![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনাদেনা,বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে-
আজকাল রক্তের জন্য অনেক হাহাকার দেখা যায়। জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজনীয়তা অসীম, কিন্তু রক্তদাতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ফেসবুকে অনেক সহৃদয়বান বন্ধুদের দেখি বিভিন্নপোস্ট/ইভেন্ট শেয়ার এর মাধ্যমে রক্ত দাতাদের খুঁজে বের করার আপ্রান চেষ্টা করে। হয়তো পায়, হয়তো পায়না। কিন্তু আজ একটা অন্যরকম ব্যাপার ঘটলো, আমার পরিচিত একজন, আমার বন্ধুর কলিগ (এখন অবশ্য আমারো বন্ধু) আমাকে বললো সে রক্ত দানে আগ্রহী, আগেও রক্ত দান করেছে, এখনো করতে চায়। সে ফেসবুক/ইন্টারনেট ব্যবহার করেনা, তাই আমাকে রিকোয়েস্ট করলো আমি যেনো ইন্টারনেটে একটা অ্যাড দিয়ে তার নাম পরিচয় দিয়ে দেই, যাতে মানুষের প্রয়োজনে সে রক্তদানে এগিয়ে আসতে পারে!
এমন মহানুভব ব্যক্তির নাম পরিচয় নিম্নে দিলামঃ
মোঃ আরাফাত জামান সজীব
রক্তের গ্রুপঃ এ নেগেটিভ (A-)
মোবাইল নং –০১৭৪৬৯৮৩৭৭৫ (01746983775)
বর্তমান অবস্থানঃ জাহাঙ্গীরগেট, মহাখালী, ঢাকা।
স্থায়ী ঠিকানাঃ লোহাগড়া, নড়াইল ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৫
বনসাই বলেছেন: বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রক্তদানের বিষয়টি কম পছন্দ হলো। তিনি সম্ভবত আবেগের বশে এমনটি করতে চেয়েছেন! ইন্টারনেটে অহেতুক ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে আপনি ভালো কাজ করেন নি। তার কাজে আসতে পেরে কিংবা বিপন্ন মানুষের উপকারে লেখা উদ্দেশ্য হলেও আদতে এতে তার অপকার ছাড়া কিছু হবে না। উপকৃত হওয়ার সুযোগ বছরে মাত্র তিন জনের অথচ কত রক্ত প্রাপ্তির আশা নিয়ে আসা মানুষকে ফিরিয়ে দেয়ার মানসিক যন্ত্রণা সারা বছর বয়ে বেড়াতে হবে তাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতি চার মাসে এক বারের বেশি রক্তদানে তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। পর্যবেক্ষণ হলো, আপনার এই বন্ধুর সাথে সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ করবে রক্ত বিক্রেতারা। আর স্রষ্টা না করুক, নিজের প্রয়োজনে এই রেয়ার গ্রুপের রক্ত লাভে কেউ কতটা তাকে সহযোগিতা করবে আমি সন্দিহান।
আমার পরামর্শ হলো, ব্লগটি মুছে ফেলুন এবং তাকে কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক, সন্ধানী বা রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংকের একটিতে স্বেচ্ছা রক্তদাতা লিস্টে নাম যুক্ত করতে বলুন। এটাই প্রকৃত স্বেচ্ছা রক্তদানের স্বীকৃত পদ্ধতি। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির প্রয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে রক্তদানে উৎসাহ দেয়াকে সব সময় নিরুৎসাহী করাই ভালো। এতে সমাজের কোনো উপকার হয় না। এতে রুগীর রক্তবাহিত রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। WHO এটাকে স্বেচ্ছা রক্তদান বলে গ্রহণ করে না, আমরাও করি না।