![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ৫ই জানুয়ারি। বাংলাদেশের প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ এবং বি.এন.পির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন।আওয়ামীলীগএরএর জন্য গণতন্ত্র রক্ষা দিবস এবং বি.এন.পির জন্য গণতন্ত্র হত্যা দিবস।আশ্চর্যজনক যে ৫ই জানুয়ারি দিনটি২৪ ঘন্টার টিকই কিন্তু একটি দিনে দুইটি দিবস। আমরা অবাক ভাবে দেখি আর কিছু বলি। আসলে কোন দিবসটি আমরা মানব। কি রক্ষা দিবস না হত্যা দিবস? আজকে দুই দলই আলাদা আলাদাভাবে সমাবেশ করেছে এবং একেক দল একেক ভাবে সাধারন মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে এই ৫ই জানুয়ারি কে। আমরা দেখতে পাই যে প্রতিক্রিয়াশীল আর্থসামাজিক ব্যাবস্থাকে লালন পালন করে চলেছে দেশের বর্তমান শাসক ও শোষক শ্রেণী। আওয়ামীলীগ ৫ই জানুয়ারি কথিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাই আসে। খুব বেশি খুশি হতাম যদি আওয়ামীলীগের অংগসংগঠন দেশ পরিচালনায় সুন্দর অংশগ্রহণ করত। দুখের বিষয় আজ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ছাডা ও নানান নামধারী সংগঠনগুলো দেশে টেন্ডারবাজী সন্ত্রাসিক কর্মকান্ড করেছে এবং করে যাচ্ছে। এইতো গতকাল৪ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে তারা নিজেরাই দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে মারামারি-গুলাগুলি করেছে। আর অন্যদিকে বি.এন.পি জামাত-শিবিরকে সাথে নিয়ে টানা তিন মাসের ও অধিক সময় ধরে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে গাডিতে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুডিয়েছে। তাছাড়া বি.এন.পির নানান নেতা নানানভাবে নানান কথা বলে দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে ব্যস্ত থেকেছেন। এই প্রধান দুই দলের একটা লক্ষ্য ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং দেশে প্রভাব বিস্তার করা। বন্ধুগন আমরা সাধারন মানুষ কি আর করি হয়ত ছাত্রলীগ বা যুবলীগের টেন্ডারবাজীর গুলিতে মরি আর নয়তো বা বি.এন.পি জামাত শিবিরের পেট্রোল বোমায় মরি। জোর গলায় বলতে চাই যে দল দুইটি সমাধানের পথ না খুজে মারামারি- হানাহানি পছন্দ করে সেই দল দুইটির একটি ও গণতন্ত্র কি তা জানে না এবং বুঝে না।
©somewhere in net ltd.