ও-দুটো বিহীন দুর্ভাগা পুরুষেরা তাদের শৌর্য বীর্য প্রকাশ করতে লাগল মদ গিলে। কে কতটা ‘র’ খেতে পারে তার প্রতিযোগিতা বয়ে গেল কয়েক রাউন্ডে। মদ খেয়ে বকাবকি করা যাবে কিন্তু টলা যাবে না। তাহলেই ইজ্জতের ফালুদা হবে। বাঙ্গালী রমণিরা একটু দূরে দাড়িয়ে আলগোছে শ্যাম্পেন বা ওয়াইনের গেলাসে চুক-চুক করে চুমুক দেয় আর অসভ্য অভব্য পুরুষদের মদ গিলে শৌর্য বীর্য প্রকাশের সার্কাস দেখে।
ববি ভঙ্গী নেয় বেশী খায় কম। তার খেলা হবে গভীর রাতের আলোআঁধারিতে। রাত গভীর হচ্ছে পুরুষেরা মাতাল হয়ে নেতিয়ে যাচ্ছে আর রমণীদের যৌবন যেন আরো ছলকে উঠছে।
কেউ কেউ নষ্টামির শিখরে উঠে এর ওর বউ বান্ধবীর কোমড় জড়িয়ে এলোমেলো নাচছে। কার বউ কার সাথে নাচছে তখন সে নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। আর তখুনী নেকড়ে জেগে ওঠে। সবাই নয় তবে বেশীরভাগ নারীরা তখন নাগিনীরুপে ছোবল মারতে উদ্যত। ববি ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে। ভাইয়া ভাইয়া বলে রমণীরা এসে ঢলে ধলে গলে গলে পরে তার বাহুতে। সে ইচ্ছেমত ফুলে ফুলে উড়ে মধু পান করে।
গভীর রাত কেউ খাটে কেউ কার্পেটে কেউ ডিভান বা সোফায় শুয়ে আছে। দু-চারজন পাড় মাতাল তখনো গেলাসে করে মদ গিলছে। সংসারি বা ব্যস্ত ধনবানেরা( যাদের মুলত ড্রাইভার আছে- মদ খেয়ে গাড়ি চালানো অসম্ভব ছিল তখন মস্কোতে) বান্ধবী বা সহধর্মিনীদের নিয়ে নিজ ডেরায় ফিরে গেছে।
ববির আজ বড় সুখের দিন। সে আধ মাতাল হয়ে সোফায় শরির এলিয়ে দিয়ে গুনগুন করে গান গাইছে আর নিজের মনে মনে হাসছে। আমি ঘুম কন্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এলিনার বিষয়ে ; আসলে ওর কি হয়েছে বল তো?
ওর যেন নেশা কেটে গেল। সোজা হয়ে বসে আমার দিকে সরাসরি তাকিয়ে বিরক্তি নিয়ে বলল,
- বেশী বোঝে। কে কিনা কি বলছে-সেই নিয়া দুনিয়ার মান অভিমান ঝগড়া ঝাঁটি। তুই বল আমি কি লুচ্চা নাকি? মেয়েরা মজা নেয় আমিও মজা করি’। বলেই একটা ফিচেল হাসি দিল।
আমাকে আর বলতে হোল না আমি যা বোঝার বুঝে নিলাম। দিনের পর দিন গভীর রাত করে মাতাল হয়ে বাড়ি ফেরা। নিত্য নতুন রমণির সাথে সম্পর্ক-কোন ভদ্র ভব্য স্ত্রী মেনে নিতে পারে। আমি জানি এলিনার মত মেয়ে সহজে হাল ছেড়ে দেবার পাত্রী নয়। সে তার সাধ্যের সর্বোচ্চ করেছে। এই দু-বছরে কি ঝড় বয়ে গেছে তা ভেবে আমি শিউড়ে উঠছি। এমন ভয়ঙ্কর বাবনিকের সাথে সংসার করা কতটা দুরুহ তা আমি উপলব্ধি করছি এখন। নিজের এই প্রথম বড় অনুশুচোনা হোল এমন কৃতকর্মের জন্য। কেন আমি এদের পরিচয় করিয়ে দিতে গেলাম??
ববি’র ব্যাপারে কতই না উচ্চাশা ছিল আমার- সব ভেস্তে গেল যেন।
-তা এইভাবেই চলবে না কিছু করবি?
- কেউ -না বুঝলে কি আর করার আছে। ওর জন্য তো আমি আমার আশা আকাঙ্ক্ষা ভাল-লাগাগুলো জলাঞ্জলি দিতে পারি না। দোস্ত আমার তো একটা জীবন আছে না-কি? দেখ যেইসব ক্রুতোই লোকেরা আমার আমন্ত্রনে আসল। এদের লেভেলে চলতে হলে – ঘরের ভিতরে বসে বৌ এর সাথে পুতু পুতু করা যাবে না।
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম- এ কোন ববিকে দেখছি। এ তো আমার সেই চেনা ববি নয়!!
-তবুও মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ওর সাথে গোলমাল মিটিয়ে ফেলা জরুরী।
-আরে আমিতো মিটাইতেই চাই দোস্ত। প্রত্যেকদিন কতবার মাফ চাই জানিস’। বলেই হেসে ফেলল।
আমিও খানিকটা হাসলাম। ওকে এখন বোঝানো মুশকিল। এর থেকে সবকিছু ভবিষ্যতের হাতেই ছেড়ে দেয়া উত্তম!
ববি তখন সগোক্তির মত করে বলল, সে এখন নিজে কামাই করার জন্য উঠে পরে লাগছে।এখন নাকি স্বাবলম্বী হবে। শালার আমার পয়সা খায় কে- ও চাকরি করে কয় টাকা কামাবে! আমার অফিস সেক্রেটারির যেই বেতন দিই তার অর্ধেক কামাইতে ঘাম ছুটে যাবে!
প্রতি উত্তরে আমি কিছু বললাম না আর। ভাবলাম শুধু –জল অনেকদুর গড়িয়েছে।

আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

কামাল৮০ বলেছেন: বুদ্ধিদীপ্ত অপরিনামদর্শী কেমন হয়ে গেল না।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: তার দেশ ও জনগনের জন্য বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু বাকি বিশ্বের জন্য অপরিনামদর্শী -এভাবেই বলতে চেয়েছি।!
ভুল হয়ে গেল কি?

২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৩

কামাল৮০ বলেছেন: বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এটা সমর্থন করে।ভারত,চীন, ব্রাজিল মধ্য প্রাচ্য সহ আরো অনেক দেশ।ন্যাটো এখন কেউ চায় না।কেবল আমেরিকা বৃটেন ছাড়া।

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: দিন যাক আর কিছু- সমর্থন করার ঠেলা আমরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করব

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জল দেখছি অনেক দূর ই গড়িয়েছে ! এলিনা যদি শেষ পর্যন্ত সৌম্য র সাথে দেখা না করতে আসতো খুশি হতাম।

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: জল গড়ানো শুরুতো কেবল- আরো অনেকদুর গড়াবে। সাথে থাকবেন -শেষ দিকে চলে এসেছি প্রায়।

কেন সৌম্য আপনার কি ক্ষতি করল- ওর উপরে ক্ষেপেছেন কেন??

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাথা খারাপ সৌম্য উপর তো ক্ষেপার প্রশ্নই আসে নাই। আমি খেপছি এলিনার উপর, কেনো দেখা করলো।
এইসব কলকাতার বাংলা সিরিয়ালের সাইড ক্যারেক্টারের পুরুষ, সব সময় সাইডে ই থাকে ডিসিশন নিতে পারে না। আর সময় অসময়ে হার্ট এট্যাক এর ভান করে।

দেখেন মাঝে মাঝে মন্তব্য করার কিছু থাকে না, তাই লাইক আর পাঠ এ সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু যতই অপেক্ষা করি মন্তব্য না করলে আপনি নতুন পোষ্ট দেন না, কী যে মুশকিল।

প্লিজ জলদি জলদী পোষ্ট দেন, এই পর্ব তো পড়া ও শেষ, মন্তব্য ও করছি।

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: এলিনা আর সৌম্যের মধু চন্দ্রিমা সমাপ্তের পথে। সামনে মন খারাপ করার মত অনেক কঠিন সময় আসছে...
ঈদের ছুটির অবসরে টার্গেট করেছিলাম, এবারে 'বাবনিক' শেষ করবই। এর জন্য আমার অন্য অনেক ভাবনা আটকে আছে-
আলোর মুখ দেখছে না। অবশেষে শেষ করেছি। চরম হালকা অনুভব করছি।
খুব শিঘ্রী বাকি পর্বগুলো পাবেন।
আপনি ভালই ধরেছেন -আপনার জন্য আটকে রাখি, হাঃ হাঃ

৫| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: গল্পের মতোই তো ।

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: জীবনের অনেক কাহিনী নেক সময় নিরেট গল্পের মতই শোনায়।
বিশ্বাস হতে চায়না- মনে হয় আকর্ষন বাড়ানোর জন্য সত্য কাহিনীর মোড়ক জড়াচ্ছে।
গল্পই হোক না হয়, বাকি পর্বগুলোর সাথে থাকবেন। ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৭

কামাল৮০ বলেছেন: আমরা না পেলেও ইউরোপ টের পাচ্ছে।

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমরাও টের পাচ্ছি- শুধু ভান ধরে আছি।
ওদের কষ্ট দেখে ভাবছি- যাঃ এটাতো কিছুই না!
আসছে কঠিন সময়। কারো হয়তো নিস্তার নেই।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক চাপ, উত্তেজনা, দ্বন্দ্ব ও হতাশা যখন সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি সামাজিক অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন মানুষের মধ্যে ও সমাজে চাপ, উত্তেজনা, দ্বন্দ্ব, হতাশা ইত্যাদির উদ্ভব হয়ে থাকে। সামাজিক সমস্যা হলো এমন এক অনাকাঙ্খিত সামাজিক পরিস্থিতি যা অধিকাংশ সমাজবাসীর ওপর চাপ, উত্তেজনা, দ্বন্দ্ব, হতাশা ও ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। কিন্তু সব সমস্যাই সামাজিক সমস্যা না, পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেই সমস্যা ব্যক্তি পর্যায়েও আক্রান্ত করে- যা আপনার এই গল্পে সাবলীল ভালো উঠে এসেছে।

সময় ও পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে গল্পের সমাপ্তি অতি স্বাভাবিক হয়েছে।
ধন্যবাদ। +

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: এখনো কিন্তু শেষ হয়নি ভাই। আরো পাঁচ সাতখানা পর্ব বাকি আছে।
এরপরের পর্বগুলো ফাস্ট ফরোয়ার্ড হবে।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে বরাবরের মত ভাষা আর কথা খুজে পাচ্ছিনা।
তবে আপনি অভিজ্ঞ মানুষ আপনার কথার সাথে দ্বীমত করার অবকাশ নেই।

পরের পর্বগুলোতে এমনি করে সাথে থেকে অনুপ্রাণিত করবেনব বলে আশা রাখছি।
ভাল থাকুন।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি। দ্বিতীয় পর্ব না পড়ে আর এই পর্বে আসতে পারছিনা।

২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে দারুন আনন্দিত ও আপ্লুত হলাম।
বরাবরই আপনার কাছ থেকে দীর্ঘ ডিটেল মন্তব্য আশা করি। যদি সময় সুযোগ পান তবে আগের পর্বটা পড়ে তেমন ধারার একখানা মন্তব্য করবেন বলে প্রত্যাশা।

ভাল থাকুন ভাই।

৯| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এলিনার জন্য খারাপ লাগছে। শেষ পর্যন্ত এলিনা কি ববিকে আয়ত্বে নিতে পেরেছে নাকি ববি চিরকাল বাবনিক-ই রয়ে গেলে?

২১ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: এটা বলে দিলে কেমন হবে :)
আর কয়েক পর্ব সাথে থাকুন-সব জানতে পারবেন। সামনের পর্বগুলো সুপার সনিক গতিতে চলবে।

ভাল থাকবেন ভাই।

১০| ২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: এই গল্পটা আমার কাছে বেশ কঠিন লাগে বুঝতে সমস্যা হয় তারপরেও চেষ্টা করি বুঝে পড়ার কিন্তু বিধিবাম !!!

২১ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: যে কোন উপন্যাস একটানা না পড়লে বুঝতে সমস্যা হবার কথা।
আমার ধারবাহিকে খুব বেশী গ্যাপ যায়- যার ফলে সমস্যাটা আরো বেশী হয়।
এজন্য এবার থেকে কোন লেখা শেষ না করে অংশবিশেষ ব্লগে দিব না। শেষ করলে একবারে পড়বেন- তখন বুঝবেন আশা করি।

১১| ২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেকগুলো মিস করেছি। তবে বরাবরের মতোই ভাষা ব্যবহারের সাবলীলতা আমাকে মুগ্ধ করে।

২১ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।
জেনে প্রীত হলাম। আন্তরিক ধন্যবাদ। সামনের দিনগুলোতে আপনাকে সাথে পাব এই প্রত্যাশা রইল
ভাল থাকুন।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দুটি পর্বের জন্য দুটো আলাদা কমেন্ট করব।
পর্ব-৩
তপন ভাই আপনি লিখেছেন খুবই ভালো।++
কিন্তু লেখকের সাথে আমিও আশাহত হলাম পুরানো প্রেমিকার এমন নির্লিপ্ততা দেখে। সম্ভবত দ্বিতীয় পর্বে, এলিনাকে ববির কাছে সঁপে দেওয়ায় আমি লিখেছিলাম বা কমেন্ট করেছিলাম 'সব শেষ হয়ে গেল'। আপনি যে উত্তরে জানতে চেয়েছিলেন কেন ভাই

যাই হোক ঘটনার মূল চরিত্রের সঙ্গে পাঠক হিসেবে ভগ্নহৃদয়ে কমেন্ট করছি। দশকেজি স্বদেশী জাত মিষ্টি নিয়ে যে আপ্যায়নের প্রত্যাশা ববি বা এলিনের কাছ থেকে আশা করা গেছিল এলিনার ঠান্ডা আচরণের কারণে সেই প্রত্যাশার গগনচুম্বী ইমারত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। এলিনার অবশ্য এরকম আচরণের কারন থাকতেই পারে।যাই এখন চতুর্থ পর্বে...

২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সেই মন্তব্যের কথা মনে আছে :)
হ্যা কত সপ্ন নিয়ে গিয়েছিল সে তার খানিকটা বর্ণনা আছে- কিন্তু বিধি বাম কিংবা পরিস্থিতি একেবারে অনুকুলে ছিল না।
এরপরে বেশীরভাগ কষ্টের কথা যার বেশীরভাগ এলিনাকেই নিয়ে- সাথে অবশ্য নতুন অতিথিকে নিয়েও গল্প হবে- তাকে ছাড়া এই লেখাই অসম্পূর্ন থেকে যাবে।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ভাই যে এমন অসুস্থ্য শরির নিয়ে ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বের করে এতগুলো পর্ব একসাথে পড়ছেন বলে।
সামনের পর্বে কথা হচ্ছে।

১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চতুর্থ পর্বে নতুন করে আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। এলিনার জন্য খারাপ লাগছে....

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল বলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী!
মন খারাপ হবার মতই ব্যাপার।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: মস্কোকে বাঙ্গালীরা তো দেখছি স্বর্গ বানিয়ে ফেলেছিল.....বাবনিকের কর্মকান্ড দেখে এলিনা ও বাচ্চার কপালে দু্র্ভোগ আছে মনে হচ্ছে...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা তা বটে- একটা সময় সেটা স্বর্গ-ই ছিল। বা তার থেকে বেশী, কেননা স্বর্গঃসন্মন্ধে আমার কোন ধারনা নেই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.