নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আপডেট করা হয়েছেঃ ৬ জানুয়ারি সকালঃ ১০ঃ০০
আজ থেকে ১৫ বছর আগের কথা। কেউ কেউ বলে সামু ব্লগের তখন স্বর্ণযুগ! কোন যুগ ছিল জানি না তবে দারুণ সব বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্যমনা মানুষের সদর্প বিচরণ ছিল এখানে। ব্লগের পাতা সারাক্ষন সচল থাকত তাদের ক্ষুরধার লেখনীতে। সাহিত্যের অন্য সব অঙ্গন বাদ দিলেও কিছু ব্লগারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল অসাধারণ। ২০০৮ এর ব্যতিক্রমী এক নির্বাচনে দারুণ সরগরম ছিল ব্লগ। আমাদের অনেক ব্লগারদের অনেক বিশ্লেষণধর্মী মতামত আলোচনা এতটাই মানসম্পন্ন ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল যে তা বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে হরহামেশাই ছাপা হতে থাকে।
নির্বাচনের সময়ে প্রায় নব্বুইভাগ ব্লগার সরাসরি প্রত্যাখান করেছিল স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তি আর তাদের দোসরদের এবং তাদের ভরাডুবিতে সারা দেশের মত পুরো ব্লগে অন্যরকম এক উচ্ছাস ও আনন্দের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল!!
কিন্তু এত আনন্দের মাঝেও অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যত শাসন ব্যাবস্থা নিয়ে। তারা সতর্ক করেছিল-ভবিষ্যতদ্রষ্টা কিছু মানুষ বাঙ্গালী জাতির চরিত্র সন্মন্ধে অবগত হয়েই সরকারের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেছিল। তাদের আশঙ্কাই আজ সত্যি হয়েছে। ব্লগারদের সেদিনের সেই সম্মিলিত শক্তি দেখে শাসকদল কিছুটা হলেও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তারা আর চায়নি তেমন করে কোনদিন ব্লগ আর মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে যাক। কারন এদেশে শাসক পাল্টায়- কিন্তু শোষক পাল্টায় না।
আসুন আমরা ফিরে যাই ২০০৮ সালের সেই নির্বাচনে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নিরষ্কুশ বিজয়ের পরে ব্লগারদের অনুভুতির গল্প শুনে আসি;
জনতার রায় পরির্বতনের পক্ষে আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ...
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬
রাহা
মানুষ দু'বেলা ভাত খেতে চায়, একটু স্বস্তি চায় , চায় একটু নিরাপত্তা। সেই চাওয়াকে পুজিঁ করে মানুষ এ নির্বাচনে ব্যালটে দিয়েছে সেই রায় । বিগত সরকারের ৫ বছর কিংবা গত ২ বছরেরও মানুষ খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না । বিগত চারদলীয় জোটের আমলের লাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর সীমাহীন দুঃশাসনও মানুষ ছিল প্রায় নিশ্চুপ কেননা জনগন অপেক্ষায় ছিল হয়তো নির্বাচনের জন্য । তার মতামত প্রকাশের একটিই জায়গা আর তা হলো ব্যালট পেপার। সেই ব্যালট পেপারে তার রায় দিতে দেরী হলো দুটি বছর কিন্তু মানুষভুলে যায় নি, দুবছর অপেক্ষা করেও তার রায় দিয়েছে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির বিপক্ষে । জনতা রায় দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ।
সেই রায়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ, একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না , জনগন আওয়ামী লীঘকে এই সংখ্যা গরিষ্ঠতা দেয়নি , দিয়েছে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর বিশৃংখলার বিরুদ্ধে । দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে । মানুষের সেই রায়কে সম্মান জানতে , মানুষের আকাংক্ষাকে পূরণ করতে চাই আওয়ামী লীগের একটি সুসংঘঠিত সরকার । যে সরকার এই কপালপোড়া জনগনের সরকার হবে, এই দেশের নিরন্ন মানুষকে অন্ন দেবে দেবে একটু স্বস্তি।
এই দেশের মানুষ শান্তি চায় না চায় একটু স্বস্তি, তিনবেলা খাদ্য চায় না, দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারলেই খুশি। সেই চাওয়াকেই পূরণ করাই হবে আগামী সরকারের প্রথম কাজ।
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ, স্বভাবতঃই তার কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা বেশি । সেই প্রত্যাশার নজির কিন্তু এই নির্বাচনের রায়, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংষদ নির্বাচন । প্রত্যেকটি মানুষ পরির্বতন চেয়েছে , প্রত্যেকটি মানুষ সীমাহীন দুর্নীতি থেকে বাচতে চেয়েছে নইলে আওয়ামী লীগ তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশী এই আসন পায় না । এই রায় আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন জোটকে একটি শক্ত পরীক্ষার সম্মুক্ষীণ করবে, কেননা জনগন তার প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্নে ব্যালটে এটি সীল দিয়েছে ।
মানুষ বুঝে গেছে প্রতিবাদ করে, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কোন লাভ নেই , তার সুযোগ বুঝে সে রায় দেবে সেই রায় হবে ব্যালটের রায় । তার জন্য সে অপেক্ষা করতেও প্রস্তুত । সেই অপেক্ষার ফলাফল আজকে পাওয়া গেল । জানি না ২০০৬ সালের যদি একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো তবে এই রায় আর কতো ভয়াবহ হতে পারত ।
আগামী সরকার হোক জনগনের প্রত্যাশা পূরণের সরকার, জনগনের সরকার । ব্যালটের রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে শিখুক নতুন সরকার ।
জনতার রায় পরির্বতনের পক্ষে আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে – রাহা
***
একটি ফলোআপ পোষ্ট অথবা শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি...
ইশতিয়াক আহমেদ
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২২
আমি কখনোই বিশ্বাস করিনা, এদেশের মানুষের ভোটের ফলাফল তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এদেশের মানুষ ক্ষোভে নয়, অভিমান থেকে ভোট দেয়। যদি কারো প্রতি ক্ষোভে সত্য হতো তবে কেউ না কেউ পরপর দুবার হারতো, কেউ সরকার গঠন করতো পরপর দুই মেয়াদে।
এই দেশে তাই অভিমান বারবার ভাঙ্গে, বারবার ফিরেও আসে।
২. এদেশে হিসাব নিকাশ খুব-ই আলাদা। এই যে চলে গেলো নির্বাচন। আজ থেকে হয়তো অনেকে হিসাব-ই আমূল পাল্টে যাবে। আজ থেকে আওয়ামীলীগ নামের দলটি এবং তার মানুষেরা হাওয়ায় ভেসে বেড়াবে। জনগনের সাথে অনেকটা কমে আসবে জননেত্রীর সম্পর্ক। শেখ হাসিনার এসএসএফ প্রটোকল ভেদ করে তার আশেপাশে ঢুকে যাবে কিছু অদৃশ্য গুনমুগ্ধজন। যারা সারাদিন হাততালি বাজাবে আর বলবে, নেত্রী সব ঠিক হচ্ছে। সব ঠিক। আপনি এগিয়ে যান।
হয়তো আজ থেকে সূধা সদনের দুরত্ব বেড়ে দাঁড়াবে কয়েক হাজার মাইল।
যে পথ সাধারণের পক্ষে পাড়ি দেয়া কখনোই সম্ভব হবে না।
আমরা এসব দেখে অভ্যস্ত এবং মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুতও মানসিকভাবে।
তবে আমরা অনেকটা দিন হয়তো চেয়ে থাকবো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া জননেত্রীর মুখের দিকে। কারন আমাদের কানে অনেক দিন বেজে যাবে তার দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো।
আমি জানি না দিন বদলের স্বপ্ন দেখানো আওয়ামীলীগ নেত্রী কী নতুন দিন উপহার দিতে যাচ্ছেন?
৩. আমরা এখন স্বপ্ন দেখতে কষ্ট পাই, স্বপ্ন ভাঙলে কষ্ট পাইনা। কারন আমরা প্রতিদিন আমাদের ভাঙা স্বপ্নগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখি। বাস্তবায়নহীন লাখো প্রতিশ্রুতি এখনো দাবড়ে বেড়ায় আমাদের ইথারে ইথারে।
তাই নতুন কী বললো বা নতুন সরকার আমাদের কী দেবে সেই স্বপ্ন আমাদের খুব বেশি ছুঁয়ে যায়না।
তবে একটা বিশাল প্রতিশ্রুতিতে সরকার গঠন করতে যাওয়া বিজয়ী দল নেত্রী এবার নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন। যে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা হয়তো আগামী নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে ভোটটা দেয়ার সময় অভিমান থেকে পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়াবে অন্য কিছুতে। এবার হয়তো আসবে ক্ষোভ থেকে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে- এই অসম্ভব আকাঙ্খিত প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে জনগনের ভয়াবহ ক্ষোভে এই দলটিকে হয়তো ভুগতে হবে বহুদিন। আমি জানিনা, বিজয়ী দল বা দলের নেত্রী কতটা অটল থাকবেন তার এই প্রতিশ্রুতি পূরণে?
৪.'আজ আসলে লড়াই হবে দাঁড়িপাল্লা বনাম দাঁড়িপাল্লার' শিরোনামে গতকাল একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম। সে লেখায় ওঠে আসা একটা দাড়িপাল্লার জয় হয়েছে। শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে অন্য একটা দাঁড়িপাল্লাধারীদের। যুদ্ধাপরাধীদের। শুধু তাদেরই নয়, তাদের সাথে থাকার দায় এড়াতে পারেনী এদেশের অসম্ভব জনপ্রিয় একটি দলও। অসহায়ের মতো দেখতে হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে নিজেদের পরাজয়ের দৃশ্যগুলো।
শুধু ব্যালটে তাদের নয়, তারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে মনের ভেতর থেকেও। এদেশের মানুষের বিবেকের আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেছে। বিচারের সে রায় তুলে দেয়া হয়েছে বিজয়ী নেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর।
এখন শুধু অপেক্ষার পালা...। কি করবে আওয়ামী?
কি করবেন শেখ হাসিনা?
কোথায় নিজের স্থান করে নেবেন তিনি? নিজের জন্য তিনি কী সঞ্চয় করতে চাইবেন?
আমি আশা করি, শেখ হাসিনাকে হয়তো আর বুঝিয়ে বলবার প্রয়োজন নেই মানুষের ক্ষোভে নিন্দিত অথবা মানুষের ভালোবাসায় নন্দিত হয়ে অমরত্ব লাভের সুযোগ তার জীবীতকালের হয়তো কোন পর্বে আর আসবে না।
এখন শুধু তার বেছে নেয়ার পালা।
***
সেদিন সদ্য বিজয়ী মহাজোট সরকারের প্রতি দু'জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের বুক চেরা আকুতি ছিল এমন;
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫৮
এখানে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ আসেন কি? আসলে প্লিজ কথাগুলো শোনেন। আমরা , যারা খেটে খাওয়া বাংগালি আছি, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান আছি, আমরা জানি আপনারা ম্যাজিক দেখাতে পারবেন না। গত সময়ে যে পরিস্থিতি গেছে, তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অবস্থার উন্নতি করতে আপনাদের অনেক সময় লাগবে। কিন্তু তারপর ও আমাদের কিছু চাওয়া আছে। দয়া করে একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন :
১। সবার আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তাদের বিচার এর জন্য স্পেশাল কিছু দরকার নাই। আমার দেশে চুরি ছিনতাই এর জন্য ও ক্রসফায়ার হয়, আমার মনে হয়, চিন্হিত যুদ্ধাপরাধীরা এভাবে মারা গেলে মানবাধিকারের প্রশ্ন কেউ তুলবে না। আর ৩৭ বছর পর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রমান খুজে হয়রান হতে হবে না। এ প্রসংগে বলি, কয়েক বছর আগে আমার বাবা বাসায় এসে কেঁদে ফেল্লেন। তার সাইকেল রাস্তায় আধাঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিলো, নিজামী এর গাড়ি যাবে সেই জন্য। তিনি ৭১ এ গুলি খাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধা নেন নাই। তাঁর আদর্শের জন্য।
~ এদেশে আজ হাজার হাজার ভুয়া সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধা! তাঁর মধ্যে শত শত স্বাধীনতা বিরোধী আছে বলে জনগন বিশ্বাস করে।
২। বিশাল বিজয়ে মদমত্ত হয়ে বি এন পি কর্মীদের মত "আমাদের সরকার আমাদের দেশ, কাজেই তোমার সম্পত্তি আমার সম্পত্তি আর সব কিছুই আমার অধীনে " মনোভাব যেনো আপনাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কাজ না করে। আমরা আর কোনো পিন্টু, লাল্টু , সর্ব হারা, বাংলা ভাই চাই না। ~
~আজ ১৫ বছর পরে যেমন ছিল তাই হয়েছে। পাল্টায়নি কিছু তাঁর...
আপনার বাবাকে বলতে চাই, চাচা আমাদের ক্ষমা করে দেন। এতদিন কিছু করতে পারিনি, এবার করবোই ইনশাল্লাহ...
আমিও বলছি:
"এখানে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ আসেন কি? আসলে প্লিজ কথাগুলো শোনেন"
রাগ ইমন বলেছেন: আব্বা অসুস্থ হয়ে পড়লেন এই নিজামীর গাড়িতে পতাকা দেখে । আর মা এর কথা তো বলতেই পারবো না ।
মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে যে সব ফালতু কান্ড হয়েছে , এসব বাদ দেওয়া উচিত । আমার বাবাও কোন সুবিধা নেন নাই, আমাদেরকে নিতে মানা করেছেন । তার সার্টিফিকেট টাও রাখেন নাই । প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা পাওয়া নিয়ে কোন্দিন মাথা ঘামায় নাই ।
এখনও গল্প লিখি বলেছেন: আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কাঁদেন নি। তার সারা জীবনের একমাত্র প্রাপ্তি বোধ হয় থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি হওয়া।
আজ তিনি কেঁদেছেন
****
"বিএনপির ৫ বছর, পাবলিকের ৮ ঘন্টা"
আন্ধার রাত
(চোরের ১০ দিন গৃহস্হের ১ দিন)
"ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়"
(অসীম দূর্নীতির উপযুক্ত রদ্দা) ---আমার বানানো প্রবাদ।
এই নির্বাচন উভয় জোটের জন্য একটি আদর্শ রেসিপি ( সিদ্দিকা কবীরের রেসিপি নয়) । সীমাহীন দূর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাসী, দ্রব্যমূল্যের মূল্য বৃদ্ধি, ধরাকে সরা জ্ঞান ইত্যাদি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা সহ্য করতে পারেনি। আকন্ঠ নিষ্পেসিত জনগন স্বস্হির অক্সিজেনের জন্য আকুলি বিকুলি করছিল। একটি মাত্র সুযোগ পেয়েছিল জনগন, সেই সূবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি এক বিন্দুও।
আওয়ামীলীগ বিপুল জনপ্রিয়তার জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি (আমার নিম্ন জ্ঞানে উভয় দলই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ)। পেয়েছে জনগন একটা পরিবর্তন চাচ্ছিল, তাই।
জনগণের ভোটের মর্যাদা যদি আ'লীগ বুঝে, যদি চাটুকার দ্বারা আবৃত না হয় তবে তাদের উচিত হবে দেশ ও দশের জন্য সর্বোচ্চ মনোযোগ প্রয়োগ করা।
ওদের পরাজয়ে আমার আনন্দ এদের বিজয়ে আমার দুঃখ
*************
আমার কথাঃ
যারা নতুন সুর্যের ভোর দেখবে বলে ঘুম থেকে উঠেছিল তাদের অনেকেই সেই সপ্ন দেখতে দেখতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন কিন্তু পাল্টায়নি কিছু। আমরা যেই তিমিরেই ছিলাম সেখানেই রয়ে গেছি।
সেই সময়েএকজন ব্লগার আক্ষেপ করে বলেছিলেন,
(আমরা নীচের দিকে না তাকিয়ে যদি একটু উপরের দিকে তাকাই-ধরেন সেইসব দেশের নাগরিকদের কথা যারা জন্মের পর থেকে লোডশেডিং দেখে নাই -তখন কি আফসোস হয়?
বলতে চাইনা তবুও বলি-রাগ কইরেন না-এই দেশের বিদ্যুৎ পানি আর গ্যাসের সমস্যার সমাধান কোনদিনও হবেনা। আমার জীবদ্দশায় যদি এই তিনটে সমস্যার একটারও সমাধান হয় তাহলে আমি নিজেকে সব অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনার দুঃখ ভুলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশের নাগরিক কল্পনা করব।)
কি অসীম দুর্ভাগ্য আমাদের উন্নয়নের হাজারো গল্প আর গালভরা বুলি শুনি হর হামেশা কিন্তু নাগরিক জীবনের এই তিনটে অতীব গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার সমাধান হয় না। আমাদের দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্লগারেরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন; এই সমস্যাগুলোর সমাধান কোনদিন হবে না। আমি আনন্দিত হতাম যদি তাদের কথা ভুল হোত। কিন্তু হায়, ঘুরে ফিরে সেই দুর্নীতি সেই অহমিকা সেই লুটপাট সিন্ডিকেট মুদ্রাপাচার অর্থ বিত্তের পাহাড়। এই আমার ওই আমার সব আমার আমার মনোবৃত্তি আর জনগণরে উন্নয়নের স্ক্রিন সেভার দেখানো।
আর কতদিন আমরা দেশ ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় পালাতে চাইব? কেন এ দেশ আমার হবে না? এদেশে কিসের অভাব? কেন কোটি কোটি মানুষ ভুল নেতৃত্বের জন্য ভুগতে থাকবে বঞ্চিত হতে থাকবে যুগের পর যুগ? একটা চতুর বুদ্ধিমান কর্মঠ লড়াকু জাতিকে এভাবে কেন পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে দিনের পর দিন?
কে দেবে এর উত্তর?
* ব্লগার অর্ক ভেবেছিল এখানে আমি আমার কোন মতামতই দেইনি- সেই জন্য শেষোক্ত কথাগুলোতে আমি আমার কথা উল্লেখ করে দিলাম!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১২
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি আমার নিজের মতামতে যাব না।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১
এস.এম.সাগর বলেছেন: বর্তমান তথাকতিথ মাননীয় অবৈধ প্রধান মন্ত্রি তিনি যে মুক্তিযুদ্ধ চেতনার ব্যবশা করে তিনি এরশাদের সময় থেকে আজ পর্যন্ত প্রমান দিয়ে চলছেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে; পরে তিনি বৈধ কি অবৈধ সেটা নিয়ে যুক্তি তর্ক হতে পারে কিন্তু আমি যে সময়ের কথা বলছি সে সময়ে তিনি যে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনি দ্বীমত করবেন না?
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭
এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: After reading your post i must say, Mr. Ishtiaq was a brilliant blogger.
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার ইশতিয়াক নিঃসন্দেহে অনেক বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞ ব্লগার ছিলেন। তিনি ব্লগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বহু আগেই।
এমন অনেক গুণী ব্লগার ব্লগে আর আসেন না।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত উপস্থিতির জানান দিলাম।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল লাগছে ভাই। ধন্যবাদ- অপেক্ষায় রইলাম...
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: লঙ্কাকে রাবনদের জন্য ভীতিকর করতে হবে।
লঙ্কার কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাকে স্বাধীন গনমাধ্যম, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা আর সচেতন জনগন এর মাধ্যমে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে হবে।
জনগনকে জাগতে হবে। "আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে?"
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য। সব রাবনের জন্যই লঙ্কাকে ভয়ঙ্কর না হলেও লঙ্কার শাসককে জবাবদিহীতার আওতায় আনতে হবে - আইনের সুশাসন ও জনতার কাঠগড়ায় দাড়াতে বাধ্য করা হবে এমন নীতি প্রয়োজন।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি ০৮ সালে সামুর নাম শুনিনি কাজেই এসব পড়া কঠিন ছিল বটে । ওরা দূরদ্রষ্টা ছিলেন বলে বলতে পেরেছেন ।
আসন্ন মুদ্রা স্ফীতি সরকারকে নাড়া দেবে । মুদ্রাহিনতাও কষে ধরবে । আমাদের কাছাকাছি দুই বাড়িতে চোর ঢুকে লেপ তোষক মেঝেতে ফেলেছে , বালিশ ছিঁড়ে কিছু খুজেছে । আমি বুঝেছি চোর ক্যাশ টাকা খুজেছে । ব্যাঙ্কগুলো মুদ্রাহীনতায় ভুগছে । নিন্ম মধ্যবিত্তদের মধ্যে গুজব রটেছে তাদের ব্যাঙ্কের সঞ্চয় আর নাও পাওয়া যেতে পারে । অতএব টাকা বাড়িতে রাখ । যারা পরশুদিন ভোট কেন্দ্রে যাবে তারা এক অনিশ্চয়তায় ভুগছে । রাষ্ট্রের রিজার্ভে টান একটি বড় খবর বটে । তার উপর দেশ আমেরিকার সাথে উল্লুকের মত কানামাছি খেলছে তাও ভয়ঙ্কর একটি খেলা। নতুন সরকার খাদ্য সুলভ আর ক্রয়সীমার মধ্যে কিভাবে রাখবে এখন সেটি দেখার বিষয় ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার কথা অনেকের মনের কথা। একথা শুধু বিরোধীদের কথা নয়- একদম শাসকদলের অনেক নেতাদের মুখেও শুনেছি- সবাই ভয় পাচ্ছে শঙ্কায় আছে সামনের দিনগুলোতে কি হয় তাই ভেবে।
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে নাহল তরকারি।
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুন বলেছেন: ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারীতে সামুতে রেজিস্ট্রেষন করেছি তাই কিছু দেখি নাই শেরজা
আর শিরোনামের কথাটা শুনেছি যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন
লেখার বিষয়বস্ত অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই নীরবতাই বুদ্ধিমানের লক্ষন
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন পুথিগতভাবে আপনারটাই ঠিক। আমিতো আমার মত করে লিখেছি, বড় ভুল না হলে লেখকের অন্তত এইটুকু স্বাধীনতা থাকা উচিৎ
কেন স্পর্শকাতর হবে- খুব সিম্পল বিষয়! আসেন আমাদের আড্ডায়, খুব জোড়েসোরেই আমরা এইসব বিষয়ে আলোচনা করি। এত পরাধীন আমরা নই।
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি তখন প্রথম প্রথম ব্লগারদের এত শত রাজনৈতিক পোস্ট দেখে দেখে দিশাহারা হয়ে যেতাম। অনেক কিছুই বুঝতাম না তবে এটা বুঝতাম স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে তুলাধুনা করে নিঃশেষ করে দিতে তারা বদ্ধ পরিকর।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন; হয়নি কম। এই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে খর্ব করার জন্য ব্লগারদের অবদান কম নয়। য়ামাদের সমসাময়িক বা অগজ ব্লগারেরা অকুতোভয় ছিলেন। তারা আরকটা যুদ্ধ করেছিলেন কলম ধরে।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: বাহ! অনেক পুরানো লেখা শেয়ার করলেন!
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ২০০১ সাল থেকেই আমি যা ভাবতাম বা আশংখা করতাম আজ তাই হয়েছে।
এবং আরো হবো।
আপনার এই পোস্টের সাথে মিলিয়ে নিলাম।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো সেকালের সাক্ষী। আরো অনেকের লেখা দেবার ইচ্ছে ছিল। চাইলেওতো অনেক কিছু বলা যায় না- তাই অনিচ্ছায় চুপ মেরে যেতে হয়। অনেক কথা বুকের মধ্যে গুমড়ে কাঁদে। চুপ চাপ অনেক যুদ্ধ দেখেছি আমরা। ব্লগারদের সেই যুদ্ধের কথা অনেকেই বেমালুম ভুলেই গেছে। ব্লগ আজ ব্লগারেরা যেন শুধু নাস্তিকতার দায়ে দুষ্ট আর কাটাঝোঁপ ফলানোর উষর মরু্ভুমি অনেকের কাছে।
১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
বলগাহীন সন্ত্রাস লাগামহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েও একটি দল ভাবে তাদের হাত ধরে দেশে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ প্রবাহিত হয়েছে। ক্ষমতার আসার আগে জনগনকে তারা মানুষ ভাবে, তাদের কাছে ভোট ভিক্ষা করে কিন্তু ক্ষমতা দখল করার পর জনগনকে তারা নির্বোধের হদ্দ ভেবে ফেলে। ক্ষমতাসীন দলের ধারণা জনগণের কোনো বুদ্ধিশুদ্ধি নেই। এক্কেবারে ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা বলতে যা বোঝায় তাই।তাই ভোট এলে নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে তাদের ঘরে বসিয়ে রেখে নির্বিঘ্নে নিজেদের অনুকূলে ভোট পরিচালনা করে নেয়। জনগণকে বিশ্বাস না করা শাসকের প্রধান বৈশিষ্ট্য।এরা ভুলে যায় অতীতের কথা। বলা ভালো ইতিহাস ভুলে যায়। বিরোধীদের গলা টিপে হত্যা করার মধ্যে পবিত্র দায়িত্ব খুঁজে বের করে। উপমহাদেশের ভোটের সামগ্রিক চিত্র অলমোস্ট একই।
সীমাহীন দুর্নীতি কোথায় ব্যক্তিগত ভাবে কোথাওবা রাষ্ট্রীয় মদতে বল্গাহীন হত্যাযজ্ঞ একটা নির্দিষ্ট সময় পর ধারাবাহিক ভাবে ঘটে চলেছে। অথচ চতুর্থ স্তম্ভ বলে যাকে গালভরা বিশেষণে বিশেষিত করা হয় তারা আদ্যপান্ত আর পাঁচটি বহুজাতিক কোম্পানির মতো লাভক্ষতির অংক কষে নিজেদের প্রপিট বাড়াতে ক্যারিয়ারকে বিলাসবহুল গড়ে তুলতে শাসকদের এজেন্সি হয়ে সমানে শাসকের বন্দনায় মেতে ওঠে। বছর শেষে হতদরিদ্র নিপীড়িত বুবুক্ষ জনগণ পড়ে থাক সেই তিমিরেই। তাই শাসকের পালাবদল হলেও জনগনের কিচেনে ভাত বাড়ন্তের কোনো পরিবর্তন ঘটেনা। সাধেই কী আর এক কবি বলেছিলেন,' ভাত দে হারামজাদা'।
উপরের বিশ্লেষণ দুটি খুবই ভালো হয়েছে। তখনকার পরিস্থিতিতে যুগোপযোগী লেখা। কিন্তু এই মুহূর্তে যেহেতু সামনের সাত তারিখে আবার একটি নির্বাচন হতে চলেছে তাই এই লেখার প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করলাম না।
তবে দুজন বিখ্যাত ব্লগারের লেখনীর পাশাপাশি নব্য কালের মাইলস্টোন ব্লগার শেরজা তপন ভাইয়ের বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে একটা তুল্যমূল্য আলোচনা পাঠক হিসেবে আমরাও পাওয়ার প্রত্যাশা রাখি।
ভালো থাকবেন তপন ভাই।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার গঠনমুলক তেজদীপ্ত মন্তব্য বর্তমান ব্লগারদের জন্য অন্যকরণীয় হয়ে থাকবে ভাই।
ওপার বাংলায় বসে- এদেশটার জন্য কত ভাবনা কত ভালবাসা আপনার - যদিও আমাদের এপারের ওপারের শাসকদল একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।
আপনার লেখা ও মন্তব্য বরাবরই আমাকে দারুনভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে আরো ভালো কিছু লিখবার জন্য।
ভাল থাকুন এভাবেই সাথে থাকুন সবসময়।
১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুমমম.. কথা সত্য।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার জ্যাক স্মিথকে ধন্যবাদ মন্তব্যে অংশগ্রহনের জন্য।
১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: পুরাতন কথা মনে পড়ে গেলো। ইশতিয়াক ভাই ভালো ব্লগার এবং এখন বড় সাংবাদিক।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাই- আপনার ইনফরমেশনের জন্য ধন্যবাদ। ইশতিয়াক ভাই এর জন্য আমরা গর্ববোধ করতেই পারি। তিনি অবশ্যই আমাদের ব্লগ আর ব্লগারদের ভোলেননি। কখনো ফিরে আসবেন এই পুরনো আঙ্গিনায়।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
মানুষ দু'বেলা ভাত খেতে চায়, একটু স্বস্তি চায় , চায় একটু নিরাপত্তা।
সাধারণ মানুষ লীগ বা দল এতকিছু বোঝেনা, তারা ভাতের নিশ্চয়তা, স্বস্তি আর নিরাপত্তা চায়।
এখন পর্যন্ত কতো সরকার এলো গেলো, কেউ কি এই চাহিদাগুলো পুরোপুরি ফুলফিল করতে পেরেছে, না ফোকাস করে এগুলো!!
দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ।
২০০৮ লেখা, আর এখন ২০২৪, এগুলোর কোন পরিবর্তন হয়েছে?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: সাধারণ মানুষ লীগ বা দল এতকিছু বোঝেনা, তারা ভাতের নিশ্চয়তা, স্বস্তি আর নিরাপত্তা চায়।
এখন পর্যন্ত কতো সরকার এলো গেলো, কেউ কি এই চাহিদাগুলো পুরোপুরি ফুলফিল করতে পেরেছে, না ফোকাস করে এগুলো!!
~সমস্যাটাতো ওইখানেই সবাই শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে চায়- যে উন্নয়নে জনগন সুখে শান্তিতে থাকে সেগুলোকে কেউ পাত্তা দেয় না!!!
২০০৮ লেখা, আর এখন ২০২৪, এগুলোর কোন পরিবর্তন হয়েছে?
~ পরিবর্তনতো হয়ইনি অবস্থা আরো জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। আগে ছিল নাভিশ্বাস এখন পায়ের বুড়ো আঙ্গুল থেকে শ্বাস ওঠা শুরু হয়েছে
১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরো কয়েকজন ব্লগারের তথ্য বা মতামত দিলে বেশি ভালো লাগত।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় কাল্পনিক_ভালোবাসা - ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দিতে চেয়েছিলাম- কিন্তু লেখা অনেক বড় হয়ে। অনেক ব্লগার বড় লেখা দেখেই ভয় পেয়ে লেখা পড়তে চায় না।
আপনি যেহেতু বলেছেন, দেখি আরো কিছু মতামত যোগ করে দেয়া যায় কি না
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশের অগনতান্ত্রিক অবস্থা সৃষ্টির জন্য এককভাবে দায়ী ভারত। ২০০৮ এর পর যতগুলো পাতানো ইলেকশন হয়েছে সবগুলোই হয়েছে ভারতের সরাসরি প্রশ্রয়ে । view this link সদানন্দ ধুমে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের আর্টিকেলে লিখেছেন যে, ভারত মনে করে, শেখ হাসিনার দুর্বলতা যতই থাকুক না কেন তার বিকল্প হবে আরও খারাপ।বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ব্যাপারে নীরব ছিল দলটি। পাশাপাশি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিয়েছিল তারা। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোটবদ্ধ। এই দলটি বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অকথ্য নৃশংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ভারত তাই আর বিএনপি সরকারকে আরেকবার সুযোগ দিতে রাজি নয়।
বাংলাদেশের জনগন তাই কি চায় বা কি ভাবে তা একেবারেই বিবেচ্য নয়। দল হিসেবে বিএনপির ব্যর্থতা যে ভারতের এই অনায্য আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তারা জনগনকে একত্রিত করতে পারে নাই। দিন রাত শুধু জিয়া পরিবারের দাসগিরি , নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসা নিয়েই ছিল তাদের সকল ব্যস্ততা !! জেলে বসে গলে পচে যদি এবার একটু বোধদয় হয়!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: বোধদয় হয়ে লাভ কি হয়ে 'সেই শাসক হয়ে তারা শোষক হবে'!!!
সিস্টেমটা পাল্টাবে কেমনে? শাসকদের জনগনের কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে- এছাড়া উপায় নেই
১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আওয়ামী লীগের গত পনেরো বছরের শাসনকালে দেশের আবকাঠামোগত ব্যপক উন্নয়ন হলেও মানুষের জীবন মানের সাথে তা সমানুপাতিক তো না'ই বরং অনেক ক্ষেত্রেই ভারসাম্যহীন। দুর্নীতি আর শোষনের দ্বারা প্রচন্ড ভাবে শোষিত অনুভব প্রতিটা সাধারণ মানুষের। মানুষ সেই দশা থেকে মুক্তি পেতে যে কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষোভের প্রকাশ করতে চায়। ঢাকা-১০ আসনে আমরা তা দেখেছি। যাইহোক তপন ভাই সেটা অন্য আলোচানা।
ব্লগের স্বর্নযুগের ব্লগারদের ক্ষুরধার লেখাগুলো সামনে এনে দারুন কাজ করেছেন। অমি রহমান পিয়াল নামে একজন ব্লগার ছিলেন সেই সময় মুক্তি যুদ্ধের বিষয়ে দারুন সব আর্টিকেল লিখতেন। তার লেখা গুলো পড়তাম সে সময়।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: সেদিন একজন বলেছিল বাংলা ভাষার ইতিহাসে হেন বিষয় নাই যা ব্লগে আসেনি- সামু ব্লগে এযাবত যত দুর্দান্ত আর্টিকেল এসেছে তা পড়তে একজন মানুষের কয়েক জনম লাগবে!!! স্বাধীনতাউত্তোর বাংলাদেশে ব্লগের অবদানকে খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই। শিক্ষা সমাজ ইতিহাস বিজ্ঞান সহ নানা বিষয়ক লক্ষ লক্ষ আর্টিকেলের আর্কাইভ সামু! যার মধ্যে কয়েক সহস্র মহামুল্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য মোগল সম্রাট।
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৪
প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: কাভা ভাইয়ের মন্তব্যে প্লাস। পুরনো ব্লগাররা মন্তব্যে আরো কিছু লেখা যোগ করুন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ- আমি আরো কিছু যোগ করার চেষ্টা করছি। আপনাদের সংগ্রহে যদি কিছু থাকে তো লিঙ্ক দিতে পারেন।
১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সে সময় আমি পাঠক ছিলাম।
জুন আপুর মত আমিও পোস্ট সংক্রান্ত মন্তব্য করলাম না।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কি কইলেন লিটন ভাই!!! আপনি বড় ভাই- দুই চাইরখান কথা না বললে হয়??
২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: শেখ হাসিনা এমপি ইলেকশনকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইলেকশন বানিয়ে ছাড়িয়ে দিয়েছেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ চারদিকে একটা বেড়াছেড়া অবস্থা! মাঠপর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে ইঁদুরবেড়াল খেলা চলতেছে! তারা ভয়ঙ্কর এক অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে!!!
২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি কখনোই বিশ্বাস করিনা, এদেশের মানুষের ভোটের ফলাফল তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এদেশের মানুষ ক্ষোভে নয়, অভিমান থেকে ভোট দেয়।
আমার মনে হয় ক্ষোভ বা অভিমান কোনোটাই না।
মানুষ ভোট দেয় স্বপ্ন নিয়ে।
মনে একটা আশা থাকে, যা কিছু কষ্ট দুঃখ সমস্যা সব ঠিক হয়ে যাবে মনোনীত প্রার্থী জয়ী হলে।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এদের বেশিরভাগই হিপোক্রেটস।
মুখের কথার সাথে কাজের মিল থাকে না।
সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়।
তখন ক্ষোভের জন্ম নেয়।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: এদেশের কিছু মানুষ ভোট দেয় সখে কিছু টাকার লোভে কিছু রাজনীতির জন্য কিছু ক্ষোভে কিছু অভিমানে কিছু এমনিতেই যাই দিয়ে আসি। আর কিছু ওরে হারাইতে হবে সেই জিদে। মোটামুটি বার খিচুরি মার্কা মানুষ!
আপনি ঠিক ধরেছেন।
২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার ভোট দক্ষিণ ঢাকার কদমতলী থানায় ।
আমি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবো ইনশাল্লাহ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভোট দিয়ে আবার বইলেন না ' বড়ই আচানক ... আফসোস!!!
২৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে; পরে তিনি বৈধ কি অবৈধ সেটা নিয়ে যুক্তি তর্ক হতে পারে কিন্তু আমি যে সময়ের কথা বলছি সে সময়ে তিনি যে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনি দ্বীমত করবেন না?
কথাটা ভালো লাগলো।
যে দেশের মানুষ রাজাকারদের ভোট দিয়ে তাদের গাড়িতে পবিত্র পতাকা লাগাতে সাহায্য করে তারা কি ফেরা ফেয়ার ইলেকশন ডিজার্ভ করে?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু কিছু সময় মনে হয় দেশ এক হলেও আমরা অনেক জাতি অনেক মনের মানুষ এক দেশে বাস করি। আমরা একসাথে একভাবে কিছুই চাই না।
২৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৫
ইসিয়াক বলেছেন: যেদিন রাজাকারের গাড়িতে পতাকা উঠেছিল সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল অনেক অনেক দিন। তারপর ২০০৮ সালের ভোটে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস। অনেক পরিশ্রম করেছিলাম সেবার যশোর ২ আসনের জন্য।
একসময় দারুণ সব সুযোগ এসেছিল রাজনীতির সুবাদে বিশেষ করে ককটেল বোমা হামলার শিকার হয়ে পনের দিন যশোর আড়াইশো বেডে কাটানোর পর পরই।কিন্তু দূর্নীতি করতে পারবো না কারো মন জোগানোও সম্ভব নয় তাই বড় পদ পেয়েও ১৯৯৫ সালে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সাহেবের খুব কাছের হয়েও রাজনীতি ছেড়েছিলাম। আর এখন তো প্রশ্নই আসে না।
আমি প্রচন্ড রকম হতাশ।শেখ হাসিনার বুদ্ধি কি লোপ পেল কি-না কে জানে।এরপর যে বিস্ফোরণ হবে।কে সামলাবে? আজ না হলেও পাঁচ / দশ বছর পর তখন কিন্তু চরমপন্থী মৌলবাদী দল ক্ষমতা দখল করবে যে কোন প্রকারে(মনে প্রাণে চাই সেরকম দিন যেন কখনোই না আসে)।পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে শুনে এটা অবশ্যই আমার মতামত। রাজাকারের ছানাপোনাদের বাড় বাড়ন্ত দেখলে সত্যি চিন্তা হয়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি সততার জন্য সাধুবাদ জানানো ছাড়া এই অক্ষম ব্লগারদের আর কিছু দেবার নেই। আমরা শুধু কলম দিয়ে আমাদের ক্ষোভ জানাতে পারি, তাতেও কত ভয়, কত বাধা!
তৃনমুলের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এ দেশে- হোক সেটা আওয়ামিলীগ কিংবা বি এনপি। শুধু মার খাবার জন্য আর মরার জন্য কিছু কর্মী দরকার হয়। রাজধানী আর বিদেশেই সব হিসেব কষা হয়; লঙ্কায় কে যাবে আর রাবন কে হবে।
২৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: শিরোনামটা বেশি ভালো লাগলো। ভোট দিয়ে আসলে আমরা খুব যে কিছু পরিবর্তন করি বা করতে পারি তা নয়। বরং এটা অনেকটা রাবণ প্রতিষ্ঠা করার মতই একটা বিষয়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আসলে প্রথাগত ধারায় নয় অন্যরকম একটা পরিবর্তন প্রয়োয়োজন। আমাদের সকল রাজনীতিবিদ ও তাদের নীতি নৈতিকতা পুরোপুরি পচে গলে গেছে- এটা আর সংশোধন সম্ভব নয়। বাই ডিফল্ট এরা ক্ষমতায় গেলেই রাবন হয়ে যাবে।
২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: আপনিতো সে যোগের একজন ব্লগার,আরো কয়েক জন আছে।বিশ্লেষণ না করুন আলোচনা করে লিখুন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: শুনেছি 'হাই সাহেবকে নাকি আইয়ুব খান বলেছিলেন, আপনি এতবড় জ্ঞানী পন্ডিত ব্যক্তি আপনি 'রবীন্দ্র সঙ্গীত' লিখতে পারেন না?
হাই সাহেব মুচকী হেসে বলেছিলেন, অবশ্যই পারি কিন্তু সেটা 'রবীন্দ্র' সঙ্গীত হবে না হবে 'হাই সঙ্গীত'।
রাজনীতি নিয়ে লেখা আমার কম্মো না।আমি গুণীজনের লেখা পড়তে ও শুনতে পছন্দ করি।
২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: এই ইশতেয়াক যদি সেই ইশতেয়াক হয় তবে আর ভালো ব্লগার হয় কি ভাবে।উনি তো ঘোর বিএনপি জামাত বিরোধী।উনার আলোচনা মন দিয়ে শুনি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি জানি না তিনি কোন জন ব্লগার মাহ্মুদুল হক মুন্সী ভাল বলতে পারবেন;
২৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি বাংলা লিখতে শিখেছিলাম সামুতে এসে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভালই তো শিখেছেন। এখন এই আলোচনায় অংশগ্রহন করুন। আপডেট দিয়েছি। একটু ফের পড়ে আসুন কষ্ট করে।
গঠনমুলক সমালোচনা চাই।
২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন:
এ যে আমারও প্রশ্ন !!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২২
শেরজা তপন বলেছেন: এ কথা প্রায় সব বাঙালির মানে সচেতন বাংলাদেশীর মনের কথা!
সহমতের জন্য ধন্যবাদ আজিজ ভাই ভালো থাকবেন।
৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি যা বলার বলে দিয়েছেন।
আজ থেকে ১৫ বছর আগে ব্লগের পাতা সারাক্ষন সচল থাকত তাদের ক্ষুরধার লেখনীতে।
সাহিত্যের অন্য সব অঙ্গন বাদ দিলেও কিছু ব্লগারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল অসাধারণ। ২০০৮ এর ব্যতিক্রমী এক নির্বাচনে দারুণ সরগরম ছিল ব্লগ। আমাদের অনেক ব্লগারদের অনেক বিশ্লেষণধর্মী মতামত আলোচনা এতটাই মানসম্পন্ন ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল যে ... ..।
নির্বাচনের সময়ে প্রায় ৯০% ব্লগার সরাসরি প্রত্যাখান করেছিল স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তি আর তাদের দোসরদের এবং তাদের ভরাডুবিতে সারা দেশের মত পুরো ব্লগে অন্যরকম এক উচ্ছাস ও আনন্দের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল!
আমি মনে করি এখনো ব্লগারদের এখনো কিছু অভিযোগ থাকলেও মনোভাব এখনো তাই আছে, ৯০% । আপনি আমার কথাই বলেদিয়েছেন। তাই আর কিছু বলিনি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আপনি আপনার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আমাকে ধোলাই দিবেন। যাক সবকিছু সহজে মেনে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে ধন্যবাদ
৩১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩
অর্ক বলেছেন: এইসব অতীতের তলাহীন বিরাট কপিপেস্টের দোকান না খুলে বসে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার নিজের দু’লাইন বেরোলেও কথা বলা যেতো।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: পুরো পোস্ট পড়ে দেখুন আমার দু'চারখানা কথা। প্রথম ও শেষের প্রায় পুরো অংশটুকু আমার মগজ নিঃসৃত!
আধখানা পড়ে মন্তব্য করার অভ্যেস আপনার গেল না
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: যান আপনার জন্য শেষাংশে 'আমার কথা' উল্লেখ করে দিলাম!
এইবার আসেন গল্প- গুজব করি...
৩২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাবণরাই লঙ্কায় যায়। রাবণ না হলে লঙ্কায় যাওয়া যায় না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথাও হয়তো ঠিক। কিন্তু কেন যেন মনে হয় এই বহরে আমিও লংকায় গেলে রাবণের চ্যালা হব
৩৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগার ইশতিয়াক নিঃসন্দেহে অনেক বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞ ব্লগার ছিলেন। তিনি ব্লগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বহু আগেই।
এমন অনেক গুণী ব্লগার ব্লগে আর আসেন না।
আপনি বিচক্ষণ মানুষ হয়ে ইসিয়াককে বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞ বললেন কি করে?
তার সম্পর্কে কি জানেন আপনি? না জানলে আমাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবেন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বিচক্ষণ মানুষ হয়ে ইসিয়াককে বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞ বললেন কি করে?
তার সম্পর্কে কি জানেন আপনি? না জানলে আমাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবেন।
~ প্রিয় রাজীব নুর, মন্তব্যের এই অংশটুক্য ভীষন আপত্তিকর! আপনাকে এর আগেও অনুরোধ ও সতর্ক করা হয়েছে কোন ব্লগার সন্মন্ধে আপনি আমার ব্লগে কোন ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্য করবেন না। এবার সরাসরি সতর্ক ও নিষেধ করছি এই কাজ আর ভবিষ্যতে করবেন না। কোন ব্লগারকে কিভাবে কেমন করে সম্বোধন করব, কার বিষয়ে কি ধারণা পোষন করব সেটা সম্পূর্ণ আমার এখতিয়ার। আপনি যে আমাকে বিচক্ষন বলেছেন একথা আপনার গুরু শুনলে আপনার উপরে ভীষন ক্ষিপ্ত হবে। সুতারাং তাকে তাঁর মত চিন্তা করতে দিন, আপনি আপনার মত ভাবুন, আমাকে আমার মত ভাবতে দিন। দয়া করে আপনার প্রতি আমার ভালবাসার ও শ্রদ্ধার সম্পর্কটা নষ্ট করবেন না।
ভাল থাকুন।
৩৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় রাজীব নুর " ইসিয়াক" বলতে আমাকে বুঝিয়েছেন নিশ্চয়। যদি তাই হয়
এই পোস্টে আপনার মন্তব্য পড়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। আমাকে অন্য ব্লগারের সাথে গুলিয়ে ফেললে চলবে কেমন করে? হা হা হা
৩৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
প্রামানিক বলেছেন: সেই সময় ব্লগকে মুক্ত চিন্তা প্রকাশের মাধ্যম বলা হতো। তখন ব্লগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রিয় কোন আইন ছিল না।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ যে মাধ্যম এগিয়ে যায় সেটাই আইনের ফ্যাঁকড়ায় পড়ে! ব্লগ এত দ্রুত না এগোলে ভাল হত।
৩৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গণতন্ত্রের মানসকন্যা এখন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল গঠন করছেন সংসদ নির্বাচনের নামে । এটিম আর বি টিমের মধ্যে নির্বাচন। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আগে খেলা হইত বাফুফে লাল দল আর নীল দল! সেই টাইপ খেলা হচ্ছে।
কাদের সাহেব আগেই বলেছিলেন বারবার, খেলা হবে-সেইটেই হচ্ছে
৩৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: পোস্ট প্রথম পাতায় আসছে না। ব্যানের সম্মুখীন হয়েছি কী না, বা কি কারনে এটা জানার উপায় কী?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: এখন তো দেখলাম এসেছে - ওম শান্তি!!!
৩৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: যদি ২০০৮ সালে লেখা পোস্টে তারিখ না দেয়া থাকতো আর কাউকে উদ্দেশ্য না করে কেবল পরিস্থিতির বর্ণনা লেখা থাকতো, তবে কারো বোঝার সাধ্য হতো না এটা কোন সময়ের কথা! আসলে রাজা যায় রাজা আসে, কিন্তু আমাদের মতো প্রজাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না... ২০০৮ আর ২০২৩ এ তেমন ফারাক তো দেখি না।
শিরোনাম ভালো হয়েছে। ২০০৮ সালে ব্লগে ছিলাম না, সেই সময়ের পোস্ট কেমন ছিল তাও জানতাম না। আপনার এই পোস্টের বদৌলতে হারিয়ে যাওয়া দুজন ব্লগারের লেখার সাথে পরিচিত হতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই আপু!
রাজা যায় রাজা আসে! সময় যায় শুধু আমরা প্রজারা সেই আমরাই থেকে যাই। ফ্যান্টাসির রাজ্যে ডুবে থাকি শুধু। দিন পাল্টায় -কিছুই পাল্টায় না আমাদের। তাও ভাল এখন খুব সহজে কালের গর্ভে হারিয়ে যায় না সব কিছু। মানুষকে ফাঁকি দেয়া সহজ নয় আর। ইতিহাস এখন শুধু বিজয়ী আর ক্ষমতাধরদের পক্ষেই লেখা হয়না, ক্ষমতাহীন আর বিজিতদের পক্ষেও নিখুঁত ইতিহাস সংরক্ষিত থাকে কালের আর্কাইভে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ- আন্তরিক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
৩৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩০
সোহানী বলেছেন: পলিটিকেল লিখায় মন্তব্য থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি। শুধুমাত্র আপনার লিখা বলে উপস্থিতি জানান দিলাম।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে নিয়ে পাঁচ জন নারী ব্লগার এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। বিশাল ব্যাপার!!!
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: উনি তো উনার পথেই সু-স্পষ্ট ভাবে এগোচ্ছেন...
যা যা করতে চাচ্ছেন, করছেন...
দেশ যেমন উন্নত হচ্ছে, ঠিক তেমনি দূর্নীতির পরিমাণও বাড়ছে...
উনার উচিত, আগে এইটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া