নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নারী-ভীতি

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪


খন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি । মফস্বলের ভাঙ্গা বেড়ার সেই ছোট্ট স্কুলটাতে ভাল ছাত্র হিসেবে অন্যদের তুলনায় মনে হয় একটু ভালই ছিলাম না হলে ক্লাসে প্রথম সারিতে থাকব কেন ? আমার স্মরণ শক্তি খুব দুর্বল সেজন্য এখন কিছুটা দ্বিধান্বিত আসলেই কি ভাল ছাত্র ছিলাম নাকি ভদ্র বালক ছিলাম? যাহোক গড় পড়তা মান খারাপ ছিল বলে মনে হয় না।
প্রতিদিন একগাদা বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়া ক্লাসে স্যারদের একঘেয়ে বকবকানি আর সামান্য ভুলচুকে অমানুষিক অত্যাচার টিফিন পিরিয়ডে খেলার নামে মাঠ দিয়ে ছুটোছুটি আর সেই খেলা খেলতে গিয়ে প্রায়শই পরে গিয়ে হাত-পা ছিলে বাসায় এসে মায়ের বকুনি খাওয়া ছিল আমাদের প্রতিদিনের রুটিন। তখন মনে হোত এ জীবনের কোন ভ্যারিয়েশন নেই- ছিল বড্ড নিরামিষ ।
কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তোমার জীবনের কোন সময়টা সবচেয়ে মিষ্টি মধুর স্মৃতিতে ভরপুর এবং সেই দিনগুলিতে আবার ফিরে যেতে মন চায় । প্রতিউত্তরে দু চারজন দুর্ভাগ্যবানরা ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই নির্দ্বিধায় বলবে ‘আমার ছেলেবেলা।’
কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আমিও ওই দুর্ভাগ্যবানদের একজন। আমি আমার সেই ছেলেবেলায় ফিরে যেতে খুব বেশী আগ্রহী ছিলাম না কখনো। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অন্য অনেক কিছুর মত ইচ্ছে অনিচ্ছাগুলো পালটে যায়।
তখনকার খুব অল্প কিছুই স্মৃতি আছে যা মনকে একান্তভাবে নাড়া দেয়। কে জানে এখন মনে হয় বুঝতে পারছিনে সেই দিনগুলি হয়তো জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ছিল ,হয়তোবা বৃদ্ধ বয়সে মনে করে চোখের জল ফেলব ।
উজ্জল। টগবগে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা একটি ছেলে । এমন ডানপিটে প্রতিভাবান ছেলে আমি খুব কম দেখেছি । তবে তার জন্ম আমাদের গাঁয়ে না ভিন গায়ে। কোথায় ছিল আজ ভুলে গেছি। তার বাবা ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা। (টি এন ও)
চাকরীর ক্ষেত্রে তাকে দু’চার বছর পর পরই তল্পি তল্পা নিয়ে একশহর ছেড়ে অন্য শহরে ডেরা বাঁধতে হত । সরকারী এইসব চাকুরেদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রথমত পড়াশুনা। ঘন ঘন স্কুল পরিবর্তনের জন্য প্রায়শই ‘ব্রেক অব স্টাডি’র স্বীকার হতে হয়। তাছাড়া একটা পরিবেশ ছেড়ে অন্য পরিবেশে গিয়ে মানিয়ে নিতে হলে সময়ের প্রয়োজন। সম্পূর্ণ নতুন এক শহর অন্য পরিবেশ একটু ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে তাল মেলাতে না পেরে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এরা হয় ঘরকুনো নয়তো অতি আড্ডাবাজ হয় আবার কেউ কেউ বখে যায় । সেজন্য বাবা মায়েরা সবসময়ই তটস্থ থাকেন তাদেরকে নিয়ে নিজেদের গণ্ডির বাইরে ওদেরকে মিশতে দিতে চান না ।
দুদিন যেতে না যেতেই ভদ্র-বালকের স্বরূপ উন্মোচিত হল। পুরো ক্লাস তার কাছে নাজেহাল পর্যদুস্ত! একটু বোকা সোকা সহজ সরল ছাত্রদের সে নিত্যনতুন উদ্ভাবিত অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তুলল । বেচারারা জল-ভর্তি চোখে মুখ বুজে সয়ে গেছে শুধু নালিশ করার সাহস পায়নি কেননা শত হলেও সে এ স্কুলের সবচেয়ে সম্মানিত ছাত্র । ব্যতিক্রমধর্মী দুষ্টুমি বুদ্ধি আর বাকচাতুর্যে তার সাথে পেরে ওঠা মুস্কিল ছিল । ভাবতাম সে শুধুই বুঝি ডানপিটে —ছাত্র হিসেবে লবডঙ্কা! কিন্তু আমাদের ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করে তুখোড় বুদ্ধিমত্তার ঝাঁপি খুলে স্যারদেরও প্রিয় পাত্র হয়ে গেল।
এতগুলো গুণ থাকাতে তাকে হিংসে না করে উপায় ছিল না ।
সে ছিল যতটা দুরন্ত আমি ছিলাম ততটাই শান্ত কিন্তু কি আশ্চর্য কারনে দুজনের মধ্যে একসময় গভীর বন্ধুত্ব হয়ে গেল।
তা কাছেই প্রথম শিখলাম কি করে ক্লাস ফাঁকি দিতে হয় কিভাবে শিক্ষকের উপস্থিতিতে নিরীহ মুখ করে তার অগোচরে চূড়ান্ত ফাজলামি করা যায়।
শিক্ষকরাও যে একেবারে বুঝতেন না তা কিন্তু নয়, তবে তাকে কিছু বলার মত সাহস তাদের হয়ত ছিল না ।
দুজনের বন্ধুত্ব তখন চরমে যেন মানিক জোড়। আমরা একসাথে ক্লাসে বসি একসাথে খেলি একসাথে প্রাইভেট পরি আর সে দুষ্টুমি করে আমি সহযোগিতা করি। মেয়েদের ব্যাপারেও সেই বয়সে একটু উৎসুক হয়েছিলাম তারই বদান্যতায়। ওদেরকে নিয়ে সে এমন সব কথা বলত যে না জানি কত অভিজ্ঞ। তবে তার জ্ঞানের বহর দেখে হতবাক হতাম নিঃসন্দেহে।
আমাদের (বিশেষ করে আমার)দীর্ঘ একঘেয়ে জীবনে সে আনলো পরিবর্তনের ছোঁয়া । তাকে পেলে আনন্দে আত্মহারা হই কেউ কেউ তাকে অপছন্দ করলেও একদিন ক্লাসে সে না আসলে সবাই বিমর্ষ হয়ে পরে । উপরে ভাব দেখাত সে না আসায় তারা বড্ড খুশী কিন্তু বোঝা যেত এটা তাদের মেকী উৎসব।
তবে আশ্চর্যের বিষয় এত ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব থাকা স্বত্বেও ক্লাসের সময়টুকু বাদে আর কখনই কোথাও তার সাথে দেখা হয়নি । ছুটির দিন মায় কোন ঈদ উৎসবেও সে আমাদের কারো সাথেই দেখা করেনি । আমরাও কখনো এনিয়ে তাকে অভিযোগ করিনি । বুঝতে পারতাম পরিবারের শাসনের গণ্ডি ভেঙ্গে আমাদের কাছে আসা তার জন্য একটু কষ্টসাধ্য ।
তাই সে হয়ত সেটুকু পুষিয়ে নিতে স্কুলের সময় টুকু ইচ্ছেমত উপভোগ করে ।
তখন সবে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠেছি । স্কুল ফাইনালে সে আমাকে টপকিয়ে একধাপ উপরে উঠে গেছে । সে নিয়ে মনে মনে একটু বিরূপ হলেও তার সাথে সম্পর্কের বিন্দুমাত্র অবনতি হল না ।

হ্যাপি এতটুকুন মেয়ে (ওই বয়সে বড়ই লাগত) কিন্তু কোমড় অব্দি লম্বা চুল ছিল , ফর্সা একহারা গড়ন,দেখতে বেশ লাগত ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে সবাই তার দিকে ঠারে ঠুরে এক আধবার তাকাত । সেও হয়তো বুঝতে পেরে দিন দিন আরো বেশী দেমাগি হয়ে উঠছিল । ক্লাসে আসতে যেতে কারো দিকে তাকায় না । যদিও সে আমাদের নীচের ক্লাসে পড়ত কিন্তু দু ক্লাসের মাঝে একটা বাঁশ নিমিত দেয়াল( বেড়া) থাকায় ক্লাসে বসেও তাকে দেখতে অসুবিধা হত না ।
তবে আমাদের দৌড় ওই ভালোলাগা পর্যন্তই ওই টুকুতেই শান্তি। এর থেকে বেশিদূর অগ্রসর হওয়ার মানসিকতা বয়স সাহস কারোই ছিলনা। ভালবাসা কি তখন অবশ্য উজ্জলের বদান্যতায় একটু একটু বুঝতে শিখেছি তবে এটাও জানি এসব বড়দের জন্য ।
চলছিল বেশ আচমকা একদিন ক্লাস শেষে উজ্জল আমাকে নিরিবিলি এককোণে টেনে নিয়ে গেল গোপন কিছু বলার অভিপ্রায়। আমি একটু অবাকই হলাম ওতো এভাবে গোপনে কিছু বলে না! যা বলে সবার সামনে উঁচু গলায় বুক ফুলিয়ে । তাহলে..
‘শোন ..আমি প্রেমে পড়েছি?’
আঁতকে উঠলাম , অ্যা বলে কি?শুনেই আমার হাত পা কাঁপা শুরু হয়ে গেছে ! কাঁপা গলায় বললাম‘ কার?’
‘হ্যাপির।’
‘কি বলিস? ওতো ‘হিন্দু ’মেয়ে?’
‘তাতে কি? ভালবাসার মধ্যে ধর্ম কি?’
হাঁ হয়ে গেলাম তার কথা শুনে ।এমন একটা কথা বলার বা চিন্তা করার মত দুঃসাহস তখন আমার ছিল না! এখনো হয়তো নেই। ধর্মটা তখন জীবনের প্রতি পলে পলে আষ্টে পৃস্টে জড়িয়ে আছে। খুব ভোরে উঠে মক্তবে যেতে হত আরবি পড়ার জন্য। ‘মক্তবের হুজুররা শুধু আরবি পড়িয়েই ক্ষান্ত দিতেন না উর্দুও দুচার ছত্র পড়িয়ে ছাড়তেন। দেশ স্বাধীন হয়েছিল অনেক আগে কিন্তু উর্দুর ভুত তখনো তাদের মাথা থেকে নামেনি । ধর্মকে তারা এমনভাবে উপস্থাপন করতেন যে একটু এদিক ওদিক হলেই কেল্লা ফতে। তখন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার চেয়ে ভয় জাগত বেশ। একটু কিছু হলেই জাত গেল ধর্ম গেল বলে সবাই চিৎকার করে উঠত। এখনো অবস্থা তেমনিই আছে। তাই এমন কথা চিন্তা করার দুঃসাহস দেখাই কেমনে?
একটু চিন্তা করে বললাম, ‘এখন কি করবি?’
সে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল। তার এই হাসিতে আমি আরো শঙ্কিত হয়ে উঠলাম কেননা ‘এর মাজেজা ভয়ংকর কিছু তা আগেই জেনেছি !
দুদিন পরে ক্লাস করছি। আমাদের স্কুলের সবচেয়ে গুরু গম্ভীর আর কঠিন চরিত্রের হেড স্যার (ঈমান স্যার) ক্লাস নিচ্ছিলেন। অন্য স্যারের ক্লাসে একটু আধটু ফাজলামি করলেও ইঁনার ক্লাসে সুবোধ বালক সেজে থাকি।
আমরা দুজন বরাবরের মত পাশাপাশি বসে আছি। হঠাৎ কাঁদতে কাঁদতে হ্যাপি ক্লাসে ঢুকল। আচমকা এমন ড্রামাটিক দৃশ্য হেড স্যারকেও বিচলিত করল। তিনি তাকে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে?
‘সে কিছু বলতে চাইলে কিন্তু কান্নার তোড়ে ভেসে গেল।’
ক্লাস রুমে পিন পতন নীরবতা। আমরা সবাই নির্নিমেষে চেয়ে আছি ঘটনার পরবর্তী দৃশ্যের অপেক্ষায়…
এবার সে ডান হাতের মুঠো খুলে একটা দোমড়ানো মোচড়ানো কাগজ বাড়িয়ে দিল হেডস্যারের দিকে। হেডস্যার কাগজটা হাতে নিয়ে ভাঁজ খুলে পড়লেন।
আমরা সবাই অতি আগ্রহে হেড স্যারের দিকে চেয়ে আছি; ভেবেছিলাম উনি লেখাটা আমাদের পড়িয়ে শোনাবেন। কিন্তু আমাদেরকে হতাশ করে তিনি আবার সেটা ভাঁজ করে টেবিলের উপর রেখে দিলেন। একটুক্ষণ ঝিম মেরে থম থমে কণ্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করলেন‘ তুমি জানো মা এটা কে লিখেছে।”
সে মাথা নেড়ে জানাল, জানে কান্নার দমক তখনো থামেনি।
‘কে বলতো?’
সে এবার আমাদের দিকে হাত উঁচিয়ে উজ্জলের দিকে ইঙ্গিত করল ‘ও’
আমি অপার বিস্ময়ে হয়ে ঘাড় ফিরিয়ে তার দিকে তাকালাম। ওর মুখের রক্ত সরে গেছে। সে লজ্জায় যেন কুঁকরে যেতে চাইছে। ততক্ষনে হেডস্যার ক্লাসের এক ছাত্রকে দিয়ে দপ্তরিকে ডাকতে পাঠিয়েছেন।

আমাদের কারোই বুঝতে বাকী রইল না আজ ভয়ংকর কিছু ঘটবে!
দপ্তরী আসলে স্যার ওঁকে জোড়া বেত আনতে বলল। ভয়ে আমার অন্তরাত্মা কেপে উঠল!
দপ্তরী দ্রুত ছুটে গিয়ে বেত জোড়া নিয়ে আসল। স্যার সে দুটো হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে চেয়ার ছেড়ে নেমে এলেন প্রত্যাশিত জায়গায়। আমি ভয়ে চোখ নামিয়ে ফেলেছি।
‘দাড়াও।’ স্যারের এমন ভয়ঙ্কর কণ্ঠ কখনো শুনিনি।
‘কিরে ব্যাটা দাড়াচ্ছিস না ক্যান?’ কেন যেন মনে হল আমাকে উদ্দেশ্য করে তিনি কথাগুলো বলছেন। একটু চোখ তুলে তার মুখের দিকে তাকাতেই ভীষণ ভাবে চমকে উঠলাম,‘একি তিনি আমাকে দাড়াতে বলছেন? কেন..? ভেবে পেলাম না।’
তার সেই ভয়াবহ চাহনির সামনে আমি কোন প্রশ্ন করার ভাষা হারিয়ে ফেললাম।
হ্যাপির দিকে একবার করুন চোখে চেয়ে উঠে দাঁড়ালাম। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল বাড়ি। বাতাসে শীষ কেটে চাবুকের মত আছড়ে পরছে সেই শুকনো বেতজোড়া। কেউ কোন প্রতিবাদ করল না। এমনকি সেও নিষ্পলক তাকিয়ে আছে আমার দিকে একবারের তরে বলল না —স্যার অপরাধী এ’না সে।মনে হয় কাউকে মার খাওয়াতে পেরেই সে খুশি ছিল।
ওফ্‌ সে কি বীভৎস অত্যাচার! আজ এত বছর পরেও মনে হলে আমি শিউড়ে উঠি।
সেদিনের সেই ঘটনার পরে উজ্জলের সাথে বেশ কিছুদিন ভাল করে কথা বলিনি। যদিও সে বার বার ক্ষমা চেয়েছে তার কৃত কর্মের জন্য । তার কয়েকমাস পরেই অবশ্য তার বাবার অন্যত্র পোস্টিং হবার সুবাদে সে আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেল। আর কখনো তাকে দেখিনি এই জীবনে সেও আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনি!

সেই থেকে আমাকে পেয়ে বসল নারী-ভীতি বন্ধু বান্ধবদের সাথে যথেষ্ট সাবলীল থাকলেও মেয়েদের সামনে চোখ তুলে কথাই বলতে পারতাম না
ইন্টার মিডিয়েট পর্যন্ত কো এডুকেশনে পড়েছি কিন্তু একান্ত বাধ্য না হলে কোনদিন কোন মেয়ে ক্লাসমেটের সাথে কথা বলিনি । ক্লাস রুমে এমন এক কোনে বসতাম যেন সেখান থেকে মেয়েদেরকে নজরে না আসে।
উচ্চ বিদ্যালয়ে বরাবরই উপস্থিত বক্তৃতা কিংবা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। ম্যাট্রিক পরীক্ষার কিছু আগে স্কুল বার্ষিক প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃতি করব বলে মনস্থির করলাম। যদিও আবৃতি-কারকদের মত ভরাট দরাজ কণ্ঠ আমার নেই তবু ওই মফস্বল শহরে যেটুক আছে সেটুকুতেই চলবে। কাজী নজরুলের কঠিন একটা কবিতা বেছে নিয়ে দিন তিনেক ঝাড়া মুখস্থ করলাম সেই সাথে চলল, ব্যাপক ভাব নিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে প্রাকটিস ।
কবিতাটা এত বেশী ঠোটস্ত হয়ে গেছিল যে প্রতিযোগিতার দিন একটা চিরকুট নেয়ার প্রয়োজন অনুভব করলাম না।
নির্দিষ্ট দিনে ঢাউস মাইকে আমার নাম ঘোষিত হলে দুরু দুরু বক্ষে স্টেজের মধ্যিখানে মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। 'নতুন অভিনেতাদের নাকি দর্শকের দিকে তাকাতে নেই তাহলে তার ডায়লগ এলোমেলো হয়ে যেতে পারে'।
আমি সেই ভুলটিই করলাম। স্টেজের সামনের সারির দর্শকের দিকে তাকাতেই দেখি একসারি মেয়ে বসে হাঁ করে আমার দিকে চেয়ে আছে। ঘাবড়ে গিয়ে এবার তাকালাম ডানপাশে দেখি সেখানকার অবস্থাও তেমনি। এতগুলো মেয়ে এভাবে আমার দিকে চেয়ে আছে সেটা ভেবেই আমার হাত-পা অসাড় হয়ে গেল !! সবকিছু ভুলে স্থাণুর মত দাড়িয়ে আছি। পিছন থেকে স্যার ফিস ফিসিয়ে বললেন ‘কি ব্যাপার কিছু বলছিস না ক্যান?’
কি বলব ছাই আমি সব ভুলে গেছি। পুরো কবিতাতো দুরের কথা এমুহূর্তে আমার কবিতার নামই মনে আসছে না !
মনে করার চেষ্টারত অবস্থায় শুকনো ফ্যাঁসফেসে কণ্ঠে দু-তিনবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করলাম ,‘আমার কবিতার নাম..’ ব্যাস এই টুকুনই। স্যার ওদিকে বেল চাপছেন তার মানে সময় শেষ। আচমকা তিনি হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন ‘স্টেজ থেকে নাম।’
আমি লজ্জিত বিমর্ষ বদনে মাইক্রোফোনের সামনে থেকে সরে আসতেই দর্শক-সারিতে হাসির রোল উঠল। আমার মনে হল শুধু মেয়েরাই হাসছে!

মিরোর-আপু একটা মন্তব্যে বলেছেন;
কিন্তু শেরজা কি চিজ সেটাতো জানি।
সাত ঘাটের জল খেয়েও বলে প্রেমে পড়েনি।

আমি যে কত সুবোধ ভদ্র বোকা ও ভীতু বালক ছিলাম সেইটে বোঝানোর জন্য ভীষন কষ্ট করে এই বাল্যস্মৃতিগুলো টেনে আনলাম :(


মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমরা আসলে প্রত্যেকেই কারও না কারও প্রেমে পড়ি। মিরর ঠিক কথা বলেছেন।

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বলছেন যে প্রেমের কথা মিরোর বহিন সে প্রেমের কথা বলেননি।
তিনি বড় ঘোড়েল চিজ।
এরকম প্রেমেতে আজন্ম পড়ছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শায়মা বলেছেন: হা হা এত দিনে বুঝলাম তোমার বৌ কে বু লেখার কারণ কি !!!! হা হা হা




না ........ তি........

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বিশেষ বুদ্ধিমতি রমণী আপনি না বুঝিলে কে বুঝিবেক।
আল্লা আপনারে এত শত গুণের সাথে এমন ধারালো বুদ্ধি দিয়ে কেন পাঠাইল হুঝে আসতেছে না।
শেষের কোড বুঝি নাই

৩| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:



মেয়েদের সামনে চোখ তুলে কথাই বলতে পারতাম না

true or false?

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) আগে পারতাম না - এখনো পারি না এ কথাতো বলি নাই।
যাহা লিখিয়াছি সত্য লিখিয়াছি। আপনার বিশ্বাসযোগ্য অর্জন করা আমার কম্মো নহে। :(
* আপনি যেহেতু এসেছেন তাই দৃষ্টি আকর্ষণটা তুলে দিলাম।

৪| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:



শেরজা আর নারী-ভীতি?

Sorry man! It's not just me, I don't think anyone here will believe you :)



২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: সত্য কথার ভাত নাই
পুরুষ মানুষের কিরা-কসমের দাম নাই ! :(
আফসুস বড়ই আফসুস!

৫| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

শায়মা বলেছেন: আসলেই তুমি গাধা তো ভালোই ভাইয়া????


কোন কারণে বৌ কে বু ডাকো শুনি????


না ............. তির কারণেই তো!!!!!!!!!!! হা হা হা

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আরেকটু হিন্টস দিলে ভাল হৈত- তারপুরে বেশ খানিক্ষন মাথা খাটিয়ে অবশেষে ইউরেকা!!!!!

একবার হোজ্জার গাধা হারিয়ে গেল।হোজ্জা চারিদিকে খুঁজে খুঁজে হয়রান।
যাকে পায় তাঁকে ধরেই বলে,ভাই কি আমার গাধাটারে দেখছ?
এক পুংটা পুলায় কয়, মামু তোমার গাধারে দেখলাম রাজার লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে শুনি ওরে নাকি শিক্ষামন্ত্রী বানাইছে।
নাসরেদ্দিন সিরিয়াসলি ব্যাপক চিন্তিত হয়ে মাথা দুলাইদুলাইতে কইল, হইতে পারে। আমি যখনই মক্তবে পুলাপানপগো পড়াইতাম তখনই দেখতাম ও কান নাড়ত আর মাথা দুলাইত!!


আমি সেই গাধা আপু, ঠিক কইছেন। :)

৬| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:



স্মৃতিকথা কিন্তু দারুণ লেগেছে!
উজ্জ্বলতো বাঘের বাচ্চা!

বাই দ্যা ওয়ে, আমার স্মরণ শক্তি খুব দুর্বল কিন্তু ওই বয়সেই এতটুকুন মেয়ে হ্যাপির কোমড় অব্দি লম্বা চুল ছিল, ফর্সা একহারা গড়ন কিন্তু ঠিক মনে রেখেছি। নারী-ভীতি আছে বলেই নারীসঙ্গ ভুলি না। :)

আমাদের শেরজা কুটিবেলাতেও ভদ্র ছিলো, এখনও ভদ্র।

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: তিনি আমাদের হাই স্কুলের অংক স্যারের ভাগ্নী ছিল। বালক বয়সে স্যারের বাসায় যখন প্রাইভেট পড়তে যাইতাম। তিনি মাঝে মধ্য উকি-ঝুকি আর মিষ্টি দুষ্টু হাসি দিতেন আর আমি ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে যেতাম।
তবে এটা ঠিক -উজ্জ্বল বাঘের বাচ্চা না আস্ত বাঘ ছিল। আমার কেন যেন মনে সেদিন সে ইতি'র পরে আমার নাম লিখেছিল।

৭| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:



মিরোর-আপু একটা মন্তব্যে বলেছেন;
কিন্তু শেরজা কি চিজ সেটাতো জানি।


এটাতো কমপ্লিমেন্ট।
চিজ আমাদের সবার প্রিয়, প্রোটিনসমৃদ্ধ :)

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: হা্ঃ হাঃ হাঃ
আমার পাগলা ঘোড়া রে, কই থেইকা কই লইয়া যায়!!!

৮| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

মিরোরডডল বলেছেন:



আমি যে কত সুবোধ ভদ্র বোকা ও ভীতু বালক ছিলাম

ছিলাম না, শেরজা এখনও বোকা।
শায়মাপু, তোমার দুটো মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে সেটাই প্রমাণ করে।

কিন্তু যে নিজেকে বোকা বা গাধা বলে সে কিন্তু অতি চালাক :)

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: এইতো এতক্ষনে বুঝ আসছে।
এরপরেওতো লাস্টে একটা গিট্টু লাগায় গেলেন!!

৯| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: উজ্জ্বল শয়তানটার ওই কাজ কেন করলো কে জানে! ঈমান স্যারের বেতের মার আমাদের শেরজা ভাইয়ের চোখে নারীদের ভয়ানক বানিয়ে দিলো জেনে খারাপ লাগলো।

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: তবার অসীম শয়তানীর প্রতিভার একটুখানি তুলে ধরেছি এখানে। ওই বয়েসী ছেলে এত ফাজিল আর ইচড়েপাকা হয় এ আমাদের ধারনার মধ্যেও ছিল না।
ঘাট এলাকায় পুলাপাইন এমনিতেই চালাক চতুর হয় কিন্তু তারাই টাসকি খেয়ে গিয়েছিল।
আহারে সেই মাইরের কথা আর স্মরণ করাবেন না।
সহানুভূতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:



ম্যাট্রিক পরীক্ষার কিছু আগে স্কুল বার্ষিক প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃতি করব বলে মনস্থির করলাম। যদিও আবৃতি-কারকদের মত ভরাট দরাজ কণ্ঠ আমার নেই তবু ওই মফস্বল শহরে যেটুক আছে সেটুকুতেই চলবে।

চামে চিকনে কিন্তু শেরজা তার আরেকটা সুপ্ত প্রতিভার কথা সবাইকে জানিয়ে দিলো।
কিছুদিন আগেতো কবি পরিচয় প্রকাশ পেলো।
তা কবিতা আবৃতিটা যেনো কবে শুনবো? :)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যা কই যেমনে কই আপনি খপ্‌ করে ধরেন।
এই শেষ আমার ভয়ঙ্কর সব প্রতিভার গল্প! মাফ করে দেন

১১| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভীতি কেটেছে এখন?

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২০

শেরজা তপন বলেছেন: নারীভীতি কেটেছে বলে মনে হচ্ছে না- কেননা ঘরণী যেহেতু একজন নারী :)

১২| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাইসাব আয়নাবিবি মনে হয় আপনার যুবক কালের কথা বলছে !

সেটারে পাশ কেটে গেলেন ক্যান =p~

সে যাক ,

আমি শিশু বয়স থেকে প্রচণ্ড সমবয়সী মেয়ে বিদ্বেষী ছিলাম । আমার যত ভাব জমতো বড় আপুদের সাথে । এই নিয়েও ঘটনা একটা আছে বলব নে !!

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: উনি সবকালের কথাই বলছেন।
উনার উক্তিতে আমি মায়ের পেট থেকে বেরিয়েই প্রেম পিরিতি শুরু করেছি :)
ফের বড় আপু :)
কি বলেন কেন মেয়ে বিদ্বেষী ছিলেন? লক্ষণ তো ভাল না।

১৩| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১২

শায়মা বলেছেন: নির্বহন ইঁচড়ে পাকা আগেই বুঝেছি...... B:-/

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: সব পেঁকে পাঁকারা এখানে এসে ভীড় করেছে। আমিই একদম হদ্দ বোকা রে !!! :-&

১৪| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নির্বহন ইঁচড়ে পাকা আগেই বুঝেছি...... B:-/

আমার এক স্যার একদিন কলেজের ক্লাসে বেশ জোর গলায় বলেছিলেন ,

" এই ক্লাসে দুটো ইঁচড়েপাকা আছে , একটা আমি ( স্যার ) আরেকটা এই শয়তানটা ( আমি ) ! "

আসলে বয়সে বড়দের প্রেমে পড়ার স্মৃতিগুলো অনবদ্য । জানো , যারা বয়সে বড়দের প্রেমে পড়ে তারা মহামানব হয় !!

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আচ্ছা ভ্রাতা ইঁচড়ে শব্দের অর্থটা কি?
এটা কি ইঁচড়ে নাকি এঁচোড়ে পাকা হবে? কাঠাল এঁচোড় ( কচি বা শিশু) অবস্থায় পেকে গেলে সেটাইতো এঁচোড়ে পাকা না কি?
এই ব্লগে আরো কিছু আপনার মত মহামানব আছে।
অবশ্যই আপনি মহামানব হবেন- দেখি কে ঠ্যাকায়? :)

১৫| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আমি যা কই যেমনে কই আপনি খপ্‌ করে ধরেন।
এই শেষ আমার ভয়ঙ্কর সব প্রতিভার গল্প! মাফ করে দেন


কিন্তু আমার যে দয়ামায়া কম, মাফ করতে পারবো না।
ঠিক এরকম লেখাগুলোই চাই :)

শেরজা ব্যাটিংয়ে চরম পারদর্শী !
খপ্‌ করে কিনা জানিনা, আমি শুধু ধরার চেষ্টা করছি মাত্র :)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আহা এমন স্মৃতির একটাই গল্প হয়!
সামনে মার-কাট একটা প্রেমের উপন্যাস নামাবো ভাবছি। ভয়-ভীতি ক্যামনে ভাঙল তাঁর গল্পওতো করতে হবে :)

১৬| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বন্ধু উজ্জ্বল চিঠির শেষে নাম লেখেনি। আপনারা দুইজন সব সময় একসাথে থাকতেন তাই মেয়েটি নিশ্চিত ছিল না কে চিঠি লিখেছে আপনি নাকি উজ্জ্বল। তাই তার দৃষ্টিতে আপনারা দুইজনেই অপরাধী ছিলেন। আপনিও হয়তো উজ্জলের তালে পরে মেয়েটির সাথে ইশারা ইঙ্গিতে দুষ্টুমি করেছেন। যেটা আপনার হয়তো খেয়াল নেই। এই কারণে আপনাকে হাল্কা পাতলা দেয়ার সময় মেয়েটি প্রতিবাদ করেনি। :)

আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। :)

এই ভীতি কখন কাটলো সেটা কি জানা যাবে কি? :)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: এই ভীতি যে কেটে গেছে সেটা তো বলি নাই :)
নিজ ঘরে যে রমনী থাকে তাঁর ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকি সারাক্ষণ B:-)
উজ্জলের ব্যাপারে আপনার ধারনা সঠিক হতে পারে তবে আমি কোন ফাজলামি ইয়ার্কি করি নাই কোনদিন সেটা নিশ্চিত।

১৭| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইঁচড়ে শব্দটার অর্থ কাঁচা ,

এটা কি ইঁচড়ে নাকি এঁচোড়ে পাকা হবে? কাঠাল এঁচোড় ( কচি বা শিশু) অবস্থায় পেকে গেলে সেটাইতো এঁচোড়ে পাকা না কি?

একদম ঠিক ধরেছেন । আসলে অপভ্রংশের কারণে এঁচোড় ইঁচড়ে হয়ে গেছে !!

এই ব্লগে আরো কিছু আপনার মত মহামানব আছে।

নামগুলো বলুন না । একটা সংগঠন করে ফেলি । " নিখিল সামু ইঁচড়ে পাকা সমিতি " B-)

শেষের কথা যেন আল্লাহ পাক সত্য করে ভাইজান !!

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ উনাদের নাম বলি আর উনারা আমাকে নিবর্হন মানে নির্বংশ করে ছাড়েন আর কি।
আমারে ব্লগ ছাড়া করাবেন নাকি।
এমনিতেই গাজী সাহেব ক্ষেপে আছেন আমার উপরে। উনি বোমাটা কোন দিক দিয়ে মারবেন ভেবে দিশেহারা!!!!
মনেপ্রাণে চাইলে অবশ্যই সফলকাম হইবেন।

১৮| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:



নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন:
যারা বয়সে বড়দের প্রেমে পড়ে তারা মহামানব হয় !!


তাতো অবশ্যই!
কারণ বয়সে বড় প্রেমিকারা অভিজ্ঞ হয়।
they know all tips & tricks!

তাদের কাছ থেকে সেগুলো শিখে নিয়ে মহামানব প্রেমিক তার বয়সে ছোট প্রেমিকাদের ওপর এপ্লাই করে :)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: এর প্রতিউত্তরে আমি আর কিছু কইতাম না।
আপনি যেভাবে পোলাপাইনদের পেছেনে লেগেছেন- শেষমেষ এরা ব্লগ ছাড়া না হয় :)

১৯| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৩১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কারণ বয়সে বড় প্রেমিকারা অভিজ্ঞ হয়।
they know all tips & tricks!

তাদের কাছ থেকে সেগুলো শিখে নিয়ে মহামানব প্রেমিক তার বয়সে ছোট প্রেমিকাদের ওপর এপ্লাই করে :)


ছিঃ আমি বয়সে ছোটদের প্রেমে পড়ি না !! কেমন যেন লাগে ন্যাকামি আমার পছন্দ না বলে । আমি আবার সেই লেভেলের অভিজাত যুবা !!

তবে আমি বড় আপুদের থেকে কিছু শিখি নাই উল্টো শিখিয়েছি !! B-)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: বাপরে দেখেন দেখেন মিরর আপু প্রতিভা দেখেন।
সেই জন্যইতো গুণী জ্ঞানীরা বলেছেন, প্রতিভা আর চুলকানী লুকায় রাখা প্রায় অসাধ্য!!

২০| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

মোগল সম্রাট বলেছেন:
তপন ভাই একদম ফাটিয়ে দিয়েছেন। আপনার চিঠির কাহিনি পড়ে নিজেরটা মনে পড়ে গেল B-)

একবার হাই স্কুলের এক মেয়েকে চিঠি লিখে তার বইয়ের মধ্যে গুজে দিয়েছিলাম। কিন্তু চিঠিটা মেয়ের ময়ের হাতে ধরা পড়ে যায়। মেয়ের মা আমাকে ডেকে নিয়ে যে ধমক আর ভয় দেখাইছে তাতে লজ্জার চাইতে ভয়ে কলিজা শুকায়া গেছিলো। ;)
সারা স্কুল সেই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেছিলো লজ্জায় ১ সপ্তাহ স্কুল পালিয়েও রেহাই পাইনি :D

চমৎকার স্মৃতিচারন।

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনারটাতো পুরা পারিবারিক হয়ে গেছে। এইটা বেশ শরমের :-P
মাইরের চোটে আমার পিঠের চামড়া ফেটে গিয়েছিল। সেইটারে যদি ফাটানো বলেনতো ঠিক আছে। :-B
নিজের কাহিণী সংক্ষিপ্তাকারে পেশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ব্রো। এইবার পুরোটা লিখে ফেলেন।

২১| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:



নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন:
ছিঃ আমি বয়সে ছোটদের প্রেমে পড়ি না !!


হায়রে নির্বংশ!!!
একদিন আসবে যেদিন আজকের এই কমেন্টের কথা ভেবে লজ্জায় লাল হবে।
শুধু পড়বে না, সাঁতার কাটবে, হাবুডুবু খাবে।


২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: তিনি বলিয়াছেন; কিন্তু বিরাট ফারাক থাকবে না , আবার বলাও যায় না । মানুষ খুব রহস্যময় একটা প্রাণী !!
বেশ বেশ - সেফ এক্সিট প্রস্তুত রাখা হল :)

২২| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হায়রে নির্বংশ!!!
একদিন আসবে যেদিন আজকের এই কমেন্টের কথা ভেবে লজ্জায় লাল হবে।
শুধু পড়বে না, সাঁতার কাটবে, হাবুডুবু খাবে।


হাহাহাহাহা আপা , না মনে হয় না এমনটা হবে !! হলেও হয়তো কাছাকাছি বয়সের হবে !! কিন্তু বিরাট ফারাক থাকবে না , আবার বলাও যায় না । মানুষ খুব রহস্যময় একটা প্রাণী !!

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: হাহাহাহাহা আপা , না মনে হয় না এমনটা হবে !! হলেও হয়তো কাছাকাছি বয়সের হবে !! কিন্তু বিরাট ফারাক থাকবে না , আবার বলাও যায় না । মানুষ খুব রহস্যময় একটা প্রাণী !!
কাছাকাছি মানে দশ পনের বছরের ফাঁরাক-তো হবেই। আমি ভাবতেছি; এইরকম হইলে আপনার পঞ্চাশ/ পঞ্চান্নতে কি গতি হইবেক????

২৩| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: নারীভীতি কেটেছে বলে মনে হচ্ছে না- কেননা ঘরণী যেহেতু একজন নারী

শেরজার ভীতির কারণটা মনে হয় বুঝতে পেড়েছি।

My apology in advance for this dirty jokes :P

মা আমাদের ৫বছর ধরে প্যান্ট পরাতে শেখায়
আর বৌ তা ৫ মিনিটে খুলে ফেলে


have fun &
good night :)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ একটু ইয়ে টাইপের হোলেও মজার হয়েছে।
একে স্কিন টাইট প্যান্ট তারপরে প্যান্টের বেল্ট মনে হয় কষে বেঁধেছিল। সুদীর্ঘ পাঁচ মিনিট লাগার ত কথা নয়। আর বৌ প্যান্ট খোলে এই সৌভাগ্য কি
কোন বাঙ্গালী পুরুষের হয়েছে? :``>>
ভালই মজার একটা সন্ধ্যা উপহার দিলেন। শুভরাত্রি।

২৪| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কাছাকাছি মানে দশ পনের বছরের ফাঁরাক-তো হবেই। আমি ভাবতেছি; এইরকম হইলে আপনার পঞ্চাশ/ পঞ্চান্নতে কি গতি হইবেক????

কাছাকাছি মানে এক দুই বছর আরকি !! পঞ্চাশ পঞ্চান্নতে তো আগে যাই । যেভাবে ভেজাল খাচ্ছি মনে হয় না মেয়াদ অতদিন আছে !!

২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০১

শেরজা তপন বলেছেন: না না কি কুকথা কন। আপনি অবশ্যই শতায়ু লাভ করিবেন- না হইলে মহামানব হইবেন কেমনে?
চল্লিশে গিয়ে সিদ্ধিলাভ করিতে হইবে।

২৫| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১১

সোহানী বলেছেন: এ কি অবস্থা!! তারপর কি হলো, মারধোর এর পর নায়িকা কাঁদো কাঁদো চোখে ক্ষমা চায়নি!!!

২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আরে নারে আপা ওই বয়সে পুলাপান আর ক্ষমা চায় নাকি। মারের চোটে জ্বর এসে গিয়েছিল- বেশ কয়েকদিন স্কুলে আসতে পারিনি।
শুধু আমার মায়ের কড়া শাসনের জন্য স্কুল ত্যাগ করিনি।
ধন্যবাদ সহমর্মিতার জন্য।

২৬| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৭

জটিল ভাই বলেছেন:
আহারে........ পড়তে পড়তে চোখ ভিজে গেলো......... :(

২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি খুব কোমল হৃদয়ের মানুষ।
আপনার লেখা দেখলে বোঝা যায় জীবনটাকে এত জটিল করতে আপনি বাজী নন।
ভাল থাকুন- এমনই থাকুন।

২৭| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১:০৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বড় হইয়া এমন কি বুড়া হইয়াও কোনো একজনরে ভালোবাসি কইতেও অনেক সময় ক্ষেপন করতে হইছিল একই কারণে। হায় আমাদের সন্ত্রাসী শিক্ষকগণ!

২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: জুলিয়ান সাহেবকে বেশ অনেকদিন বাদে দেখলাম। ভাল আছেন আপনি?
আপনারও এমনরূপ ঘটনা ঘটেছে! একে অপরের প্রতি সমব্যাথি।

আমার অবশ্য নারীভীতি প্রেম-পিরিতি আটকিয়ে রাখতে পারেনি ;)

২৮| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মজা পেলুম।

আমার নারী-ভীতি কিন্তু আমি নারীদের একদম ভয় পাই না। LOL

২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো সাক্ষাৎ সিংহ মশাই!এত বড় বুকের পাটা নিয়ে চলা আর ডাবল স্টান্ডার্ড মেইন্টেইন সিংহ পুরুষ এ যুগে আর তেমন দেখা মেলে না।
শতায়ু হউন।

২৯| ২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

কিরকুট বলেছেন: নায়িকারা নায়ক কে মারধর করে দেখতে চায় নায়কের সহ্য শক্তি কেমন। কারন ভবিষ্যতে তো নায়িকার মার খেতে হবে। বাংলা সিনেমা দেখেন নাই ? নায়ক কে মেরে ফাটিয়ে ফেলে তারপর ফুলের তোড়া নিয়ে দেখতে গিয়ে বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পরে লারেলাপ্পা গান শুরু করে দেয় । আপনি হুদাই ভয় পাইলেন ।

২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো সাইড এক্টোর। এরা পুরো সিনেমাতে সেক্রিফাইস করে শেষ দৃশ্যে খুন হয় নাইলে মারা যায়- নাহলে নায়িকাকে সব লস্কর তস্করদের থেকে উদ্ধার করে নায়কের হাতে তুলে দিয়ে চিরপ্রস্থান করে।খুব বেশী হলে নায়িকা বলে আপনার অবদান কোন্দিন ভুলব না :)
সাইড এক্টোরের গান হয় সপ্নে গো ভাই।

৩০| ২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নারী প্রীতি নয় নারী ভীতি নিয়ে পোস্ট। আল্লাহ তায়ালা নারী ভীতি নয় নারী প্রীতি দান করুক সকল পুরুষের মনে ।

২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: যেই বয়সে প্রীতি দরকার ছিল সেই বয়সে হয়েছে কবি ভাই :)

৩১| ২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

কিরকুট বলেছেন: একটা জিনিস অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি । যে যতো ভয় পাই বলে , তা সে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক। সে ততো গভীরে নামে । ওয়ি যে বলে না গভীর জলের মাছ । B-)

২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: মেয়েদের মনের তল সেটা মোটেও গভীর নয়
অগভীর জলেই হাঁচড় পাচড় করে বেশ খানিকটা এগিয়েছিলুম। ফের পাঁক কাদায় ডুবে গিয়েছি। :(

৩২| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: কিরকুট বলেছেন: একটা জিনিস অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি । যে যতো ভয় পাই বলে , তা সে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক। সে ততো গভীরে নামে । ওয়ি যে বলে না গভীর জলের মাছ ।

উক্ত কমেন্টকারী কে ধন্যবাদ আসল কথা বলে ফেলার জন্য । একমত ।

২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও তার সাথে তাল মিলাইলেন- হায় মাবুদ আল্লা!!!!
আপনার উপ্রে অনেক ভরসা ছিল। এখন কে দিবে আশা কে দিবে ভরসা ????

৩৩| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝতে পারলাম, আপনার নারী সংক্রান্ত যা কিছু উন্নতি হয়েছে, সবই রাশিয়ায় গিয়ে। দেশ-জীবনের সব অপ্রাপ্তি যে আপনি ওখানে গিয়ে সুদে-আসলে পুষিয়ে নিয়েছেন, তাতে আর কোন সন্দেহই নাই।

আপনি ক্লাস ফাইভে পড়তেন, তো হ্যাপি কোন ক্লাসে পড়তো? মেয়ের বর্ণনা যেভাবে দিলেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে ভুলতে পারেন নাই এখনও। এখনও সেই মেয়ে আপনার বুকে নিশ্চয়ই কাপন তোলে, তাইনা? ;)

আমারও নারীভীতি ছিল, তবে তার চাইতে ভালোবাসা ছিল বেশী; তাই ভয়টাকে জয় করতে সহজ হয়েছিল। =p~

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর দু'বার দিতে গিয়ে দু'বারই বৈদ্যুতিক সমস্যার কারনে আটকে গেছে।
এতদিন পরে কোত্থেকে উদয় হইলেন? ইদানিং দেখছি খন্ডকালীন ব্লগার হয়ে গেছেন!
কি যে বলেন রাশিয়াতে গিয়ে আমি একেবারে সরল ভদ্র বালক সেজে ছিলাম। যেকোন মেয়ারা একটু চামে চিকনে খাতির জমানোর চেষ্টা করলে, ভাই-বোনের সম্পর্ক পাতায় ফেলতাম :)
আমার বন্ধুরা আমার ছাগলামি দেখে মজা করত। আসলে আমার যে নারীভীতি আছে সেইটা লজ্জায় কারো কাছে কইতে পারতাম না :(
আপনারও এমন ছিল!! আরেব্বাস পৃথিবীতে এই ধারার পুরুষের দেখি অভাব নাই।

৩৪| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ১। মনে হচ্ছে আরো অনেক কথা লিখেন নাই। গোপন রেখেছেন অথবা এড়িয়ে গেছেন।
২। শায়মা আর মিররডডল আপনাকে পেয়ে বসেছেন।
৩। আপনার সৃতিশক্তি অনেক ভালো।
৪। প্রতিটা মন্তব্য মন দিয়ে পড়লাম।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ইদানিং আমার পোস্টগুলো বেশ মনযোগ দিয়ে পড়ছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
১। আসলে সেই বয়সের কথা তো পুরো মনে থাকবার নয়। অনেক কষ্টে রিকল করা গেল। ফাঁক ফোকর তো থাকবেই।
২। কোন সমস্যা নেই। উনারা ব্লগের প্রান। এই উপলক্ষ্যে কি চমৎকার আড্ডা হয়ে গেল। মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে দারুণ জমেছিল আমাদের।
৩। আমার স্মৃতিশক্তি ভাল নয়। আমি কৈশরকাল থেকেই টুক টাক ডায়েরি মেইনটেইন করি। যদিও কিছু হারিয়ে গেছে। তবুও যেগুলো আছে সেটা আমার লিখায় দারুণ সহযোগিতা করে।
৪। যারা মন্তব্য করেছেন তারা অনেকই মজার কিছু বলেছেন । পড়তে ভাল লাগে।
আভাবে পয়েন্ট আউট করে মন্তব্য করার জন্য ফের কৃতজ্ঞতা।

৩৫| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অন্যতম স্মৃতিকাতর ঘটনা সব। হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।

আমিনুল স্যারের মত মানুস দুনিয়াতে কমই হয়। সকাল থেকে একটু একটু করে পড়ে নিয়েছি

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: আগের পোস্টে এই মন্তব্যের উত্তর দিয়ে দিব :)

৩৬| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আরে এই পোস্টে ভুলে মন্তব্য হইয়া গেছে গা। এইডা পড়ি নাই। কমেন্ট লিখে পোস্ট দিয়ে দেখি লগ ইন নাই। কপি করে এখানে পোস্ট দিয়া দিছি হাহাহাহ

২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: কি করুম মুইছ্যা ফেলাইবাম? :)

৩৭| ২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ!
তবে ছোটবেলার এসব বিরুপ অভিজ্ঞতা মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
শিক্ষকগণ এত নিষ্ঠুর না হলেও তো পারতেন!
শুভকামনা রইলো ভাই।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: লালন সাঁইজি মানে ব্লগার হাসান জাহাঙ্গীরকে অনেকদিন বাদে আমার ব্লগবাড়িতে পেলাম।
ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে।
তা ঠিক এই স্মৃতিগুলো সহজে ভোলা যায় না। মানুষের জীবনাচরন পালটে যায় এমন একটা মাত্র ঘটনায়।
স্যার এমনিতে ভাল ছিলেন- কিন্তু সেদিন রাগ কন্ট্রোল করতে পারেননি। তাঁর ধারনার মধ্যে ছিল না এই বয়েসী বাচ্চারা প্রেমপত্র লিখতে পারে!!
আপনার প্রতি রইল শুভ কামনা। ব্লগে নিয়মিত হউন।

৩৮| ২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মুছনের দরকার কী
থাকুক

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: ওক্কে মুছলাম না। একই মন্তব্য দুটো পোস্টে -সেটা মন্দ নয় :)

৩৯| ২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বাবনিক (শেরজা তপন ভাই) এর নারী ভীতি আর ব্যাংঙের সর্দি - এ দুটাই মনে হয় সমার্থক শব্দ হবে।

তারপরেও শৈশবে কিংবা কৈশোরে ঐলেও ঔবার পারে :P কারন তহন ত বড় (বাবনিক) হয়ে উঠেনি।

ভাইজান (চিল্লাইয়া কন) ঠিক কইলাম কিনা।


২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ভাই আপনিও এই কথা বললেন!!
এতদিন বাদে ব্লগে আমার কথার ওজন বুঝতে পারছি। হায় হায় কেউ আমার কথা বিশ্বাস করে না।
এই পোস্টে শুধু জটিল ভাই একটু সমবেদনা জানাইলেন- আর সবাই কি ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতার সাথে আমার কথা অবিশ্বাস করে গেল। :(
যে শৈশব কৈশরে ওইবার পারে সে কিযৈবনে পারে না?
চিল্লায় কন পারে কি না?

৪০| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইয়ে মানে ভাইজান ,

আপনার তো নারীভীতির কথা আপনি বললেন । কিন্তু আপনি যে আমাদের মানে আমার মত ব্লগারদের যারা অল্প বয়সী আরকি । তাদের যে প্রেম করবার অসিয়ত করেন । এই অসিয়তের মাজেজার সাথে আপনার এই নারীভীতি মিলতেছে না :-B

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: লিয়েভ তলস্তয় নাকি জীবনের প্রথমার্ধ দুনিয়ার এমন কোন আকাম নাই করেন নাই আর বাকি অর্ধেক জীবন একেবারে সন্ত- ঋষি ছিলেন!
এইবার বুইঝা লন - কেউ কেউ উল্টাটাও হইতে পারে :)

৪১| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হাহাহাহা ,

তারপরও নারীভীতি কেমনে থাকে ? হাহাহাহাহা

তবে হ্যাঁ নারীভীতি থাকা ভালো , না হলে এক সময় নারী মন বুঝতে মন আকুপাকু করে তখন জাকির হুসাইনের বই পড়েও কোন কাজে আসে না শুধু শুধু ব্যর্থতার কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয় !!!

০৩ রা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: দুঃসাধ্য নারীর মন বোঝার কষ্টকর চেষ্টা থেকে নারীভীতি থাকা ভাল :)

৪২| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্র ছিল আমার। নাম কাদির। ক্লাসে এমনভাবে দুষ্টুমি করত, ধরার উপায় ছিল না। সন্দেহবশত ধরতে গিয়ে যখন ভাবতাম কী পড়ালাম বলতে না পারলে খবর আছে, কিন্তু অবাক ব্যাপার কী পড়ালাম সাথেসাথে বলে ফেলত। মানে ক্লাসে মনোযোগী থাকা অবস্থায়ও সে দুষ্টুমি করত। অবশ্য ছাত্র ভালো ছিল, রোল ছিল ১।

নারীভীতি আমারও ছিল প্রচুর। অন্য মেয়ে তো দূরের কথা, নিজের কাজিনদের দিকেও তাকাতে পারতাম না। অবশ্য আমারটা ভীতি না বলে বরং লজ্জা বলা ভালো। কারণ, আমি তো আপনার মতো অমন মার খাইনি যে ভয় পাব

০৩ রা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: এরা এক্সট্রা অর্ডিনারি ট্যালেন্ট!
আপনি দেখি মাইর না খেয়েই আমার থেকে এক কাঠি সরেস ছিলেন :)
এখন কি অবস্থা??

৪৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: া হা হা, মেয়েরা সব বিষয়েই হাসে, বুঝে না এই হাসিতে অনেকে ভয় পায়!

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্‌ ভাল কথা বলেছেন তো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.