![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ সৃষ্টিকর্তার গুনগানে ব্যাস্ত, আর কিছু মানুষ তার অস্থিত্ব খুজে ফিরায় ব্যাস্ত। আমরা বর্তমানে যার যার বংশ পরম্পরায় কোন না কোন বংশ, গোত্র বা ধর্মের অধীনে আছি। আমরা সবাই জন্মের পর থেকেই জেনে আসছি আমরা কে কোন ধর্মের মানূষ বা কোন বংশের মানুষ। যখন থেকেই কথা বলতে শিখেছি তখন থেকেই শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমি জ্ঞান,বুদ্ধি সম্পন্ন একজন পরিপূর্ণ মানুষ আরো শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমার একটি নির্দিষ্ট ধর্ম আছে, যা প্রচলিত চারটি ধর্মের একটি। আমার মত সবাইকেও শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল এইসব কিছু। সবাইকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল কে হিন্দু, কে মুসলিম, আর কে কোন ধর্মের। কখনো বলা হয়নি আমরা একে অপরের ভাতৃপ্রতিম বন্ধু, আমাদের কোন ভেদাভেদ নেই, সব সময় শিখানো হয়েছিল উগ্র কথা বার্তা। যখন থেকেই স্কুলে গিয়েছি তখন ক্লাস এর নানান ছেলে মেয়ের সাথে জগড়া দিতাম এই ধর্ম নামের জিনিস টার জন্যে। আমাদের অনেকের জীবনে এই রকম সৃতি আছেই। সব ছেয়ে ভাল এই বিষয়ে বলতে পারবেন সাম্প্রতিক যারা রামুর বৌদ্ধ মন্দির পুড়িয়েছে, হিন্দু, বৌদ্ধদের ঘর বাড়ি পুডিয়েছে। যাই হোক সব ই ধর্মের কেরামতি। আমার মতে মানুষ, কিন্তু সমাজে প্রচলিত মুসলমান ভাই বোনদের জন্মের পর বুদ্ধির সময় কাল থেকেই শিখানো হয়েছিল এবং বর্তমানে ও শিখায় ইট-পাথুরের একটি ঘরে ঢুকে পশ্চিম মুখ করে সাজদা দিতে, আল্লার কাছে( অজানা ব্যাক্তি)। আর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান দের শিকালো সাজানো গোছানো ইট-পাথুরের মূর্তির সামনে পূজা- অর্চনা করতে। সবই ধর্ম কিন্তু। পরিবার আমাদের শিখায় নি আমরা মানব ধর্ম অর্থাৎ সকল মানুষকে ভালবাসার ধর্মের মানুষ। ধর্ম গ্রন্থগুলো সহ, পরিবার, সমাজ সকলেই শিখিয়েছে তোমার ধর্মের নামে কেউ কিছু বললে তার প্রতিরোধমূলক ব্যাবস্থা নিবে। ইসলাম ধর্মে স্পষ্টতই বলা আছে জিহাদ ঘোষনা করার কথাও। কোন লেন্ডা আমলে কে না কে কি বলে গিয়েছে যা সম্পূর্ন মানুষের ক্ষতিকর কথা তা নিয়ে বর্তমান গরু- ছাগলেরা লাফাচ্ছে। রাস্তায় ফেলে কোপানো হচ্ছে ঐ ধর্মের নামে কিছু বললে। মানুষ খেয়াল করছে না ঐ অজ্ঞাত আল্লা,ভগবান,খোদা,ঈশ্বরের কিছুই হচ্ছে না কিন্তু মানুষ মানুষের মাংস খাচ্ছে সেই ধর্মের নামে। এই মানুষ মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখছে না বরং দেখছে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান হিসেবে। ভাবতে অবাক লাগে অনেক শিক্ষিত সার্টিফিকেটধারী মানুষ ও বুঝে না মানবতা যে ধর্মের ঢাল পরে থাকলে রক্ষা হয় না। তারা ও মানুষকে আলাদা আলাদা কাতারে ভাগ করে। ওরা তো বইয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত, তাই মানবতা কি তা কেউ বুঝাতে গেলেই নিজেকে জ্ঞানী ভেবে ধর্মের দোহায়ে কোপাতে আসে। সব ধর্মই নাকি মানবতার কথা বলে, একে অপরকে ভালবাসার কথেলা বলে। আমার প্রশ্ন এই জায়গায় আটকে থাকে, হিন্দু, মুসলমান হিসেব করে কিভাবে মানবতার কথা তারা বলে? ধর্ম গুলো একদিকে মানবতার কথা বলে আবার অন্যদিকে ধর্মের উপর আঘাত আসলে জিহাদ ঘোষনা করার আদেষ ও দেয়। আরো আশ্চর্য লাগে মানুষ তা গরুর মত মেনে ও চলে। যে ধর্ম মানুষকে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান হিসেবে ভাগ করে দিয়ে তফাৎ সৃষ্টি করে দেয় এবং আমাদের মাঝে মারামারি খুনাখুনি সৃষ্টি করে দেয় সেই বিষাক্ত ধর্মের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমরা সবাই একই রক্তে মাংসে গডা মানুষ। আমাদের উচিৎ মানুষ হিসেবে মানুষকে ভালবাসা, এবং আদিম কুসংস্কার বাদ দিয়ে বিজ্ঞানের সাথে নতুন তথ্য জানা। তাহলেই আমাদের পূথিবী হবে কুসংস্কার, মারামারিহীন, মানবতার সুন্দর পূথিবী।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
শিপ্ত বডুয়া বলেছেন: হুম !
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
রনি.রায় বলেছেন: আমি এত পোস্ট পড়ি তবে এই প্রথম আপনার পোস্ট দেখে মনে হলো আমার মনের মত কেউ কিছু লিখে। আমার মনের সবগুলো কথা আপনি এই পোস্টে ফুটিয়ে তুলেছেন।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
Rahat Islam বলেছেন: ও আচ্ছা তাই নাকি? আপনি যে নাস্তিক তা তো ভাল ভাবেই প্রকাশ করলেন। তা জনাব নাস্তিক আমি ইচ্ছা করলে অনেক অনেক যুক্তি দিতে পারি , প্রমান করতে পারি আপনার সকল ধারণা ভুল, আপনি ভুল পথে চলতেছেন, কিন্তু আমি তা দিবো না আর আপনি সেটা মানবেনও না তা যত বড় সত্যই হোক না কেন। সুতরাং আমার এখানে করনীয় হচ্ছে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করা যেন আপনি সঠিক রাস্তা খুঁজে পান।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: মানবতা নেই।