নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই....নয় !!!

মানুষ কিছু জানত না বলে সে জানার আগ্রহে ছিল ভরপুর,এখন মানুষ কিছু জানে বলেই সে অজানাকে পাঠিয়েছে বহুদূর

আশিক সীমান্ত

বলার কিছু নাই,শুধু লেখার আছ গল্প বলতে ভয় পাই,যদি লোকে সমালোচনা করে পাছে তাই বলে কেউ কপি করবেন না লেখা,এটা একান্তই লেখকের আপত্তিকর হলে পোষ্ট বাতিলের ক্ষমতা আছে কর্তৃপক্ষের

আশিক সীমান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভৌতিষ্ট +পেত্নিষ্ট গবেষনাঃ ভূতেরা গাছে সুন্দর,পেত্নিরা সাদা কাপড়ে :)

১২ ই মে, ২০১২ দুপুর ২:৩৪

এটা মোটামুটি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় যে আপনারা যারা এখন লেখাটি পড়ছেন তাদের মধ্যে কেউ যদি কখনও ভূত দেখে থাকেন বা ভূতের গল্প শুনে থাকেন তাহলে সেই ভূত হয় গাছের ডালে (বিশেষত বেল গাছ,বট গাছ,তেতুল গাছ) কিংবা গাছের পিছন থেকে উদয় হতে দেখা গেছে।



আবার কেউ যদি পেত্নি দেখে থাকেন বা তাদের গল্প শুনে থাকেন থাকেন তাহলে দেখবেন যে সেই পেত্নি হয় সাদা শাড়ীতে (বিশেষত সিল্কের) নাহয় সাদা মেয়েলি অবয়বে দেখা গেছে।

এখন আমার প্রশ্ন হল ভূতেরা কেন বেশিরভাগই গাছের ডালে থাকবে আর পেত্নিরা কেন সাদা কাপড়ে দেখা দিবে? বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্প পৃথিবীর সেরা শিল্পের মধ্যে একটি এবং নানান রঙ এর নানান ডিজাইনের কাপড় তৈরি হচ্ছে।তাহলে কেন তারা এসব কাপড় পড়ে না।আবার কেউ এক হাত জাইগা পেলেও সেখানে একটা বাড়ী বানিয়ে ফেলে।তাহলে বেশিরভাগ ভূতেরা কেন সেখানে থাকে না?



এসবের অনেক কারন থাকতে পারে।আমার মতে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কারন হচ্ছে সবার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য সাদা কাপড় পড়া।গাড়ি করে যাচ্ছে এমন ব্যাক্তির আকর্ষন পাওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে তার সামনে দিয়ে সাদা কাপড় পড়ে ঢং ঢং করে হেটে যাওয়া।যেহেতু তারা অন্ধকারে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে(রাতের বেলা রাস্তাঘাটে জ্যাম কম থাকে,আবার ঘন জংগলে রাতের বেলা কপত-কপতির আনাগোনা কম থাকে) তাই অন্য রঙের কাপড় পরলে সেটা চোখে নাও দেখা যেতে পারে।ছোট বেলায় যখন পঞ্চম শ্রেনীতে ছিলাম তখন একবার একটা ঘটনা শুনেছিলাম যে বোটানিকাল গার্ডেনে দুই বন্ধু বেড়াতে গেছে।তারা জঙ্গলের ভিতর ঢুকে পড়ে।এক বন্ধু আরেকজনকে বলে তার ছবি তুলে দিতে।বন্ধুটি যেই ক্যামেরায় চোখ দেয় দেখতে পায় সামনের বন্ধুটির ঠিক পিছনে কিছুটা উপরে একটা ফ্যাকাসে মেয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে।তার পরনে ছিল সেলওয়ারকামিজ,ফুল হাতা না হাফ হাতা বুঝা যায় নাই কারন হাতের অংশটা ঝাপসা ছিল।ক্যামেরাধারি বন্ধুটি জ্ঞান হারান আর ফটোচ্ছুক বন্ধুটি পিছনে ওটা দেখেই মারা যান(ফটোশপে এডিট করা ছবিও হতে পারে)

এখানে লজিকের ব্যাপারটা হল যে কেন সেই ভূতিনী বা পেত্নিটি জঙ্গলের ভিতর ক্যামেরাতে ধরা দিল?তার কি ছবি তোলার সখ উঠেছিল? অন্য রঙের পোশাক হলে তো অন্ধকারে মিশে থাকত।মেয়েরা যেহেতু পোশাক সচেতন তাই কালো ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে সাদা রঙ টা যায় বেশি।এই কারনেই কি সে সাদা পোশাক পরে ছিল?আসলেই চিন্তার বিষয়....



এখন আসি ভূতেরা কেন গাছে থাকে?ঢাকা শহরে যেখানে এখন মানুষের থাকার জায়গা নাই সেখানে ভূতেরা কিভাবে এপার্টমেন্ট বানিয়ে থাকবে।প্রথমত তাকে কোন ডেভেলপার এর কাছে গিয়ে জমি কিনতে হবে,তার বেশ কয়েক বছর এই জমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমায় লেগে থাকতে হবে,তারপর জমি বুঝে পেলে সেখানে উচ্চ দামে কেনা ইট,সিমেন্ট,বালি,রড দিয়ে বাড়ি বানাতে হবে,তারপর হয়ে গেলে বিদ্যূত ও গ্যাস সংযোগ পেতে দৌড়ান।এত ঝামেলা করে বাড়ি বানানোর চেয়ে গাছের ডালে বসে ঝিমানো তো ভাল যেখানে খাবার জোগাড়ের দরকার নেই,হাওয়া বাতাসের খুব দরকার নেই।

তাছাড়া ভয় দেখানোর জন্য যদি কারও ঘাড়ের উপর লাফ দেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে গাছের ডালই ভাল।বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ না দেওয়াই ভাল কারন যত সব আকাম কুকামের মানুষ তো গাছের নিচেই কাম সারে।



আমাদের বাসার কাজের মহিলা একবার এসে বলে যে তার মেয়ে নাকি পাগলামি শুরু করেছে।তা সে কিসের পাগলামি? মেয়ে নাকি খেতে পারে না ঠিকমত,খালি গান গায় আপন মনে কথা বলে,সবাইকে নামাজ পরার পরামর্শ দেয় আবার একটু পরপর হিন্দু বিয়ে বাড়ির মত মুখ দিয়ে "উলুলুলুলু" আওয়াজ করে।অনেক ফকির তাদের কেরামতি দেখিয়েও ভাল করতে পারে নাই।শেষে কোন এক অজপাড়াগায়ের হুজুর এসে পরীক্ষা করে বলেন এই মেয়ে নাকি এলাকার কোন বেল গাছের নিচ দিয়ে যাচ্ছিল।তখন তার উপর ওই গাছে বাস করা এক পেত্নি ভর করে।আবার কোন এক জ্বীনের দৃষ্টি পড়ে( পৃথিবীতে জ্বীনের অস্তিত্ব আছে)।হুজুর এদের কাছে জানতে চায় যে এরা যাবে কি যাবে না।তখন গম্ভীর গলায় মেয়েরূপে জ্বীনটি বলে যে সে যাবে না।আর পেত্নিটি বলে যে তাকে কিছু করা হলে মেয়েটার ক্ষতি করা হবে।এরপর যে কি হয়েছে সেটা আমি নিজেই জানি না।এখানে আশ্চর্যের বিষয় হল পেত্নিটি গাছে ছিল।বর্তমান যুগে যেখানে ছেলে-মেয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে চলচে সেখানে ভূত-পেত্নিদের গাছে গাছ মিলিয়ে চললে দোষটা কোথায়?



আরও কিছু ব্যাপার আছে।অনেকে বিষাদের রঙ হিসেবে সাদা রঙ পছন্দ করেন।বেশিরভাগ পেত্নিরাই পেত্নি হয়েছে বিষাদ্গ্রস্থতা থেকে আত্মহত্যা বা খুন হয়ে।আবার গাছ-গাছালিরা শহুরে ইট কাঠ ছেড়ে রাস্তার ধারে আস্রয় নিয়েছে যেখানে মানুষের ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পড়া সহজ।

ভূতেদের কারবার তুলে ধরার জন্য ভৌতিস্ট নামক ভূতেদের আবির্ভাব হয়েছে যারা অনেকটা ভূতেদের মত এসে তাদের পাবলিসিটি করে যাচ্ছে।পেত্নিরা কেন পিছিয়ে থাকবে?পেত্নিস্ট তৈরি হতে আশা করি সময় লাগবে না।ভূত গাছে থাকুক,ফ্ল্যাটে থাকুক,আকাশে থাকুক,পাতালে থাকুক আবার পেত্নিরা সাদা পড়ুক,রঙ্গীন পড়ুক,শাড়ি পড়ুক বা স্কার্ট পড়ুক,যেদিন তাদের সামনে পড়ব ওইদিন আমার কারিকুরি খতম...



বিঃদ্রঃইহা একটি কাল্পনিক পোষ্ট,লেখকের মস্তিষ্ক নিঃসৃত গো+এষনা।এর দ্বারা কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে লেখক ক্ষমাপ্রার্থী

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১২ দুপুর ২:৪২

আহলান বলেছেন: হুমমম

১২ ই মে, ২০১২ দুপুর ২:৪৫

আশিক সীমান্ত বলেছেন: ভাই,আপনি তো দেখি ভূতের মত একটা ডাক দিলেন।এমনভাবে কেউ রাতের বেলা যদি "হুমমম"বলে তাহলে আশেপাশের সবার অবস্থা খারাপ।

২| ১২ ই মে, ২০১২ দুপুর ২:৪৭

আসফি আজাদ বলেছেন: অত্যন্ত সময় উপযোগি এবং বিশ্লেষণধর্মী পোষ্ট। সমস্যার ভূপেত্নীক ব্যবচ্ছেদ যথার্থ হয়েছে। পোষ্টটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যপক দাবী রাখে।

১২ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

আশিক সীমান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১২ ই মে, ২০১২ দুপুর ২:৫৯

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: পেত্নিদের স্বামী ছোট বেলাতেই মারা যায়, তাই তারা সাদা কাঁপর পড়ে =p~ =p~ =p~
আর ভূত তো কাঠমোল্লাদের ভয় বেশি পায় তাই গাছে লুকাইয়া থাকে , নিরবে দেখে কে কাঠমোল্লা আর কেন ভালো মানুষ নিরব পর্যবেক্ষণের পরেই গাছ থেকে মানুষের উপরে ঝাঁপাইয়া পরে তবে মোল্লাদের উপর পরে না :P :P :P

১২ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:০৬

আশিক সীমান্ত বলেছেন: =p~ =p~ =p~ সেইরাম বলেছেন ভাই।এটা হচ্ছে তাদের ঝাপাইয়া পড়ার কারন

৪| ১৪ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৮

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: =p~ =p~ =p~ +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.