নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতকালের গপ্পো

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১


প্রথমে একটু অন্য আলোচনাঃ গতকাল ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান এসেছে- মাত্র ৬৫ হাজার। এখনো খোলা বাজারে পৌছায়নি-এর মধ্যেই বাজারে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। ভারতে ডিম কিনতে হয়েছে প্রতিটি ৫.৮০ পয়সায় আর বাংলাদেশে ডিমের দাম প্রায় ১৩ টাকাএখানে ব্যাবসায়ীদের অজুহাত; খাবারের অস্বাভাবিক দাম। ভারতীয়রা কি মুরগীকে হাওয়া খাওয়ায়? ওদিকে সরকারের শত নজরদারিতেও আলুর দাম কমেনি কিন্তু প্রথম দফা আলুর চালান আসার সঙ্গে সঙ্গে একদিনে ১৫ টাকা দাম কমে গেছে কেজিতে!! সরকার যখন বাজার নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে সরাসরি কোল্ড স্টোরেজে গিয়ে হানা দিচ্ছে -তাদের বাধ্য করছে ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে কিন্তু আমরা তখনো ঢাকায় আলু কিনছি ৭০ টাকায়। বড় ব্যাবসায়ীদের পাশাপাশি খুচরা ব্যাবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট দাঁড়িয়ে গেছে। এ কিসের আলামত??
ওদিকে আমদানীকৃত ডিমের নাকি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ১.৮০ পয়সা। সরকার বলছে না হলে স্থানীয় খামারিরা মার খাবে। যেই খামারীদের দেশের প্রতি- জনগনের প্রতি কোন মায়া নেই,শুধু নিজেদের লাভের কথা ভাবে; তাদের কথা সরকার কেন ভাববে?
****
কালকে( পরশু হবে) ঢাকার মধ্যেই ছিলাম- -ঘুরাফিরা করে সাহসটা একটু বেড়ে গেছে। ঢাকার রাস্তায় কয়েক প্লাটুন বিজিবি আর র‍্যাব টহল দিচ্ছে।বিরোধী দল এখনো মরন কামড় দেয়বি আর সরকার এখনো পুর্ণশক্তি প্রয়োগ করেনি। মুল ঝামেলাটা হবে সম্ভবত তফসিল ঘোষনার পরে। তবে ভাব দেখে মনে হচ্ছে বিরোধীদল ব্যাকফুটে চলে গেছে। কিছু এডিক্টেড ফড়িয়া পোলাপাইনরে ৫০০/১০০০ টাকা ধরিয়ে একটু গান পাউডার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে শুধু জনমনে কিছু আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলন হয় না। সরকারের বুকে কাঁপন ধরাতে হয়। এই ফাঁকে সরকারি লোকজন কিংবা লক্করঝক্কর বাসের মালিক ও যে এই কাজ নিজেরা করছে না তার ও গ্যারান্টি নাই। এই দেশে সবই সম্ভব।
বাসার কাছে কাল গাড়ি পুড়িয়েছে। সন্ধ্যের পরে দাউ দাউ করে বাস জ্বলতে দেখেছি ছাদে দাঁড়িয়ে। তেমন একটা সিরিয়াস কিছু মনে হয়নি। রাতের আড্ডায় এই নিয়ে খুব বেশী আলোচনাও হল না। রুশ ভাষায় 'নুশ তো' (তাতে কি) ব্যাপার!
সকালের অবস্থা বুঝে দশটার দিকে আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। একটু যে টেনশন হইয়নি তা নয়তবে ডিওএইচএস পার হয়ে উত্ত্রা দক্ষিন মেট্রোর রাস্তার নীচে আসতেই টেনশন কমে গেল। ব্যক্তিগত গাড়ির বেশ ভীড়!
গতকাল মেট্রো চালু হয়েছে মতিঝিল পর্যন্ত সেটা দারুন সুখবর বটে; কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে আমি ব্যাপক চিন্তিত একটা ব্যাপার নিয়ে; সেটা হচ্ছে মেট্রোর সিকিউরিটি। অবরোধ বা হরতালের দিনগুলোতে যাতায়াতের বা উঠানামার একটা পথবন্ধ রেখে কলাপ্সিবল গেট আটকে রাখা হয়- কিন্তু তার আশে পাশে পাহারায় কেউ থাকে না। তার পরেই লিফট- রোগীও বৃদ্ধ মানুষদের জন্য, সেখানেও কাউকে দেখিনা। এর পরে যে রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকে সেখানে নামে মাত্র একজন সিকিউরিটি থাকে বিনা অস্ত্রে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীদল বলে কথা নয়; তৃতীয় কোন পক্ষ এখানে বড় কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেকেই তৎপর। এসব স্পর্শকাতর ও গুরুত্ত্বপূর্ন এলাকার সিকিউরিটি কেন এত ঢিলেঢালাভাবে চলছে ব্যাপারটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি।



ছবিগুলো চলার পথে তোলা। উত্তরা দক্ষিন আর উত্তরা সেন্টার মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ ও বাহির মুখের ছবি।


~এই ছবিটা রাতের। পুরবী মেট্রো স্টেশন থেকে তোলা। ( নামঃ১১ মেট্রো স্টেশন)


ছবিটা আশুলিয়া ব্রিজে উঠবার মুখে। দুপাশের দৃশ্য; ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের নির্মানকার্যের।
আমি এই পথে নিয়মিত চলাচল করি; মাত্র ছয়মাস আগে দেখেছি পাইলিং করতে, এর মধ্যে কয়েকশ পিলার বসিয়ে উপরের টি বসানো হচ্ছে - একসাথে কয়েক মাইল এলাকার কর্মযজ্ঞ চলছে। দশ বছর আগে যেটা ভাবাও যেত না! কিভাবে সম্ভব হল এটা? সম্পুর্ন ক্রেডিটটা হয়তো দিনশেষে সরকার নিবে। কিন্তু আমি বছরের পর বছর দেখেছি সাধারন মানুষের অংশগ্রহন; এসব বড় মাপের প্রজেক্টে শুধু দেশী বিদেশী নামী দামি দানবীয় কন্সট্রাকশন কোম্পানীই নয় অধি সাধারন গেরোস্তের ক্যাটাপিলার বা ছোট্ট ভেকু-ও নিয়োজিত আছে।
আপনি দেখলে অবাক হয়ে যাবেন সাইকেলের গ্যারেজে কাজ করা ছেলেরা বিশাল বিশাল সব ক্রেন, ক্যাটাপিলার, ভেকু, এক্সেভেটর, লোডার, ডাম্প ট্রাক সারাইয়ের কাজ করছে এই আশুলিয়ার অলিতে গলিতে।
একদম রাস্তার ধারঘেষে এমন ছোট খাট সারাইয়ের কাজ করা দোকানের একটা ছবি দিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
তথ্য সংগ্রহ করছি। এই নিয়ে লেখার ইচ্ছে রইল একদিন। (দৌড়ের উপ্রে ছবি)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার পোস্টে ১নং মন্তব্য করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করলাম। B-)

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন -এইটা কি কঠিন কিছু!!
মাঝে মধ্যে তো আমি একটা মন্তব্যের জন্য হা পিত্যেস করে মরি...
প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ভালবাসা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্রো

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

করুণাধারা বলেছেন: আমিও দৌড়ের উপরে আছি! দেখি উত্তরা সেন্টার মেট্রো রেলস্টেশনে যাওয়া যায় কিনা! যেতে পারলে এসে আমিও একখান ছবি দিব।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: উত্তরার স্টেশনগুলোর আশেপাশের দৃশ্য এখনো চমৎকার! ছবিতোলার জন্য দারুন সব সাবজেক্ট পাওয়া যায়। কদিন পরে হিজিবিজি হট্টগোল হয়ে যাবে।
আপনার ছবির অপেক্ষায় রইলাম ...

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যতটা সম্ভব বাইরে ঘুরাঘুরি করা কমিয়ে দিন, কখন কে বলির পাঠা হয়ে যায় তার কিন্তু ঠিক নেই।

দিয়াবাড়ির রেলশ্টেশন ও তার আশে পাশের এলাকায় একসময় অনেক রৌদ্রজ্জ্বল সকাল, উদাস দুপুর এবং বিষন্ন সন্ধা কেটেছে তখন অবশ্য রেলস্টেশন ছিলো না। এখন দিয়াবাড়ি আগের সেই দিয়াবাড়ি নেই।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০১

শেরজা তপন বলেছেন: কোন উপায় নেই ভাই। যেটুকু কাজ তা করতেই হবে- ফাউ ঘুরাঘুরি তো করি না।
হ্যাঁ আড়াইযুগের উপরে এর আশেপাশে থেকে দেখলাম কিভাবে এই এল ধীরে ধীরে আমুল পাল্টে গেল!!!

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ভালো লাগলো।
দেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার মতো লোক জন আজকাল খুব বেশী দেখা যায় না।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: এ আর এমন কি -চেষ্টা করছি সবকিছুর আপডেট জানানোর। ব্লগে বেশীরভাগ ব্লগার প্রবাসী- দেশ নিয়ে এই সময়ে তারা বেশ দঃশ্চিন্তায় থাকেন। ঠিক ঠাক বিষয়টা সবাইকে জানানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আর কি

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: মাত্র ৬৫,০০০ পিছ ডিম আমদানি কইরা কি ষোলো কোটি মানুষের দেশে ডিমের দাম কমানো সম্ভব ? এটা যারা বিশ্বাস করে তারা নিষ্পাপ দুধের শিশু তাদের জন্য বাক্য ব্যায় করবো না।আলু বলেন আর ডিম বলেন মুদ্রানীতি ঠিক না করলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরো প্রকট হবে। মেট্রো রেল নিয়ে আমিও আপনার মতো চিন্তিত যেহেতু জাপানিজ প্রজেক্ট তাই দুই দলই মনে হয় সাবধান থাকবে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: দুই দল সাবধান থাকলেও আমি ভাবছি আর এক পক্ষের কথা! যারা সব সময়ই চায় এদেশে অরাজকতা বিশৃঙ্খলা হানাহানি লেগেই থাকুক- তাদের কথা। তারা যে কোন সময় সুযোগ নিতে পারে।
এই দাম কমার কারন ভিন্ন। খুচরা ব্যাবস্যীরা ভয় পেয়ে গেছে- এরা সঙ্গবদ্ধ নয়, ভাবছে যে পুরো চালান হাওয়া হয়ে যেতে পারে। কেউ একজন বাজারে গুজব ছড়িয়ে দিলেই হয়েছে। হয়তো কেউ বলেছে -দু একদিনের মধ্যেই কয়েক কোটি ডিম আসছে।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তফসিল ঘোষনার দিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। যেকোন সময় যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে আমি মনে করি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সে সামর্থ্য আছে এগুলি প্রতিহত করার।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

শেরজা তপন বলেছেন: যে ধরনের চোরাগোপ্তা কাজ হচ্ছে সেটা সামাল দেয়া সম্ভব নয় মনে হয়। তবে বি এন পির যে কোন আন্দোলন( বর্তমানে যে হাল) দমন করার সামর্থ মনে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আছে। তবে আন্দোলন জমে উঠলে কি হবে জানিনা।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

জুন বলেছেন: গতকালের শান্তি সমাবেশ থেকে একটু পর পর হুংকার উঠছিল খেলা হবে,খেলা হবে :-&
এই হইলো শান্তির নমুনা আর যারা অশান্তি করছে তারা তো ঘোষণা দিয়েই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করছে। আমাদের মত আম জনতা কই যাবে কি খাবে তার কোন খবর নাই।
এক মুঠো পালং শাকের দাম নিল চল্লিশ টাকা, শুইনা আমি অজ্ঞান হইলাম :-< জিজ্ঞেস করলাম এইটা কি কইলা, এক মুঠো শাকের দাম তো দশ টাকা। বাকা হাসি দিয়ে সে কইলো "সেই দিনের কথা ভুইল্লা যান আফা" :||

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: উনারা খেলতেছেন- আমরা হইলাম দর্শক! দেশের সব সমস্যার গুল্লি মার এখন শুধু নির্বাচনের খেলা। সবাই নাকি তার পক্ষে সব জনগনরে সাথে নিয়া খেলতেছে। এইদিকে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগনের নাভিশ্বাস। তাদের সেদিকে নজর দেবার সময় নাই- কোনাভাবে এই খেলায় জিতলেই পাঁচ বছরের জন্য ছড়ি ঘোরাবে- ইচ্ছেমত লুটপাট আর আরাম আয়েশ!
আমি সেইদিন লাল শাক কিনেছি পঞ্চাশ টাকা আটি- কয়দিন আগে দুই আটি সেধে দিয়েছে দশ টাকায়!! খুচরা ব্যাবসায়ীরাও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এদের দৌরাত্ম থামানোও মুশকিল হয়ে উঠেছে।
পুরো দেশের সবাই কেন যেন উন্মাদ পাগল হয়ে গেছে!

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

শাহ আজিজ বলেছেন: দেশ সংকটের মধ্যে দিয়ে এগুচ্ছে । পেয়াজ ১৩৫ টাকা কেজি । বিজিবি , পুলিশ , র‍্যাব দিয়ে হবেনা সেনাবাহিনী নামাতে হবে । আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় জানি পাবলিক সেনাবাহিনিকে ভয় পায় । বাজারের দাম এমনিতেই কমে যাবে ।


আচ্ছা জুন যে অজ্ঞান হইল তারে মাথায় পানি দিছে কে ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন থাকলে তাদেরও কেউ ডরাবে না -তখন কি উপায় হবে?
ওদের মাইর তো শেষে!আমি সেনাবাহিনীতে একটা ব্যাপার ইদানিং লক্ষ্য করেছি- ওরা আর এইসব ঝামেলায় নিজেদের জড়াতে চাইছে না। ব্যারাকেই বেশ আরাম আয়েশে আছে। একজন মেজরের এখন গাড়ি কেনার বাজেট থাকে ৩০/৩৫ লক্ষ টাকা।
মিশনের টাকা, ডি ওএইচ এসে জায়গা, বড় মাপের পেনশন ভাতা, দারুন সব সরকারি সুযোগ সুবিধা, অবসরের পরে বিভিন্ন প্রজেক্টে চাকুরির সুযোগ ছেড়ে এরা এসবে এসে অযথা একটা অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হতে চায় না।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের দেশে উৎপাদক ও ভোক্তার মাঝে মধ্যশত্বভোগীরা বড়রকমের লুটপাট করে।তাই দাম বেড়ে যায়।এর একটা সমাধান দরকার।পুলিশের চাঁদাবাজিও একটা সমসা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: মধ্যস্বত্ত্বভোগীদেরও দৌরাত্ম কমে আসছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতির জন্য প্রচুর খুচরা ব্যাবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে এনে ৪/৫ গুন দামে বাজারে বিক্রি করে এখন।
সাভার, আশুলিয়া বা বেড়িবাধের এপার থেকে সবজি কিনে ঢাকায় কয়েকগুন দামে বিক্রি করছে কেউ কেউ।
ঢাকায় গিজ গিজ করছে অবৈধ টাকার মালিক সব। টাটকা জিনিস পেলে তারা টাকার দিকে তাকায় না- ওদের কারনেই সমস্যায় পড়ে মধ্যবিত্তরা।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

রাফি আহমেদ শৈশব বলেছেন: ১০ কোটি ডিম ১ কোটি পরিবারের জন্য ২ টা করে হলে ২ দিন যাবে।
তারপর..........।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: ১০ কোটি ডিম আসলে এদেশের খামারিদের ১০ কোটি ডিম কম বিক্রি হবে। সেই দশ কোটি অবিক্রিত ডিমের কি যে হ্যাঁপা সেইটা তাদের জিগাইয়েন।
নগদ টাকার জন্য যে একটা হুড়োহুড়ি ঝাঁপাঝাপি শুরু হবে সেই রেশ থাকবে কয়েক মাস। আজব দেশ এটা! দেখবেন ১০ টাকা হালিও ডিম বিক্রি হইতে পারে।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: গপ্পো শব্দটা থেকে গল্প শব্দটা সুন্দর ও শ্রুতিমধুর।
লেখার সময় আমাদের উচিত সুন্দর ও সহজ শব্দ ব্যবহার করা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: গপ্পোটাও শুদ্ধ বাংলা শব্দ। আমার কাছে এইটা আরো বেশী সুন্দর আর শ্রুতিমধুর লাগে। যেমন শুটকি আমার সেইরকম প্রিয় খাবার- কিন্তু আমার গিন্নি আমার শুটকি রান্নার জন্য আলাদআ কড়াই বরাদ্দ করে রেখেছে। এর থেকে অপ্রিয় জিনিস আর নাই তার কাছে। যার যেটা ভাল লাগে রে ভাই :)

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: জুন আপুর কমেন্ট দারুন হয়েছে। একেবারে আমজনতার কমেন্ট।






০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: যেমন লেখনি -তেমনি মন্তব্য কোনটাতেই কম যান না তিনি।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
তবে লইট্রা শুটকি খেতে ভালো লাগে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: লইট্টা শুটকি আমারও খুব ফেভারিট -তবে তাজা লইট্টা দেখতে ভয়ংকর!

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

বিষাদ সময় বলেছেন: টাকার নেশায় মানুষ উন্মাদ হয়ে গেছে...........

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: সব শ্রেণীর মানুষ- যেমনটা আগে মনে হয় ছিল না!!!

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: স্থানীয় খামারিরা আসলেই মার খাবে।যেসব কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় খামারি এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের দমন দূরে থাক নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও সরকারের নাই। প্রথমদিকে গাঁইগুঁই করলেও এখন আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন তো সবকিছুই আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে দেখছি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: ছোট খামারিদের শক্তিশালী কোন সংগঠন নেই। তারা বড় খামারীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বারবার হোঁচট খায়- বড় খামারিরা দাম বাড়ালে তারা দাম বাড়ায় বড় খামারিরা যখন হঠাৎ করে দাম কমিয়ে দেয় তারা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাদের সাধ্যে কুলায় না দাম ধরে রাখার। কিন্তু দাম বাড়ালে তারা খুব খুশি হয় -বেশি দামে বিক্রি করে। এদের ভাগ্য নিয়ন্তা বড় খামারীরা কিন্তু সারাদেশে যত ডিম আসে তার বেশিরভাগ কিন্তু যোগান দেয় ছোট খামারিরা- এরা যদি জোট বোঝে একটা ডিমের দাম বেধে দেয় তাহলে কিন্তু ঝামেলা চুকে যায়। অতিরিক্ত মুনাফার আশা, লোভ, যার যার তার এই চিন্তায় একটা জাতি শেষ হয়ে গেল!

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাই আমাদের এদিকে ডিম বিক্রি বন্ধ । অনেকটা দূরে গিয়ে ডিম আনতে হয় !!

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: কেন মুরগি কি ডিম পাড়াও বন্ধ করে দিয়েছে??
ঘটনা কি আমি তো ডিমের হরতাল শুনিনি কখনো???

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কেন মুরগি কি ডিম পাড়াও বন্ধ করে দিয়েছে??
ঘটনা কি আমি তো ডিমের হরতাল শুনিনি কখনো???


হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহ

মুরগি এই হরতাল করেনি দোকানিরা করেছে !!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২

শেরজা তপন বলেছেন: মুরগি এই হরতাল করেনি দোকানিরা করেছে !!
ক্যান ওগো আবার কি হইছে?

১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: কৃষকরাই সংগঠিত হয়ে সরাসরি মার্কেটিং করতে পারে।এটা বড় কোন সমস্যা না।সংগঠিত করাটাই সমসা।এটা করলে সকলেরই উপকার।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: এদেশেতো আরো বড় সমস্যা; যেদেশে সবাই নেতা হইতে চায় অথচ সবাই চোর!

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




গতকালের গল্প হলেও এই চিত্র মনে হয় আজ এবং আগামীকালেরও।
"নুশ তো"
" দেশের সব সমস্যার গুল্লি মার এখন শুধু নির্বাচনের খেলা। উনারা খেলতেছেন- আমরা হইলাম দর্শক! সবাই নাকি তার পক্ষে সব জনগনরে সাথে নিয়া খেলতেছে। " এই জনগণ কারা ?
"দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগনের নাভিশ্বাস। তাদের সেদিকে নজর দেবার সময় নাই- কোনাভাবে এই খেলায় জিতলেই পাঁচ বছরের জন্য ছড়ি ঘোরাবে- ইচ্ছেমত লুটপাট আর আরাম আয়েশ!" ( আপনার এক প্রতিমন্তব্য থেকে)
"নুশ তো"
"পেয়াজ ১৩৫ টাকা কেজি ।" "নুশ তো"
"এক মুঠো পালং শাকের দাম নিল চল্লিশ টাকা। " "নুশ তো"

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: হক কথা কইছেন- সব কথার এক কথা,
যেম্নে চলতেছে তেম্নেই চলুক ~ নুশ তো

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: দৈাড়ের উপ্রে ছবি + দিনলিপিতে ভালোলাগা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু- দূর দেশে আছেন ভাল আছেন।

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: পরশুদিনও গেলাম, আজকেও গেলাম উত্তরা সেন্টার মেট্রো রেলস্টেশনে। কিন্তু ছবি আপনার ছবির মতো ঝকঝকে হয়নি, তবুও দিলাম। এই একটা পথে চলতে এখন ভয় লাগে না। কতদিন নিরাপদ থাকবে কে জানে!! :(

পরশুদিনও গেলাম, আজকেও গেলাম উত্তরা সেন্টার মেট্রো রেলস্টেশনে। কিন্তু ছবি আপনার ছবির মতো ঝকঝকে হয়নি, তবুও দিলাম। এই একটা পথে চলতে এখন ভয় লাগে না। কতদিন নিরাপদ থাকবে কে জানে!! :(

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওই এলাকাটা এত সুন্দর লাগে এখন -গেলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। উত্তরা দক্ষিনে আসলে পাশের লেকে প্রচুত পাঙ্কৌড়ি, বক আর মাছরাঙার দেখা পাবেন। ওই দেখে সকালে আমার যাবার সময়ের শুরুটা দারুন হয়।
বেশীদিন আর সুন্দর থাকবে না- দেখতে দেখতে ভীড় জ্যামে ঠাসা হয়ে যাবে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.